বিপ্লব ব্লোগার""ভালোবাসার ছন্দ এবং মনোভাব

বিপ্লব ব্লোগার""ভালোবাসার ছন্দ এবং মনোভাব


কারো দশটা জামা সে সাত দিনে পরে, কেউ একটা জামা ৭ দিন পরে নয়টা তুলে রাখে! আবার কারো দুইটা জামা একদিন পর একটা পরে। আপনি চাইলে একটা জামা প্রতিদিন পড়তে পারেন। আপনার রুচির উপর আপনার ব্যাক্তিত্ব। সংসারটাও তাই, কেউ অভাবের সংসারেও সুখি হয় আবার কেউ সারা গায়ে গহনা গায়েও হাহাকার করে! 
'
আসল ব্যাপারটা কেমেষ্ট্রি। রোজ রাতে প্রিয় মানুষ টার হাতটা বুকের উপর থাকতে ই সকাল টা ঠিক করে ফেলুন। কি আছে আপনার প্রিয় মানুষ টিকে আগলে রাখার? এক জোড়া ডায়মন্ডের দুল তাকে কতদিন হাসাবে? কিংবা সামর্থ্য আছে আপনার? ভাবুন না দুটো জামা যার, দশ জামা না থাকার দুক্ষে কি সে খালি গায়ে থাকে? দুটো জামা কাজে লাগান ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে পড়েন।
'
ভাতের প্লেট দুটো কাছা কাছি রাখেন হাত ধরে বলেন আসো ঠুকো ঠুকি করে খাই! তার এটো আঙুলে ঠোট লাগিয়ে বলেন আমারটা ক্যান মজা হয় নাই!
'
ব্যাপার কিছুই না নিছক পাগলামি। তবে আদরের পাগ্লিটার কাছে এটাই অনেক! ভ্যালিডনহীন স্বপ্নের কনো মানে নাই সকালের স্বপ্নটা বিকালের সাথে জুড়ে দিন। ভ্যালিড শেষ নতুন স্বপ্ন বুনুন,,,,


               বিপ্লব ব্লোগার


বউ সে, যে বাপের বাড়ি এক গ্লাস পানি ঢেলে না খেলেও স্বামীর ঘরে এসে বেলা দশটা হয়ে যায় ভোর পাঁচটা!
বউ সে, যে ক্ষয় হয়ে যাওয়া লিপষ্টিকের দিকে তাকিয়ে লজ্জায় লাল হত, সে আজ চুলা ধরিয়ে আগুনে কালো হয়।
বউ সে যে বাবা ফিরলে ছুটে আসত হাত থেকে খাবার ছিনিয়ে নিতে, সে আজ ভাত বেড়ে বসে থাকে সবাইকে খাওয়াবে বলে!

বউ সে, যে ঝগড়া করে মশারি না টানিয়ে ঘুমিয়ে যেয়েও স্বামীর গায়ে দুটো মশা দেখে আবার টুপ করে লাফিয়ে ওঠে!
বউ সে, নিজে যে স্বামীর সাথে সারাদিন ঘ্যানর ঘ্যানর করে আবার স্বামীকে অন্য কেউ কিছু বললে সেই রাগে ফেটে পড়ে।
বউ সে, যে ঘুম ঘুম চোখে চুলা ধরিয়েও লবন কমের খোটা শোনে!
বউ সে, যে নিজের সব কিছু ছেড়ে এসেও ভাত কাপড়ের কথা শোনে!
বউ সে, যে মাসে একদিন সিনেমা দেখা, সপ্তাহে একদিন ফুচকা খাওয়ার স্বপ্ন গুলো চোখের সামনে মরে যেতে দেখে।
তারপরেও বলবো কিছু মেয়ে ভাগ্যবতী হয়।
যার স্বামীর কাছে বউ সে.....
যে স্বামীর বুকের উপর নিশ্বাস ফেলতে ফেলতে পরম নিশ্চিন্তে সারাটা রাত কাটিয়ে দেয়।
বউ সে, যে নরম হাতে অগোছাল ঘরটা ভালোবেসে ছবির মত গুছিয়ে রাখে।
বউ সে, যে ক্লান্ত স্বামীর হাতে কফির মগ তুলে দিয়ে কপালে চুমু খেয়ে বারান্দায় বসে এক সাথে চাঁদের আলো মাখে।
বউ সে, যে শুধু বউ নয়। বান্দবীর মত জীবনের প্রতিটা টানা পড়নে হাতে হাত রেখে পুরো একটা জীবন কাটিয়ে দেয়।
সব শেষে বলবো স্বামী স্ত্রী তারাই যারা কবুল বলা মানে একে অন্যের নিশ্বাস ভাগ করে নেয়া। যারা কবুল বলা মানে.... একে অন্যের চোখের দিকে তাকিয়ে পাওয়া না পাওয়ার তীব্র কষ্ট গুলো পাশ কাটিয়ে হাসতে হাসতে বাঁচা। যারা কবুল বলা মানে ছায়ার মত আমৃত্যু দুটি মানুষ পাশা পাশি চলা।

                 বিপ্লবহলদীবাড়ি

আমি কাউকে না বলতে পারিনা এটা একটা মানসিক রোগ।
আমি পারিনা, আমি জানিনা, কথা গুলা বলা প্রাক্টিস করো জীবন অনেক সহজ হয়ে যাবে।
যে একতরফা সবার মন যোগাতে চায় সে আসলে কারোরই মন পায়না পুরোপুরি। দিন শেষে দেখবা কেউ কারো জন্য কিছু না করেও অনেক আপন হয়ে গেছে, অথচ তুমি আপন সেজে ইউজ হচ্ছ দিনের পর দিন !
                         বিপ্লব পার্বতীপুর

চার পাঁচ বছর বয়সেই ছেলেরা নিজের পছন্দে জামা পড়তে শুরু করে। দশ বারো বছরের মেয়েটার মত তাকে সোনা জাদু বা ধমক দিয়ে বোঝানো যায়না।
অথচ সেই ছেলে দশ বছর প্রেম করে যাবার আগে বলে যায় আমাকে ক্ষমা করে দিও বাবা মা তোমাকে মেনে নিবেনা!
দশ বছরের সম্পর্কটা মাত্র দশ সেকেন্ডে ভেঙে দেয়াটা কত সহজ তাইনা?
সহজ ই তো! তোমার দশ সেকেন্ডের এই মিথ্যা বোঝার ক্ষমতা মেয়েদের নাই, যে মেয়ে সাবালিকা হবার আগে মাথায় ঘোমটা দেয়ার সময় প্রশ্ন করে নাই আমি তো ঢাকলাম কিন্তু ভাইয়া যে শার্টের বোতাম খুলে হাটে! সেই মেয়েকে বুঝ দেয়া এমন কি কঠিন কাজ। মেয়েটার জন্মই তো হয়েছে এমন হাজারটা বুঝ নিতে নিতে।
বাপ ভাইয়ের টেনে দেয়া হিজাব টা খুলতেও তো তোমার সময় লাগেনি, কারন নারীরা তো বুঝের জাত বুঝাতে পারলেই হলো— আমি তো তোমায় ভালোবাসি আমার কাছে কিসের রাখ ঢাক!!
বয়সের আগেই তুমি ম্যাচিউরড হতে পেরেছ, লুকিয়ে লুকিয়ে বন্ধুর খালি বাসায় তাকে নিয়ে যেতে পেরেছ। ভালোবাসার প্রলোভোনে লাল নীল দেয়ালের ছোট্ট সংসারের স্বপন দেখিয়ে তাকে ম্যানেজ করতে কোনো ম্যাজিক লাগেনি তোমার অথচ বাবা মাকে ম্যানেজ করতে তোমার শিশু সুলভ আচরন!
বলি কি এত ভন্ডামি না করে বলে দিলেই তো পারো চেনা পরিচিত দেহের ভাজ গুলো এখন আর শিহরিত করেনা তোমায়,
আর মেয়েদের বলছি ঈশ্বর তোমার মনের উপর উঁচু মাংস পিন্ডটা জুড়ে না দিলে হয়ত তুমি মনের মূল্য পেতে, কবে বুঝবে তুমি ওই নরম মাংস ভেদ করে মন ছোঁয়ার মত পুরুষ কোথাও নাই। বেশির ভাগ পুরুষ নিস্তেজ হয়ে যায় ওই বুকের মাংসে। বুকের ভাজে পুরুষ বেঁধে রাখা যায়না, পুরুষ রাখতে হয় মনের ভাজে....

