বিপ্লব ব্লোগার

বিপ্লব ব্লোগার

সব সময় ছুঁতে নেই, মাঝে মাঝে শুধু নির্বাক হয়ে দেখতে হয়।
আয়েনা খুটে টিপ পড়ার দৃশ্যটা তোমায় নির্বাক করবে, ঠোঁটের ফাঁকে চুলের কাটা রেখে হাতের মুঠোয় খোপা বাঁধার দৃশ্যটা তোমায় নির্বাক করবে!
ছোট ছোট এমন অনেক দৃশ্য তুমি দেখবে যা দেখার পর মনে হবে, যা আমাদের চোখে পড়ে তার সব আমরা দেখিনা। দেখার জন্য দুটি চোখের পাশাপাশি সুন্দরে ভরা একটা মন লাগে, যা সবার থাকেনা।



জাগতিক সকল কষ্ট লাঘবের একমাত্র উপায় হচ্ছে - যা কিছু হয়েছে সেটা মেনে নেয়া। যে যত দ্রুত মেনে নিবে সে তত দ্রুতই মুভ অন করবে। এই মেনে নেয়া ছাড়া জগতের সব কিছু পায়ের সামনে গড়াগড়ি খেলেও ডিপ্রেশন থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়।
বিশ্বাস করো বাবা মা ছাড়া পৃথিবীতে আপন বলে কিছু নেই। নিজের বাবা মা ছাড়া এই পৃথিবীতে আর যা কিছু বলো যত কিছুই বলো সবটাই শুধু মায়া আর প্রয়োজন।
যে প্রেমিক তোমায় ভালোবেসে জীবন দিতে প্রস্তুত সেও তোমাকে ভালোবাসেনা। সে ভালোবাসে তার নিজেকে। তুমি ছাড়া সে নিজেকে অসহায় ভাবে বলেই তোমাকে এতটা ভালোবাসা। এটা আসলে ভালোবাসা না, প্রয়োজন। এই প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে মায়া ফুরাতে এক মুহুর্ত সময় লাগবেনা তার।
পৃথিবীর কোনো প্রয়োজনই চিরস্থায়ী নয় তাই ক্ষনে ক্ষনে মানুষের প্রয়োজন বদলায় সেই সাথে বদলায় একে অন্যের প্রতি অনুভূতি।
যা তুমি পাচ্ছ তা তুমি ডিজার্ব করো, যোগ্যতা ছাড়া কারো পা ধরে পড়ে থাকলেও লাথি ছাড়া ভালোবাসা পাওয়া যায়না। আর কেউ যখন ছেড়ে যাবে ধরে নিবে তার কাছে তোমার উপযোগিতা শেষ।
হয় নিজের মূল্য ধরে রাখতে শেখো না হয় যার কাছে মূল্যহীন হয়ে গেছ সে ছেড়ে যাবার আগে নিজে সরে আসো। সময় মত সরতে পারলে এট লিষ্ট এটা বোঝাতে পারবে হয়ত তুমি তার কাছে এভেইলেবল ছিলে কিন্তু সস্তা ছিলেনা!



"নিজেকে ব্যাখ্যা করতে ইচ্ছে হয় না মাঝে মাঝে ... মনের ভেতর অভিযোগ জমতে থাকে ... মানুষগুলো কেন আমাকে বুঝবে না ... কেন আমাকে বারবার নিজেকে ব্যাখ্যা করতে হবে ... কেন কেউ চোখের ভাষা পড়তে পারে না ... কেন মানুষগুলো মাইন্ড রিডার না !!
অভিমান আর অভিযোগ জমতে জমতে দূরত্ব বাড়ে ... অথচ আমি একটু ভেঙ্গে বললেই বুঝে যেতো ... নিজের চেপে রাখা অনুভূতিগুলো প্রকাশ করলেই সব সহজ হয়ে যেতো ... আমার সারাদিনের যুদ্ধের খবর তো কেউ জানে না ... আমার ভেতরটা যে ভীষণ এলোমেলো, ভীষণ বিধ্বস্ত - তা কেউ কিভাবে বুঝবে?
আমি তো স্বচ্ছ জলের মত নই ... আমাকে আমিই বুঝি না মাঝে মাঝে ... পুরো পৃথিবী কি করে বুঝবে?" 



একটা সাদা শার্ট পড়ে সারাদিন ঘুরে রাতে যখন ঘরে ফেরো শার্ট টা মলিন হয়ে যায়। আবার সেটা ধুয়ে ইস্ত্রী করে নিলে কড়কড়ে নতুন মনে হয়।
তোমার আমার মনটাও তাই, ভোরের আলোয় সতেজ মনটাও দিন ভর ছোটা ছোটি করে হাসে কাদে এক সময় বিষন্ন হয়।
শার্টের মত মন টা ধুতে আমরা ভুলে যাই। দিন দিন বিষন্নতা তাই এক সময় কড় কড়ে দাগ হয়ে যায়।
অথচ হাজারটা অস্থিরতা তুমি এমনিতেই ঝেরে ফেলতে পারো শুধু মাত্র নিজের কাজে মন দিয়ে।
অন্যের পোস্টে তুমি রি একশন দিতে না গেলে, অন্যের কাজে তুমি নাক না গলালে, অন্যের সমালোচনায় মজে না থাকলে জীবন দেখবে এমনিতেই সহজ।
নিজের জন্য করার মত কিছু থাকলে বিষন্নতার সুযোগ নেই। বেশির ভাগ ঝামেলা গুলো আমাদের জীবনে আসেনা, আমরা নিজেরাই তা টেনে আনি৷
আমরা নিজেরাই আমাদের জীবনে কাওকে ডেকে নিয়ে আসি অথবা কারো সাথে জুড়ে যাই, এক সময় নিজের দিন রাত অন্যের হাতে তুলে দিয়ে নিজেকে নিঃস্ব ভেবে কাঁদি।
যা তুমি পেয়েছ তা তোমার, যা তুমি পাওনি তা অন্যের। যা তুমি হারিয়েছ তা তোমার ছিলোই না কখনো। যা তোমার কাছে থেকে যাবে তা কখনো অন্যের হবেনা।
সিম্পল এই ভাবনা গুলোই শার্টের মত মন ধুয়ে দেয়। রোজ রাতে শোবার আগে মন টা এভাবে ধুয়ে নিও। তাহলেই দেখবে রোজ সূর্যটা শুধু তোমার জন্য উঠবে। ঝলমলে এই আলোর পৃথিবীটা শুধু তোমার হবে। আর চার পাশের হাহাকার তোমার চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিবে সিম্পলের চেয়ে সুন্দর আর কিছু নাই। যে যত গর্জিয়াস ভাবে নিজেকে, ততটাই জটিল সে ভিতরে ভিতরে.....


