বিপ্লব ব্লোগার

বিপ্লব ব্লোগার

আমরা চাই সংসারী বউ অথচ ভালো লাগে লুতুপুতু মেয়ে, অতঃপর স্বামীর এটেনশন না পেয়ে এক সময় সংসারী মেয়ে গুলাও অন্যের সাথে লুতু পুতু করা শিখে যায়!
মেয়েগুলোও চায় বেষ্ট পারফর্মার, হাজব্যান্ড হতে হবে হাজারে একটা, যে হাজারে একটা হয় তার কতটা সময় আছে দিনভর লুতুপুতু করার! অতঃপর লুতুপুতু করা ছেলেদের সাথে রোমান্স চুটিয়ে ঝুলে পড়ে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারের গলায়!!
এভাবেই চলিতেছে সার্কাস! স্বামী স্ত্রীর মাঝে ভালোবাসা নয়ত বোঝা পড়ার অভাব। দিন শেষে তাই ভালো থাকে ওই লুতুপুতু করা ছেলে মেয়ে গুলোই!
লুতুপুতু ছাড়া কি প্রেম হয়না? দায়িত্ব বোধ, পাশাপাশি চলা, একে অন্যকে ভরসা দেয়া এগুলোও কি ভালোবাসা নয়? প্রেম মানেই কি হাটু গেড়ে বসে গোলাপ নিবেদন করা?
আচ্ছা যে সেরা ডাক্তার বা উকিল হতে পারে সে সাধারন একটা স্বামী হতে পারেনা? ক্যারিয়ার যদি সুখের জন্য হয় তবে সম্পর্ক গুলো অবহেলা করে এমন কোন ক্যারিয়ার আছে যা তোমায় সুখী করবে?
সারা পৃথিবীর সেরা ইঞ্জিনিয়ার হয়েও যদি তুমি ভালোবাসার মানুষ টার মনের ডিজাইন টাই ধরতে না পারো তবে কিসের ইঞ্জিনিয়ার তুমি!
ছোট বেলা থেকে আমরা যেমন জজ ব্যারিস্টার হবার স্বপ্ন দেখি তেমন করে যদি একবার ভাবতাম ভালো স্বামী বা স্ত্রী হবো তাহলেই পৃথিবীর অর্ধেক পাঁপ কমে যেত, অর্ধেক জ্বালা কমে যেত!!



জীবন কখনো মনের মত হয়না। হাজারটা পরিকল্পনার পরেও, শত পারফেক্ট হবার পরেও জীবনের নিয়ন্ত্রন আমাদের হাতে থাকেনা। ঠিক ঠাক জীবন টা এলোমেলো হবার আগে জানান দিয়ে যায়না।
হুট করে কোনো এক সকালেই বদলে যায় সব কিছু, এক মুহুর্তের ব্যবধানে চেনা পরিচিত সব কিছু অচেনা হয়ে যায়। দিনের পর দিন জমানো বিশ্বাস গুলো ঝুর ঝুরে বালি হয়ে ঝরে যায় হাতের মুঠো থেকে।
তবুও মানুষ সুখী হয়, ক্ষত গুলো একদিন সেরে যায়। নতুন সকালের নতুন আলো এসে গায়ে লাগে। বিছানায় পড়ে থাকা মানুষটা উঠে দাঁড়ায় নতুন করে পায়ের পাতা শক্ত মাটি ছোঁয়।
জীবন টা তখন ই সুন্দর হয় যখন জীবনের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিবে। জীবন কারো মনের মতন না, জীবন জীবনের মত, তোমাকে শুধু টিকে থাকতে হবে জীবন যেখানে যেমন!


সীম প্যাথী নিয়ে বেশিদিন চলা যায়না। একটা সময় পর্যন্ত হয়তো সবাই মায়া করবে দয়া করবে ভালোবাসবে। কিন্তু তোমার মাঝে সামান্য এটিটিউড ও তাদের সহ্য হবেনা। আজ যে দূর্বলতা দেখিয়ে সবার এটেনশন নিচ্ছো সেই দূর্বলতা নিয়েই তোমায় অপমান করতে কেউ ভুল করবেনা।
আজীবন বোনলেস থাকার চেয়ে প্রয়োজনে একা থাকো। কি দরকার কারো কাছে নিজের দূর্বলতা তুলে ধরার। কেউ হয়ত স্বান্তনা দিবে, মায়া করে তাকাবে একটু খানি সময় দিবে এই তো? দান খয়রাত নিয়ে জোড়া তালি দেয়া যায় ভবিষ্যৎ গড়া যায়না। একদিন না একদিন তুমি বদলাবেই সেই বদলানো তোমার প্রিয় জনেরাই মেনে নিবেনা।
যারা কাউকে করুণা করে তারা তাকে বন্ধু ভাবতে পারেনা। তারা মাথা নিচু করে হাত পাতা দেখতেই ভালোবাসে। কি দরকার তাদের বিনোদন দেয়ার। প্রয়োজনে এতটা একা হয়ে যাও যেখানে কথা বলার মানুষও থাকবেনা।
হুট করে হারিয়ে যাও তারপর নিজেকে নিজে সময় দাও। জানি একাকীত্বের ওই সময়টা যন্ত্রনাময় কিন্তু বিশ্বাস করো নিজেকে নিজে গোছাতে হলে ওই একাকীত্বের দরকার আছে। বিশ্বাস করার মত কেউ না থাকলে তুমি নিজেকে বিশ্বাস করবে। ওই একলা সময়টা তুমি বুঝে যাবে কারো উপর ভরসা করা বোকামি।
আমরা সহজে হাত পাতি বলেই বিপদ আমাদের পিছু ছাড়েনা। ঘোড়া দেখে খোড়া না হয়ে গেলেই বুঝবা, দু পায়ে ভর দিয়ে চলার মত শক্তি তোমার আছে।



কারো কারো মস্তিষ্ক খুব ধীরে কাজ করে। যেমন প্রচন্ড রেগে গেলে তার মস্তিষ্ক স্থির হয়ে যায়। সে বুঝে উঠতে পারেনা ঠিক করা উচিত। প্রচন্ড রাগে মস্তিষ্ক সচল হয়ে ওঠার আগেই আমাদের বডি রিএক্ট করে বসে।
হুট করে চিৎকার করে ওঠা,কিছু ভেঙে ফেলা বা আঘাত করে বসা এই সিদ্ধান্ত গুলো তখন মস্তিষ্ক নেয় না, আমাদের বডি নিজে নিজেই নিয়ে নেয়। এরপর মস্তিষ্ক যা করে সেটা হলো বডি রিএক্টকে অনুসরণ করে। মস্তিষ্ক তখন ধরেই নেয় এই কাজ গুলা ঠিকই আছে। বডি যে রিএক্ট করে মস্তিষ্ক সেদিকে যুক্তি দিয়ে সেটাকে সঠিক করে দেয়। তাই রাগী মানুষ এক সময় নিজের রাগ টাকে স্বাভাবিক বলেই বিশ্বাস করে নেয় এবং তাতে সে অভ্যস্ত হয়ে যায়।
এ ব্যপারটা মানুষ যখন বিপদে পড়ে কিংবা প্রচন্ড ভয় পায় তখনো ঘটে। কিছু সময়ের জন্য মস্তিষ্ক পুরো ডার্ক মোশনে চলে যায়। তখন খুব সাধারন কিছু সিদ্ধান্ত যেমন আত্মরক্ষা, পালিয়ে যাওয়া কিংবা পালটা আঘাত করা এই সিদ্ধান্ত গুলোও তখন মস্তিষ্ক নিতে পারেনা। তখন আমাদের বডি, হয় দিক ভ্রান্তের মত রিএক্ট করে অথবা জমে যায়।
এসব পরিস্থিতিতে যারা নিজেকে সামলাতে পারেনা তাদের জন্য সব চেয়ে সহজ সমাধান হলো যখনই প্রচন্ড রাগ বা ইমোশন তৈরি হবে তখন কোনো রুপ রিএক্ট না করা। কয়েক মুহুর্ত একদম চুপ থাকা, একটা নির্দিষ্ট সময় পর মস্তিষ্ক কাজ করতে থাকে তখন ইমোশন প্রশমিত হয় ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয়।
আমরা আমাদের নিজেদের বুঝতে পারিনা বলে খুব দ্রুত ইমোশন সুইচ করে। আর সেই সামান্য একটা মাত্র মুহুর্ত বা ঘটনায় এমন কিছু ঘটে যায় যার মাশুল আমাদের আজীবন দিতে হয়।
পৃথিবীর কোনো ঘটনাই বিচ্ছিন্ন নয়, প্রতিটা ঘটনার সাথে পরবর্তী ঘটনার যোগসুত্র থাকে। একটা ভুল থেকে বার বার ভুল করি। এই ভুল গুলি মানুষটাকে একসময় একদম একলা করে দেয়। রাগ, দুঃখ, ক্ষোভ বা আফসোস কোনোটাই আর পিছু ছাড়েনা তখন ! আমরা বলি মানুষটা বদ মেজাজী, বোকা, রাগী, ইমোশনাল অথচ একটা মানুষের মাঝে সব কিছুই থাকা উচিত। সে শুধুই রাগী বোকা বা ইমোশনাল হবে কেন!!