                                 বিপ্লব
টাকা পয়সা গাড়ি বাড়ি আমাদের দরকার কিন্তু সেটা সুখ না। এই দরকার গুলো পূরন হলে আমরা কিছুটা সুখী হই ঠিকই কিন্তু প্রয়োজন মিটে যাবার সুখ ক্ষনস্থায়ী কারন প্রয়োজন কখনো ফুরায় না। প্রতিনিয়তই তৈরি হয়। তাই প্রয়োজনকে শুধু প্রয়োজনই ভাবা উচিত সুখ না। কারন সুখ না পেলে দুঃখ হয় সেই দুঃখ চিরস্থায়ী। আর প্রয়োজনের অভাব ক্ষনস্থায়ী। তাই সে কষ্টও ক্ষন স্থায়ী। সব মানুষেরই সীমাবদ্ধতা থাকে তাই জন্ম থেকে এমন হাজার টা প্রয়োজন আমরা মেটাতে পারিনা,এভাবেই আমরা অভ্যস্ত। ঝামেলাটা হয় তখন যখন প্রয়োজন টাকে আমরা সুখ ভেবে বসি। প্রয়োজনের গোলক ধাঁধায় পড়ে আজন্ম কষ্ট পেতে থাকি।


কেউ তোমার মাঝে হয়ত স্বপ্নের বীজ বুনে দিবে ঠিকই কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণের ঠিকাদারি নিবেনা কখনোই।
মানুষ স্বপ্ন দেখে নিজের জন্য, অন্যকে স্বপ্ন দেখায় সেটাও নিজের জন্যই। কিন্তু কেউ কারো স্বপ্ন পূরণে দিন পাড়ি দেয়না!
তুমি তার স্বপ্নে তখনই আছো যখন স্বপ্নটা তার। হয়ত কখনো কখনো স্বপ্ন গুলো মিলে যায়, দুটো মানুষ এক সাথে কল্পনায় স্বপ্ন গুলো জোড়া লাগায়। কিন্তু দিন শেষে যার যার স্বপ্ন তার তার কাছে।
যখন কারো স্বপ্ন পূরন হয়ে যায় তখন মানুষটাকে আর প্রয়োজন হয়না। মানুষের স্বপ্ন বদলায় না স্বপ্নের প্রয়োজনে মানুষটাই বদলায়।
আজ যে তোমাকে তার স্বপ্নের অংশ করে নিয়েছে কাল সেই স্বপ্ন পূরনেই সে তোমায় ফেলে দিবে। স্বপ্নের খেলা গুলো এমনই কাটা কুটি করে ভাগ ফল সব সময় নিজের দিকেই।
কেউ যখন তোমায় স্বপ্ন দেখায় ভেবে নিওনা স্বপ্ন গুলো তোমার, তুমি সেই স্বপ্নের সামান্য একটা অংশ মাত্র। সামান্য হের ফের হলে দেখবা স্বপ্ন গুলো ঠিকই আছে কিন্তু তুমি সেই স্বপ্নে নেই আর।
কখনো অন্যের স্বপ্ন পূরণে নিজের স্বপ্ন ছেড়ে দিওনা। দুটো স্বপ্ন মিলে গেলে পাশা পাশি চলো, যদি কখনো না মেলে মানুষটার সাথে আপোস করো নিজের স্বপ্নের সাথে না।
স্বপ্ন বেঁচে দিয়ে যাকে কিনে নিবে সেই স্বপ্নের হাটে সে তোমায় বেঁচে দিবে৷ দেনা পাওনা নিয়ে বেঁচে থাকা যায় ভাগ ফল শূন্য হলে শুন্য সব কিছুই।
যদি স্বপ্ন ধরে বাঁচতে পারো, স্বপ্নের হাটে কেউ যাবে কেউ থাকবে তবু তুমি শুন্য হবেনা কখনো।


                                     বিপ্লবপার্বতীপুর
একটা মানুষকে খুঁজতে খুঁজতে এক সময় তোমার মনে হবে, না তুমি যাকে খুঁজছো এমন মানুষ কোথাও আর নেই। একটা সময় সে মানুষটার ছবি তোমার মন থেকে পুরো পুরি মুছে যাবে। কল্পনার খাতাটা দিন দিন শুন্য হতে থাকবে। দিনের পর দিন তুমি তোমার নি:স্বংগ সময়ে কল্পনায় যে মানুষটার দুটি চোখ এঁকেছিলে তার সাথে দুটি কথা বলেছিলে। বিষন্ন রাতে এক গাদা তারা দেখে যার কাঁধে মাথা রাখতে চেয়েছিলে। সে মানুষটা সময়ের সাথে সাথে ঝাপসা হয়ে যাবে।
মনে হবে সব কিছু ছেলে মানুষী আর কত অপেক্ষা!
এই কাজটা তুমি একা করোনা। ঠিক একই দিনে একই সময় যে ছেলেটা তোমার মত করে কোনো এক ঝুম বৃষ্টিতে কল্পনায় তোমার নূপুরের ছন্দ শুনতে পেত, সেই ছেলেটাও একদিন ভুলে যাবে পৃথিবীর কোনো এক প্রান্তে তোমার মত কেউ জানালা খুলে বসে আছে বাতাসে তার গায়ের গন্ধ পেতে।
ঠিকানার খুব কাছে এসে আবার উলটো পিঠে হেঁটে যাওয়ার দৃশ্যটা দেখার ক্ষমতা শুধু ঈশ্বরেরই আছে। প্রতিদিন লক্ষ কোটি সম্পর্ক খুব কাছে এসেও আবার হারিয়ে যায়। তাই বলে কেউ কখনো একা থাকেনা। একদিন সকলেই দোকলা হয়ে যায়। কেউ নিজ ইচ্ছায় হয় কেউ ফ্যামিলির ইচ্ছায়।
একটা সময় মানুষ কল্পনাকে কল্পনা ভেবেই ভুলে যায়। কিন্তু আসলেই কি সব কিছু শুধুই কল্পনা? যে মেয়েটা মধ্য দুপরে জানালা খুলে ধূসর মেঘ দেখে চমকে উঠেছিলো ঠিক ওই সময় সে ধূসর মেঘের নিচে আরো একটা মানুষ ছিলো, যে মেঘের দিকে মুগ্ধ হয়ে ভেবেছিলো ঠিক এমন একটা মানুষ চাই যে আমার মত মেঘ ভালোবাসে!
ভেবে দেখেন তো দু প্রান্তের দুটো মানুষ যদি তাদের ঠিকানা খুঁজে পেত তাহলে কি গল্প গুলো আর কল্পনা হত ? এমন না এদের কখনো দেখা হবেনা। অবশ্যই হবে। এ পৃথিবীতে যত গুলো মানুষই ভুল ঠিকানায় আছে কোনোনা কোনোদিন কল্পনায় আঁকা সে মানুষটার দেখা সে পাবেই।
সেই দৃশ্যটা খুব ভয়ংকর। দিনের পর দিন জানালা খুলে যে মানুষটার গন্ধ তুমি পেতে সে মানুষটা সামনে দাঁড়িয়ে আছে, অথচ তুমি ধরে আছো অন্য কারো হাত! তোমার কল্পনা গুলো মিথ্যা ছিলোনা। এটাই সেই মানুষ যার গন্ধ তুমি পেতে। এটাই সেই মানুষ, তুমি যখন জানালা খুলে হাত বাড়িয়ে জোৎস্না ধরতে একটা সেকেন্ডের একটা ক্ষুদ্রাংশ পরিমান কম হতনা এই মানুষটাও খোলা জানালায় তার হাত বাড়িয়ে দিত।
প্রেমিকা বা স্বামী একদিন সবাই হয়ত পায়। কিন্তু ঠিক সময়ে soul মেটের দেখা শুধু ভাগ্যবানেরাই পায়।

