বিপ্লব ব্লোগার

বিপ্লব ব্লোগার

বলছিনা মেয়েরা আরামে জীবন কাটায় তেল নুন চুলা সামলানোটাও কঠিন কাজ l তবে মেয়েলি স্বভাবটা মেয়েরা জন্ম থেকেই পায় কিন্তু পুরুষ হওয়ার গল্পটা একটু আলাদা ...
~
একই রকম হাড় মাংস নিয়ে জন্মানো পুরুষটার হাত একদিনে শক্ত হয়ে যায়না l এই হাতে সংসার নামের একটা পাথর চাপানো হয় l সেই পাথরটা টানতে টানতে হাড় গুলো শক্ত হয় রক্ত পানি হয় ঘাম গুলি বাতাসে শুকায় l
~
অভিমানে খেলনা ছুড়ে ফেলা ছেলেটাকে শত সহস্র বার ছুড়ে ফেলে বাস্তবতা l পড়ে যায় হোচট খায় আবার উঠে দাড়ায় l বাবা নামের ক্লান্ত পুরুষটা একদিন নিশ্বাস ভারি করে বলে আর পারিনা বাবা এবার তোর পালা ...
~
মায়ের আচলে লুকিয়ে থাকা ছেলেটা বুকের ধুক ধুক লুকিয়ে মায়ের মুখে তাকায় বোনের চোখে তাকায় l এবার ছেলে পুরুষ হয়েছে তার যুদ্ধ শুরু .....
~
তার আগে হেটে চলা কোটি পুরুষের ভীর ঠেলে নিজের জন্য একটা জায়গা খুঁজে নিতে হয়, খুটে খুটে দানা তুলে আহার জমাতে হয় l জীভ নেড়ে ভাতের লোকমাটা মুখে দেওয়ার আগে তাই পুরুষ দেখলে বড্ড মায়া হয় l
~
সেই জানে যে পুরুষ ! কাঠি জ্বালিয়ে ভাত রাধাটা যতটা সহজ ততোটাই কঠিন চাল গুলো জড়ো করা l
~
কোনো পুরুষ কে কাপুরুষ বলার আগে, ভাতের লোকমাটা মুখে দেওয়ার আগে, পাষণ্ড পুরুষটার বুকের খুব গভীরে একটাবার কান পেতে শুনুন ...
~
শক্ত পাজরের নিচে কেমন করে ছট ফট করে ছোট্ট একটা হৃদয় l যদি পারেন সেই বুক টাকে ঢেকে দিন l না হাত দিয়ে নয় মনের উপর একটা মন বিছিয়ে 





নিঃসঙ্গ জীবন ঢের ভালো কেউ একজন থাকার পরেও নিজেকে একলা লাগার চেয়ে।
সারাক্ষন যে মানুষটাকে ভেবে তোমার সকাল সন্ধ্যা গড়ায় সে মানুষটা থাকা স্বত্তেও যদি জমানো কথা গুলো তোমায় গিলে ফেলতে হয় একাকীত্বের যন্ত্রনা তার চেয়ে ঢের ভালো।
প্রতিটা মেসেজ টোনে চমকে উঠে যদি বার বার তোমায় হতাশ হতে হয় তবে মেসেজ করার মত বিশেষ কেউ না থাকাটাই তার চেয়ে ঢের ভালো।

একা একা বাঁচা যতটা কঠিন তার চেয়ে ঢের কঠিন ভুল মানুষটাকে আকরে ধরে বাঁচা!!
জীবনে কোনো বসন্ত না আসা মানুষটাও কোনো এক বসন্তের অপেক্ষায় বাঁচে, কিন্তু সে বসন্তের কোকিল যখন কারো জীবনে এসে কলিজা ঠুকরে খায় সে মানুষটা তখন বেঁচে থাকে মৃত্যুর অপেক্ষায়!!
মানুষ সব চেয়ে বড় প্রতারনটা করে নিজের সাথে সব কিছু বুঝে যাবার পরেও ভুল মানুষটাকে সঠিক ভেবে বেঁচে থাকতে চায়। হায় সে জানেনা ভুল পাজেলের টুকরো নিয়ে ছবি মেলানো যায়না। যে মানুষটা তোমার মত না সারাজীবনেও তুমি তাকে তোমার মত করতে পারবেনা। এ পৃথিবীতে কেউ কারো জন্য বদলায় না। সবাই চায় অপর মানুষটা তার মত হোক।



খেয়াল করো একটা সময় কম বেশি খেলা ধুলা আমরা সবাই করেছি। ধরো তুমি ফুটবল খেলতা অথবা কানা মাছি খেলতা একচুয়ালি কি ঘটত তখন?
শুধু মাত্র কিছু মানুসিক সুখের জন্য তুমি প্রচুর শারীরিক কষ্ট করতা। রোজ রোজ কিন্তু তুমি গোল দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেতা না। তোমার পায়ে যখন বল থকত নয়টা প্লেয়ার তোমার পেছনে লেগে যেত, কেউ হয়ত ল্যাং মেরে তোমায় ফেলে দিত, তুমি পড়ে যেতা ব্যাথা পেতা গায়ের ঘাম ঝরত।
হয়ত তুমি তিন দিন হেরে একদিন জিততা, হয়ত বার বার পড়ে গিয়ে একবার গোল দিতা তারপরেও তোমার ভালো লাগা ছিলো প্রতিদিনকার খেলায়।
তুমি কোনো ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্টে খেলছনা অথবা এটা তোমার প্রফেশন ও না তারপর ও রোজ রোজ তুমি পড়ে গিয়েও তুমি হাসি মুখে খেলতা। একদম ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরবা বাসায় বকুনি খাবা সব জেনেও তুমি প্রতি রাতে অপেক্ষা করতা পরের সকাল কিংবা বিকালে খেলতে যাবার।
কেন এত কষ্টের মাঝেও এতটা আনন্দ ছিলো বোঝার চেষ্টা করেছ কখনো? তুমি এত কষ্ট করেও এতটা আনন্দ পেতা কারন তুমি এটাকে শুধু একটা খেলা হিসাবেই দেখতা। জীবনটাও তো একটা খেলা তাই নয় কি? পড়ে যাবা আবার উঠে দাঁড়াবা।
জীবন খেলায় যখন তুমি হেরে যাও তখন তুমি মুষড়ে যাও এই ভেবে তুমি একজন পরাজিত মানুষ! ভেবে বলো তো তোমাকে জিততেই হবে এই জট টা যদি তোমার মাথায় না থাকতো তুমি কি এভাবে হারার কষ্ট পেতা?
দুই ঘন্টার খেলার মতই দুই দিন পর একজন রেফারি এসে বাশি বাজাবেন আর তোমাকে মাঠ ছেড়ে উঠে যেতে হবে। রোজকার খেলার মত এই দুনিয়ার খেলাটাও তোমার শেষ হয়ে যাবে। এমন কোন ট্রফি আছে যা অনন্তকাল তোমার সাথে যাবে? জীবন খেলায় যে জিতেও যায় তাকেও তো একসময় মাঠ ছেড়ে যেতে হয়।
সব শেষ বলতে পারো এভাবে ভাবলে তো জীবনে কোনোদিন আর জেতাই হবেনা। আমি বলছি এর উলটোটা হবে। জেতার কথা না ভেবে যখন তুমি খেলার মজাটা নিবে জয় আপনা আপনি তোমার হাতে উঠে আসবে।
শুন্যের উপর রশি টানিয়ে যদি পড়ে যাবার ভয় সবাই করত তাহলে সার্কাসের জোকার রা হাসতে হাসতে এক পায়ে ভর দিয়ে সেই রশি পাড় হয়ে যেতে পারত না।
যেখানে আপনা আপনি প্রতিটা প্লেয়ারের একদিন গেইম অভার হয়ে যাবে সেখানে নিজে নিজে দি ইন্ড করার চাইতে বোকামী কিছু নাই। বেঁচে থাকার জন্য যদি একটা অযুহাতও না খুঁজে পাও তখন মনে মনে এটা ভেবে নিও.......
বসুন্ধরায় নব্বুই মিনিটের একটা সিনেমার টিকেট বোনাস পেয়েছ। তোমাকে শুধু চুপ চাপ এই সিনেমাটা দেখে যেতে হবে। সেখানে মাইর হবে গান হবে প্রেম হবে। চাইলে গানের সুরে সুরে সুর মেলাতে পারো, চাইলে নায়কের মাইর খাওয়া দৃশ্যে চোখ ভেজাতে পারো, আবার চাইলে নির্বিকার ভাবে দেখে যেতে পারো। নায়ক মরলো বা নায়িকা মরলো তাতে তোমার কি মাত্র তো নব্বুই মিনিট, পরের শো তে অন্য কেউ আসবে। তোমার টিকেটের মেয়াদ শেষ। এর আগে উঠে গেলে টিকেট টাই তো জলে!!