"ডিপ্রেসন পিছু ছাড়ে না ... ঠিক যখনই ভাবি যে এলোমেলো জীবনটা বোধহয় একটু গুছিয়ে ফেললাম, অমনি দমকা হাওয়ার মত কোন একটা সমস্যা এসে সব এলোমেলো করে দেয় !!
ফ্যামিলি লাইফ ঠিক, তো রিলেশন ঠিক নাই ... রিলেশন আর ফ্যামিলি লাইফ ঠিক তো অ্যাকাডেমিক লাইফ ঠিক নাই ... সবকিছু ঠিক, তো আর্থিক সমস্যা এসে হাজির ... সেটাও ঠিক হয়ে গেলো, দুম করে কেউ অসুস্থ হয়ে যায় ... সব হয়তো ঠিক, কিন্তু ঐদিকে জীবনে এক ফোঁটাও রেস্ট নাই ... শুধু ছুটে চলা, চোখভরা ক্লান্তি, কোন লাইফ নাই !!
পারফেক্ট লাইফ বলে মনে হয় কিছুই নেই ... বাইরে থেকে সবাই বলে, আরেহ কি সুন্দর একটা জীবন, কিসের অভাব তোমার?
বুঝানো যায় না ... কখনো অর্থের অভাব, কখনো সময়ের অভাব, কখনো সুস্থতার অভাব, ভালোবাসার অভাব, কেয়ারের অভাব কিংবা একটুখানি ঘুমের অভাব ... অভাব পিছু ছাড়ে না !!
আমার অভাব, আমার ইনসিকিউরিটি, আমার অপ্রাপ্তি, আমার ডিপ্রেসন - কেউ বুঝবে না !!
'কেমন আছো?' - প্রশ্নের উত্তরে মিথ্যেমিথ্যি 'ভালো আছি' বলে দেয়াটাই সহজ ... ফিরতি আর কোন প্রশ্ন আসে না ... 'ভালো নেই' বললেই 'কেন ভালো নেই?' - তার উত্তর দিতে হবে ... ও প্রশ্নের উত্তর দেবার মত কোন শব্দ বা বাক্য আমার জানা নেই !!
এই ছোট্ট মাথার ভেতরটাতে কত হিসেব নিকেশ, কত জটিলতা, কত অভাব, অপ্রাপ্তি, কত যুদ্ধ আর কত নিঃশব্দ চিৎকার প্রতিধ্বনিত হয় প্রতিনিয়ত - সেসবের আওয়াজ আমি বাদে পৃথিবীর আর কেউ শুনতে পায় না ... কি করে বুঝাই আমি ... কি করে বুঝাই !!" 



আমার একটা কল্পনার খাতা আছে যখন নিজেকে একা একা লাগে তখন সেই খাতা খুলে বসি। চোখের সামনে বিশাল একটা সাগর ভেসে উঠে। পায়ের নিচে ভেজা বালু আর মাথার উপর খোলা আকাশ। এক খানা সাদা চাঁদ জ্বল জ্বল করে জ্যোৎস্না ছড়িয়ে দেয় আমার চারপাশে। আমি মুগ্ধ হয়ে সাগরের গর্জন শুনি।
আমার মত কল্পনা প্রবন মানুষ গুলাকে অনেকেই অপছন্দ করে। তাদের কাছে জল্পনা কল্পনা বলে কিছু নেই। সব কিছু তাদের বাস্তবে চাই। অথচ বাস্তব বলে কিছু নেই। মানুষ বাঁচে স্মৃতিতে ভাবনায়। এই মুহুর্তে যেটা বাস্তব ক্ষনিক বাদেই সেটা কল্পনা। প্রতি মুহুর্তে আমরা অতীত তৈরি করছি।
ঠুনকো বাস্তব মুহুর্তে স্মৃতি হয়ে যায়। ভবিষ্যতের চিন্তা সেটাও কল্পনা। জীবনের ৮০ ভাগ তো জল্পনা কল্পনাই!
ভাবতেই যদি হয় তবে সুন্দর কিছু নয় কেন? না হোক তা সত্যি তবুও তো ভাবনা গুলাও তুমি। সময় ধরে রাখা যায়না কিন্তু স্বপ্ন ধরা যায়। নিঃসঙ্গ সময়ে সব সঙ্গী যখন দূরে সরে যায় তখন তোমার সাথে শুধু তুমি থাকো। সেই তুমিটার সাথে বন্ধুত্ব হয়ে গেলে দেখবা হয়ত তুমি একলা আছো তবে নিঃসঙ্গ নয়।




এখনো অধিকাংশ মেয়েদের ফ্যামিলির জন্য টাকাকে বিয়ে করতে হয়।
আমরা ছেলেরা অনেক সময় বলি বা বাবা মায়েরাও ভাবেন সংসারের জন্য সব চেয়ে বেশি সেক্রিফাইস ছেলেরাই করে।
হ্যা আমরা অনেক সেক্রিফাইস করি। আমার জীবনের এক তৃতিয়াংশ আমি আমার ফ্যামিলির জন্যই বিসর্জন দিয়েছি বা দিচ্ছি।
এই যে এত খাটা খাটুনি দিনভর প্ররিশম বেশির ভাগ টাই তো ফ্যামিলির জন্যই।
কিন্তু এর বাইরেও আমার স্বাধীনতা আছে। আমি ঠিক তাকেই বিয়ে করবো যাকে আমার পছন্দ হবে। কারন আমি আমার সব কিছু দিয়ে দিতে পারি কিন্তু নিজেকে কিভাবে?
এই নিজেকে দিয়ে দেয়াটা হচ্ছে সব টুকু নিশ্বেঃষ করে দেয়া। এখানে কোনো এক তৃতীয়াংশ বা অর্ধা অর্ধি নেই পুরোটাই দিয়ে দেয়া।
খেয়াল করুন, খুব ছোট বেলা থেকেই ছেলে মেয়ে উভয়েই তার পছন্দের তালিকা হতে জামাকাপড় থেকে পড়াশোনা সব কিছুতে নিজের মতামত দিবে। সে সেটাই করবে যেটা তার জন্য বেষ্ট।
কিন্তু একটা মানুষ সারা জীবন আরেকটা মানুষের সাথে কাটাবে। মানুষ টা চাইলেই তাকে স্পর্শ করবে, যখন যেভাবে খুশি ভোগ করবে, সেই মানুষটাই যদি পছন্দ করতে হয় ফ্যামিলির কথা ভেবে?
এটা কত বড় বিসর্জন সেটা বোঝার ক্ষমতা কোনো পুরুষের নেই, কারন পুরুষ সেক্রিফাইস করে দাতা হয় কিন্তু মেয়েরা তো হয় দাসী!
মতের বিরুদ্ধে বা স্বার্থের প্রয়োজনে ছেলেরাও বিয়ে করে কিন্তু একটা ছেলেকে জোর করে তার স্ত্রী ভোগ করতে পারেনা। প্রয়োজনে ছেলেটা দিনের পর দিন অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে রাখতে পারে কিন্তু মেয়েটা?
যত বড় অপছন্দের মানুষই হোক, ঘৃনায় চোখ মুখ বুজে আসুক তবুও তো স্বামী। আমার ইচ্ছা করছে না এইটুকু বলার সাহসও তার হবেনা।
গায়ের উপর পোকার মত কিলবিল করে হাপিয়ে ক্লান্ত হয়ে মানুষটা নেমে যাবে। অথচ মেয়েটা একদলা মাংস পিন্ডের মত তছনছ হলো কিন্তু একচুল দোলা লাগেনি তার হৃৎপিণ্ডে!
এই হৃৎপিণ্ড বিসর্জন মেয়েদের চেয়ে ভালো আর কেউ দিতে পারেনা। শত কষ্ট মেনে নেয়া যায় স্বাধীনতার জন্য। কিন্তু স্বেচ্ছায় পরাধীনতা মেনে নিয়ে যে নারী সবাইকে সুখী করে তার বিসর্জনের তুলনা কোনো কিছুর সাথে হয়না।