মাঝে মাঝে কি এমন হয়েছে অনেক বছর পরে কাওকে দেখে ভীষন চমকে গেছেন? শেষ বার দেখা সেই মানুষটা আর আগের মানুষ নাই।
প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী আর বলিষ্ঠ মানুষ টা যেন ভেংগে চুরে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। যে চোখের তেজে এক সময় নিজের ছায়া সরে যেত সেই চোখ জোড়ায় আজ কিসের যেন আকুতি। প্রচন্ড মায়া নিয়ে এখন মানুষটা কি যেন খুঁজে বেড়ায় অসহায়ের মত।
একটা না দুইটা না এমন অসংখ্য মানুষ আপনার চারপাশে। অনেক বছর পর একবার হাই স্কুলের সেই অংক স্যার কে খুঁজে বের করেন। সামনে গিয়ে দেখেন এটাই কি সেই মানুষ যার ভয়ে একদিন শব্দ করে নিশ্বাস ফেলতেও ভয় পেতেন !
অনেক বছর পর ছোট বেলার সেই পাড়ার মাস্তানটা অথবা ক্রাশ খাওয়া রোমীয় ভাইটাকে খুঁজে বের করেন। খুব কাছে গিয়ে দেখেন সময় কি নিষ্ঠুর প্রতিশোধ নিয়ে তাদের ছুড়ে ফেলে গেছে!
চোখের সামনেই তো আছে রোজ রোজ একটু একটু করে বদলে গেছে বলে খেয়াল করা হয়নি। নিজের বাবার মুখটা দেখেছেন? দেখেছেন কানের পাশের একটা দুইটা সাদা চুল কি বিশ্রী ভাবে ভেংচি কেটে যাচ্ছে? মায়ের গলার যেখান টায় আপনি গাল পেতে শুতেন, দেখেছেন সেখান টায় কুঁচকে যাওয়া চামড়ার দিকে একবার তাকিয়ে?
আপনি যখন আয়েনায় দাঁড়িয়ে সাধের শরীরে লোশন অথবা ক্রীম লাগাবেন এক মুহুর্ত চোখ দুটো বন্ধ করে আবার একবার তাকাবেন । দ্বিতীয় বার যখন তাকাবেন তখন তৃতীয় এক জোড়া চোখ দিয়ে সেই মানুষ গুলোর মুখ গুলো ভাব্বেন 'সময় যাদের নিষ্ঠুর ভাবে শুষে নিয়ে অসহায় করে ছুড়ে ফেলে গেছে। আমি বিশ্বাস করি এক মুহুর্তের সেই আঁধার আপনাকে অনন্ত কালের আলোর পথে নিয়ে যাবে...