বস্তুত কোনো জিনিস ই তোমাকে দীর্ঘ সময় সুখী করার ক্ষমতা রাখেনা। তোমাকে সারাজীবন সুখী রাখবে কেবল তোমার দু:সময়ের স্মৃতি গুলো।
ঠিক এই মুহুর্তে যে মানুষ গুলো তোমার নাকের ডগায় আঙুল তুলে তোমায় কীট পতঙ্গর মত ট্রীট করছে বিশ্বাস করো একদিন এই দিন টার জন্যই তুমি সুখী হবা।
ঠিক এই মুহুর্তে যে মানুষ গুলা এ সমাজে তোমায় অবাঞ্ছিত ঘোষনা করছে বিশ্বাস করো একদিন চোখ বুজে ওদের নোংরা মুখ গুলো কল্পনা করতেও তোমার ভালো লাগবে।
আমরা কষ্ট গুলোকে ভয় পাই, ভয়ংকর ওই সময় গুলি চোখ বুজে পার করে দিতে চাই। অসহায় ওই মুহুর্ত গুলিতে হাটুর সমান কারো দাম্ভিকতায় নিজেকে জুতার তলানী মনে হয়। ইচ্ছা হয় মরে যেতে।
বেশির ভাগ মানুষ আমরা এই সময় টাতে এসে হাল ছেড়ে দেই। হাত পা ছড়িয়ে দিয়ে দপ করে নিভে যাবার অপেক্ষা করতে থাকি! অথচ শুধু মাত্র তুমি বেঁচে আছো এটার মানে কি জানো?
তুমি না চাইলেও চলছো..... জীবন একটা বহমান নদী। এখানে চাইলেও তুমি মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে পারোনা, সময়ের বহমান স্রোতে একটু একটু করে ভাসিয়ে ঠিক ই তোমায় আধার গলি পেড়িয়ে আলোতে এসে দাঁড় করিয়ে দিবে, হয়ত সে আলো পেরিয়ে আবার নতুন কোনো আঁধারে!
যেখানে তুমি না চাইতেও চলছো সেখানে কি একটু নড়ে চড়ে শক্ত হয়ে ছোটা যায়না? নিজের অসহায় মূহুর্ত গুলোতে চোয়াল গুলি শক্ত করে মানুষ গুলিকে চিনে রাখা যায়না?
বিশ্বাস করো যে অসহায় মূহুর্ত গুলির কাছে তুমি মুখ থুবড়ে পড়ে আছো সেই অসহায় মূহুর্ত গুলোই তোমার প্রকৃত সুখ। যেদিন তুমি ঘুরে দাঁড়াবে সেদিন তোমার গাড়ি বাড়ি শক্তি সামর্থ কোনো কিছুই তোমায় সুখী করবেনা, সুখী করবে শুধু ওই মুখ গুলা ওই দূর্বিষহ দিন গুলা যা তুমি পেরিয়ে এসেছ। সেদিন তুমি বুঝবে অসহায় ওই মুহুর্ত গুলোর কতখানি দরকার ছিলো তোমার সত্যিকারের সুখী হতে।




"বয়স বেড়ে যাওয়াটা একটা সমস্যা ... তার চেয়েও বড় সমস্যা বোধ হয় বয়স বেড়ে যাওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে যাওয়াটা !!
তীব্র জ্বরের ঘোরে এখনো আমি মা-কে খুঁজি ... এমন না যে মা একদম খেয়ালই রাখে না ... মা ঠিকই খেয়াল রাখে, কিন্তু আগের মত না !!
আমরা বয়সে বড় হই, কিন্তু অসুখে বিসুখে আমরা অবচেতন মনে আমরা একটা বাচ্চা যেমন কেয়ার চায়, তেমন কেয়ার ইতিউতি করে খুঁজতে থাকি !!
ছোটবেলায় অসুখ হলে ভাতের প্লেট হাতে নিয়ে এসে মা মাথার পাশে বসতো, আধশোয়া হয়ে ভাত খেতাম ... মা খাইয়ে দিতো আর বলতো, আরেকটু খা বাবা ... আর এক লোকমা খা, ওষুধ খেতে হবে !!
মা এখনো ভাত খেতে বলে, কিন্তু নিজে আসে না ... বড় হয়ে গেলে বোধহয় একটু প্রাইভেসির চিন্তা চলে আসে ... কে জানে !!
অনেকে বলতে পারে, এত বয়স হইসে, তাও এত আহ্লাদ কেন? গ্রো আপ ... আদর যত্নের বেলায় কেন জানি আমি বড় হতে পারি না ... আমি ৫ বছর বয়সে জ্বরের ঘোরে মাথার পাশে যেমন মা কে খুঁজতাম, ২৫ বছর বয়সেও অবচেতন মনে মা-কেই খুঁজি !!
সবচেয়ে কষ্ট পেতাম হোস্টেলে বা হলে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হলে ... মা আমার ২০০ কিলোমিটার দূরে ... টেনশন করবে বলে জানাতামও না যে আমার অসুখ ... হলের ছোট্ট বিছানার এক কোণে পড়ে থেকে নিঃশব্দে মা কে ডাকতাম ... অত দূরে সেই ডাক পৌছাতো না ... আহ কি অসহায় একটা সময়!!
এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি অসহায় তারাই, যাদের অসুস্থতার সময়ে মা থাকে অনেক অনেক দূরে ... হয়তোবা অন্য শহরে, অন্য দেশে কিংবা অন্য জগতে !!"



কারো কাছে তুমি শুধুই একটা মাংস পিন্ড হবে। দেহের ভিতরে পড়ে থাকবে তোমার চাপা মন, অথচ শিকারির মত সে শুধুই তোমার দেহের গন্ধ নিতে আসবে !
তুমি তাকে প্রচন্ড ভালোবাসবে, তোমার দেহ ছুঁতেই থর থর করে কেঁপে উঠবে হৃদয়, তুমি অপেক্ষা করতে থাকবে দেহ ভেদ করে কখন সে তোমার হৃদয় ছুঁয়ে দিবে।
তোমার এই অপেক্ষার অবসান ঘটবেনা কখনোই, যে শিকারি সে তোমার হৃদয় ছুঁতে আসেনি। আদরে আদরে যে দেহ খানি তোমার ভালোবাসার চিহ্নে সে ভরিয়ে দিবে কোনো একদিন ঘুম থেকে উঠে আবিষ্কার করবা সে চিহ্ন গুলোকেই তোমার ক্ষত মনে হবে।
কিছু বোকা মেয়ে হৃদয় সাঁজিয়ে বসে থাকে, আর কিছু পাপী ছেলে র‍্যাপিন পেপার দেখেই চলে যায়। নারী দেহ সৃষ্টিই কি তবে পরীক্ষা? নিষ্পাপ হৃদয় টা লোভাতুর মাংস পিন্ডের নিচেই কেন দেয়া হলো!!