"মন খারাপ হলে আমরা মাঝে মাঝে আশ্রয় খুঁজি ... কাছের মানুষ কিংবা অন্য কারো সাথে গল্প করে মন ভালো করার চেষ্টা করি ... সেটায় আসলে মন ভালো হয় না ... বরং মনটা অন্যদিকে ডাইভার্ট হয় মাত্র ... সেটাও খারাপ না অবশ্য !!
মন খারাপের সময়টাতে কোন একটা মানুষ বারবার এমন আশ্রয় দিলে, তার উপর একটা নির্ভরশীলতা তৈরি হয়ে যায় ... মন খারাপ হলেই ইচ্ছে হয় মানুষটার কাছে ছুটে যেতে ... মানুষটা একটা ভরসার জায়গা হয়ে যায় ... ভাবতে ভালো লাগে যে আমার এলোমেলো কথাগুলো শেয়ার করার একটা মানুষ আছে !!
কিন্তু সেই মানুষটাই যখন চলে যায় ??
নিজেকে ছন্নছাড়া আশ্রয়হীন যাযাবর মনে হয় তখন ... তীব্র ঝড়ে, কড়া রোদে কিংবা কনকনে শীতে দৌড়ে গিয়ে যে দরজায় কড়া নাড়তাম, সেই দরজা এখন চিরতরে বন্ধ ... এই বিশাল পৃথিবীতে আমার আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই ... ভাবলেই কেমন যেন একটা নিঃসীম শূন্যতা গ্রাস করে ফেলে নিজেকে !!
মন খারাপের সময়টাতে যে পাশে থাকে, যে আমার গল্প শোনে, যে আমার মন ভালো করার চেষ্টা করে, তাকে আমি ভয় পাই ... তার প্রতি জন্মানো মায়াকে আমি প্রচণ্ড ভয় পাই !!
দিনশেষে মন খারাপটুকু সয়ে নেয়া যায় ... কিন্তু মন খারাপের গল্প বলার শেষ মানুষটাও চলে গেলে - তা সয়ে নেয়া ভীষণ ভীষণ কঠিন !!" 



মিডল ক্লাস মেয়ে গুলোর দিকে আমি যাস্ট তাকিয়ে থাকি। কি এরা! কিভাবে পারে!
না, তাদের এসি কার নাই। তবুও খুব সাধারনের ভিতর সুন্দর একটা সাঁজ ধরে রাখতে হয়। সেই সাঁজ টুকু নিয়ে পাব্লিক বাসে উঠে বুকের উপর ব্যাগ রেখে অমানুষ গুলার কনুইয়ের গুতা সামলে নিয়ে মাথা নিচু করে নেমে যেতে হয়।
রোজ ভার্সিটিতে যাবার মত দামী ড্রেস নেই। তবুও কি সুন্দর গজ কাপড় কিনে এনে নিজে নিজেই ডিজাইন করে মানিয়ে নেয় নিজের ব্যাক্তিত্বের সাথে।
দামী রেষ্টুরেন্টে যাওয়া হয়না, ক্যান্টিনে একা একা খাওয়া যায়না, বাসা থেকে টিফিন টানতেও লজ্জা লাগে। তাই হয়ত ডায়েটের নামে খালি পেটেই হাসি মুখে চলে ভার্সিটির ক্লাস। মিডল ক্লাস মেয়ে এক বেলা না খেলে কেউ দেখবেনা কিন্তু চোখে একটু কাজল তো দেয়াই লাগবে।
ওয়েস্টার্ন পড়ে হাই হিলে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে যাওয়া মেয়েগুলোর দিকে যাস্ট হা করে তাকিয়ে থাকি আমরা, কিন্তু উচ্চ বাচ্য করার সাহস কারো আছে?
আর এই মিডল ক্লাস মেয়ে গুলো ওড়না পেঁচিয়ে কুজো হয়ে হেঁটে গেলেও, আমরা তো আমরা! গাড়ির হেল্পার পর্যন্ত ছাড়েনা ইভ টিজিং করতে!
এত গেলো শুধু চলা ফেরা, কত মিডল ক্লাস মেয়ের হয়ত বাবা নেই ছোট ছোট ভাই বোন আছে বিধবা মা আছে। টিউশনির টাকা অথবা পার্ট টাইম জব দিয়েও চালিয়ে নিতে হয় নিজের পড়া লেখা।
কি অদ্ভূত শক্তি এই মেয়ে গুলোর, আপনি কথা বলে মুখের দিকে চেয়ে এক চুল বুঝতে পারবেন না একটা মিডল ক্লাস ছেলের চাইতে মিডল ক্লাস মেয়েটাকে কত বেশি যন্ত্রনা চেপে রেখে মিষ্টি করে হাসতে হয়।
ছেলেদের মত রিএক্ট করার সাধ্য নেই, দুঃখ কষ্ট ভুলতে দুই এক পেগ মেরে কোথাও গিয়ে পড়ে থাকারও সুযোগ নেই।
চোখের পানি মুছতে মুছতেই রাগ অভিমান গিলে ফেলে নিজের কাজে হাত দিতে হয়।
মিডল ক্লাস প্রতিটা বাবাদের গল্প আমরা জানি মায়েদের কষ্ট আমরা বুঝি। আমাদের প্রতিটা মিডল ক্লাস ছেলেদের ঝুরি ভরা কষ্টের গল্প গুলাও জানা আছে সবার।
কিন্তু একটা মিডল ক্লাস মেয়ে যাকে আর দশটা ছেলেদের মতই বাসে চড়ে পায়ে হেঁটে কলেজে যেতে হয়, টিউশনি করতে হয়, আবার চোখের কাজল ঠোঁটের লিপষ্টিক ঠিক রাখতে হয়, তাদের অসহ্য কষ্টের কথা আমরা জানিনা।
কারন মিডল ক্লাস মেয়ে বলে কথা ভিতরটা ফেটে যাবে তবুও তাকে নিজের ক্লাসটা তো মেইনটেইন করতেই হবে।
এত কিছু করার পরেও সেই মেয়েটা যখন চাকুরী করে খায়, বাবা মাকে খাওয়ায়, ছোট ভাই বোন গুলা তার উপর ডিপেন্ড করে, সেই মেয়েটার চলাফেরা নিয়ে আমরা কত কথা বলি!
কেউ তার ঘরের খোঁজ নিবোনা অথচ একটু সেঁজে গুজে অফিসে গেলেই তার চরিত্র খারাপ। সন্ধায় বাইরে দেখা মানেই কারো সাথে রাত কাটানো। আর সব চাইতে ভয়ংকর হলো তাকে গরীব বলে লোভী ভেবে কিনে নিতে চাওয়া!
এত কিছুর মাঝেও কোন মেয়েটার মনের ঘরে কোন আগুন জ্বলছে, খুব বেশি কাছে না গেলে তার কাজল ঢাকা চোখের ভাজে লুকিয়ে রাখা পানি আপনি আমি কখনোই বুঝবো না। এটাই মিডল ক্লাস নারী, ভিতরে ভিতরে দুমরে মুচরে যাবে তবুও দেখবেন ছোট্ট আয়নায় গুন গুন করে গাইতে গাইতে দু চোখে কি সুন্দর কাজল মেখে যাচ্ছে......