বাবা ছেলের সম্পর্কের ভিতরটা যাই হোক উপরটা কিন্তু একটু ঝাঁঝালো, ছেলের যা কিছু দরকার সব তার মায়ের কাছে।
মা বাবাকে একটু বুঝিয়ে বলোনা কিছু টাকা দরকার!
আবার মা মেয়ের সাথে কিছুটা খুন সুটি সব সময় লেগে থাকলেও বাবার সাথে ব্যাপারটা একদম আলাদা। বাবা ঘরে ফেরার সাথে সাথে গলা জড়িয়ে ধরা, একটু খানি চা করে দেয়া অথবা মাথায় একটু তেল দিয়ে দেয়া, তারপর প্রিয় বাবার কাছে নতুন কোন আবদার করা। গলা থেকে হাত সরিয়ে নিয়ে মেয়েকে মুখের উপর না করে দেয়াটা প্রায় সব বাবাদের কাছেই অসম্ভব একটা ব্যাপার! কিছু না হোক অন্তত চেষ্টা করবো এটা বাবা রা বলবেই।
কোন মেয়েই তার বাবা কে কোনদিন বলেনা জন্ম দিয়েছ এখন পারবা না কেন! আমরা ছেলেরা যেটা মাঝে মাঝে বলে ফেলি।
বোনের অনেক আবদার ভাইরা অনেক সময় বিভিন্ন কায়দায় এড়িয়ে যায় কিন্তু কোন বোনেদের যদি ঠিক ঠাক বলা যায়
আপু প্লিজ আমাকে এটা করে দে না!
একশটা ঝারি মারতে মারতে হলেও সে কাজটা সে করে দিবেই।
কথা গুলো কেমন এলোমেলো লাগছে তাইনা? ভাবছেন গল্পটা কোথায়? আসুন গল্পটা দাঁড় করাই।
উপরের কথা গুলো পড়ার সময় কেমন নিজের মায়ের ছবি বোনের ছবি ভেসে উঠেছে তাইনা? একটা অন্যরকম নিস্পাপ ভাল লাগা কাজ করেছে বলেই মনে হয়েছে আসলেই তো প্রতিটা মেয়ে কত আদুরে আহ্লাদী আর লক্ষী! অথচ এমন করে যদি শুধু একটা লাইনও লিখতাম.....
স্বর্গের অপ্সরীর মত দুটি টানা চোখ!
বেশির ভাগ ছেলেরাই বাকি দৃশ্যটা নিজের লালসা মত কল্পনায় এঁকে নিত! আমি বলছিনা আর বলাটাও বোকামী যে, যে কোন মেয়ে কে আমি মায়ের চোখে বোনের চোখে দেখবো । হাজার হলেও আমি পুরুষ আমার কাম ভাবে আমার পৌরুষ। কিন্তু মা বোন ছাড়া যে কোন মেয়েকে কামনা করাটাও কি পূরুশত্ব!
একটা চেয়ার সুন্দর হতে পারে টেবিল সুন্দর হতে পারে আকাশের চাঁদ টা সুন্দর হতে পারে। একটা সুন্দর আকাশ দেখে মন ভাল হয়, বিশাল সাগর দেখে মন ভাল হয়, সুন্দর একটা মেয়ে দেখলে কেন মন সুন্দর হয় না! কেন তাকে শুধু একটা সুন্দর মানুষ ভাবা যায়না? নারী সুন্দর শুধু ভোগের জন্য?
আপনার বউ অথবা প্রেমিকা আছে তারপরেও কেন আপনার বান্দবীর প্রতি এত লোভ? কেন প্রতিবেশীর স্ত্রীকে আপনার ভাবী মনে হবে না? কেন ভাবী বলার সময় আপনার জীভ জড়িয়ে যাবে? কেন অন্যের পাঁচ বছরের নিস্পাপ বাচ্চাটা আপনার কোলে নিরাপদ নয়? কেন একটা মেয়ে ভীড়ের মাঝে হেটে গেলে তাকে গুতা মারাটা আপনার যায়েজ মনে হবে?
আপনি একজনকে কল্পনা করেন তাকে নিয়ে ভাবেন কিন্তু যাকে দেখবেন তাকেই ভাবতে হবে? আপনি পূরুষ কি শুধু কাম আছে বলেই? বেহেয়ার মত যে মেয়েটা আপনার গাঁয়ে গা এলাতে চায় তাকে সরিয়ে দিয়ে যদি বলেন আমি আমার স্ত্রী কে ভালবাসি, আমি আমার সব কিছু আমার প্রেমিকার নামে করে দিয়েছি তাহলে কি আপনি পুরুষ নন?
আপনার কামনাকে কন্ট্রোল করে যদি কোন নষ্ট মেয়েকে ডিনাই করে নিজের চরিত্র জাহির করতে পারেন তবেই আপনি পুরুষ। আর তবেই পুরো পৃথিবীতে এক ঝাঁক নারী শব্দ করে হাসবে গালে টোল পড়বে চুড়ি বাজবে নুপুর বাজবে। পৃথিবীটাকে অনেক সুন্দর দেখাবে। আসুন মাকে মায়ের জায়গায় বোনকে বোনের জায়গায় প্রেমিকাকে প্রেমিকার জায়গায় বসাই, আর বাকি পৃথিবীটা ভরিয়ে দেই পবিত্রতায়। পুরুষ হিসাবে যদি নিজেকে শ্রেষ্ঠ মনে করেন তাহলে প্রতিটা মেয়েকে নিরাপদ করেন। বিশ্বাস করেন একটা মেয়েও আর নষ্ট হবেনা কেউ বাজারী হবেনা পতিতা হবেনা। মেয়েরা সম অধিকার চায় কথাটা ভুল। মেয়েরা চায় নিরাপত্তা মেয়েরা চায় ভরসা। আমরা তা দিতে পারিনা বলেই নারী বিশ্বাস করেনা পুরুষ শ্রেষ্ঠত্যে।
গল্পটা হয়েছে এবার?




তিন বছরের সম্পর্কে অসংখ্য বার তুমি তাকে বলেছো প্লীজ লক্ষীটি আর কিছুদিন দাও অনেক চেষ্টা করেছি এবার কিছু একটা হবেই ইনশা আল্লাহ। একবার এ নিয়ে তোমাদের তুমুল ঝগড়াও হলো, সে বলল ব্রেক আপ! তুমি বললে ওকে ফাইন। কিছু একটা করে তবেই তোমার সামনে আসবো। মাত্র দুই মাস পরেই তোমার দিন বদলে গেল। না কিছু একটা না খুব বড় কিছু একটা তুমি হয়ে গেলে। আনন্দে আত্মহারা তুমি ছুটে গেলে তার বাড়ির গেইটে। দরজা খোলার অপেক্ষায় আছো......
না তোমার প্রিয়তমা আসেনি এসেছে তার মা।
আন্টি নিতু কোথায়?
কেন বাবা তুমি কিছু জানোনা? ও তো শশুর বাড়ি!
ঠিক এই মুহুর্তে কি ঘটে গেল সেটা তুমি একশ বার ভাবতে পারো হাজার বার ভাবতে পারো। বার বার চোখ কচলে দেখতে পারো, কিন্তু কোন কিছুই আর বদলাতে পারো না !!
খুব ভাল একটা চাকুরী করো তুমি। কিছুদিন আগেই তোমার প্রমোশন হয়েছে বেশ সাহস করে জমানো টাকা দিয়ে একটা ফ্লাট বুকিং দিয়ে নিশ্চিন্তে বসে আছো। বাহ কোন রকম কিস্তিটা শেষ হয়ে গেলেই লাইফ স্যাটল। পরের দিন বিনা নোটিশে তোমার চাকুরীটাই শেষ ! ঘুম থেকে উঠে বসে আছো আজ অফিস নেই! এ মাসের কিস্তি? পরের মাসের কিস্তি? ভাবছো হয়ে যাবে আরেকটা ব্যাপার না! কিন্তু তিন মাস চলে গেল কিস্তি তো দূরে থাক এ মাসে তোমার ঘর ভাড়াই নেই! রাজ্যের বিষ্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছো, সেদিনের তোমার হাসি মুখে ফ্লাট বুকিংয়ের সময়টা এখন তোমার এক যুগ মনে হবে।
অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে জায়গা জমি বেঁচে তোমার স্বপ্নের ভিসা এখন হাতে! খুব ভাল ছাত্র ছিলে বাবা মায়ের ইচ্ছে ছিল খুব বড় কিছু হবে কিন্তু তোমার ইচ্ছা ছিল টাকা। তাই একগাদা অবিশ্বাস নিয়েও দালালের হাতে তোমার সর্বস্ব বঁচে তুমি টাকা টা তুলে দিয়েছিলে এখন নিজেরই লজ্জা লাগছে এমন ভাল একটা মানুষকে তুমি খারাপ ভেবেছিলে! তুমি এখন ইমিগ্রেশন রুমে দাঁড়িয়ে আছো তোমার সামনে স্বপ্নের আমেরিকা আর পেছনে নিশ্চিন্তে দাঁড়িয়ে আছে বাবা মা যাক ছেলেটা এবার দাঁড়িয়ে গেল।
আপনার ভিসা তো জাল! তুমি যেন শুনতেই পাওনি। হাসিটা এখনো ঠোঁটে ঝুলে আছে কুচকে গেছে শুধু ভুরু জোড়া!
জ্বী!!
কে দিয়েছে এই ভিসা?
তুমি আপ্রান চেষ্টা করছো তোমার চোখ দুটি বন্ধ করে ফেলতে, বার বার মনে হচ্ছে খুব ভয়ংকর কোন স্বপ্ন দেখছো তুমি। এই তো এক্ষুনি চোখ খুললে দেখা যাবে সকাল হয়েছে কেবল!
তোমার জীবনে এমন কিছু ঘটবে যা শত চেষ্টাতেও আর বদলানো যাবেনা। মাথা খুঁটে মরে যেতে ইচ্ছা করবে, পৃথিবীটা ভেঙে ফেলতে ইচ্ছা করবে কিন্তু কিচ্ছু করা হবে না। সময়ের কাছে সব ঘাঁয়ের মলম থাকে। দেখবে একদিন, হয়তো অনেক দিনের পর তোমার আবার ভাল লাগবে। হয়তো আবার কেউ তোমার নষ্ট জীবনে এসে তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে যাবে কিরে পাগ্লু সে কি আমার চেয়ে বেশি সুন্দরী? হয়তো চাকরী হারিয়ে যে চার মাসের মাথায় মরে যেতে চাইছিলে ঠিক তার পরের দিন কোন এক অফিস থেকে একটা ফোন আসবে তোমার চাকুরী হয়েছে আগের বেতনের ডাবল! হয়তো দালালের কাছে সর্বস্ব হারিয়ে একটা বছর ভব ঘুরে থেকেও ঠিক আবার লেখা পড়া টা শুরু করেছিলে। হয়তো আজ তোমার রেজাল্ট হবে, তুমি এবার স্কলার্স নিয়ে আমেরিকা যাচ্ছ.......
জীবনটা এমনই, কোন কিছুতেই সে থেমে থাকেনা। বার বার হেরে গিয়েও নতুন করে ঘুরে দাঁড়ায়। যেটা ধরে রাখতে হয় সেটা হলো বিশ্বাস। হতাশায় দাঁড়িয়েও যে নতুন আশায় বুক বাঁধতে পারে জীবন কখনো তাকে হারিয়ে দিতে পারেনা। এই জন্য আমি স্বপ্নবাজ। ভিশন স্বপ্নবাজ!!