ভয়!!
জ্বলন্ত আগুনে আঁচ না লাগা পর্যন্ত ছোট্ট শিশু হাতের মুঠি বন্ধ করে ফেলেনা কারণ কৌতুহলি শিশুর মনে ভয় নেই পুড়ে যাবার!!
রেলিং খোলা কোনো উঁচু তলার ছাঁদে ছেড়ে দিয়ে দেখো কোনো শিশুকে, হামাগুড়ি দিয়ে ঠিক চলে যাবে ছাঁদের কিনারায়! অবুঝ শিশুর মনে ভয় থাকে না, তবে থাকে বুঝের অভাব!
বড় হয়েছি আমরা বুঝতে শিখেছি কতকিছু, অথচ বুঝ বয়সে অবুঝের মতো ভয় ঢুকে গেছে আমাদের শিরা উপশিরা! পড়ে যাবার ভয় নাই, পুড়ে যাবার ভয় নাই, অথচ থর থর করে বেঁচে আছি প্রতি মুহুর্ত!
একলা হবার ভয়, ব্যর্থ হবার ভয়, হেরে যাবার ভয়, লোকের ভয়, সমাজের ভয়! ভয় সবকিছুতে!! কঠিন কিছু জিতে যাবার পরেও ভয়ে ভয়ে বেঁচে আছি কবে তা হারিয়ে ফেলি! সবকিছু পেয়েও সুখের ওপর ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে হাসতে গিয়ে গলা কেপে ওঠে আবার না হারিয়ে ফেলি সবকিছু!!😦
সবার সামনে দাঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাওয়া মানুষটা ভয়ে ভয়ে পিছনে তাকায় কেউ ১জন রানার্স আপ হয়ে আছে! পরের বার কে হবে আবার চ্যাম্পিয়ন!!
জীবনের একাংশ কাটিয়ে আমি টের পেয়েছি আমি সুখি না! আমার ভিতরে অনেক না পাবার ভয় ছিল আবার অনেক কিছু পেয়ে তা হারিয়ে ফেলার ভয়! ভয় পাওয়া মানুষ কখনও সুখি হয় না,আবার সত্যিকারের সুখি মানুষ কখনও ভয় পায় না!!



প্রতিটা মানুষ সমান ভাবে চব্বিশ টা ঘন্টা পায়।
তা থেকে কেউ....
প্রতিদিন কিছু শেখে এবং নিজে কিছু করে যা তাকে এক সময় সবার কাছে জনপ্রিয় করে তোলে।
তা থেকে কেউ....
অন্যের হেইটার হয়ে যায়। নিজের সময় গুলো সে হিংসায় জ্বলে পুড়ে অন্যের সমালোচনায় ব্যয় করে।
সময় যদি পকেটে রাখা যেত তাহলে মানুষ তার যথার্থ মূল্য বুঝতে পারতো। ভুলেও নিজের জীবনের একটা সেকেন্ড ও সে অন্যের সমালোচনায় ব্যয় করতো না!!
আজ থেকে একটা অভ্যাস করতে পারবে? যখন ই তুমি অন্যের সমালোচনা করতে যাবা তখন ই নিজেকে জিজ্ঞেস করবা দশ মিনিটে কি কি করা যায়?
দশ মিনিটে একশো টা অজানা অথ্য জানা যায়। দশ মিনিটে একটা ছোট্ট শর্ট ফ্লিম বা ডকুমেন্টারি দেখা যায়। দশ মিনিটে কঠিন একটা অংকের সমাধান বের করে ফেলা যায়।
তখন নিজের অজান্তেই দেখবা নিজেকে দেখে নিজেই হাসবে তুমি। যেখানে দশ মিনিটে এত কিছু করা যায় সেখানে দশ মিনিট কেন দশ সেকেন্ডেও কেন অন্যের সমালোচনায় নিজের সময় নষ্ট করার বোকামি করতে যাবে??




ভালোবাসা কখনো নিরব হয়না। নিরবতার ভাষা সবাই বোঝেনা।নিরবে যে মানুষ টা তোমায় ছেড়ে চলে গেছে সে নিরবে চলে যায়নি, তার বুক ফেটে যে আর্তনাদ এসেছিলো তুমি তার ভাষা বোঝনি।
সত্যিকার ভালোবেসেও যে মানুষ টা তোমার ভালোবাসা না পেয়ে অভিমানে হারিয়ে যায় সে মানুষটা পুরোপুরি হারিয়ে যায়না কখনোই। সে তোমার জীবনে আবার কোনোদিন ছায়া হয়ে ফিরে আসবে। তোমার একাকীত্বের সেই সময়টা বারা বার তার স্মৃতি তোমায় কাঁদাবে। ভালোবাসা কখনোই নিরব থাকেনা, নিরবতার ও একটা শব্দ আছে, অনেক সময় মানুষ টাকে হারিয়ে আমরা সেই শব্দ টা শুনতে পাই..




যে ভালোবাসা শেখায় তাকে ভালোবাসার চেয়ে বড় বোকামী আর নাই, ভালো তাকে বাসতে হয় যার ভিতরে ভালোবাসা তো আছে অথচ জানেনা কি করে ভালোবাসতে হয়।
কেউ সামান্য কিছু পেয়ে কেদে ফেলে কাওকে হাজার কিছু দিয়েও খুশি করা যায়না।
আমরা সব কিছু রেডি মেইড চাই। তৈরি করে নিতে পারিনা। রেডিমেইড জামাটা ফিট না হলে তোমার নিজের সেইপটা বদলে নিতে হবে। আর এক টুকরা কাপড় কে জামার রূপ দিতে পারলে সেটা কিন্তু পারফেক্ট মানাবে।
রেডিমেইড ছেলেটা বা মেয়েটার মন ভুলানো কথায় তুমি মুগ্ধ হবে ঠিকই কিন্তু গ্যারান্টি কি এমনকরে সে মুগ্ধ করেনি আরো হাজারটা মানুষ কে। জাদু শিখে কেউ বসে থাকেনা, জাদু দেখানোটাই তার নেশা।
তাই কথার জাদু নয়, যে মানুষ টা প্রচন্ড গরমে হাতের তালুতে তোমায় ছায়া দেয়ার বৃথা চেষ্টা করে সেই মানুষ টা সারাজীবনেও তোমায় একবারও ভালোবাসি না বললেও সত্যিকারের ভালো সেই তোমাকে বাসে।
আকাশের চাঁদ বা পুরো পৃথিবীটা হাতের মুঠোয় এনে দেয়ার সাজানো প্রতিশ্রুতি না তুমি সামান্য কেশে উঠলে যে মানুষটা পানির গ্লাস নিয়ে দৌড়ে আসে সেই তোমাকে ভালোবাসে।
যারা সুন্দর করে ভালোবাসি কথাটা বলতে পারেনা তারা কলিজা কেটে ভালোবাসা দিলেও আমরা বুঝতে পারিনা। আমরা ছুটি রোমিওর পিছে!
শক্ত খাচার মানুষ টার ভিতরে অদ্ভুত ভেজা একটা মন থাকে তার। মন টা বড্ড বেশি ভেজা বলেই শক্ত খাচার নিচে সে বন্দী করে রাখে।
মমতা মাখা একটা হাত সে শক্ত খাচার উপর রেখে সামান্য একটা টোকা দিয়ে দেখো বুকের খাচাটা চুর চুর হয়ে হৃদয়টা হাতে উঠে আসবে। ( share if u think these are your words too)