                       biplobblogger
মেয়েদের সিক্স সেন্স প্রখর হয়। কোনো ছেলের মুখের দিকে না তাকিয়েই তারা বলে দিতে পারে কে তার দিকে কোন দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে। তারা ভয়েস শুনে বুঝতে পারে তুমি তাকে নিয়ে কখন কি ফীল করছো। তোমার একটা দুইটা মেসেজেই তোমার উদ্দেশ্য সে বুঝে নিতে পারে।
সমস্যা টা হলো মেয়েরা তোমার অসৎ কামনা চট জলদি বুঝে ফেলে কিন্তু ভালোবাসার নামে লুকিয়ে রাখা প্রতারণা বুঝতে পারেনা।
আর বড় বড় প্রতারক গুলা একদমই ছ্যাচড়ামি করেনা। তারা তাদের ব্যক্তিত্ব দিয়ে চারপাশে একটা ধোয়া ছড়িয়ে রাখে। সেই ধোয়ায় আবছা আবছা দৃষ্টিতে তাকে খুব জানতে ইচ্ছা করে।
এই ছেলে গুলোর কাছে গিয়েই তাদের সিক্স সেন্স ভোতা হয়ে যায়। সব কিছু বুঝে ফেলার পরেও বিশ্বাস করতে পারেনা।
এই বিশ্বাস টাই প্রতারকের চেহারাটাকে ঢেকে ফেলে। প্রতারক তখন যাই করে সেটাকে শুদ্ধ মনে হয়। অথচ লম্পট আর প্রতারকের উদ্দেশ্য একটাই।
লম্পট তার লালসা ঢাকতে পারেনা তাই প্রখর ইন্দ্রিয় গুনে মেয়েরা তা চট জলদি ধরে ফেলে। আর প্রতারক মনের সিড়ি বেয়ে শরীরে ঢোকে তাই মনের দরজা খোলার সাথে সাথে মেয়েদের ইন্দ্রিয় কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
মেয়েরা বোকা না তবে দূর্বল। ভালোবাসার কাছে এসে তাদের বুদ্ধিমত্তা হেরে যায়।

                      বিপ্লবইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়ি
সব সময় ছুঁতে নেই, মাঝে মাঝে শুধু নির্বাক হয়ে দেখতে হয়।
আয়েনা খুটে টিপ পড়ার দৃশ্যটা তোমায় নির্বাক করবে, ঠোঁটের ফাঁকে চুলের কাটা রেখে হাতের মুঠোয় খোপা বাঁধার দৃশ্যটা তোমায় নির্বাক করবে!
ছোট ছোট এমন অনেক দৃশ্য তুমি দেখবে যা দেখার পর মনে হবে, যা আমাদের চোখে পড়ে তার সব আমরা দেখিনা। দেখার জন্য দুটি চোখের পাশাপাশি সুন্দরে ভরা একটা মন লাগে, যা সবার থাকেনা।

                    হলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুর
আচ্ছা চোরের শাস্তি মার হতে পারে, ডাকাতের শাস্তি মার হতে পারে, বউয়ের শাস্তি কি মার হতে পারে?
যে অবহেলা করে তাকে আমরা পাত্তা দেইনা। যে ভাব ধরে তার থেকে দূরে থাকি। যে ছোট করে তার সঙ্গ ত্যাগ করি। যে মিশতে চায়না তার আসে পাশেও থাকিনা।
আমরা সবাই তো এমন তাইনা? যেখানে নিজের গুরুত্ব নাই সেখানে হাজার মধু পড়ে থাকলেও সে মধু খেতে আমাদের ঘেন্না হয়।
অথচ ভেবে দেখেছেন একটা মেয়ে কেন তার স্বামীর হাতে মার খেয়ে সেই ঘরেই পড়ে থাকে?
উহু মেয়েটার যাওয়ার জায়গা নাই বলে সে ঘরে বসে মার খায় এমন ভাববেন না। এমন বহু মেয়ে দেখেছি চাইলেই আলাদা হয়ে হাজার গুন ভালো কিছু পেতে পারে কিন্তু সে মায়া ছাড়তে পারেনা।
সে খোটা শোনে, মার খায়, অভিমান করে, কিন্তু যেতে পারেনা। যে স্বামীর হাতে মাইর খায় সে স্বামীর জন্যই প্রার্থনা করে। সে মুক্তি চায়না, মানুষটাকে ফিরে পেতে চায়। অন্য কোনো মানুষ হলে তার হবেনা, ওই মানুষ টাকেই লাগবে যার কাছে রোজ রোজ অপমান হবে।
এইযে কোনো একটা সংসার ভেঙে গেলে আমরা মেয়েটাকেই বেশি দোষ দেই, কেন জানেন? কারন মেয়েরা এত টাই ধৈর্যশীল হয় যে সেই ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়াটাও তখন তার অপরাধ।
বেশি পেতে পেতে আমরা এমন হয়ে যাই যে এক সময় বিশ্বাস করে ফেলি সব বেশি কিছু শুধু আমার জন্যই। তাইতো বারংবার গুরুত্ব দেয়া মানুষটাই সবার আগে গুরুত্বহীন হয়ে যায় আমাদের কাছে!
যে বউয়ের ভয়ে টাকা লুকিয়ে রাখে, বউয়ের গায়ে হাত তোলে তাকে কি আপনার স্বামী মনে হয়? আমার কাছে তো মহাজন মনে হয়! স্বামী হলে তো বউয়ের মূল্য বুঝত, টাকা পয়সা না লুকিয়ে আদুরে বউটাকেই লুকিয়ে রাখত বুকের মাঝে !!

                                 বিপ্লব ইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট

আচ্ছা দুই লাইনের কোনো প্রেমের গল্প হয়না?
চিনি বউ ইচ্ছে করে তোরে বায়স্কোপের বাক্সে ভরে রাখি ~
কেউ দেখবেনা ছোট্ট ফুটায় চোখ রেখে দেখবো শুধু 
আমি l
~
কিংবা
~~
তুই আমার খেলনা বউ ! ওই বয়সের খেলনা না যে বয়সে খেলা শেষে ছুড়ে ফেলা হয় l সেই বয়সের খেলনা যে বয়সে খেলনাটা কখনো হাত ছাড়া হয়না l কাওকে ধরতে দেওয়া যায়না l
~~
কল্পনায় খাইয়ে দেওয়া যায় l চুল বাধা যায় গভীর রাতেও বুকের সাথে লেপ্টে ঘুমিয়ে থাকা যায় l
~~
কিংবা
~~
স্বপ্নে দেখি, আমি ঘাসের উপড় শুয়ে আছি l আমার মুখের উপড় শত শত বকুল ফুল l
ফুলের ঘ্রাণে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায় l চোখ মেলে দেখি - আমার মুখে চুল শুকাচ্ছ তুমি !!
~~
.......হ্যা দুই লাইনেও প্রেমের গল্প হয়। শুধু ভালবাসি শব্দটা বললেও একটা উপন্যাস হয়ে যায় ......