আচ্ছা যদি এমন হয় ধরেন আপনার ফাইনাল exam চলছে l ৩ তারিখ সকালটা আপনি ২ তারিখ ভেবে বসে আছেন l হটাৎ আপনার এক বন্ধু ফোন দিয়ে বলল কিরে তুই exam দিলি না ?
কিংবা
ধরেন উচু কোন বিল্ডিংয়ের ছাদে দাঁড়িয়ে ছিলেন হটাৎ পা পিছলে পড়ে গিয়ে রেলিং ধরে ঝুলে আছেন। না আপনি মরে যান নি বা পড়েও যাননি। শুধু ঝুলন্ত অবস্থায় মাটির দিকে তাকিয়ে আছেন !
অথবা
কখনো এমন স্বপ্ন দেখেছেন ? খুব ভয়ঙ্কর কিছু আপনার দিকে ছুটে আসছে আর আপনি প্রাণপনে ছুটছেন l অথচ আপনার পা দুটো এক চুলও নড়ছে না l অসাড় পায়ে দাড়িয়ে অসহায় হয়ে দেখছেন ভয়ঙ্কর কিছু আপনাকে ঘিরে ফেলেছে!
কখনো বাবা ছেলে পাশা পাশি দাড়িয়ে দেখেছেন আপনার বয়সী কেউ তার পিতার লাশ আকড়ে ধরে আছে?
~
এই মাত্র সরে আসা জায়গাটার উপর দিয়ে সাঁই করে ছুটে গেল ছুটন্ত কোন বাস l মাত্র দুটা সেকেন্ড! কল্পনা করুন আপনি সরে যান নি!!
সুযোগ পেলে কখনো পংগু হাসপাতাল অথবা বার্ণ ইউনিটে একবার যাবেন । খুব কাছ থেকে শুনবেন কারো আত্ম চিৎকারে কিভাবে কলিজা ফাটার শব্দ শোনা যায়!
খুব কাছ থেকে দেখবেন গজ কাপড়ের ব্যান্ডেজ খোলার সময় কাপড়ের সাথে কাঁচা মাংস উঠে আসে কিভাবে !! কিভাবে চামড়া ছিড়ে ছিড়ে রক্ত ঝরিয়ে আবার নতুন করে ওয়াশ করানো হয়!!
~
কখনো এভাবে ভেবে দেখেছেন কতটা অনুগ্রহ নিয়ে বেঁচে আছি আমরা ?
~
আল্লাহ সবাইকে ইশারা দেন। সিগন্যাল ছাড়া আল্লাহ বিপদ দেন না। অনেককে মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ঘুরিয়ে আনেন আবার অনেকের চোখের সামনে অন্যের মৃত্যু ঘটিয়ে দেখান। আমরা আসলে সিগ্ন্যাল বুঝিনা। যদি বুঝতাম তাহলে ফযরের অযু শেষ হওয়ার আগেই যোহরের জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকতাম।