কিছু কিছু দৃশ্য হয়ত সিনেমাতেই মানায়, বাস্তবে না। দিন ভর খাটুনি শেষে প্রিয় মানুষটির হাত ধরে আবার একবার হাটতে বের হওয়াটা বাড়াবাড়ি দাবী হলেও হতে পারে। কিন্তু....
ক্লান্ত হাতে কলিংবেল চেপে অপেক্ষা করার পর যে মানুষ টা দৌড়ে ছুটে আসে দরজা খুলে দিতে, তাকে একবার জড়িয়ে ধরে থ্যাংকইউ বলাটা কি খুব বড় কোনো কল্পনা?
প্রতি সপ্তাহে একদিন দুজনে মুখোমুখি চাইনিজ খাওয়াটা কল্পনা হলেও হতেও পারে, কিন্তু....
সপ্তাহে একদিন মুখোমুখি বসে দু প্লেট ফুচকা শেয়ার করাটা কি বিশাল কোনো কল্পনা?
প্রতি ওকেশনে একটা করে সোনার নেকলেস বাড়া বাড়ি মনে হতেই পারে, কিন্তু সাধারন একটা শাড়ি? অথবা প্রতি সন্ধ্যায় মুঠো ভরে কিছু চকলেট? কি খুব কি অবাস্তব?
মানুষ যা ভাবতে পারে তার সবটাই বাস্তব। মানুষ চাঁদে যেতে চেয়েছিলো গিয়েছে না? মানুষ হাজার মাইল দূর থেকে কথা বলতে চেয়েছে, বলছিনা ? আর এত সামান্য ভালোবাসা!
আসলে কিছু মানুষের কাছে সব কিছুই অবাস্তব। বাস্তবতার দোহাই দিয়ে যারা ভালোবাসা এরিয়ে যায় তারাই আসলে ঘোরের ভিতরে আছে। এত ধানাই পানাই বাদ দিয়া সোজা সুজি বললেই পারো তুমি আনফিট। ভালোবাসার যোগ্যতাই নাই তোমার.......
কঠিন বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে যে মানুষ স্বপ্ন ধরে রাখতে পারে বাস্তবতা তার সামনে এসে ফিকে হয়ে যায়। সিনেমা দেখে কল্পনায় বুদ সবাই হতে পারে কিন্তু জীবনটা সিনেমার মত সাজাতে শুধু স্বপ্নবাজেরাই পারে...



মানুষ চিনতে ভুল করাটা ভুল নয়, ভুল মানুষের সাথে সারাটা জীবন কাটিয়ে দেয়াটা ভুল।
কিন্তু ভুলটা কেন করি আমরা?
আমাদের সমাজে দশ জনের সাথে বেড শেয়ার করা মেয়েটার ভুল ছেলে মানুষী অথচ একটা ভুল মানুষের কাছ থেকে মুক্তি নেয়া তালাক প্রাপ্ত মেয়েটা নাকি সেকেন্ড হ্যান্ড!
আমাদের সমাজে দশ জনের সাথে বেড শেয়ার করা প্লেই বয় ছেলেটার ভুলটা বয়সের দোষ অথচ যে পুরুষটাকে ধোকা দিয়ে কোনো নারী অন্য কোনো পুরুষের হাত ধরে চলে যায় সে পুরুষটা নাকি না পুংশক নইলে বউ পালাবে ক্যান!
এ সমাজ থেকেই শিখেছি একবার কারো ঘরের বউ হয়ে ঢুকলে নাকি লাশ হয়ে বের হতে হয়! কারন জীবন নাকি একটাই! আমিও বলি জীবন তো একটাই তবে সারা জীবন কেন এক ভুলের সাথে বসবাস!!
আমাদের সমাজে ধর্মীয় অনুভূতিটা বেশ প্রখর। তবে সে অনুভূতিটা নিজের স্বার্থেই কেবল প্রখর! হাদীসে যখন সঠিক কারনে বিবাহ বিচ্ছেদ জায়েজ সেখানে আমরা প্রচার করি স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেশত।
সমাজ বাদ দেন নিজের বাবা মাও যখন মদ খোর স্বামীর রোজ রোজ মারধর করা দেখে বলে ধৈর্য ধর, তখন আর বাকি থাকে কি!!
আমার কথার ভুল অর্থ নিবেন না যে আমি বিবাহ বিচ্ছেদে প্রেরনা দিচ্ছি কারন আমি কেন জগতের সব মানুষের সমর্থন পেলে নিজের সংসারের মায়া ছাড়তে চায়না কেউ।
কিন্তু যে ধর্মীয় অনুভূতিতে আমরা বেচে আছি সে ধর্মের দিকে তাকাই, আমাদের নবী কারিম ( সা:) তিনি কি বিধবা বা স্বামী পরিত্যাক্তদের সম্মানিত করেন নি? আয়েশা ( রা:) ছাড়া কোন কুমারী নারীকে তিনি বিয়ে করেছিলেন?
এতটা মহান যদি নাও হতে পারি ছি:ছি: না করে কিছুটা সম্মান তো দিতে পারি?
যার ঘর ভাংে সেই জানে কত সাধের ঘর ছিলো তার। তাই ছি: ছি: করে সমাজ থেকে তাকে ছুড়ে না ফেলে, সমালোচনার মুখে লাগাম দিয়ে মানুষ টাকে কি বাঁচতে দিতে পারিনা?



পৃথিবীর প্রতিটা নেশা খোর ব্যাক্তিই কোনো না কোনো সময় নেশা থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। অথচ সে বেরিয়ে আসতে পারেনা! কেন পারেনা?
তবে কি সে নেশা ছেড়ে দিলে কেউ তাকে জোর করে নেশা করাবে ? তবে কি নেশা ছেড়ে দিলে সে মরে যাবে?
না এমন কিছুই না। তাকে হাজারবার জিজ্ঞেস করলেও সে একটাও কারন বলতে পারবেনা, শুধু এটাই বলবে না ভাই পারিনা। কিন্তু কেন পারোনা? উত্তর নাই।
ডিপ্রেশন টাও ঠিক তাই, নেশার মত। সে বেরুতে চায় কিন্তু পারেনা! ক্ষত জায়গা সেরে গেলে সেটা বোঝা যায়। এক সময় ক্ষত গুলো মুছে যায় সে বোঝে সে এখন সুস্থ। গায়ে ব্যাথা হলে বোঝা যায় ব্যাথা সেরে গেছে সে এখন মুক্ত।
কিন্তু মনের ক্ষত?
সেই কবে তার হৃদয় টা রক্তাক্ত হয়েছিলো এরপর সেই রক্ত চেপে ধরে আছে দিনের পর দিন। সে জানেনা সে ক্ষত ভালো হয়ে গেছে অনেক আগেই, শুকিয়ে গেছে সেই রক্ত। তবু তার বিশ্বাস হাত সরালেই বোধ হয় রক্তাক্ত হবে আবার। এমন এক অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে আমরা দিনের পর দিন ডিপ্রেশন ধরে রাখি।
ভূতের অস্তিত্ব কোথায়? মানুষের মস্তিষ্কে। অন্ধকারে হাটলেই মনে হয় পিছু পিছু কেউ হাটছে অথচ ফিরে তাকালেই কিন্তু নাই। তারপরেও আমরা ফিরে না তাকিয়ে ভয়ে ভয়ে হেটে বেড়াই!
ডিপ্রেশন বলো আর ভয় বলো সব কিছুর সাথে মোকাবেলা করার উপায় একটাই ব্যাপারটা তোমার ফেইস করতে হবে। ডিপ্রেশনে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে শুধু তুমিই দূর্বল হবে ডিপ্রেশন কমবে না। বরং সুস্থ থাক। যে রোগী চোখ মেলে নিজের অপারেশন দেখে, যে রোগী অবশ না করেই বলে সেলাই করেন তেমন করে সাহসী হও।
মনে করো একটা রোগ বাধিয়েছ তুমি। ডাক্তার একটা ইঞ্জেকশন নিয়ে তোমার চামড়া ফুটো করছে। ছোট একটা পিপড়ার কামড়ের মত ব্যাথা এরপর তুমি সুস্থ।
যে তোমায় ধোকা দিয়েছে সে সারাজীবন ভয়ে ভয়ে বাঁচবে, কবে কে কখন তাকে ধোঁকা দিয়ে যায় । আর তুমি? মন ভেংগে তো শিখেই গেছ, আর কখনো কেউ কাছের মানুষ হয়ে তোমার মন ভাঙার সুযোগ পাবেনা।