"তুমি যে অবস্থানে আছো সেটা নিয়ে যদি খুশী থাকতে পারো তাহলে তোমার চেয়ে সুখী ব্যক্তি আর দ্বিতীয়টা নাই... তুমি বিশ্বাস করো বা না করো আমাদের জীবনের শতকরা ৮০% সুখ কেড়ে নিচ্ছে আমাদের চাহিদাগুলো... আমরা কেন সুখে নেই এই বিষয়টা নিয়ে কি কখনো ভাবছো একবারও ?? মনে হয় না !!
.
খোঁজ নিয়ে দেখো হাজার কোটি টাকার মালিকও রাতে ঠিকমত ঘুমাতে পারে না মামলার ভয়ে, এইবুঝে সে সব হারাতে যাচ্ছে... আর একজন রিক্সাওয়ালা তিনবেলা খেয়ে রাতে মেঝেতে যে কি শান্তিতে ঘুমায় সে শান্তি লক্ষ টাকার খাটেও আমরা ঘুমিয়ে পাই না... একজন রিক্সাওয়ালার চাওয়া পাওয়া হচ্ছে পরিবার নিয়ে তিনবেলা খেতে পারলেই সে খুশী আর আমরা যত চাই ততো পেয়েও মনকে শান্তি দিতে পারি না !!
.
আমাদের সুখ শান্তি সব চাহিদার মধ্যে ডুবে আছে... আমরা নিজেদের নিয়ে ভালো থাকতে পারি না, ভালো রাখতে জানি না... আমাদের এটা লাগবে ওটা লাগবে, চাওয়ার কোন শেষ নাই... ফেইসবুকে যখন আমি প্রথম একশো লাইক পাই সেদিন আমি যে পরিমাণে খুশী হয়েছিলাম এখন হাজার লাইক আসলেও আমার তেমন অনুভব হয় না... কারণ আগে আমার চাহিদা ছিলো কম এখন বেশি... মনে আছে আমি সেদিন আমার সব বন্ধুদের খাওয়াইছি অথচ তারা সেটা জানেও না !!
.
আমাদের চাহিদা গুলো ডিপেন্ড করে অন্যের উপর... অন্যের যেটা আছে সেটা আমার কেন নাই এই নিয়ে রাতে ঘুম হয়না... আজ তুমি দশতলা বাড়িতে বিশাল ফ্লাট নিয়ে থাকো আর তোমার বাড়ির পাশের টিনের ঘরে থাকা লোকেরা আফসোস করে যদি তোমার জায়গায় সে থাকতে পারতো... তোমার টিনের ঘরে থাকা দেখে রাস্তায় থাকা একজন আফসোস করে যদি তোমার টিনের ঘরে থাকার জায়গা হতো !!
.
তুমি যে অবস্থানে আছো সেটা নিয়েই খুশী থাকতে শিখো... নিচু মানুষের দিকে তাকালেই বুঝা যায় আমরা কতটা সুখে আছি... তুমি জানো না তুমি এখন যে পরিস্থিতিতে আছো সেই জায়গায় যাওয়ার জন্য অনেকে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে... তবুও তোমার কিসের এতো অভাব ?? তিনবেলা তো দিব্যি খেতে পারো, এখন আর মানুষ না খেয়ে মরে না !!
.
তুমি ভালো নেই পারলে হাসপাতাল থেকে ঘুরে আসো... তোমার হাত পা সব আছে কিন্তু মনের শান্তি নাই, পারলে পঙ্গু হাসপাতাল থেকে ঘুরে আসো... হাসপাতাল এমন একটা জায়গা যেখানে গেলে নিজের সুখের অবস্থা টের পাওয়া যায়... বিশ্বাস করো যার একটা হাত নাই কিংবা একটা পা নাই সে পৃথিবীর বিনিময় হলেও একটা হাত কিংবা পা পাওয়ার জন্য আফসোস করে যায়... কিসের অভাব তোমার ??
.
আফসোস, এই পৃথিবীতে কোটিপতি মানুষের অভাব নাই... বড়লোক, উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের অভাব নাই... ধন-সম্পদ, বাড়ি-গাড়ি থাকা মানুষেরও কোন অভাব নাই... শুধুমাত্র রাতে একটু শান্তিতে ঘুমিয়ে থাকা মানুষের বড্ড অভাব... আহারে জীবন, আহা জীবন !!"


"একটা মানুষের প্রতি আরেকটা মানুষের অনুভূতি কখন কমতে শুরু করে জানো ?? যখন মানুষটা তার অনুভূতির মূল্য পায় না... চাওয়া পাওয়ার দাম পায় না... প্রতিবার শুধুই অবহেলা পেয়ে ফিরে আসতে হয়... ঠিক তখনই একটু একটু করে তার মন থেকে নিষ্পাপ অনুভূতিরা মরতে শুরু করে !!
.
হুট করে কেউ বদলে যায় না... বদলে যেতে পারে না... একটু একটু কষ্ট যখন হৃদয়ে জমা হয়, অবহেলার পাল্লাটা যখন ভারি হয়ে যায় তখনই মানুষটা বদলে যায়... ঠিক সময় যখন চোখে অাঙুল দিয়ে তাকে বলে - আর কতো ?? এইবার বদলে যা... পাল্টা জবাব দে... চেনা মুখটা তখন থেকেই অচেনা হতে শুরু করে... ধীরে ধীরে একদম অচেনা করে দেয় !!
.
ইচ্ছা করে কারো উপর জোড় করে অনুভূতি আনা যায় না... এটা মন থেকে শুদ্ধভাবে চলে আসে... যার প্রতি অনুভূতি আসেনা সে হাজারো উপায়ে ভালোবাসলেও মনে কিছুই ফিল হয়না... অনুভূতি হলো অনেকটা প্রজাপতির মতো... প্রজাপতি যেমন সব ফুলে বসে না তেমনি অনুভূতিও সবার উপর আসে না !!
.
পৃথিবীর সব কিছু মিথ্যা হতে পারে কিন্তু অনুভূতি মিথ্যা হতে পারে না... মানুষ প্রিয় মানুষটাকে হয়তো ঘৃণা করতে পারে কিন্তু তার প্রতি ভালোবাসাটা ঘৃণা করতে পারে না... কারণ মানুষটা ভুল হতে পারে, মিথ্যা হতে পারে কিন্তু ভালোবাসাটা মিথ্যা হয় না... অনুভূতিরা মিথ্যা হয় না... অনুভূতিরা হয় পবিত্র !!
.
চার অক্ষরের অনুভূতি শব্দটা খুবই মূল্যবান... এই অনুভূতির মধ্যে কোন ভুল থাকে না... যে অনুভূতির মূল্য দিতে পারে না সে বড়ই দূর্ভাগা... জীবনে কোনো না কোনো একটা সময় এসে সে ঠিকই আফসোস করতে থাকে... সব ফুলে মৌমাছি বসে না... যে ফুলে মৌমাছি বসে না সেই ফুলে সুগন্ধ হয় না... সেই ফুল বড়ই দুঃখী !!
.
সেই মানুষটা ভাগ্যবান কিংবা ভাগ্যবতী যার উপর কারো না কারো অনুভূতি আঁকড়ে ধরেছে... আবার সেই মানুষটাই বড় দুঃখী যে কারোর অনূভূতির রাজ্যে প্রবেশ করতে পারেনি... দূর্ভাগ্যবশত এই যে খুব কম মানুষই কারোর অনূভূতির রাজ্যটাকে জয় করেছে !!
.
কেউ তোমাকে 'কেমন আছো ?' প্রশ্ন করলে হয়তো তোমার কাছে খুবই স্বাভাবিক মনে হতে পারে কিন্তু একটু খোঁজ নিয়ে দেখো তার সামান্য এই ছোট্ট প্রশ্নটার মধ্যে মানুষটা সপে দিয়েছে কতশত নিষ্পাপ অনুভূতি... শুধুমাত্র তোমার একটি উত্তরের অপেক্ষায় !!"