                বিপ্লব ইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট

প্রত্যেকটা নারী একেকটা পেন্সিলে আকা পরী l সে নারীর যত্ন নিতে হয় টবে সাজানো ফুলের মত l যতটা যত্ন নিবেন ততটাই সৌরভ ছড়াবে l প্লাষ্টিকের ফুলে কখনো বাগান হয়না অথচ জঙ্গলে ফোটা ফুলেরও নিজের সৌন্দর্য রয়েছে l
~
আমরা পুরুষরা আসলে মালি l বাগান বানানোর ক্ষমতা আমাদের নেই l আমরা শুধু পারি বাগান থেকে আগাছা গুলো সরিয়ে ফুলের যত্ন নিতে l যে মালি বাগানের আগাছা সরায় না সে বাগান জঙ্গল দেখালে তাতে ফুলের দোষ কোথায় !
~
পৃথিবীর সব চেয়ে নিকৃষ্ট মেয়েটিও খারাপ হয় পুরুষের কারনে l ধরেন পৃথিবীর প্রত্যেকটা পুরুষ সাধু l তাহলে পতিতালয় পড়ে থাকা মেয়েটিকে বেশ্যা বানায় কে ?
~
পেটের সন্তান ডাস্টবিনে ফেলে কার হাত ধরে পালিয়ে যায় মেয়েটি ? স্বামী নামের পুরুষটির মুখে বিষ তুলে দিয়ে পালানো মেয়েটার ঠোটে চুমু একে দেয় কোন পুরুষ ?
~
মেয়েরা কখনো নষ্ট হয়না তাদের নষ্ট হওয়ার ক্ষমতা নেই l আস পাশ থেকে নষ্ট পুরুষ গুলো সরে গেলে প্রতিটা নারী পেন্সিলে আকা পরী ....
'
নোট : লোভ হিংসা অহংকার এর উর্ধে মানুষ না l মেয়েরাও তাই l তবে প্রচলিত নষ্টা নারী বলতে যা বুঝি তার অগোচরে সর্বদাই কোন না কোন পুরুষের ভুমিকা থাকে l

                    বিপ্লব ইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট


আমি নিজে স্বপ্নবাজ তবে কাথা মুড়ি দিয়ে স্বপ্ন দেখা আমি পছন্দ করিনা l
~
স্বপ্ন দেখতে হয় রোদে পুড়ে পায়ে হেটে l প্রচন্ড রোদে ঘামতে ঘামতে আমি একটা এসি লাগানো ঘরের স্বপ্ন দেখি l শরীরের প্রতিটা জ্বালা পোড়া আমায় ওই স্বপ্ন পূরণে তাগিদ দেয় l
~
আমি পায়ে হেটে ক্লান্ত গায়ে একটা গাড়ির স্বপ্ন দেখি l টেনে নিয়ে চলা পা দুটো আমায় মনে করিয়ে দেয় কোন একদিন পায়ের নিচে এক্সেলেটর রেখে আমি পেরিয়ে যাব হাজারটা মাইল l
~
তেলের টাকা না যুগিয়ে কেউ একটা গাড়ি আমায় মাগনা দিলেও সে গাড়ি চড়ার ক্ষমতা আমার হবেনা l ভালবাসাটা সবার অধিকার হলেও সে ভালবাসা ধরে রাখার যোগ্যতা করে নিতে হয় l
~
প্রেমিকার জন্য দখিন মুখী বারান্দা আর বাবা মায়ের জন্য হজ্বের স্বপ্নটা দারুন মনে হলেও কাথা মুড়ি দিয়ে সে স্বপ্ন দেখা অর্থহীন l
~
তোমার নরম মনের কোনে অসংখ্য স্বপ্ন জমাটা দোষের না l তবে সেই স্বপ্নের গায়ে কাটা থাকতে হবে l সেই কাটা তোমায় খুঁচিয়ে বেড়াবে, তুমি ছুটে বেড়াবে স্বপ্ন পূরণের নেশায় l নইলে তুমি স্বপ্ন দেখছনা ফালতু কল্পনা স বি !


                  বিপ্লব ইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট
মধ্য বিত্ত পরিবারের কোন শিশুর জন্ম দিনের গিফটও হয় খুব হিসেব করে এমন কিছু তাকে দেওয়া হয়না যা নিছক আনন্দ বা শখের l তাকে গিফট করা হবে এমন কিছু যা তার নিত্য প্রয়োজনীয় l যেমন স্কুল ব্যাগ রং পেন্সিল ইত্যাদি l অথবা এমন কিছু যেটা আদৌ সে ইউজ করবেনা কিন্তু ঘরে প্রয়োজন l
~
৬ জনের বেশি মেহমান হলে মধ্য বিত্তের যা হয় সেটা হলো ম্যাচিং করা কাপ পিরিচের অভাব ! কারন মধ্য বিত্তের থালা বাসন কোনটাই হাফ ডজনের উপরে থাকেনা l তাই বাড়তি মেহমান মানেই পাশের ফ্লাট থেকে কাপ পিরিচ ধার করা l
~
মধ্য বিত্তের ড্রইং রুমে এক বক্স টিসু থাকবে তবে সেই টিস্যু কখনো শেষ হবেনা কারন মেহমান ছাড়া ওই টিস্যু তে আর কারো হাত দেওয়ার অনুমতি থাকবে না l
~
মধ্য বিত্ত পরিবারের কোন সদস্য মেহমানের আগে খেতে পারেনা কারন খাবার হিসাব করা l যদি কোন গেস্ট একটার জায়গায় দুইটা রোস্ট খেয়ে ফেলে তাহলে সেটা নিজেরা না খেয়ে পরে মেকআপ করা হবে l
~
বাবা যদি এমন কিছু খাবার কিনে আনে যা সবাই পেট ভরে খেতে পারবেনা তাহলে প্রথমে যেটা হবে- বাবা নিজে বলবে আমি বাইরে থেকে খেয়ে এসেছি আর খাবনা ! মা হয়তো এক গাল খেয়ে বলবে আমার এসব খেতে ভাল লাগেনা আমার কাছে ভাতই ভাল l এরপর বাচ্চারা পেট ভরে খাবে আর বাবা মা বসে বসে দেখবে ....
~
মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো এমন একটা বৃত্তের ভিতরে যেখানে জীবন যুদ্ধ সংগ্রাম গায়ে গা লাগিয়ে থাকে , তবে মানুষ গুলো কখনো হার মানেনা l মধ্য বিত্ত কখনো বৃত্তের ভিতরে থাকেনা, একদিন বৃত্তের বাইরে এসে নিজেরা সীমানা ঠিক করে দেয় l