তোমার চার পাশে কিছু মানুষ দেখবা যাদের তোমার কাছে খুব ভাগ্যবান মনে হবে। যে কাজ করে তুমি বিপদে পড়বা দেখবা তারা সে কাজটা করেই চট করে বেরিয়ে গেছে কিছুই হয়নি তাদের।
ছোট বড় যে কোনো কাজে তোমার থেকে তাদের ভাগ্য ভালো হবে। তারা সব কিছু করেও ঝামেলা থেকে বেরিয়ে যাবে তুমি কিছু না করেও ঝামেলায় জড়িয়ে যাবে!
তুমি পড়া না পারায় স্যারের হাতে মার খেয়েছ তোমার সামনেই স্যার আবার আরেকজনকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।
তুমি যাকে তোমার বন্ধু মহলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছ তারা তোমাকেই বাদ দিয়ে তাকে মাথায় নিয়ে নাচছে!
তুমি যে মানুষটাকে দিনের পর দিন মনে মনে মনের আসনে বসিয়েছ, চট করে কেউ একজন এসে তাকে প্রেমিক/প্রেমিকা বানিয়ে নিয়ে চলে গেছে!
তুমি পদে পদে হেরে যাবা আর তাকে ভাগ্যবান ভাব্বা!
আসলেই কি তারা শুধুই ভাগ্যবান?
ট্রাই করে দেইখো তো। তোমার দেখা যে কোনো ভাগ্যবান ব্যাক্তিকে নিয়ে টস করে দেখোতো বার বার শুধু সেই জেতে কিনা ?
ভাগ্যই যদি তাকে এগিয়ে রাখতো তবে সব ভাগ্যবান রাই লটারী কিনে কিনে বড় লোক হয়ে যেত!!
রহস্যটা কি জানো?
যারা তোমার থেকে এগিয়ে গেছে তারা বিশেষ ভাগ্য নিয়ে জন্মায়নি তবে তারা বিশেষ কিছু কায়দা জানতো।
কিছু ব্যাপার বলছি মিলিয়ে দেখবা ভাগ্যবান ব্যাক্তিদের সাথে...
১) বিনয়ী : দুনিয়ার যত বড় বড় সাধু সন্যাসী থেকে বড় বড় ক্রিমিনাল পর্যন্ত সবার মাঝেই একটা কমন গুন দেখবা তারা বিনয়ী হয়। বিনয় এমন একটা শক্তিশালী হাতিয়ার তা দিয়ে তুমি যে কাওকে বশে আনতে পারবা। এমনকি বড় মাপের চিটার বাটপারদেরকেও দেখবা তারা বিনয়ী হয়। এই বিনয়ের কারনেই মানুষ তাদের বিশ্বাস করে। বিনয়ীর কখনো বন্ধুর অভাব হয়না।
২) উৎসাহী ও একাগ্রতা : তারা যে কোনো ব্যাপারে উৎসাহ প্রকাশ করে। হয়ত মনে মনে ঠিক করে রাখবে কাজটা করবেনা তবু তারা প্রত্যেকের যে কোনো প্রস্তাব বা আইডিয়া খুব মনোযোগ দিয়ে আগ্রহ নিয়ে শোনে।
৩) নমনীয়তা : তারা যে কোনো পরিস্থিতি নমনীয় হতে পারে, মানিয়ে নিতে পারে সব পরিবেশে।
জীবনে সফল হতে ভাগ্য না ম্যাকগাইবার হতে হয়। হাতের কাছে ছোট খাট প্রতিটা জিনিসের ব্যাবহার জানতে হয়, মূল্য দিতে হয় কাছের দূরের সব ধরনের সম্পর্কের।
একটা কথা মনে রেখো তোমায় ভাগ্যবান করে তোমার চার পাশের পরিবেশ। তোমার জীবনটা চার দেয়ালের একটা ঘরের মতন, তুমি যা যা করো সব কিছু জমা হয় সেই চার দেয়ালের ঘরে। ভাগ্যবান রা সব দরকারি জিনিস সে ঘরে এনে জড়ো করে, যখন যেটা প্রয়োজন শুধু খুঁজে নেয়। তুমি চার দেয়াল ভরে রেখেছ অপ্রয়োজনীয় জিনিসে। যা তুমি রাখোই নি কখনো তা হাজার খুঁজলেও কি পাওয়া যাবে?




পৃথিবীর প্রায় প্রতিটা মানুষেরই কিছু অদ্ভুত অভ্যাস থাকে। কেউ কেউ আছে দেখবে, সারাদিন ফেইসবুকে ঢুকতে না পারলে তার মনে হবে সারাদিন কি জানি করা হয় নাই। অথচ ফেইস বুকে সে কিছুই করেনা। একটু পর পর ঢুকে শুধু নিউজ ফীড টা চেইক করে আবার বেরিয়ে আসে!
কেউ কেউ ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা না পেলে মনে হয়, এক্ষুনি বোধ হয় কেদে ফেলবে। আমি এমন ও মানুষ চিনি যে দিনে বিশ কাপ চা খায়। অথচ এতটা পানি তৃষ্ণাও কারো লাগেনা!
গভীর রাতে সিগারেটের প্যাকেটে হাত দিয়ে এক টুকরা সিগারেট না পেয়ে, কেউ কেউ আবার ফেলে রাখা এস্ট্রে হাতিয়ে নিভিয়ে ফেলা সিগারেটের শেষ অংশ টা আবার একবার জ্বালিয়ে ভাবে- জীবন ফিরে পেল যেন! অথচ কিছুই সে পায়নি যা পেয়েছে তা হলো - ফুস ফুস জ্বালিয়ে দেবার মত আরো কয়েক ফোটা নিকোটিনের বিষ!
তবুও মানুষ খুশি। কারন মানুষ তার অভ্যাসে বন্দী।
আচ্ছা ভেবে দেখেছ ভালোবাসাটা যদি এমন অভ্যাস বানানো যায়?
বেশির ভাগ মানুষ আমরা, ভালোবাসার মাঝে শুধু প্লেইজার খুঁজতে থাকি। সেই প্রথম দিনের মত প্রথম অনুভূতির মত। অথচ এটাই বাস্তব ছুরি- সেটা যত ধারালোই হোক না কেন, অধিক ব্যাবহারে এক সময় তা ভোঁতা হতে থাকে।
রোজ যদি তুমি নিয়ম করে দাও - প্রতি রাতে কপালে চুমু খাবার পর আর কোনো কথা হবেনা। তাহলে দেখবা, প্রিয় মানুষটার কপালে চুমু না খেলে তোমার ঘুম-ই আসবেনা।
রোজ যদি তুমি নিয়ম করে দাও - শত ব্যাস্ততার মাঝেও ফোনের শেষ কথাটা আই লাভ ইউ হবে; তাহলে দেখবা, ভুলে ফোনটা রেখে দিলেও মনের ভিতরে খচ মচ করতে থাকবে।
একজন নামাজি লোকের এক ওয়াক্ত নামাজ কাযা হলে তার ঘুম হয়না, প্রতিদিন ভোরে যেই লোকটা কাজে যায়- ছুটির দিনে জোর করেও সে ঘুমাতে পারেনা।
বলতে পারো- শুরুতে এমনটা ছিলো, এখন কেন নাই। --কারন, শুরুতে সেটা অভ্যাস ছিলোনা ; শুধু মুগ্ধতা ছিলো। অভ্যাসের সাথে মুগ্ধতার কিছু নাই। তবে অভ্যাসের দরুন মানুষ মায়ার জালে বন্দী হয়ে পড়ে।
ভালোবাসা যখন তোমার অভ্যাস হয়ে যাবে, তখন মুগ্ধতা কমে গেলেও তুমি মায়ায় জড়িয়ে যাবে। সম্পর্ক গুলা অটুট হবে। ভালো এমন ভাবে বাসো, যেমন করে একটা নেশা খোরকে বেধে রাখলে সে পাগল হয়ে যায়।
কিন্তু ভালোবাসা অভ্যাস করবে কেমন করে? ভালোবাসা তো মাপা যায়না দেখা যায়না!
একটা একটা করে নিয়ম বানাও। রোজ সন্ধ্যায় তার সাথে দুপা মিলিয়ে একটু হাটতে বের হও। সপ্তাহে একদিন দুজনে মুখোমুখি বসে, চটপটি ফুচকা খেতে বের হও। ঘুমানোর সময় কপালে কপাল ঠুকে ঠোঁটের উপর নিশ্বাস ফেলে ঘুমাও। একই জিনিস দেখে বার বার মুগ্ধ হওয়া যায় যদি জিনিস টা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখতে জানো।.