"প্রতিটা মেয়েই মনে মনে স্বপ্ন দেখে সে একদিন রাঙা বউ হবে... লাল টুকটুকে শাড়ি পড়ে ঘোমটা দিয়ে বসে থাকবে... চারপাশ রঙিন আলোতে আলোকিত হবে... সাঁনাই বাজবে বর আসবে !!
.
ছোটবেলা থেকে মেয়েরা বউপুতুল খেলতে খেলতে একদিন বউ হয়ে যায়... নিজেকে আয়নায় নিখুত ভাবে দেখতে দেখতে একদিন অন্যকারোর আয়নায় চলে যায়... কপালে টিপ পড়তে পড়তে একদিন অন্যকারো টিপ হয়ে যায়... চোখে কাজলের দাগ যেতে না যেতে অন্যকেউ এসে কাজল পড়িয়ে দেয় !!
.
মেয়েদের জীবনটা কি অদ্ভুদ... তারা পৃথিবীতে দুইটা মুকুট নিয়ে আসে... তারা দুইদিক দিয়ে ভাগ্যবতী... বিয়ের আগে বাবার ভালোবাসা পায়, বিয়ের পরে স্বামীর... মেয়েদের পৃথিবী দুইটা... একটা তার বাবার, আরেকটা তার স্বামীর... তবে কোনটাই তার নিজের নয় !!
.
বাবার ভালোবাসার চেয়ে স্বামীর ভালোবাসা মেয়েদের জীবনে বেশি প্রভাব ফেলে... কারণ বাবার ভালোবাসা মেয়েরা বাবার কাছেই সারাজীবন পায় না... সেক্ষেত্রে স্বামীর ভালোবাসা সারাটা জীবনের জন্য পেয়ে থাকে... তাই মেয়েদের জীবনের বিয়েটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট !!
.
বিয়ে মানে আনন্দ, বিয়ে মানে খুশি... আসলেই কি তাই ?? মেয়েদের বিয়েটা কি সত্যিই আনন্দের হয় ?? মেয়েরা কি তাদের বিয়েটা হাসিমুখেই মেনে নেয় ?? একবারও কি মেয়েদের মনে নাড়া দেয় না ?? দিলেও হয়তো কিছু করার থাকে না, কারণ মেয়েদের জীবনটাই এমন !!
.
আজ কোন মেয়ের বিয়ে তার মানে হলো, আজ কারোর প্রেমিকার বিয়ে... একদিকে বাজনা আলোকসজ্জা ও আনন্দ করতেছে, অন্যদিকে কেউ একজন হাহাকার নি:শ্বাস গিলতেছে... একদিকে বন্ধ ঘরে ফুলসজ্জা রাত নিয়ে ব্যস্ত... অন্যদিকে কেউ মদ, গাঁজা ও নেশা নিয়ে ব্যস্ত !!
.
বিয়ে শব্দটা কখনো আনন্দের হয় না... বিয়ে মানে সামাজিকতা, একটা বন্ধন... বিয়ে মানে একজনকে হাসানো, আর বহুজনকে কাঁদানো !!" 


"যে আসবে সে এমনেই আসবে... তাকে খুঁজে নিয়ে আসতে হবে না... কালবৈশাখী ঝড়ের মতো করে হঠাৎ চলে আসবে... বই পড়তে পড়তে হঠাৎ কারো চিরকুট চোখের সামনে ভেসে উঠবে... হঠাৎ কোন রং নাম্বার থেকে ফোন কলে জানিয়ে দিবে আমি এসে গেছি !!
.
যে তোমার হবে সে তোমার হবেই... সেটা যেভাবেই হোক না কেন... ইচ্ছায় হোক কিংবা অনিচ্ছায়... তোমার জন্য যার জন্ম হয়েছে সে ভুল পথে হাঁটতে হাঁটতে একদিন তোমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে যাবে... তুমি যার জন্য জন্ম হয়েছো সে যতই দূরে থাকুক না কেন, কোন একদিন তার দরজায় ভুল করে হলেও তুমি হাজির হয়ে যাবে !!
.
মনে রেখো, সবকিছুই আগে থেকেই রেডি করা... তুমি ঠিক যেমন তোমার জন্য ঠিক তেমনই কাউকে বানানো হয়েছে... একটুও এদিক সেদিক হবে না... সময়মত সে চলে আসবে... এর মাঝে তোমার জীবনে যত মানুষই আসুক না কেন তা শুধু ক্ষনিকের... ক্ষনিকের হয়ে ভেসে আসা মানুষগুলো অতিথি পাখির মতো এসে মনে নাড়া দিয়ে চলে যায় !!
.
যার হাতে হাত রেখে দিনের পর দিন ঘুরে বেড়াচ্ছো সেও যদি তোমার না হয়ে থাকে, তবুও তুমি তাকে পাবে না... কোন না কোন কারণে তোমাদের বিচ্ছেদ হবেই... কালেমা পড়ে কবুল বলার আগ পর্যন্ত তুমি কাউকে সিউর দিয়ে বলতে পারবে না সে তোমার হবেই... বিয়ের আসর থেকে মেয়ে পালিয়ে যায় কিংবা বিয়ে ভেঙ্গে যায় এমন ঘটনা অনেক আছে !!
.
তবে কেন কাউকে পাবার জন্য এতো আয়োজন..? কেন অন্যের জন্য নিজেকে পরিবর্তন..? তুমি তোমার মতো করেই থাকো... দরকার হলে নিজের জন্য নিজেকে পরিবর্তন করো তবুও অন্য কারোর জন্য না... নিজেকে এমন ভাবে তৈরী করো যাতে সবাই তোমার জন্য পথ চেয়ে বসে থাকে... যে নিজেকে ভালোবাসতে জানে তার ভালোবাসার অভাব হয় না !!
.
যে তোমাকে ভালোবাসবে সে শুধু তোমাকে না, তোমার ভালো-মন্দ, দোষ-গুন সব কিছুই ভালোবাসবে... যদি তুমি কারোর জন্য নিজেকে পরিবর্তন করো তাহলে তুমি তার হাতের পুতুল হয়ে গেলে... সে যেভাবেই চাইছে তুমি সেভাবেই নাচতেছো... আর কারোর হাতের পুতুল হয়ে যাওয়া মানে হলো তুমি মূল্যহীন !!
.
অধিকার খাটাতে সবাই পছন্দ করে... তবে সবক্ষেত্রে অধিকার মেনে নেওয়াটা বোকামি... যদি কারোর ইচ্ছা অনিচ্ছা প্রাধান্য দিতেই থাকো তাহলে একদিন তুমি তোমাকে খুঁজে পাবে না... তোমার ইচ্ছা অনিচ্ছাগুলো তার অধিকারের কাছে মাটিচাপা পড়ে যাবে... এভাবে যখন তার সম্পূর্ণ অধিকার খাটিয়ে ফেলবে তারপর সেও তোমাকে ছুঁরে ফেলে দিবে... তাই নিজের মতো করে চলো... নিজের মতো করে বাঁচো !!
.
মনে রেখো, যদি কাউকে পাবার জন্য তুমি নিজেকে পরিবর্তন করতে থাকো তবে ধরে নাও তুমি তার জন্য নয়, বরং অন্য কারোর জন্য নিজেকে পরিবর্তন করে যাচ্ছো !!" 