হাইওয়ে রোডে চলতে থাকা একটা গাড়ি হটাৎ করে নষ্ট হয়ে যায়। গাড়ির মালিক অল্প বয়স্কা এক সুন্দরী মেয়ে। একে তো সন্ধ্যা তার উপর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। একা একটা মেয়ে গাড়ির পাশে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এক যুবক এগিয়ে আসলো তার দিকে।
আমার নাম জিসান। আপনার গাড়িতে কি কোনো প্রবলেম হয়েছে?
জ্বী হটাৎ করে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায় এখন আর স্টার্ট নিচ্ছেনা!
আপনি দুশ্চিন্তা করবেন না, গাড়িতে গিয়ে বসুন আমি সাহায্য করছি।
ছেলেটা গাড়ির বনেট খুলে চেইক করলো, এবং সমস্যা ধরতে পেরে সেটা ঠিক করে দিলো।
মেয়েটা খুশি হয়ে ছেলেটাকে কিছু টাকা দিতে চাইলো। কিন্তু ছেলেটা টাকা নিতে অস্বীকার করলো।
এটা আমার প্রফেশন না তাই এই টাকা আমি নিতে পারবোনা। কোনো একদিন আমাকেও একজন এভাবে উপকার করেছিলো এবং বলে ছিলো সুযোগ আসলে যেন আমিও কারো উপকার করি এবং এই চেইন অফ হ্যাপিনেস টা ধরে রাখি। আপনিও কোনোদিন কারো বিপদ দেখলে সাহায্য করবেন এবং চেইন অফ হ্যাপিনেস টা ধরে রাখবেন।
মেয়েটা খুশি মনে বিদায় নিলো। অন্য একদিন মেয়েটা একটা কফি শপের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো। হটাৎ লক্ষ্য করলো প্রায় সাত মাসের এক অন্ত সত্ত্বা মেয়ে কফি শপে কাজ করছে। মেয়েটা তাকে ডেকে কিছু স্নাক্স অর্ডার করলো।অন্ত:স্বত্বা মেয়েটা এত হাসি খুশি ভাবে কাজ করছে যে মুখ দেখে বোঝার উপায় নেই সে অন্ত: স্বত্তা কিনা! যাই হোক স্নাক্স গুলো নিয়ে গাড়িতে ওঠার আগে মেয়েটা টেবিলের উপর একটা খাম রেখে গেলো।
কফি শপের মেয়েটা ঘুরে এসে বিল নেয়ার সময় দেখলো বিলের পাশে একটা খাম রাখা আছে। মেয়েটা খাম টা খুলল। খামের ভিতরে দশ হাজার টাকা আর একটা ছোট চিরকুট রাখা।
মেয়েটা পড়তে শুরু করলো। তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে তুমি অন্ত: স্বত্তা! এই অবস্থাতেও তুমি কাজ করছো! বুঝতে পারছি টাকা গুলো তোমার দরকার। আমি কে জানার দরকার নাই। যদি পারো অন্য কারো বিপদে তাকে সাহায্য করে এই চেইন অফ হ্যাপিনেস টা ধরে রেখো।
কাজ শেষে মেয়েটা খাম সহ ঘরে ফিরলো। ঘরে ঢুকে দেখলো তার স্বামী চিন্তিত মুখে বসে আছে। মেয়েটা পেছন থেকে স্বামীকে জড়িয়ে ধরে বলল। তোমাকে আর চিন্তা করতে হবেনা। আমার ডেলিভারির টাকা জোগাড় হয়ে গেছে। আই লাভ ইউ মাই হাসবেন্ড জিসান।
জিসান! চিনেছেন তো?
যদিও গল্পটা বেশ পুরানো তবে এই সাধারন একটা গল্পকে চাইলেই আমরা অসাধারন করে তুলতে পারি। চেইন অফ হ্যাপিনেস শুরু হোক এখান থেকেই। শেয়ার করুন, এবং ডিসিশন নিন কারো উপকার করে প্রতিদান না বরং তাকে বলে দিন চেইন অফ হ্যাফিনেস টা ছড়িয়ে দিতে। বিশ্বাস করুন যে ভালো বাসা আপনি ছড়িয়ে দিচ্ছেন ঘুরে ফিরে একদিন তা আপনার কাছেই আবার ফিরে আসবে। অবশ্যই আসবে।