                        বিপ্লব ইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট

লম্বা সময় নিয়ে ঠোটে লিপষ্টিক লাগানো মেয়েটা জানে মাত্র কয়েক মুহুর্তে আপনি তার ঠোট চুষে সব রং মুছে নিবেন l তার কয়েক ঘন্টার সাজ আপনি কয়েক মুহুর্তে মিলিয়ে দিবেন l আপনি পড়ে থাকবেন শুধু তার মাংস পিন্ডে !
~
তবুও তার সাজ গোজ আপনাকে মুগ্ধ করতে l অথচ সে আপনার খাবার হতে আসেনি যে ইচ্ছে মত এটো করে হাত মুখ ধুয়ে ফেলবেন l প্রত্যেকটা মেয়ে চায় ভালবাসা l সবুজ পাতায় ক্লোরোফিল যেমন সালক সংশ্লেষনের মাধ্যমে উদ্ভিদের খাদ্য যোগায় কামনার মাঝে ভালবাসা তেমনি সুখের সালক সংশ্লেষন l ভালবাসাহীন কামনা পতিতা বিত্তির সমান !
~
পশুর যৌনতা আর মানুষের যৌনতার মাঝে বড় পার্থক্য কি জানেন ? পশুর যৌনতায় কোন ভালবাসা নেই l চুমুর মত স্বর্গীয় আদর শুধু মানুষেরাই জানে l গালে গাল ঘষা বুকের উপর নিশ্বাস ফেলা এই অনুভুতি গুলো শুধু মানুষের ই আছে l
~
না আমি এখানে যৌনতা প্রচার অথবা কামনার উদ্বেগ ঘটাতে এত কিছু লিখছিনা l অধিকাংশ সম্পর্কের পতন এবং পরোকিয়া আসক্তির মূল কারণ এটাই l
~
এ দেশের পুরুষ গুলো যৌনতা বলতে শুধু খাটের গায়ে মচ মচ শব্দ তোলাই বোঝে ! দাত মুখ খিচ দিয়ে ধপাস করে আছড়ে পড়ে ভাবে বেশ হয়েছে আজ ! অথচ একবার পাশ ফিরে দেখেনা মেয়েটা তখনো নিজের ঠোট কামড়ে পড়ে আছে l
~
এ সমাজে নিষিদ্ধ, মেয়েটির কাছে জানতে চাওয়া তার কতটুকু প্রয়োজন ! আর যদি কোন মেয়ে লাজ লজ্জা ভেঙ্গে তার পাওনা টুকু চেয়ে বসে তবে সে মেয়ে নিশ্চিত নষ্টা এক পুরুষে তার হয়না !
~
আল্লাহ যে অনুভুতি দিয়েছে সবার মাঝে পুরুষ তা বন্দী করেছে নিজের খেয়ালে l অথচ একটু ভালবাসা একটু শ্রদ্ধা সম্পর্ক গুলোকে স্বর্গীয় করে তোলে l কয়েক ঘন্টার সাজ কয়েক মুহুর্তে মিলিয়ে না দিয়ে অপলকে কিছুক্ষণ চেয়ে থাকতে হয় l পায়ের নখ থেকে চুলের ডগা পর্যন্ত অসংখ্য চিনির দানা গুলোকে জড়ো করতে হয় l এর পর শুধু একটা চুমু খেয়ে দেখেন l রাত ভর খাট ভেঙ্গে যে হাসিটা পাননি সে হাসিতে দেখবেন জীবন জড়িয়ে গেছে!
~
শেষ করার আগে কলিকাতা হারবাল ভাইদের বলব - যৌনতা বুঝতে শান্ডার তেল অথবা জোকের তেল লাগেনা l শুধু কামনার মাঝে একটু ভালবাসা মিশিয়ে দেওয়ার ম্যাজিক জানলেই চলে l


                     বিপ্লব ইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট
মানুষের জীবনে খারাপ দিন আসার আগের দিন গুলো খুব ভাল যায়।
"
হন্যে হয়ে চাকরি খোঁজার আগে ছেলেটা পরম আয়েশে দেয়ালে পা ঝুলিয়ে বন্ধুর কাধে হাত রেখে ব্যানসনের ধোঁয়া উড়ায়।
"
মাঝ বয়সি লোকটার বাসর ঘরে ফুঁপিয়ে কাঁদার আগে মেয়েটির অনেক গুলি রাত কাটে বুকে বালিশ চেপে তার রাজ পুত্রের কল্পনায় ! 
"
প্রতিটা সুখের দিনে কিছুটা সুখ বাঁচিয়ে রাখতে হয়। সব টুকু সুখ কখনো শেষ করতে নেই।
"
দিনের পর দিন আড্ডাবাজি আজীবন থাকেনা কিছুটা সুখ কমিয়ে দুক্ষ গুলো ব্যালেন্স করা লাগে।
"
স্বপ্নের রাজ পুত্রের আশায় চোখে কাজল মেখে বালিশ চেপে কল্পনা করার আগে ভাবা লাগে রাজ পুত্ররা স্বপ্নে আসেনা নিজ যোগ্যতায় খুঁজে নেওয়া লাগে।
"
আপনারা যারা খুব সুখে আছেন রাত জেগে ফোনের তারে ভালবাসার কাপড় নাড়ছেন। তাদের মনে করিয়ে দেই কল রেট হয়ত সারা জীবন ২৫ পয়সাই থাকবে তবে রাত গুলো একদিন বদলে যাবে। এমন যেন না হয় ২৫ পয়সার শেষ কথাটা হয় আমায় ক্ষমা কর।
"
স্বপ্ন রা শূন্যে ভাসে আর মানুষ গুলি মাটিতে হাটে l দাঁড়িয়ে থেকে ভেসে যাওয়া স্বপ্ন ধরা যায়না। স্বপ্নের পেছনে ছোটা লাগে। তাই কিছুটা সুখ তুলে রাখবেন দুখের দিনে কাজে লাগবে।
"
এক গাদা ভালবাসার গল্প শোনার পর একবার জিজ্ঞেস করবেন আমাকে ছাড়া থাকতে পারবা তো ?
"
হাজারটা স্বপ্ন পূরণে এই একটা প্রশ্নই যথেষ্ট।
                        বিপ্লব ইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট


সত্যি বলতে কি নরম মনের মেয়ে গুলি কষ্ট পায় বেশি। এরা ভালবাসা ঢেকে রাখতে পারেনা। অন্তরে যে টুকু আছে সব টুকু উজাড় করে দিয়ে নিজে নি:স্ব হয়ে বসে থাকে। এরা প্রেমিকের কথায় সব করতে রাজি। প্রেমিকের স্বপ্ন পূরন করতে করতে নিজের স্বপ্ন গুলোই কোথায় যেন হাঁরিয়ে ফেলে একদিন ! অনেকটা রঙ জ্বলা কাপড়ের মত বেঁচে থাকে স্বপ্ন হীন।
নিষ্ঠুর মেয়ে গুলা আবেগ লুকিয়ে ভালবাসতে পারে। এই টাইপের মেয়ে গুলাই সুখী হয় বেশি এবং ভালবাসা ধরে রাখে আজীবন। মেয়ে হলে তার ছলা কলা জানতে হয় সব ছলা কিন্তু খারাপ হয়না। সত্যি বলতে কি এখনকার পুরুষ গুলার জন্য এই মেয়ে গুলিই পারফেক্ট। এবং মজার ব্যাপার ছেলেরা এই টাইপ মেয়ে গুলি পছন্দ করে বেশি।
এই ছেলে দেখি নাকের কাছে আঙুল আনো। আবার তুমি সিগারেট খেয়েছ!
এই রিকশা থামেন। যাও তুমি নামো। অন্য রিকশায় যাও।
-সরি জান। লাস্ট টাইম প্রমিস। আর খাবনা।
নামবে না? আমি এখন সবার সামনে তোমার চুল টানবো।
..........
বাবু দেখ কি সুন্দর কদম ফুটেছ। আমাকে পেড়ে দাওনা প্লিজ
-আমি গাছে উঠতে পারিনা তো!
সামান্য একটা গাছে উঠতে পারোনা তুমি! যাও গাছ তলায় গিয়ে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাক দশ মিনিট।
হুট হাট করে আদুরে কিছু শাষন, মিছে অভিমান,ছোট খাট সাঁজা সব মিলিয়ে একটা টিচার টিচার ভাব। আবার মাঝে মাঝে একদম আহ্লাদী। ছোট বাচ্চার মত অবুঝ কিছু আবদার!
যদি ভাবেন এক গাদা নিখাদ ভালবাসা দিয়ে অথবা নিজের সব টুকু উজাড় করে দিয়ে ছেলেদের ধরে রাখা যায় সেটা আপনার ভুল। ছেলেদের ভালবাসতে হয় রয়ে সয়ে রেখে ঢেকে। এক পাহাড় ভালবাসা অন্তরে রেখে, দিতে হয় একটু একটু করে।