শোনেন ৯০ এর পোলা পাইন কোনদিন প্রেমে অল্টার নেটিভ রাখত না l রং কটা জিন্সের প্যান্ট আর জ্বলন্ত সিগারেট মুখে ধরা দেখে, দেখতে ইচরে পাঁকা মনে হলেও আসলে দিল ছিল সাফ l চুলের বাম পাশে পাকা সিথি করা লম্বা চুল গুলিতে জেল না থাকলেও ভাব ছিল প্রচুর l
~
আমাদের তখন ফেইসবুক না থাকলেও বুকের বাম পকেটে লতা পাতা আকা দামী প্যাডের এক খানা রাত জাগা প্রেম পত্র থাকত l সেই পত্রের আগা গোড়া অসংখ্য শব্দের পেছনে ছিল হাজারটা অনুভুতি বুনা l আমরা ভালবাসতাম একজনকে সেই একজনকে ঘিরেই গড়ে উঠ্ত একটা পৃথিবী l
~
দিনের শুরুটা হত নিজের স্কুল কামাই দিয়ে তার স্কুলের গেইটে দাড়িয়ে থাকা দিয়ে l এরপর তার ছাদে ওঠা, কাপড় নাড়া আর অসংখ্য বার মুখ ঝামটার পর হটাত এক টুকরো মিষ্টি হাসি l সেই হাসির গল্প শোনানোর জন্য আবার বন্ধুদের পার্টি !
~
প্রেমিকার পেছন পেছন হাটা, শাশুড়িকে দেখে চট করে কেটে পড়া, টি এন্ড টি ফোনে মেয়েলি কন্ঠে বান্দবী সেজে মাকে ফাকি দিয়ে হৃদয় কাপানো চুমা ! আমাদের তখন হয়ত ন্যাকামো ছিলনা l বাবু ডাক ছিলনা l তবে ভালবাসা ছিল প্রচুর l
~
জানালার গ্রিল ধরে দাড়িয়ে থাকা প্রেমিকার মুখ দেখতে দেখতে বৃষ্টি ভিজে কাঁক হওয়া ছেলেটাকে দেখতে আকাশে রংধনু উঠত l ৯০ এর ছেলেরা কখনো অল্টারনেটিভ রাখতনা l এক জীবন এক প্রেম l
~
টিনা চলে গেলে মিনা থাকবে ভাবতনা বলেই হয়ত বোকা গুলো কষ্ট পেত খুব l আউলা ঝাউলা চুল আর চোখের নিচে একরাশ কালি নিয়ে চুপসে যাওয়া ছেলেটাকে দেখেই বোঝা যেত ছেলেটা ছ্যাঁকা খেয়েছে l
~
ভালবাসা নাকি এখন ব্যাক আপ রাখা যায় l নতুন কারো অপেক্ষায় ব্রেক আপ পার্টি হয় l আমরা এসব বুঝিনা, আমরা ৯০ আমরা ক্ষ্যাত ! বাট এক্সকিউজ আস উই আর দিলসে সাফ l


কিছু কিছু মেয়ে নিজেকে এক টুকরা মাংস পিন্ড ছাড়া আর কিছু ভাবতেই পারে না l সে বড়ই হয় এটা ভেবে তাকে শুধু সুন্দর হতে হবে l সে সুন্দরের ডালা সাজিয়ে বসে থাকবে আর কোন একদিন এক রাজ পুত্র এসে তাকে এক শ্বেত পাথরের সিংহাসনে বসিয়ে দিবে l
~
ভাবনাটা দোষের না প্রতিটা মেয়েই এক জীবনে কোননা কোন সময়, কোন এক রাজ পুত্রের অপেক্ষায় বিভোর থাকে l দ্বন্দটা তখন হয় যখন মেয়েটা শুধু তার রূপের দম্ভে পৃথিবীটা জয় করতে চায় l তার এই দম্ভই হয় তার সমস্ত অযোগ্যতার কারণ l
~
সত্যি কোন এক রাজ কুমার তার রূপের মোহে হয়ত পড়বে কিন্তু রাজ পুত্র তো কপালে লেখা থাকেনা, মেয়েটার অলীক ভাবনায় রাজপুত্র টাইপ ছেলেটা খুব অল্প সময় আবার খুব সাধারণ হয়ে যায় l তার দম্ভো তাকে তাড়িয়ে বেড়ায় l তার বার বার মনে হয় এর চেয়েও চাই বেশি কিছু !
~
এই বেশি কিছুই এক সময় তাকে আস্তাকুড়ে ফেলে দেয় l তোমার মতই বেশি কিছু চাওয়ার মত অনেক ছেলে আছে l যারা এক সময় তোমার সুন্দর দেহ এটো করে বুঝতে পারে সুন্দর দিয়ে মোহো চলে, কিন্তু মোহো দিয়ে জীবন চলেনা l
~
তাই শুধু লুতু পুতু না কিছুটা যোগ্যতাও চাই l ছেলেরা লুতু পুতু নিয়ে প্রেম করে পরকিয়া করে কিন্তু বিয়ে করেনা l
~
রূপের বড়াই গর্ব সখী রয়না চিরকাল
সিগারেটের ধোয়ার মত ফুড়ায় সে অকাল l
রূপ ফুড়াইলে গুনের প্রকাশ থাকে যদি তোমার l
গাইবে কোকিল গাইবে শ্যামা গাইবে চিরন্তণ l


"মুখের উপর তর্ক করা মানুষগুলোকে আমরা সাধারণত দেখতেই পারি না... অনেকেই আছে যারা এই টাইপের মানুষগুলোকে ঘৃণার চোখে দেখে... এদেরকে আমরা বেয়াদব বলে থাকি... কিন্তু একটু লক্ষ করে দেখা যায় এরাই সাধারণত ভালো মানুষ হয়... সৎ মনের মানুষ হয় !!
.
যারা এই টাইপের মানুষ তাদের মনে কোন প্যাঁচ থাকে না... এরা যা করবে তোমার সামনেই করবে... অপমান করলে সবার মাঝেই করবে সম্মান দিলে সবার সামনেই দিবে... সামনে তালি আর পিছনে গালি দেয়ার চেয়ে এইটা অনেক ভালো গুণ !!
.
চুপচাপ থাকা কিছু মানুষ গুলো হয় টেপ রেকর্ডারের মত... এরা তোমার সব কথাগুলো শুনে মগজে সেভ করে রাখবে... তখন ভালো-মন্দ তোমাকে কিছুই বলবে না... কিন্তু তোমার অনুপস্থিতে তোমার কথাগুলো জার্জ করে সবাইকে 4G নেটওয়ার্কের মত ছড়িয়ে দিবে... এরা সামনে ফিটফাট ও ভিতরে সদরঘাট টাইপের হয় !!
.
তর্ক করা মানুষগুলোর সাধারণত রক্ত গরম হয়... রক্ত গরম বলে এরা রাগী টাইপের হয়ে থাকে... আবার আমরা অনেকেই রাগী মানুষ দেখতে পারি না... কিন্তু এটা জানি না যে, রাগ খারাপ হলেও রাগী মানুষগুলো খারাপ হয় না... রাগী মানুষদের থাকে আত্মসম্মান বোধ ও প্রবল ব্যক্তিত্ব... এরা নিজের চরিত্রে সহজে আঁচড় লাগতে দিবে না এতে যাই হোক না কেন !!
.
রাগী মানুষগুলোর বাহিরে যতটা রাগ দেখায় ভিতরে তারচেয়ে শতগুনে বেশি ভালোবাসা বয়ে বেড়ায়... তবে এদের একটা দূর্ভাগ্য যে, এরা সঠিক জায়গায় সঠিক সময়ে ভিতরের ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারে না... যার কারণে এরা অনেকের চোখেই ঘৃণার পাত্র হয়ে থাকে !!
.
যার রাগ যত বেশি তার ভালোবাসাও ঠিক ততটাই বেশি... যার রক্ত যত গরম তার মনও ঠিক ততটাই নরম... যে তোমাকে যতবেশি কষ্ট দেয়, সেই তোমার আড়লে ততটাই কষ্ট পায়... যে তোমাকে দেখতেই পারেনা সেই তোমাকে আড়ালে খুঁজে বেড়ায় !!
.
রাগী ছেলেরা অনেক দায়িত্ববান ও কর্তব্যমূখী হয়... এরা যদি কোন দায়িত্ব পায় তাহলে সেটা ঠিকভাবে পালন করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালায়... রাগী মেয়েরা ভীষণ সংসারিক হয়... বউ হিসাবে রাগী মেয়েরা অনেক ভালো... এরা মায়া মমতা দিয়ে সংসার আগলে রাখতে জানে !!
.
তাই তর্ক করা কিংবা রাগী মানুষদের অন্য চোখে দেখো না... কারণ এরা তোমাকে চোখে অাঙুল দিয়ে তোমার ভুলটা ধরিয়ে দিবে... আর এরকম মানুষ জীবনে খুব কম পাওয়া যায় !!" 