টাকা পয়সা সঞ্চয় করে দূর্দিনে যেভাবে চলা যায় সুখ গুলো বাঁচিয়ে রেখে কি দু:খের দিন গুলোয় তেমনি ভালো থাকা যায়?
পৃথিবীর নির্মমতম সত্যের একটা হলো দু:খের সাথে লড়াই করার কোনো হাতিয়ার হয় না। দু:খ কষ্ট মোকাবেলার জন্য আমরা যে কথা গুলো বলে থাকি সেটা কেবল সুখে থেকে অথবা কষ্ট থেকে মুক্তি পেয়েই বলা যায়।
যে ছেলেটা বাবার লাশের সামনে নিথর হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে পৃথিবীর কোনো মোটিভেশন তার এক চুল কষ্ট কমাতে পারেনা।
এই মাত্র যে মেয়েটার হৃদয় লুটপাট হয়ে গেলো তাকে যতই বোঝানো হোক এর চেয়ে অনেক ভালো কিছু তার জীবনে ঘটবে এত টুকু কিছু অদল বদল হবেনা তার জীবনের। কিভাবে হবে? হাত দিয়ে গালের উপর বেয়ে আসা পানি মোছা যায়, চোখের ভিতরে আঙুল দিয়ে জল থামানো যায়না।
কষ্টের সামনে মানুষ এতটাই অসহায় মৃত্যু শয্যায় শুয়ে প্রান পনে বেঁচে থাকার ব্যার্থ প্রচেষ্টার মতন। কিছুই করার নেই অপেক্ষা করা ছাড়া।
তুমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবে পুরো পৃথিবী হাসছে খেলছে, কেউ কেউ এসে কষ্টের অভিনয় করে বলবে তোর জন্য খারাপ লাগছেরে। অথচ তোমার থেকে মুখ ঘোরালেই দেখবে অন্য কাওকে নিয়ে সে হাসছে!
পৃথিবীতে কেউ কারো কষ্ট ছুঁতে পারেনা। বরং নিজের অজান্তে এটা ভেবে সে আনন্দ পায় সে ভালো আছে!
ভাঙা মনের মানুষ গুলিকে শুধু এটুকু বলতে পারি। গরু জবাই করতে দেখেছ কখনো? হাত পা বেঁধে যখন গলায় ছুড়ি চালানো হয় সারা গায়ে শুধু কিছুটা কাপুনি দিতে পারে। চোখের নিচ দিয়ে সো সো শব্দ করে রক্ত গড়িয়ে যায়। সে সব দেখে অথচ নড়ার ক্ষমতা নেই। আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখি কতটা সহজে গরুটা মরে গেলো।
আমাদের কষ্ট গুলোও তেমন। হাত পা বেঁধে দিলে কষ্ট কম হয়না তবে যারা দাঁড়িয়ে থাকে তাদের দেখতে ভালো লাগে। কি দরকার পুরো পৃথিবীতে জানান দেয়ার আমি কষ্টে আছি।
কষ্ট ভুলে থাকার জন্য নষ্ট হয়ে যাওয়া না, নেশা করা না। হাত পা বাঁধা গরুটার মত চুপ চাপ পড়ে থেকে নিজের কষ্ট টা দেখতে হবে। উপলব্দি করতে হবে। কষ্ট তার সময় মত তোমায় ছেড়ে ঠিক চলে যাবে। রাত যতই আঁধার হোক দিনের আলো ঠিঁকরে আসবেই।


ঘর ভর্তি খাবার ছড়িয়ে থাকলেও যদি রাঁধতে না জানো তোমাকে উপোস করেই কাটাতে হবে। আবার যদি রাঁধতে জানো তাহলে সামান্য দুটো পেয়াজ, দুটো ডিম, দুটো আলু, তাই দিয়ে তুমি চমৎকার কিছু রেঁধে খেতে পারো।
তোমার সাদা মাটা জীবন টায় যদি অনেক কিছু নাও থাকে তবু শুধু ভালোবাসা দিয়ে তুমি তোমার ছোট ঘরটায় সুখের বন্যা বইয়ে দিতে পারো।
ভালোবাসায় মাখা মাখি একটা সংসার আর দু চারটা মানুষ। খুব দামী কিছু নিয়ে ঘরে ঢোকা লাগেনা। সামান্য ছোট খাটো কিছু আর এক গাল হাসি নিয়ে তুমি যখন ঘরে ঢোকো তোমার অজান্তেই তোমার চার দেয়ালে অসংখ্য সুখ লুটোপুটি খায়।
ঘরে এসে একবার বাবা মায়ের রুমে যাও মাকে একটু জড়িয়ে ধরে বলো মা তোমার শরীর ভালো তো? বাবার দিকে একটু তাকিয়ে বলো আব্বু তোমার কিছু লাগবে কি? কারো কিছু লাগবেনা। তোমার কথায় তাদের মন ভরে যাবে।
বাবা মায়ের সাথে দেখা করে বেড রুমে তোমার অপেক্ষার প্রহর গোনা বউটার সামনে গিয়ে দাঁড়াও। চোখে মুখে এক গাদা বিষ্ময় ফুটিয়ে তুলে বলো। বউটা দিন দিন এত সুন্দর হয় কেনো! পকেট থেকে এক টুকরো চকলেট বের করে অর্ধেকটা ঠোঁটে রেখে বলো বাকিটা তোমার। দেখবা তোমার ঘরের সুখ কোনো রাজার ঘরেও নেই।
এরপরেও অনেকে ত্যানা প্যাচাবে। এমন হয়না বাস্তবতা এমন না! বাস্তবতা ক্যামন ভাই সাহেব? ডান হাতি ক্যারলির হাতের মুষ্টি বোমায় উড়ে গেলো অথচ বাম হাতে সে শুটিং করে অলিম্পিকে সোনার পদক পেলো। আমরা তখনো বলেছি অবাস্তব অবাস্তব অথচ বাস্তবতা সে দেখিয়েছে।
লাইফটা ভাই একটা ম্যাকগাইভার শো। এখানে তোমাকে সব কিছুই দেয়া আছে শুধু তোমাকে তার ব্যাবহার জানতে হবে। হাজার টা সমস্যার মাঝে প্রয়োজনীয় জিনিস চিনে তোমাকে মুক্তি পেতে হবে। জানি জীবন টা অত সহজ না আবার সব কিছু কঠিন ভাবাটাও কোনো সমাধান না। লড়াই যেখানে নিশ্চিত ভয় সেখানে অবান্তর।