                      বিপ্লব ইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুরদিনাজপুর

হাত দিয়ে কখনো সূর্য ঢাকা যায়না তবু কট কটে রোদে প্রিয় মানুষটার মাথার উপর হাত দিয়ে ছায়া দেওয়ার মানে পাশে আছি l
'
সারাদিন কাজ করে ঘরে ফিরে নিজ হাতে শার্ট খুলে রাখার মত সামর্থ ছেলেটির আছে l তবু একটু কাছে এসে আদর করে বোতাম ছাড়িয়ে দেওয়ার মানে পাশে আছি l
'
জানেন সবার কাছের মানুষ গুলি কাছে থাকেনা l কেউ কেউ আছে ঘরে ফিরে কলিং বেল চেপে দাড়িয়ে থাকে l ভুলে যায় ওপাশ থেকে দরজা খুলে দেওয়ার মত তার ঘরে কেউ নেই l
'
রোজ বিকালে পার্কে বসা ছেলেটি জানে মেয়েটি আর আসবেনা তবু সে অপেক্ষা করে বাতাসে ওর ওড়না ওড়ার পত পত শব্দ শোনে !
'
জ্বরের ঘোরে কোন ছেলে মা মা করতে করতে হটাৎ মনে পড়ে যায় মা আর কোনদিন ফিরে আসবেনা !
'
কোন এক গোছানো ঘর দেখে একজন মায়ের অসহ্য কষ্ট হয় l বার বার বলা কথাটা খুব বেশি মনে পড়ে l বাবু তুই বড় হবি না ?
'
যে মানুষ গুলির কাছের মানুষ নেই তারা নিজের সাথে কথা বলে l রাত জেগে প্রিয় জনের স্মৃতি খুঁজে ফেরে l চোখের নিচে এক রাশ কালি নিয়ে এরা নিঃশেষ হওয়ার অপেক্ষা করে l
'
কারো প্রিয়জন সারাজীবন কাছে থাকেনা এক গাদা ভালবাসা দিয়ে একদিন না বলেই হারিয়ে যায় l সম্পর্গুলোকে অবহেলা করেন না l ঘুমিয়ে যাওয়ার পর প্রিয় মানুষটির মুখের দিকে তাকান l হাত টা তুলে বুকের উপর রাখেন l বুকটা জুড়িয়ে যাবে ....

                  বিপ্লব ইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুরদিনাজপুর

কষ্ট সেই মায়ের জন্য যে কোলের শিশুকে রোজ রোজ বাবা ফিরে আসার মিথ্যা গল্প শোনায়।
কষ্ট সেই মানুষটার জন্য, যে কলিং বেল চেপে ভুলে যায় ওপাশ থেকে দরজা খুলে দেয়ার মানুষটা আজ আর নাই!
কষ্ট সেই মানুষ টার জন্য যে সময় করে প্রতি সপ্তাহে কবরের শুকনো ফুল গুলো বদলে দেয় নিয়ম করে!
কষ্ট সেই মানুষ টার জন্য যে রোজ রোজ বিছানায় শুয়ে নিজের হাত পা নাড়ানোর বৃথা চেষ্টা করে!
কষ্ট সেই মানুষ টার জন্য যে তোমার আমার সুন্দর জুতা দেখে নিজের আধ কাটা পা গুলোর দিকে অসহায় হয়ে তাকায়।
কষ্ট সেই মানুষ টার জন্য, যে বেঁচে থেকে তার চলে যাওয়ার আয়োজন দেখে বেঁচে থাকার আকুতি নিয়ে দিন গুনে যায়!
কষ্ট স্মৃতির এলবামে ধুলো জমা হারিয়ে যাওয়া মানুষ গুলোর জন্য। কষ্ট সেই স্মৃতি বুকে নিয়ে আজও বেঁচে থাকা মানুষ গুলোর জন্য।
কত বিচিত্র এই জীবন! মানুষ গুলা যখন কাছে থাকে তখন আমরা অন্য পাশে তাকিয়ে থাকি আবার যখন মানুষটা হারিয়ে যায় তখন তাকে ভেবেই কষ্ট পাই।
কত বিচিত্র এ জীবন, কত বড় বড় কষ্ট নিয়ে অজস্র মানুষ বেঁচে আছে, আবার কত সামান্য কিছুতে আমরা নিজেকে শেষ করে দেই!
কত বিচিত্র এই জীবন একগাদা ভালোবাসা দিয়ে কেউ একজন টুপ করে হারিয়ে যায়। কেন হারিয়ে যায় তা বলে যায়না, কখনো সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনা!
কত বিচিত্র এই জীবন, যেই প্রতারক ভালোবাসার অযুহাতে সব কিছু লুট করে নিয়ে ছুড়ে ফেলে যায় তাকে ভেবেও আমাদের কষ্ট হয়। মনে হয় মানুষটা তার ভুল বুঝুক, সে ফিরে আসুক, বুকের ক্ষত স্থানে মুখটা চেপে ধরে আরেকবার ক্ষমা করে দেই!
কত কষ্ট বুকে নিয়ে আমরা ভালো থাকার ভান করি, ছোট কষ্ট বড় কষ্ট! লাল কষ্ট নীল কষ্ট !!

                 বিপ্লব ইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুরদিনাজপুর

চৈত্রের দুপুর সাত্তার সাহেব একটা বেতের চেয়ারে উবু হয়ে বসে আছেন তার সামনে শ খানেক ছেলে মেয়ে লাইন ধরে দাড়িয়ে আছে l তিনি সবার হাতে একটা করে আইসক্রিম আর একটা করে জুসের প্যাকেট ধরিয়ে দিচ্ছেন l তিনি যে কাজটা শুধু আজকেই করছেন তা কিন্তু না নিয়ম করে প্রতি মাসে অন্তত দুবার করে করে করেন l কোন কিশোরী মেয়ে তার দেয়া আইসক্রিম খুব আগ্রহ নিয়ে খাচ্ছে এই দৃশ্যটা তার জীবনের সেরা দৃশ্য l এই দৃশ্য দেখতে দেখতে তিনি তার অতীত জীবনে ফিরে যান....
২৭ বছর আগের কথা সাত্তার সাহেবের মায়ের নাম ছিল শাপলা l শাপলার মতই ছিল তার গড়ন l লতার মত দেহটায় এক জোড়া মায়াবী চোখ ছিল ইশ্বরের আশির্বাদ ! খুব অল্প বয়সে শাপলার বিয়ে হয়ে যায় l মাত্র ১৩ কি ১৪ বছর বয়সে কিশোরী শাপলা মা হলেও স্বভাবে থেকে যায় অদ্ভুত এক চাঞ্চল্যতা l
শাপলার খুব শখের বিষয় ছিল ঠান্ডা পানি খাওয়া l বৃষ্টি হলেই সেই পানি ধরে শরবত বানিয়ে খাবে l মাঝে মাঝে সাত্তারের বাবা আইস ক্রিম কিনে বাড়ি ফিরতেন সেদিন যেন বাড়িতে ঈদের আয়োজন শাপলার চোখে আনন্দে পানি চলে আসতো l
যেমন মা তেমন ই ছিল ছেলে l মা ছেলে দুই টাই ঠান্ডা পাগল l বাড়িওয়ালার ঘরে ফ্রিজ ছিল শাপলা তার স্বামি কে না জানিয়ে মাঝে মাঝে চুপি চুপি বাড়িওয়ালাদের টুকি টাকি কিছু কাজ করে দিত l সেই কাজের ভিতর একটি ছিল কল চেপে পানি তোলা l তখনকার সময় ওয়াসার পানি ছিল না তাই টিউবওয়েল চেপে পানি ভরা হত l সাত্তার আর তার মা দুজনে এই কাজটা খুব আনন্দের সাথে করত পরে বাড়িওয়ালাদের বাসায় গিয়ে মাঝে মাঝে ঠান্ডা পানি আর বরফ চেয়ে আনতো l মা ছেলে দুজনে মিলে বিভিন্ন কায়দা করে সেই বরফ পানি দিয়ে আইসক্রিম বানিয়ে খেত !
২২ শে শ্রাবণ , দুপুর বেলা আকাশে খুব মেঘ জমে ছিল l ঘন ঘন বাজ পড়লেও বৃষ্টি হয়নি নি এক ফোটাও l ওদিকে দু মাস ধরে শাপলা কালা জ্বরে ভুগছে l শাপলা বুঝতে পারে সময় ফুড়িয়ে এসেছে জীবনের শেষ সময় শেষ বারের মত একবার ঠান্ডা পানি খেতে চায় শাপলা l সাত্তার ছুটে যায় বাড়িওয়ালার ঘরে মায়ের জন্য এক বোতল ঠান্ডা পানির জন্য বাড়িয়ে দেয় কচি দুটি হাত l ভাগ্য অসহায় বাড়িওয়ালারা ততোদিনে ফ্রি পানি খাইয়ে খাইয়ে বিরক্তির চরম শিখরে , সাফ জানিয়ে দিল ঠান্ডা পানি নাই তদের জন্য কি রোজ রোজ পানি ভরে রাখি ? সাত্তার ফিরে আসে মায়ের কাছে l অবাক হয়ে দেখে মা যে ঘুমিয়ে গেছে ! কি শান্ত হয়ে আছে মায়ের মুখ খানা l শুধু অস্বাভাবিক ভাবে বেড়িয়ে আছে জিব্বা টা ! সাত্তার তাকিয়ে আছে মায়ের দিকে চোখের কোন বেয়ে পানি পড়ছে l কয়েকবার শুধু বিদ্যুত চমকালো , তারপর শুরু হলো ঝুম বৃষ্টি ...
পড়তে পড়তে যারা হাপিয়ে গেছেন তাদের বলার কিছু নেই l তবে যারা শেষ লাইন পর্যন্ত পড়েছেন তাদের বলব বেচে থাকতে মায়ের কাছে যান মাকে জিজ্ঞাস করেন তার মন কি চায় ? হটাত এক গ্লাস শরবত বানিয়ে মায়ের সামনে গিয়ে দাড়ান l মাকে অবাক করে দিয়ে বলেন তোমার জন্য নিজ হাতে বানিয়েছি l মা তুমি খাও আমি একটু দেখি ...
                      বিপ্লব ইলেকট্রনিক্স