"কাউকে প্রথমবার অবহেলা করে দেখো সে তোমার উপর আরো দিগুণ আকৃষ্ট হয়ে তোমার কাছে চলে আসবে... পরে আবার তাকে দ্বিতীয়বারের মতো অবহেলা করে দেখো ঠিক আবারো তোমার কাছে চলে আসবে... ঠিক তৃতীয়বারের মতো অবহেলা করে দেখো তখন সে নিজেকে একটু সময় দিবে যে তোমাকে ছাড়া সে থাকতে পারে কিনা... কিছুদিন হয়তো কষ্ট করে থাকবে পরে না থাকতে পেরে আবারো তোমার কাছে চলে আসবে... এই তৃতীয়বারের মতো তোমার কাছে আসাটা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ... কারণ সে তোমাকে ছাড়া থাকতে না পেরেই চলে আসছে... কিন্তু চতুর্থবারের মতোও যদি তাকে ফিরিয়ে দাও তখন সে একবুক হতাশা আর দুঃখ নিয়ে এমন ভাবে হারিয়ে যাবে আর তাকে খুঁজে পাবে না... আর সে তোমার কাছে ছুটে চলে আসবে না... কারণ তোমার বারবার অবহেলা তখন তার সহ্য করার মতো শক্তি থাকে না !!
.
পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন অস্পর্শনীয় শাস্তি হলো অবহেলা করা... ইগনোর করা... মানুষ সব রকমের শাস্তি সহ্য করতে পারলেও অবেহেলা কেউই সহ্য করতে পারে না... সবাই সবকিছু মেনে নিতে পারে কিন্তু অবহেলা কেউই মনে নিতে পারে না... অবহেলা করার চেয়ে বড় শাস্তি আর কাউকে কোন কিছুতে দেওয়া যায় না !!
.
মনে রাখবে, কোনকিছু একবার দুইবার তিনবার পর্যন্ত হারিয়ে গেলে তা হয়তো খুঁজে পাওয়া যায় কিংবা কেউ হয়তো তিনবারের মতো তোমার কাছে ছুটে চলে আসবে... কিন্তু কোনকিছু চতুর্থবারের মতো হারিয়ে গেলে তা আর খুঁজে পাওয়া যায় না... চতুর্থবারের মতো কাউকে তাড়িয়ে দিলে সে হয়তো আর ফিরে আসে না... বড্ড ভুল হয়ে গেলো যে তোমার !!"


"খেয়াল করলে দেখবে তোমার জীবনে এমন কেউ না কেউ আছে যাকে তুমি প্রতিনিয়ত গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছো... তোমার প্রায়োরিটির লিষ্টে সে সবার উপরে... অথচ তুমি যাকে এতটাই গুরুত্ব দিচ্ছো বিনিময়ে তার কাছ থেকে অবহেলা ছাড়া কিছুই পাচ্ছো না। তোমাকে নিয়ে তার বিন্দুমাত্র মাথা ব্যাথা নেই !!
.
তুমি মনে মনে ভাবছো আজ না হয় কাল সে হয়তো তোমাকে গুরুত্ব দিবে... মূল্যায়ন করবে... উহু, ভুল ভাবছো... যে তোমাকে অবহেলা করেই তোমার কেয়ার পেয়ে যাচ্ছে... তোমার প্রায়োরিটির লিষ্টে সবার উপরে থাকছে... সে কখনোই তোমাকে গুরুত্ব কিংবা মূল্যায়ন করবে না !!
.
কথায় আছে এক হাতে তালি বাজে না। তেমনি কারো সাথে শুধু নিজের ইচ্ছায় সম্পর্ক করা যায় না। দুটো হাতের দরকার হয়... দুটো মনের দরকার হয়... তাই তুমি একা দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজলেও সে কখনো তোমার মাথায় ছাতা মেলে ধরবে না !!
.
তাই কাউকে কেয়ার করে কিংবা গুরুত্ব দিয়ে দাম না পেলে একটু কষ্ট হলেও তার প্রতি কেয়ারটুকু বন্ধ করে দাও... তাকে গুরুত্ব দিয়ে সময়টুকু নষ্ট করো না। যে যেভাবে থাকতে চায় সেইভাবেই থাকতে দাও... এতে করে এইটুকু হলেও বুঝতে পারবে মানুষটা তোমার জীবনে সঠিক ছিলো কিনা..? যদি সঠিক হয় তাহলে তোমার কেয়ারের অভাবটা বুঝতে পেরে তোমার কাছে ঠিকেই চলে আসবে !!
.
কথায় আছে সবার কপালে সুখ জুঁটে না। কেউ টাকা দিয়েও মানুষের ভালোবাসা পায় না... আবার কেউ সেই অমূল্য ভালোবাসা পেয়েও ধরে রাখতে জানে না !!"


অনেকের ভাববার সময় নেই, আমি সময় করে ভাবি l কিছু এলো মেলো ভাবনা শেয়ার করছিl
'
চাদটা কেন জমিনে না বসিয়ে আল্লাহ আকাশে বসালেন ?
'
চাদটা যদি জমিনে হত মানুষ তখন কি করত ? ধরেন চাদটা সৌদি বা ইরাকে আছে l সে চাদের চারপাশে বিশাল বেষ্টনী দেওয়া l সারা পৃথিবীতে ষড়যন্ত্র চলছে চাদ দখল নিয়ে!
'
সৃষ্টিকর্তার প্রতিটা সৃষ্টির রূড় রহস্য রয়েছে l কিছু একটা এলো মেলো করে দিলে শৃঙ্খলা ভাঙ্গবে সব কিছু l
'
মানুষের দেহের মডেলটাও তেমনি করা হয়েছে নেক কাজের জন্য l সারা রাত পর্ণ গ্রাফি দেখার পর সকাল বেলা চেহারাটা একটু আয়নায় দেখবেন আপনি যত সুন্দরই হন দেখবেন নিজেকে অমানুষ মনে হবে l
'
আবার কোন এক ফজরে নামাজ শেষে অথবা খুব বিপদগামী কেউ একজনকে সাহায্য করে এসে আয়নাটা আরেকবার দেখবেন l আমার বিশ্বাস আপনার চোখ খুলে যাবে l
'
আসলে কি জানেন এইযে অবসাদে ভোগা বিষন্নতা বা অকারণে মন খারাপ এর সব কিছুর পেছনে রয়েছে বিধির বিধান না মেনে চলা l তেলের গাড়ি পানিতে চলেনাlআমরা পাপ করি কিন্তু আমাদের আত্মা তা চায়নাl
'
আসুন না একটা কাজ করি পাপের খাতাটা খুলে একটা ইরেজার দিয়ে ঘষি l একটা করে পাপ মুছবেন আর আয়েনা দেখবেন l বিশ্বাস করেন নিজের হাসিতে নিজেই মুগ্ধ হয়ে যাবেন l