দশ ফুট লম্বা আর দুই ফুট চওড়া একটা কাঠ যদি দুটো ইটের উপর বসিয়ে আপনাকে বলা হয় হেঁটে যান? কতক্ষন লাগবে বলেন?
ঠিক একই সাইজের একটা কাঠ নিয়ে যদি পাশা পাশি দুটো পাঁচ তলা বাড়ির ছাদে রেখে আপনাকে হেঁটে পাড় হতে বলা হয় পারবেন ?
কোনো পার্থক্য কি আছে? সেইম কাঠ, সেইম সাইজ, সেইম দূরত্ব। টেকনিক্যালি চিন্তা করলে কিন্তু না পারার কিছু নাই। কিন্তু আমরা পারছিনা কেনো?
ভয়!! অথচ ভয় টা কিসের? বাঘের সামনে খালি হাতে দাঁড়িয়ে নিশ্চিত মৃত্যু জেনে ভয় আসাটা স্বাভাবিক । দশ ফুট লম্বা অথচ ছয় ইঞ্চি চওড়া একটা কাঠের উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ভয় আসা স্বভাবিক। কারন টেকনিক্যালি ব্যাপারটা কঠিন। কিন্তু দুই ফিট চওড়া কাঠের উপর পা ফেলে মাত্র দশ ফুট যাওয়া আসা করা একশবার সম্ভব।
অথচ আমরা সেটা একবারও করতে পারিনা। কারন ভয় টা আসে পাশে না আমাদের মস্তিষ্কে। কারনে অকারনে আমরা মন গড়া কল্পনা করে ভয় পাই।
অন্ধকারে হাঁটার সময় মনে হয় কেউ একজন অনুসরন করছে। আমরা পেছন না ফিরেই আরো জোরে হাঁটা দেই। সারাটা পথ ভয়টা বয়ে নিয়ে যাই অথচ একবার সাহস করে পেছন ফিরে তাকালেই দেখা যেত কিছুই নেই। শুধু দেখার সাহস থাকলেই পুরো পথের ভয়টা কেটে যেত।
ভেবে দেখেন পেছনে যদি খারাপ কিছু থেকেও থাকে তাকানোই কি উচিত না তাহলে অন্তত প্রতিরক্ষার চেষ্টা তো করা যেত!
আমরা বেশির ভাগ মানুষ ইচ্ছে করে এই ভয়টা পুষে বেড়াতে ভালোবাসি। বিশ্বাস হয়না? ছোট বেলার কথা মনে করেন ইচ্ছে করে কি রাতের বেলা ভূতের ছবি অথবা গল্পের বই পড়ে ভয়ে গুটিয়ে সুটিয়ে থাকিনি?
শুধু মাত্র এই ভয় এবং নার্ভাসনেস থেকে কত বড় বড় স্বপ্ন গুলো বিলীন হয়ে যায় তা শুধু স্বপ্ন দেখা মানুষ গুলাই জানে। কোনো কারন নাই অথচ পরীক্ষা হলে অথবা ইন্টার ভিয়্যু বোর্ডে পড়ে আসা জানা থাকা সব গুলো ব্যাপার মূহুর্তেই অন্ধকার হয়ে যায়।
একশ বার যে প্রশ্নের উত্তর আমি যাকে তাকে দিয়েছি সে প্রশ্নটাই প্রশ্ন কর্তা বদলানোর সাথে সাথে বদলে দেয় মস্তিষ্কেরর সব কয়টা কল কাঠি। বিনা কারনেই মনে হয় না পারলেই সব শেষ! কাজের আগেই ফলের চিন্তায় ধোয়ার মত এক গাদা ভয় এসে মস্তিষ্ক শুন্য করে ফেলে। কয়েক সেকেন্ড শুন্যতার পর মনে হয় হেরে গেছি!
কারো পরীক্ষা ফেইলের ভয়, কারো চাকুরী না হওয়ার ভয়,কারো প্রেমিকা হারানোর ভয়। হাজার কিসিমের ভয় আমাদের হাটুর বাটি ঢিলা করে রাখে। কেউ কেউ তো তেলা পোকা দেখেও ভয়ে আৎকে ওঠে! কতটা ক্ষতি করতে পারে একটা তেলা পোকা!
ষোলো বছর বয়সী এক কিশোরের গল্প দিয়ে শেষ করছি। 1989 ভারত পাকিস্তান টেস্ট ম্যাচ চলছে। পাঁচ দিনের টেষ্ট ম্যাচের শেষ দিন। ভারত প্রায় হারতেই বসেছে কোনো রকম ড্র করাই ছিলো লক্ষ্য। আজহার উদ্দিন, রাভি সাস্রীর মত বড় বড় সব ব্যাটস ম্যান আউট। ক্রীজে নামলো ষোলো বছরের এক কিশোর। ওপাশে আছে নভজাত সিধু।
বোলার ওয়াকার ইউনুস! যে পীচে খেলা হচ্ছিলো সেটা ছিলো ওই সময়ের সব চেয়ে ফাস্টেড পীচ। ওয়াশিম, ওয়াকারের বল খেলা তো দূরে থাক দেখাই যাচ্ছিলোনা সেদিন। বল করলেন ওয়াকার ইউনুস। ১৫০ মাইল গতির বাউন্সার। এক ড্রপ, সোজা সেই ষোলো বছরের কিশোরের নাক বরাবর।
পুরো স্টেডিয়াম স্তব্ধ! ছেলেটার হাতে, গ্লাভছে, নাকে কাঁধে রক্তা রক্তি অবস্থা। ফিজিও থেরাপি দৌড়ে মাঠে নামলেন। নাকের উপর রূমাল চেপে ধরে ট্রেচার ডাকলেন। ওপাশ থেকে এগিয়ে এলো সিধু। কানের কাছে মুখ এনে বলতে লাগলেন তুমি উঠে যাও। ইঞ্জুরি নিয়ে উঠে প্যাভিলিয়নে বসে রেষ্ট নাও। ততক্ষনে পেজার গুলো সরে গেলে আবার না হয় নেমো।
ছেলেটা উপস্থিত সবাইকে বিষ্মিত করে দিয়ে বললেন - "ম্যা খেলেগা!" চিন্তা করেন ষোলো বছরের কিশোর নাক ভরা রক্ত নিয়ে বলছে ম্যা খেলেগা! ছেলেটা উঠে দাঁড়ায়, ওয়াকার ইউনুসের পরের বল। এক বল আগে যে বল ছেলেটার নাক ফাটিয়ে দেয় ঠিক পরের বল সেই ছেলেটা বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে দেয় !
ইয়েস ওই একটা শব্দ "ম্যা খেলেগা" পুরো কৃকেটের ইতিহাস বদলে দিয়েছিলো। জন্ম হয়েছিলো শচীন টেন্ডুলকার নামের এক লিজেন্ডের। নিশ্চিত হারা ম্যাচ সিধুর সাথে একশ এক রানের পার্টনারশীপে ভারত ড্র করেছিলো। আজকের এই শচীনের জন্ম কিন্তু সেদিনই হয়ে গেছিলো যেদিন সে বলেছিলো "ম্যা খেলেগা"
মস্তিষ্কে ভয় নিয়ে পালিয়ে বেড়ানোর কোনো উপায় নেই। ভয়ের সামনে একবার সাহস করে দাঁড়ান। ভয় হচ্ছে কুকুরের মত দৌড় দিলে তাড়িয়ে বেড়ায়, দাঁড়িয়ে গেলে শুধু ঘেউ ঘেউ করে। একবার যখন ভয়ের অস্তিত্বটা বুঝে যাবেন তখন পাঁচ তলা না পাঁচশ তলা বিল্ডিংয়ে দাঁড়িয়ে সেটা করতে পারবেন, যেটা মাটিতে পারতেন।



বউ পাগলা ছেলেদের নাকি পার্সোনালিটি থাকেনা !! বউ মানেই ঘোড়া। মুখে লাগাম আর হাতে চাবুক !!
জীবনে কোনদিন কিছু পুষেছেন ? কবুতর কিংবা বিড়াল ছানা ?দেখেছেন আপনার একটু আদরে যতনে বনের পাখি আপনার খাচায় কেমন সুখে থাকে ? পাখিটিকে ছেড়ে দিন দেখবেন ঠিক খাচায় ফিরে আসবে l কিসের আশায় ? আপনি তো পাখি না বন না জঙ্গল না সবুজ পাতার ডাল পালা না ! কেন ফিরে আসে আপনার কাছে ? চাবুকের ভয়ে নাকি ভালবাসার টানে?
ভাবুন তো যে মা আপনাকে পাখির মত খাইয়েছে , আদরে যতনে বড় করেছে l আপনি কি তাকে ছেড়ে যেতে পারবেন? বাধ দিন মা তো অনেক বড় ব্যাপার , আপনার রোজকার মাথার বালিশটা পানির গ্লাসটা চায়ের কাপটা পরিচিত রাস্তাটা হটাৎ কেউ বদলে দিলে কেমন লাগবে ?
আপনি কিন্তু একটা রাতেই তার কাথা বালিশ চাদর - বাবা মা ভাই বোন সব কিছু বদলে দিয়েছেন l কোনো কিছুই তার না আপনি শুধু তার l অনেক পুরুষের কাছেও আপনি হয়তো পুরুষ নন l আপনার বসের কাছে , ক্ষমতা বানের কাছে ,পাওনাদারের কাছে , অন্য পুরুষের কাছে আপনি অনেক বার কাপুরুষ হয়েছেন l অথচ আপনার বউয়ের কাছে আপনি ঠিক পুরুষ l
তারপরেও বলবেন বউ পাগলা হওয়া দোষের ?
ভালবাসা ফুরায় না ভাই বাসলে আরো বাড়ে l