একটা গরুর সামনে বিশাল একটা আয়না দাড় করিয়ে দেখবেন গরুটা তার নিজের ছবির দিকেই তেড়ে আসবে l
"
একই সাথে পৃথিবীর অনেক গুলো মানুষ একই সময় আয়েনার সামনে দাড়ায় l তবে সব গুলো মানুষ সাজতে দাড়ায় না l কেউ কেউ দাড়ায় আয়েনার মাঝে নিজের ক্ষত গুলো খুঁজে নিতেl
"
আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করেছি খারাপ চেহাড়ার মানুষ গুলিকে পঁচা পেয়াজের মত বেছে আলাদা করে দেওয়া হয় !
"
কেমন লাগে বলতে পারেন যখন একটা প্রাপ্ত বয়স্কা মেয়ে জানতে পারে জন্মের সময় নিজের বাবা তার মাকে বলেছিল এই মেয়ে আমার না !
"
সিভি দেখে আনন্দে আত্মহারা কোন ছেলের বাপ যখন মেয়েটার কালো মুখ দেখে বিয়েটা ভেঙ্গে দেয়, বলতে পারেন ওই মেয়েটার কাছে আয়না জিনিসটা কি ?
"
দাত উচা চোখ ট্যারা মানুষ গুলোকে যখন খরগোশ বা কানা বলে ডাকা হয় কারো মুখে নিজের নাম শুনলেও তারা চমকে উঠে !
"
নাটা খাটা শুটকি মুটকি বলে কাওকে ডাক দেওয়ার পর মনের ভিতরে একটা আয়না থাকলে দেখতে পেতেন একটা হৃদয় কতটা কুকড়ে যেতে পারে !
"
এই মানুষ গুলো কখনো অভিযোগ করেনা নিজেই এক সময় ভাবে আমিতো এমনি ! মুখ চোরা এই লোক গুলি সারাজীবন শামুকের মত বাঁচে l এরা চায়না কেউ তাদের দেখুক l
"
বন্ধুর আড্ডা অথবা জমকালো কোন আয়োজনে ক্যামেরা বন্দী মানুষ গুলোর মাঝে নিজের ছোট্ট মুখ খানা দেখে ইচ্ছে করে ইরেজার দিয়ে মুখটা মুছে দিতে l
"
আপনি জানেন না এই লোক গুলো আয়না দেখে সব চেয়ে বেশি l যেকোন প্রসাধনীর গায়ে লেখা গুনাবলী দেখে কলিজাটা ঢিপ ঢিপ করে l সত্যি যদি এক রাতে আয়নাটা বদলে যেত !
"
একটা কথা বলি প্রতিটা মানুষই সুন্দর যদি একবার তাকে তা বিশ্বাস করাতে পারেন l মুখ বাঁকা মেয়েটাকে মিথ্যে করেও যদি বলেন তোমার হাসিতে মন জুড়িয়ে যায় l বিশ্বাস করেন তার দিল খোলা হাসিটা তখন সত্যি বদলে যাবে l
"
নিজেকে লুকাতে চুপাতে গিয়ে মানুষ নিজেকে অসুন্দর করে ফেলে l ঝাকড়া চুল হোক আর রেশমী চুল হোক, জড়তাকে ঝেড়ে ফেলে নিজেকে মেলে ধরতে জানলেই সুন্দর প্রতিটি মানুষ l
"
আসুন পৃথিবী থেকে সব গুলো আয়না সরিয়ে ফেলি l কেউ জানবেনা সে আসলে কি ! প্রতিটা মানুষ সুন্দর হবে অন্যের চোখে l
"
আয়না সরাতে হবেনা প্রতিজ্ঞা করুন আজ থেকে কাওকে অসুন্দর বলবেন না l আপনার সুন্দর বলায় যে মানুষটা খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসবে, তার হাসি মাখা মুখটা আপনার রূপের মতই আপনার হৃদয়টাকেও করবে অপরূপ !

                    বিপ্লব ইলেকট্রনিক্স
গত বছর যে ছেলেটা টেবিল ভর্তি ইফতার না হলে রোযা না রাখার ঘোষনা দিয়েছিলো, সেই ছেলেটা আজ গুনে গুনে বাজার করছে। বাবা বলেছিলো একদিন বুঝবি বাবা, ছেলে মনে মনে বলেছিলো আমি তোমার মতন না।
সেহেরীতে ডেকে না তুললে যে মেয়ের রোযা রাখা হতোনা এ বছর সেই মেয়ে সেহেরী বানিয়ে শশুর শাশুড়ির জন্য অপেক্ষা করছে। একদিন মা বলেছিলো মায়ের কষ্ট কি কোনোদিন বুঝবিনা? মনে মনে মেয়ে বলেছিলো বুঝিতো মা, আরেকটু বড় হয়ে নেই তখন তোমার বিশ্রাম। মেয়ে বড় হয়ে স্বামীর ঘরে চলে যায় মায়ের আর বিশ্রাম কই?
আমরা সবি বুঝি সবি পারি শুধু সময় মত পারিনা। কেন পারিনা জানো? আমাদের বাবা মায়েরা ম্যাজিকের মত সংসার চালায়।
অথচ জাদু দিয়ে সংসার চলেনা। সকল কষ্ট নিজেদের মাঝে রেখে আমাদের বুঝতে দেন না বলেই সংসারটা জাদুর মত মনে হয়।
হতেও তো পারে তাদের সাথে এটাই তোমার শেষ রোযা, তাই রোযা রেখে মটকা মেরে পড়ে না থেকে তাদের ঘরে একটু উঁকি দিও। কিছুই করতে হবে না, শুধু জিজ্ঞেস কইরো মা খারাপ লাগছে না তো? দেখবা উলটা তোমার মুখে মাথায় হাত বুলিয়ে বলবে যা গিয়ে রেস্ট কর।