একদল মানুষ আছে প্রেমের নাম শুনলেই যাদের গা জ্বালা করে l এদের কাছে প্রেম মানেই সময় নষ্ট, অহেতুক কল্পনা l নিজেকে এরা খুব বাস্তববাদী ভাবে
'
আসলে কি তাই ? প্রেম ছাড়া কি বাস্তবতা আছে ? প্রেমিকার কাছে ছ্যাঁকা খাওয়া ছেলেটা গাজা নিয়ে পড়ে থাকে l তাঁকে জিগ্যেস করেন ভালবাসা কি ?
" ভরপেট দুই টান গাজাই নাকি তার প্রেম !! "
বিশ্বাস করেন আপনি আমি তাঁকে গাঞ্জুট্টি ভাবলেও সে বড় ভক্তি করে খায় সেটা l পিজা হাটে বসে আপনার যতটা আয়োজন তার আয়োজনও কম বয় কিন্তু ! আমি দেখেছি গাজা খোর কতটা যত্ন করে সময় নিয়ে একেকটা সিগারেট বানায় l দিন দিন ক্ষয়ে যাচ্ছে l তবু গাল ভরে ধোওয়া নেওয়া তার কাছে বেচে থাকা l
'
সব চেয়ে বাস্তববাদী লোকটাও কোননা কোন প্রেমেই আছে l জাদরেল পুলিশ অফিসারটাও লুকিয়ে লুকিয়ে কবিতা পরে হয়ত কেউ জানেনা l
'
কেউ তার বইকে ভালবাসে, কেউ তার বউকে ভালবাসে l অথচ বই ওয়ালার কাছে বউয়ের ভালবাসা ন্যাকামি !
'
এক দল মানুষের কাছে জগতের সব পুরুষ খারাপ l আবার এক দল মানুষের কাছে মূল্যহীন নারী l কে কবে কাকে ভালবেসে ধরা খেয়েছে, ভালবাসা তাদের কাছে নিষিদ্ধ !
'
অথচ আমি দেখেছি কেউ কেউ বছরের পর বছর অপেক্ষা করে ভালবাসার মানুষের জন্য l আবার কেউ কেউ বেচে আছে শুধু স্মৃতিটুকু নিয়ে l
'
সেদিন একটা মেয়ে ইনবক্স করেছে l ভাইয়া ক্লাস সিক্সে থাকতে ওকে না দেখেই ভালবাসি l দুই বছর প্রেম ছিল তারপর একদিন হারিয়ে গেল !
'
টানা পাচ বছর আমি প্রতি রাতে কেদেছি l ওর বন্ধ থাকা সিমে রোজ ফোন দিয়েছি l না দেখা একটা ছেলের জন্মদিন সে ৫ বছর পালন করেছে! প্রতি ৭ই সেপ্টেম্বর মেয়েটা নিজেকে বোঝাত, নতুন করে অপেক্ষা করার সাহস যোগাতো l
'
ভালবাসা ব্যর্থ হয়নি ৫ বছর পর অদেখা সেই ছেলেটা বন্ধ সিম চালু করেছে, আবার খুঁজে নিয়েছে একে অন্যকে l আমি ওকে কথা দিয়েছি ওদের গল্পটা লিখব একদিন l
'
কি মনে হয় আপনাদের কাছে এত ভালবাসা অহেতুক ? ভালবাসা ভাগ্যের ব্যাপার সবার ভাগ্যে তা জোটেনা l যাদের ভাগ্যে তা জোটেনি তাদের জন্য সহানুভুতি রইল l কিন্তু হাতের তুড়িতে ভালবাসাকে বাতিল ঘোষণা করার কোন অধিকার আপনার নেই l যা আপনি পাননি তা অন্য কেউ পাক l তাদের দিকে সাদা মনে তাকান, পাশে গিয়ে দাড়ান l দেখবেন না পাওয়ার দুঃক্ষ ঘুচে গেছে 


এ দেশের স্বামীরাও কাম শেষে বউয়ের কাছ থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়, পতিতালয়ের খদ্দেরের মত।
কিভাবে জানি এই পুরুষ সমাজে নারী আর যৌনতা শব্দ দুটি মিশে গেছে। এরা জানেনা কামনা ছাড়া চুমু খাওয়া যায়। এরা জানেনা অকারনে জড়িয়ে ধরা যায়।
চোখ মেলে বউয়ের কপালে জমে থাকা সকালের প্রথম আলো এদের কাছে নাটক সিনেমার দৃশ্য। এরা বুঝতেই পারেনা প্রায় সব মেয়েরা ভিতরে ভিতরে একধরনের বাচ্চামো পুষে রাখে।
মেয়েরা সব সময় কাম ধরে রাখেনা মাঝে মাঝে নিষ্পাপ আদর চায়। বিনা কারনে স্বামী এসে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরুক, একটু কোলে তুলে নিক, চোখের দিকে তাকিয়ে প্রশংসা করুক এমন কিছু ছোট ছোট ছেলে মানুষি।
আফসোস এ সমাজে স্বামীদের রোমান্স ধারালো চাকুর মত প্রথম কিছু দিন চক চক করলেও, এরপর টয়লেট আর বউ এদুটোর কদর বাড়ে শুধু মাত্র চাপ আসলেই!


This post about
বিপ্লব,biplob,BIPLOB,biplobblogger,biplobblogger,বিপ্লবব্লোগার,বিপ্লব ব্লোগার,বিপ্লব পার্বতীপুর,বিপ্লবপার্বতীপুর, বিপ্লব হলদীবাড়ি,বিপ্লবহলদীবাড়ি,BIPLOBBLOGGER,BIPLOB PARBATIPUR,BIPLOBPARBATIPUR,01616918888,০১৬১৬৯১৮৮৮৮,0178791888,০১৭৮৭৯১৮৮৮৮,BIPLOBBANGLADASH,BIPLOBHOLDIBARIPARBATIPUR,BIPLOBDINAGPUR,বিপ্লবদিনাজপুর,বিপ্লব দিনাজপুর,বিপ্লব ইলেকট্রনিক্স,বিপ্লবইলেকট্রনিক্স,বিপ্লব ইলেকট্রনিক্স হলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুর দিনাজপুর,বিপ্লবইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুর দিনাজপুর,বিপ্লবইলেকট্রনিক্স হলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুরদিনাজপুর,বিপ্লব ইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুরদিনাজপুর,বিপ্লবইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুরদিনাজপুর,Biplob ElectronicsHaldibariRailgatePar batipurDinajpur,BiplobElectronicsHaldibariRailgate ParbatipurDinajpur,Biplob Electronics HaldibariRailgate ParbatipurDinajpur,Biplob Electronics HaldibariRailgateParbatipur Dinajpur,Biplob Electronics HaldibariRailgate Parbatipur Dinajpur




☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "বিপ্লব ব্লোগার"

Post a Comment

যোগাযোগ ফর্ম

Name

Email *

Message *

 BIPLOB BLOGGER

প্রতিদিন সকল ধরনের চাকরির খবর আপডেট পেতে আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করবে এবং আপনি যদি এন্ড্রয়েড মোবাইলে আপনার চাকরির বিজ্ঞপ্তি গুলো পেতে চান তাহলে আমাদের একটি অ্যাপস রয়েছে সেটি নিচের দেওয়া লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন

বাংলাদেশ রেলওয়েতে একটি নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে পদের 
নামঃ খালাসী 
পদ সংখ্যা:-১০৮৬ জন
আবেদনের শেষ তারিখ:-২৬ই জানুয়ারি ২০২২।  ও বিস্তারিত জানুন নিচের দেওয়া ভিডিওটিতে