পত্রিকা খুললেই বুকটা ধক করে ওঠে, টিভি ছাড়লেই মনটা বিষিয়ে যায়। ইউটিউব থেকে ফেইস বুক সব খানেই শুধু ভয়ংকর সব খবর।
পাশের সিটের লোকটাকে বিশ্বাস হয়না,ঘরের মানুষটাকে বিশ্বাস হয়না। সেধে কেউ উপকার করলেও কু মতলব মনে হয়।
আসলেই কি পৃথিবীর সব গুলা মানুষই খারাপ? তাহলে বেঁচে আছি কি করে?
আমি জানি আমার কথা গুলা আপনাদের কাছে বোমা ফাটানোর মত মনে হবে।এই পৃথবীর বেশির ভাগ মানুষ গুলাই আসলে ভালো। খারাপ মাত্র হাজারে একটা!
আমরা আসলে খারাপ খবর গুলোকে প্রায়্রটি দেই বেশি। ভালো খবর গুলো পত্রিকার শেষ পাতায় থাকে, খারাপ খবর গুলা উঠে আসে প্রথম পাতায়।
হাজার লোকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে সে খবর পত্রিকায় ওঠেনা। কোনো জুম্মায় মসজিদ ভরে লোকজন রাস্তায় নামাজ পড়লে সে দৃশ্য চোখে পড়েনা। খবর হয় কেউ ধর্ম নিয়ে কুটুক্তি করলে।
আমরা স্বীকার করি বা না করি খারাপ খবর গুলি আমাদের মাঝে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। মনের অজান্তে আমরা এক ধরনের আনন্দ উপভোগ করি। কারো দুর্দশায় নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়।
মনে করে দেখেন তো জীবনে কতবার মানুষের উপকার করেছেন? ঘামে ভিজে একটা মেয়ে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো আপনার ফুলের কোনো দরকার নাই তবু তাকে দশ টাকা দিয়ে একটা ফুল কিনেছিলেন।
একবার এক বৃদ্ধা ফকির এসেছিলো তাকে শুধু খাইয়ে দেন নি ঘরে ফ্যান ছেড়ে কিছুক্ষন বসিয়ে রেখেছিলেন জিরিয়ে যাওয়ার জন্য।
নিজের মাসের পকেট খরচ নেই অথচ বাবার বয়সী রিকশা ওয়ালাটাকে দশ টাকার ভাড়া বিশ টাকা দিয়েছিলেন।
আমার বাসায় দুইটা বান্দা ফকির ছিলো। বাসায় এসে তারা গোসল করতো খাওয়া দাওয়া করতো। এমনও অনেক বার হয়েছে রাস্তায় আমার সাথে দেখা হলেই আমায় গায়ে জড়িয়ে ধরত!
বিলিভ ইট অর নট একজন আমার মায়ের কাছে টাকা জমাত। সে বলতো অনেক টাকা জমে গেলে নাকি আমার বিয়ের সময় সে আমার বউকে সাঁজিয়ে দিবে!
বুড়িটা আজ নেই এখনো ওর হাসি আমার চোখের সামনে ভাসে! জট লাগানো চুলে ফোঁকলা দাঁতে দারুন মায়া করে হাসত।
চলেন না আজ এই পোস্ট টায় আমাদের জীবনে ঘটা অন্তত একটা ভালো ঘটনা লিখে কমেন্ট করি আর তা শেয়ার করি। সবাই জানুক এখনো চারপাশে কত ভালো কাজ হচ্ছে, ভালো মানুষ আছে।
আমার বিশ্বাস আপনাদের প্রত্যেকের জীবনে এমন অসংখ্য ভালো কাজ আছে। আর যাদের নেই তারা অন্তত এই পোস্টের দিকে তাকিয়ে একবার আয়নায় নিজেকে দেখবে।