"পাঁপের রঙ যদি কালো হত তবে নিজের অন্তর দেখে চমকে উঠত প্রতিটা মানুষ!"
---------------------------------------------------------------------
পৃথিবীর সব চেয়ে সুন্দর মানুষটি যদি তোমার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে দুনিয়ার সবার কাছে সেই মানুষটা রাজ পুত্র বা রাজ কন্যার মত হলেও তোমার কাছে সে শুধু একজন বিশ্বাস ঘাতক। বিশ্বাস ঘাতকের চেহারা বড্ড ভয়ংকর হয়। কারন মানুষ যত সুন্দর হোক না কেন পাঁপের ছায়া তার সৌন্দর্যকে ঢেকে ফেলে।
আবার পৃথিবীর সব চেয়ে কুৎসিত মানুষটি যদি তোমার জীবনে শেষ ভরসা হয়ে এসে তোমায় বাঁচিয়ে দিয়ে যায়, তোমার চোখে তার কুৎসিত মুখটাকে বড্ড বেশি মায়াবী মনে হবে। কারন মানুষ যত কুৎসিত হোকনা কেন ভালো কাজে তার মুখের উপর একটা নূরের ছাপ পড়ে।
পার্থক্যটা তুমি বুঝতে পারবে দুই ঘন্টা লাগিয়ে গোসল করা আর দুই মিনিটে অযু করার ব্যাবধানে। সারা গা ঘষেও তোমার নিজেকে যতটা পরিষ্কার মনে হবে শুধু অযু করার পর তার থেকে বেশি পরিষ্কার মনে হবে। কারন গোসলে গায়ের ময়লা যায়, অযূতে যায় মনের ময়লা।
যেদিন তুমি সারা রাত পর্নোগ্রাফি দেখে ঘুমাও সেদিনের মুখটা সকাল বেলা আয়নায় দেখে নিও। আবার কোনো একদিন ফযরের আযান শুনে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে দুফোটা চোখের পানি ফেলে চেহারাটা মিলিয়ে নিও। নিজের মুখটাই দেখবা নিজের কাছে একবার কুকুরের মত আরেকবার মানুষের মত মনে হবে।
মানুষ গুলি তখনই সুন্দর লাগে যখন তুমি তার কর্মের ব্যাপারে না জানো। ভাবোতো তুমি যে অপকর্ম গুলি লুকিয়ে রেখেছ সে গুলো প্রকাশিত হলে কতটা নোংরা লাগবে তোমাকে? গাঁয়ে কাদা লেগে থাকলে তোমাকে কেউ জড়িয়ে ধরতে চাইলেও তুমি তাকে সরিয়ে দিবে। একবার ভাবো এতটা পাঁপ নিয়ে কি করে দাঁড়াবে তোমার রবের সামনে?
মাথা ব্যাথা হলে প্যারাসিটামল লাগে, গ্যাস্ট্রিক হলে নিউটেক। আর অন্তরে ব্যাধি হলে লাগে নামাজ। পাঁপের রঙ যদি কালো হত তবে নিজের অন্তর দেখে চমকে উঠত প্রতিটা মানুষ!



তোমার মা বোন বা বউয়ের উপর চিৎকার করে ওঠার কারন তোমার ডিপ্রেশন বা কাজের চাপ না। চিৎকার করার কারন তোমার বিশ্বাস। তুমি বিশ্বাস করো তারা তোমার উপর ডিপেন্ড করে আছে।
তুমি পুরুষ তোমার সহ্য ক্ষমতা অসীম। বদমেজাজী বসের এক গাদা অবান্তর প্রশ্নের উত্তর তুমি হাসতে হাসতে হাসতে দিতে পারো। রাগে চান্দি পর্যন্ত রক্ত উঠে যাওয়া দেহটাকে স্বাভাবিক রেখে হাসি মুখে কথা বলার শক্তি তুমি কোথায় পাও?
পাওনাদার এসে সবার সামনে এক গাদা অপমান করার পর মাথা নিচু করে তাকে ঠান্ডা করার মত শক্তি কোথায় জমানো থাকে ?
অথচ ঘরে ফেরার পর তরকারী টা ঠান্ডা পেলে অথবা পানির গ্লাস খালি থাকলে এতটা রাগ কোত্থেকে আসে?
গায়ের উপর বউয়ের আদরের হাত পড়লে অথবা নরম সুরে মা একটু নিজের পাশে বসতে বললে এতটা জ্বলে ওঠার কারন কি তোমার?
ঐযে তুমি বিশ্বাস করো তারা তোমার উপর ডিপেন্ড!
আচ্ছা কেনো মনে হয় নারী মানেই হাঁটুর নিচে দমিয়ে রাখা? যে নারীকে তুমি তোমাকে ছাড়া অচল মনে করো সেই নারী যখন সরকারী পতাকা তুলে সাঁই সাঁই করে রাস্তা বন্ধ করে গাড়ি হাকিয়ে যায় তখন কি তাকিয়ে দেখোনা তোমার মত হাজারটা পুরুষ কপালে স্যালুট দিয়ে সে নারীর পথ করে দেয়!
নারী চাইলে পুরো পৃথিবীতে আবার একবার বিশ্ব যুদ্ধ লাগিয়ে দিতে পারে। আবার নারী চাইলে ভালোবেসে অসভ্য অমানুষ জানোয়ার টাকে বদলে দিতে পারে।
কিন্তু সে নারী তোমার উপর ডিপেন্ডেবল হয় কেনো? কারন নারী চায় ভালোবাসা নারী চায় সম্মান। আর আমরা সে নারীকেই ভালোবাসি সম্মান করি যে আমাদের অনুগত হয়। এটা কি তবে নারীর অযোগ্যতা নাকি সেক্রেফাইস?
বিশাল দেহের গরুটার গায়ে শক্তি আছে তোমার সামান্য খুটির রশি ছিড়ে পালিয়ে যাবার কিন্তু সে সেই চেষ্টাই করেনা। কারন সে তোমার অনুগত।
নারী চাইলেই স্বাধীন হতে পারে, নারী চাইলেই পৃথিবীটা নষ্ট করে দিতে পারে, তার উদাহরন হাজারটা তুমি পাবা। কিন্তু যে নারী হাসি মুখে পরাধীনতা মেনে নিয়েছে তাকে যদি তুমি পোষা গরু মনে করো তার অত্যাচার দেখে তার মেয়েটা বদলে যাবে। একদিন নিজের মেয়েটা স্বাধীন চেতা হবে ঘৃনার চোখে তাকাবে পুরুষের দিকে। তার জন্য অন্য কেউ দায়ী নয়, পুরুষ তুমি নিজেই দায়ী। ( ব্যাতিক্রম আছে )




কষ্টকে পাশ কাটানো মানে কষ্টকে জিইয়ে রাখা। কষ্টকে পুরো পুরি শেষ করতে চাইলে তাকে ফেইস করতে হবে ।
জানোতো সব কিছুর একটা ভ্যালডিটি আছে। কষ্টেরও আছে। অতি কষ্টে মন এক সময় অবশ হয়ে যায়। যে কষ্টে তুমি মরে যেতে চাইবা এক সময় দেখবা সেই কষ্টটা মনে করে তোমার হাসি পাবে !!
যার কাছ থেকে সব থেকে বেশি কষ্ট পাবা। তার আরো বেশি কাছে যাবা। খুব কাছ থেকে কষ্ট পেতে পেতে একসময় দেখবা তার প্রতি ঘৃনা ধরে গেছে। তখন ই তোমার চিরমুক্তি।