                    বিপ্লব ইলেকট্রনিক্স

পৃথিবীতে আসলে দুই শ্রেনীর পুরুষ আছে এক দল রক্ষক আরেক দল ভক্ষক। পুরুষ যখন বাবা অথবা ভাই হয় তখন সে রক্ষক আবার সেই পুরুষই অন্য কোন নারীর জন্য হয়ত ভক্ষক।
তবে পুরুষ হয়ে ওঠার আগে একবার মানুষ হতে হয়। যে মানুষ তার পৌরসত্ব শুধু পুরুসাঙ্গে নয় অন্তরে লেখা থাকে। আর সে পুরুষ তার স্ত্রীকে তার নিয়ামত আর অন্য নারীদের আমানত মনে করে।
যে মানুষই না সে আবার পুরুষ কি ? অমানুষ কে তাই পুরুষ বলে কোন পুরুষকে ছোট করবেন না l কালে কালে পৃথিবীতে যত নবী রাসূল গণ এসেছেন সকলেই পুরুষ ছিলেন।
সত্যিকারের পুরুষ সেই যার কাছে নারী জাতি নিরাপদ l পুরুষের চওরা বুকটা শুধু নারীদের পিষ্ট করার জন্য নয় সেটা একটা ঘর। সে ঘরে মেয়েরা মায়েরা নিরাপদ।
               BIPLOBPARBATIPUR

নদীর পানিতে রোদের আলো চিক চিক করছে, কাশফুল গুলো বাতাসে দোল খেয়ে লেগে যাচ্ছে একটা আরেকটার গায়ে।
ঝিরি ঝিরি বাতাস সুগন্ধি বয়ে বেড়াছে সদ্য ফোটা আমের মুকুলের।
এক সাথে এক ঝাক প্রজাপতি ডানা ঝাপ্টে ছুটে যাচ্ছে দিগন্তের দিকে।
ধব ধবে সাদা বিছানায় হাত পা ছড়িয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে আছে পিঁপড়া বর, কাঁচের জানালা ভেদ করে ওর খোলা পিঠে রোদের তাপ বাড়ছে।
টুংটাং চুড়ির শব্দে পিঠের উপর ছায়া নেমে এলো। আধ ভেজা চুল গালের এক পাশ টা শীতল করে দিয়ে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো।
ভর দুপুরে ঠিক মাটির উপর যেভাবে নিজের ছায়া পড়ে, ঠিক সে ভাবে ছায়া হয়ে পিপড়ার পিঠ ঢেকে গেলো চিনির বুকে।
রোদের তাপ এবার চিনির শীতল পিঠে। সিদ্ধ ভাপা পিঠায় যে ভাবে গুড় গুলো গলে মিশে যায়,সেভাবে দুটো মানুষ ভালোবেসে মিশে যাচ্ছে একে অন্যের ভিতরে।
এমন একটা মধ্য দুপুর আসুক, তীব্র রোদ গলে মুছে যাক অভদ্র প্রেমে....

                  BIPLOBPARBATIPUR
৭.৭ বিলিয়ন মানুষের মাঝে শুধু একজন মানুষ
পাবে যার সাথে যত কথা বলো কখনো তা ফুরাবেনা।
এর থেকেও অনেক কাছের কেউ হয়ত তোমার আছে, তোমার বাবা মা ভাই বোন যাদের তুমি নিজের জীবনের চাইতেও বেশি ভালোবাসো অথচ অদ্ভূত হলেও সত্যি এই মানুষ গুলো দিনভর তোমার ভাবনায় থাকেনা।
এমন একটা মানুষ তোমার সমস্ত ভাবনা দখল করে নিবে যাকে তুমি কোনোদিন চিনতেও না! এই একটা মাত্র মানুষের অনুপস্থিতি পুরো পৃথিবী পেয়ে গেলেও কখনো পূরন হবার নয়।
নিষ্ঠুর বাস্তবতা হলো সেই মানুষটাকে হয়ত পুরোপুরি তুমি পাবেনা কখনো। হয়ত ক্ষনিকের জন্য তোমার সমস্ত পৃথিবী ভুলিয়ে দিয়ে একদিন হুট করে উধাও হয়ে যাবে।
পুরো পৃথিবী তন্ন তন্ন করে খুঁজেও সেই মানুষটাকে আর পাবেনা। অথচ মানুষটা বেঁচে থাকবে তোমার বুকের মাঝে। তার স্মৃতি গুলা বুকের মাঝে ডাল পালা ছড়াবে। তোমার হাসি খুশি মুখের অন্তরালে বুকের মাঝে মাঝে চিন চিন করে জানান দিবে তার অস্তিত্ব। এই অনুভূতি কেউ জানবেনা হয়ত সেই মানুষটাও না!
ক্ষনিকের এই পৃথিবীতে চিরন্তন নয় কিছুই। অজস্র মায়া আর স্মৃতির এক খন্ড জীবন আমাদের। এর মাঝেই আমরা বেঁচে থাকি ভালো থাকি অথচ অদ্ভূত এই অনুভূতি পিছু ছাড়েনা কখনোই।
                      BIPLOBPARBATIPUR
This post about
বিপ্লব,biplob,BIPLOB,biplobblogger,biplobblogger,বিপ্লবব্লোগার,বিপ্লব ব্লোগার,বিপ্লব পার্বতীপুর,বিপ্লবপার্বতীপুর, বিপ্লব হলদীবাড়ি,বিপ্লবহলদীবাড়ি,BIPLOBBLOGGER,BIPLOB PARBATIPUR,BIPLOBPARBATIPUR,01616918888,০১৬১৬৯১৮৮৮৮,0178791888,০১৭৮৭৯১৮৮৮৮,BIPLOBBANGLADASH,BIPLOBHOLDIBARIPARBATIPUR,BIPLOBDINAGPUR,বিপ্লবদিনাজপুর,বিপ্লব দিনাজপুর,বিপ্লব ইলেকট্রনিক্স,বিপ্লবইলেকট্রনিক্স,বিপ্লব ইলেকট্রনিক্স হলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুর দিনাজপুর,বিপ্লবইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুর দিনাজপুর,বিপ্লবইলেকট্রনিক্স হলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুরদিনাজপুর,বিপ্লব ইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুরদিনাজপুর,বিপ্লবইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুরদিনাজপুর,Biplob ElectronicsHaldibariRailgatePar batipurDinajpur,BiplobElectronicsHaldibariRailgate ParbatipurDinajpur,Biplob Electronics HaldibariRailgate ParbatipurDinajpur,Biplob Electronics HaldibariRailgateParbatipur Dinajpur,Biplob Electronics HaldibariRailgate Parbatipur Dinajpur


☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "বিপ্লব ব্লোগার""ভালোবাসার ছন্দ এবং মনোভাব"

Post a Comment

যোগাযোগ ফর্ম

Name

Email *

Message *

 BIPLOB BLOGGER

প্রতিদিন সকল ধরনের চাকরির খবর আপডেট পেতে আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করবে এবং আপনি যদি এন্ড্রয়েড মোবাইলে আপনার চাকরির বিজ্ঞপ্তি গুলো পেতে চান তাহলে আমাদের একটি অ্যাপস রয়েছে সেটি নিচের দেওয়া লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন

বাংলাদেশ রেলওয়েতে একটি নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে পদের 
নামঃ খালাসী 
পদ সংখ্যা:-১০৮৬ জন
আবেদনের শেষ তারিখ:-২৬ই জানুয়ারি ২০২২।  ও বিস্তারিত জানুন নিচের দেওয়া ভিডিওটিতে