রাস্তায় একটা অনাথ শিশু পড়ে থাকলে কেউ কেউ তাকে ডিংগিয়ে যাবে, কেউ কেউ সমবেদনায় মুখ চুক চুক করে বাসায় গিয়ে মুখ ভার করে বলবে দুনিয়াটা কই গেছে কোলের শিশু ফেলে মা পালিয়ে যায়।
কেউ কেউ গালি দিয়ে বলবে শালা পালতে পারিসনি জন্ম দিলি কেনো!
কেউ কেউ তার ছবি তুলে পোস্ট করে বলবে মনটা খারাপ হয়ে গেলো! কোনো দিন টাকা পয়সা হলে একটা এতিম খানা দিব!
আর কেউ থাকবে যে শিশুটাকে কোলে তুলে নিবে, কোনো হাসপাতাল বা এতিম খানায় ভর্তি করে বুকে হাত দিয়ে আকাশের দিকে চেয়ে বলবে আমি করেছি কিছু একটা।
ভাঙা রাস্তায় জমে থাকা পানি মাড়িয়ে যেতে যেতে কেউ কেউ গালি দিয়ে বলবে এই দেশটার কিছুই হবেনা।
আবার কেউ একজন লোকজন নিয়ে নিজের হাতে বাঁশ কেটে সাঁকো বানিয়ে বুকে হাত রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলবে আমি করেছি।
ভিডিও গেমস খেলার সময় দেখবেন একটা লাইফ লাইন দেয়া হয়, সে লাইফ লাইন খালি হতে থাকলে তাকে কিছু বোনাস দেয়া হয় যে বোনাস নিতে পারলে লাইফ লাইন আবার পূর্ন হয়ে যায়।
চোখের সামনে কারো বিপদ দেখলে ভাব্বেন না আল্লাহ তার উপর অবিচার করছে। আল্লাহ তার পরীক্ষা নিচ্ছেন সেই সাথে আপনাকে কিছু বোনাস দেয়া হচ্ছে। বিপদ গ্রস্থকে আল্লাহ নিজেই উদ্ধার করবেন কিন্তু উছিলাটা যদি আপনি হন কিছু বোনাস যোগ হবে আপনার।
আপনার আমার মত সামর্থবানের হাতে সময় থাকেনা।একদল বিচ্ছু পোলাপাইন থাকে পকেটে হাত খরচার টাকা না থাকলেও অদম্য সাহস আছে কারো পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর। এ বয়সে ওদের নিরাশ করবেন না। তাহলে আপনার আমার বয়সে এসে ওরাও শিখে যাবে পড়ে থাকা শিশুর উপর পা তুলে ডিংগিয়ে যেতে।
কমেন্ট বক্সে একটা লিংক দিচ্ছি সামর্থ থাকলে সাহায্য করেন,সন্দেহ হলে খোঁজ নেন, কিছু যদি না পারেন শেয়ার করেন, কমেন্ট করেন, ওদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। কাঁধে হাত দিয়ে হসলা বাড়ান। কিছু একটা করে বুকে হাত রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলেন কিছু তো করেছি।



যে বন্ধুদের কাছে কোনো মেয়ের গোপন অংগের প্রকাশ্য আলোচনা করো সেই বন্ধুরাই কিন্তু তোমার ঘরে আসে। ঠিক তেমন ই নিখুদ করে তোমার মা বোনকে দেখে, যেমন টা নিখুদ বর্ননা তুমি করো!
সেই বর্ননা হয়ত তুমি শোনোনা শোনে অন্য কেউ । জানোই তো প্রিয় বন্ধুটিরও আরেকজন প্রিয় বন্ধু থাকে।
উপর দিকে থুথু ছিটালে বন্ধু, নিচে কিন্তু মধু পড়েনা থুতুই এসে পড়ে!
ব্যাপারটা মেয়েদের ক্ষেত্রেও। যে ছেলেটা কে ধোকাবাজ বা প্রতারক বলছো তার বিছানায় এই সমাজ তোমাকে নিয়ে যায়নি বরং সমাজের চোখ ফাঁকি দিয়ে তুমি নিজে তার কাছে গেছ!
ফাকা মাঠে গোল দেয়া যায়না বান্দবী। খেলোয়াড় কিন্তু তুমিও ছিলা!!
প্রতারনা করে মনে দাগ ফেলা যায়, দেহের ময়লা টা কিন্তু প্রতারনা না। আসলে চাহিদা টা তোমার নিজেরও ছিলো!!
যতগুলা মানুষ আমরা একে অন্যকে প্রতারক বলে গালি দেই, খুব ভালো করে হিসাব করে দেখবা প্রতারক আসলে মানুষটা না প্রতারনা ছিলো সম্পর্কটাই!!
ভালোবাসা থেকে যে চাহিদা তৈরি হয় সেটাও কিন্তু ভালোবাসা। কিন্তু চাহিদা থেকে যে ভালোবাসা তৈরি হয় সেটা ভালোবাসা না, ভালোবাসার নামে অন্য কিছু!
চাহিদা থেকে যে ভালোবাসার সৃষ্টি, চাহিদা মিটে গেলে সে ভালোবাসা তো ফুরাবেই রে বোঁকা........


This post about
বিপ্লব,biplob,BIPLOB,biplobblogger,biplobblogger,বিপ্লবব্লোগার,বিপ্লব ব্লোগার,বিপ্লব পার্বতীপুর,বিপ্লবপার্বতীপুর, বিপ্লব হলদীবাড়ি,বিপ্লবহলদীবাড়ি,BIPLOBBLOGGER,BIPLOB PARBATIPUR,BIPLOBPARBATIPUR,01616918888,০১৬১৬৯১৮৮৮৮,0178791888,০১৭৮৭৯১৮৮৮৮,BIPLOBBANGLADASH,BIPLOBHOLDIBARIPARBATIPUR,BIPLOBDINAGPUR,বিপ্লবদিনাজপুর,বিপ্লব দিনাজপুর,বিপ্লব ইলেকট্রনিক্স,বিপ্লবইলেকট্রনিক্স,বিপ্লব ইলেকট্রনিক্স হলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুর দিনাজপুর,বিপ্লবইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুর দিনাজপুর,বিপ্লবইলেকট্রনিক্স হলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুরদিনাজপুর,বিপ্লব ইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুরদিনাজপুর,বিপ্লবইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুরদিনাজপুর,Biplob ElectronicsHaldibariRailgatePar batipurDinajpur,BiplobElectronicsHaldibariRailgate ParbatipurDinajpur,Biplob Electronics HaldibariRailgate ParbatipurDinajpur,Biplob Electronics HaldibariRailgateParbatipur Dinajpur,Biplob Electronics HaldibariRailgate Parbatipur Dinajpur

☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "বিপ্লব ব্লোগার"

Post a Comment

যোগাযোগ ফর্ম

Name

Email *

Message *

 BIPLOB BLOGGER

প্রতিদিন সকল ধরনের চাকরির খবর আপডেট পেতে আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করবে এবং আপনি যদি এন্ড্রয়েড মোবাইলে আপনার চাকরির বিজ্ঞপ্তি গুলো পেতে চান তাহলে আমাদের একটি অ্যাপস রয়েছে সেটি নিচের দেওয়া লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন

বাংলাদেশ রেলওয়েতে একটি নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে পদের 
নামঃ খালাসী 
পদ সংখ্যা:-১০৮৬ জন
আবেদনের শেষ তারিখ:-২৬ই জানুয়ারি ২০২২।  ও বিস্তারিত জানুন নিচের দেওয়া ভিডিওটিতে