বিরক্তি একটা ঘুন পোকার নাম। যত বড় মজবুত আর শক্ত কাঠ হোক, ছোট্ট একটা ফুটো করে ধীরে ধীরে নড়বড়ে করে দেয় সব কিছু।
এমন ঘুনে খাওয়া কিছু মানুষ আছে যারা কথায় কথায় বিরক্ত হয় সব কিছুতে। এক কথা দুইবার বলতে বিরক্তি এক কাজ দুইবার করতে বিরক্তি!
একটা কাজ গুছিয়ে এনে মাঝ পথে এসে ছেড়ে দিয়ে বলে ধুর আর ভালো লাগেনা। হাজারটা কাজ শুরু করে কোনোটাই তার শেষ করা হয়না।
এরা ঘুম থেকে উঠে পেস্ট না পেয়ে ভ্রু কুচকায়। সে ভ্রু কুচকে থাকে বাস আসতে দেরি হওয়ায়, জ্যামে বসে থাকায়,অফিসে বসে ফাইল দেখায়। রোদ বৃষ্টি রাত ভোর সব কিছুই এদের কাছে অর্থহীন।
প্রচন্ড বিরক্তির কারনে দিনে দিনে এরা এক ঘরে হয়ে যায়, মেজাজ বিগরে যায়, অস্থিরতা বাড়ে। এক সময় ডিপ্রেশনে পড়ে শেষ করে দিতে ইচ্ছা করে নিজেকে।
যে জিনিসটা তুমি বদলাতে পারবেনা যে ঘটনায় তোমার কোনো হাত নাই সেখানে শুধু তুমি দুটো কাজই করতে পারো। হয় বিরক্ত হয়ে বসে থাক না হয় পরিস্থিতি এঞ্জয় করো।
সকালে পেস্ট না পেয়ে মেজাজ না বিগড়ে বলতে পারো বাহ ক্ষতি কি একদিন আঙুল দিয়ে দাঁত মেজে চুইনগাম চিবাতে চিবাতে অফিস করে দেখি 
লাইনে দাঁড়িয়ে আছ বাস নাই? চারপাশে তাকাও মানুষ গুলো দেখো। পেছন ফিরে দেখো তোমার দুইটা লোক পেছনে কেমন কটমট করে তাকিয়ে আছে এক বুড়ো ভদ্র লোক। তার মুখের পান শেষ হয়ে গেছে অথচ এখনো সে জাবর কাটছে। রাগে বিরক্তিতে কি অদ্ভুত একটা চেহারা হয়েছে তার!
তোমার সামনের মেয়েটাকে দেখো, কি সুন্দর কপালে একটা সানগ্লাস বসিয়ে সাইড ব্যাগ টা কাঁধের সাথে ঝুলিয়ে একটু পর পর ঘড়ি দেখছে। আচ্ছা মেয়েটার বয়স কত? সে কি কারো সাথে দেখা করতে যাবে? সাঁজ দেখে তো তাই মনে হয়!
ভাবতে ভাবতেই গাড়ি চলে এলো। কিছুটা পথ গিয়েই আবার জ্যামে পড়ে গেলো! হুট করে বিরক্ত লাগছে কিন্তু কি করার জানালা দিয়ে লাফ দিলেও যেতে পারবে অফিসে?
তারচেয়ে তাকিয়ে দেখো জানালা দিয়ে কি সুন্দর একটা ফুট ফুটে মেয়ে রাস্তায় হেঁটে হেঁটে পানি বিক্রি করছে। আচ্ছা কল্পনায় মেয়েটাকে একটা লাল ফ্রোক পড়িয়ে দেখ.... মেয়েটাকে কেমন বাচ্চা পরীর মত লাগছেনা?
এক ঝাঁক আমড়া নিয়ে অল্প বয়সী একটা ছেলে বাসে উঠলো। অনেক ভাবে সে আমড়া বিক্রীর চেষ্টা করছে কিন্তু কেউ নিচ্ছেনা! আচ্ছা ওকে ডেকে একটা আমড়া কেনো। দেখো কি অদ্ভুত ঘটনা ঘটে ! তোমার আমড়া বানাতে না বানাতেই পেছন থেকে আরো দুই তিন জন ওকে ডাকা ডাকি শুরু করবে !
এমন টা আগে খেয়াল করেছ? লোক গুলো কি ভেবেছে তুমি সব আমড়া কিনে ফেলবে! এতক্ষন ছেলেটা ডেকে ডেকে কারো কাছে বেঁচতে পারলো না অথচ তুমি ডাকতেই সবার ক্ষিধা পেয়ে গেলো!! এটা একটা মজার সাইকোলজি। 
শেষ ঘটনা বলি।
আমি একটা ওয়েটারকে চিনতাম ও দুই হাতে দুইটা ট্রে আর কপালে একটা ট্রে রেখে সে গুলো চর্কীর মত ঘুড়াতে পারত। আমি জিজ্ঞেস করলাম এটা তো তোমার কাজ না কিভাবে পারো? সে বলেছিলো সারাদিন ট্রে নিয়ে ঘুরাঘুরি করি ভালো লাগেনা তাই খেলতে খেলতে কাজ করতাম এখন অভ্যাস হয়ে গেছে।
সার্ভ করতে করতে খেলা দেখাই। এখন আমার বেতনও বেশি বকশিস ও বেশি 


This post about
বিপ্লব,biplob,BIPLOB,biplobblogger,biplobblogger,বিপ্লবব্লোগার,বিপ্লব ব্লোগার,বিপ্লব পার্বতীপুর,বিপ্লবপার্বতীপুর, বিপ্লব হলদীবাড়ি,বিপ্লবহলদীবাড়ি,BIPLOBBLOGGER,BIPLOB PARBATIPUR,BIPLOBPARBATIPUR,01616918888,০১৬১৬৯১৮৮৮৮,0178791888,০১৭৮৭৯১৮৮৮৮,BIPLOBBANGLADASH,BIPLOBHOLDIBARIPARBATIPUR,BIPLOBDINAGPUR,বিপ্লবদিনাজপুর,বিপ্লব দিনাজপুর,বিপ্লব ইলেকট্রনিক্স,বিপ্লবইলেকট্রনিক্স,বিপ্লব ইলেকট্রনিক্স হলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুর দিনাজপুর,বিপ্লবইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুর দিনাজপুর,বিপ্লবইলেকট্রনিক্স হলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুরদিনাজপুর,বিপ্লব ইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুরদিনাজপুর,বিপ্লবইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুরদিনাজপুর,Biplob ElectronicsHaldibariRailgatePar batipurDinajpur,BiplobElectronicsHaldibariRailgate ParbatipurDinajpur,Biplob Electronics HaldibariRailgate ParbatipurDinajpur,Biplob Electronics HaldibariRailgateParbatipur Dinajpur,Biplob Electronics HaldibariRailgate Parbatipur Dinajpur

☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "বিপ্লব ব্লোগার"

Post a Comment

যোগাযোগ ফর্ম

Name

Email *

Message *

 BIPLOB BLOGGER

প্রতিদিন সকল ধরনের চাকরির খবর আপডেট পেতে আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করবে এবং আপনি যদি এন্ড্রয়েড মোবাইলে আপনার চাকরির বিজ্ঞপ্তি গুলো পেতে চান তাহলে আমাদের একটি অ্যাপস রয়েছে সেটি নিচের দেওয়া লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন

বাংলাদেশ রেলওয়েতে একটি নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে পদের 
নামঃ খালাসী 
পদ সংখ্যা:-১০৮৬ জন
আবেদনের শেষ তারিখ:-২৬ই জানুয়ারি ২০২২।  ও বিস্তারিত জানুন নিচের দেওয়া ভিডিওটিতে