বিপ্লব ব্লোগার

বিপ্লব ব্লোগার

"নারী জাতির প্রধান বৈশিষ্ট্যটাই হচ্ছে মায়া... এরা মায়াবতীর জাত... এরা কোন সম্পর্কে জড়ালে তা ধরে রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যায়... ছেলেরা এমন না, ছেলেরা সম্পর্ক গড়তে বেশি পছন্দ করে কিন্তু সেটা ধরে রাখার জন্য ছেলেরা খুব বেশি সিরিয়াস থাকে না !!
.
মেয়েরা নিজের যে কোন কিছুই আগলে রাখতে চায়... একটা ভাঙ্গা আয়না থেকে শুরু করে ভাঙ্গা চুরিও তারা যত্নে রেখে দেয়... এরা ফেলে দেওয়া জিনিশও ফেলে দেয়না মায়ার টানে... অপরদিকে ছেলেরা আবার ভিন্নরকম এদের কোন কিছুই ফেলে দেয়ার মত থাকেনা, পুরোনো হলেই এদের মায়াও কমে যায়... তাই এর জন্য মায়াবতীর কোন পুরুষবাচক শব্দ নাই !!
.
মেয়েরা খুব অল্পতেই রাগ অভিমান করে... এটাও মেয়েদের একটা বৈশিষ্ট্য... মেয়েদের রাগ খুব সহজেই প্রকাশ পায় এবং বুঝাও যায়... অপরদিকে ছেলেরা রাগ করলেও সেটা সহজে বুঝতে দেয়না এবং প্রকাশও করেনা... কিন্তু ছেলেদের যে রাগটা প্রকাশ পায় সেটা খুবই ভয়াবহ হয়... মেয়েদের রাগ অল্পতেই শেষ হলেও ছেলেদের রাগ সহজে শেষ হয়না !!
.
মজার বিষয় হচ্ছে ছেলেদের রাগ শক্তিশালী হলেও যখন তাদের রাগ শেষ হয়ে যায় তখন তারা সাথে সাথেই সেই রাগের কারণও ভুলে যায়... কিন্তু মেয়েদের রাগ অল্পতে হলেও তারা সহজে রাগের কারণ ভুলে না, যত্নসহকারে মনে রাখে যতই রাগ শেষ হোক না কেন !!
.
যে পুরুষ নারীর অভিমান ভাঙ্গাতে পারে সেই পুরুষই নারীর কাছে ততো বেশি দামী হয়... যে নারী পুরুষের মনে মায়া জন্মাতে পারে সেই নারীই পুরুষের নিকট ততো বেশি মায়াবতী হয়, কিন্তু জগতে এদের পাওয়া বড্ড কঠিন !!" 







তুমি যদি কারো উপর বড় কোনো প্রতিশোধ নিতে চাও তবে অপেক্ষা করো তার খারাপ সময় আসার। যেদিন তুমি সে সুযোগটা পেয়ে যাবা তার ক্ষতি করোনা পারলে একটা উপকার করে দিও। উপকার করে উধাও হয়ে যেও তার জীবন থেকে।
কাওকে আত্মদহনে পোড়ানোর চেয়ে বড় প্রতিশোধ আর হয়না!
কেউ যদি তোমায় প্রচন্ড ঘৃনা করে, গালি দেয়, আড়ালে বদনাম করে, তুমিও তাকে ঘৃনা করো, গালি দাও। তবে মনে মনে। নিরবতার চেয়ে বড় জবাব আর হয়না।

চোখের সামনে আঙুল উঁচিয়ে সে তোমায় গালি দিবে তুমি শুধু মিটি মিটি হেসো, দেখবা তোমায় রাগাতে না পেরে নিজেই রাগে জ্বলে পুড়ে বেহুশ হয়ে পড়ে গেছে।
কেউ যদি অন্য কোনো মোহে পড়ে চলে যেতে চায় তোমায় ছেড়ে, তুমি তাকে তার পায়ে ধরেও ফেরাতে পারবেনা আর!
উল্টা তোমার আকূলতা তাকে আরো খানিকটা অহংকারী করে তুলবে। কেউ চলে যাওয়া মানে সবসময় চলে যাওয়া না,অনেক সময় পুরোপুরি ভাবে ফিরে আসা । তাকে চলে যেতে দাও। ভেতরটা ফেটে গেলেও মিষ্টি করে হাসো।
ধুর পাগলী আমি তো তোকে ভালোই রাখতে চেয়েছি পারিনি বলে নিজেই ভেবেছি তোকে মুক্ত করে দিব। দেখবা সে যেখানেই যাক তোমার শেষ কথাটি বয়ে নিয়ে বেড়াবে। মোহ বেশিদিন থাকেনা ফিরে তাকে আসতেই হবে। এবার তুমি তাকে পাবেনা অর্জন করবে।
আর যদি চলেই যায়?
দাঁড়াওনা আয়নার সামনে। নিজের ভেজা চোখ দুটি দেখো খুব মন দিয়ে। ভিতরটা দুমরে মুচড়ে যাবে, আর কারো না শুধু তোমার!
তুমি তোমাকে বলো সবাই চলে গেছে, কিন্তু তুমি আছ তোমার জন্য। তুমি চোখ মুছে এক গাল হেসে বলো অল ইজ ওয়েল ম্যান। দেখবা তোমাকে হ্যাপী করার জন্য কারোই দরকার নেই। তুমিওই যথেষ্ট তোমায় সুখী করতে!



কত শত মেসেজ আনসীন হয়ে থাকে, কত নামের পাশে সবুজ বাতি জ্বলে। তবুও দু চোখ বিশেষ কোনো মানুষের অপেক্ষা করে।
মানুষটা আসে বুক টা ধক করে উঠে, অনেক্ষন অপেক্ষা করে কাঁপা কাঁপা হাতে কিছু একটা লিখে আবার তা ব্যাক স্পেস দিয়ে মুছে ফেলে। একটা অভিমান জমা হয় বার বার আমি ই কেন লিখবো!
এই অভিমান টা ওপাশের মানুষটা বোঝেনা। বিশেষ মানুষটার শত শত আনসীন মেসেজের ভীরে আরেকটা বাড়তি মেসেজ হতে ইচ্ছা করেনা।
বিশেষ মানুষটারও হয়ত বিশেষ কেউ থাকে, বিশেষ মানুষের জীবনে সাধারন মানুষ হয়ে থাকাটা কষ্টের। তার থেকে বেশি কষ্টের বিশেষ মানুষটা জানতেই পারেনা এত সাধারনের ভীড়ে বিশেষ কেউ তার জন্য অপেক্ষা করে থাকে।
অনেক জীবনের গল্পটাই এমন নামের পাশে সারাক্ষন সবুজ বাতি জ্বলে থাকে অথচ ভিতরে ভিতরে নিভে যায় অসম্পূর্ণ এক খন্ড ভালোবাসা!



ইমানদারের কোনো মোটিভেশন লাগেনা, যার অন্তরে খোদার বসবাস সে কখনো নিঃস্ব হয়না।
নামাযের চেয়ে আর বড় মোটিভেশন কি হতে পারে?
পুরো পৃথিবী যখন ঘুমিয়ে থাকে নামাযী উঠে তখন ফযরের অযু করে।
সারা পৃথিবী যখন রাত ভর ডিপ্রেশনে ভোগে নামাযী তখন এশার সালাত পড়ে পরম নিশ্চিন্তে ঘুমায়।
নামাযীর সম্পদ যে তার স্রষ্ঠা সেটা কে লুট করতে পারে? যার হারাবার ভয় নাই তার হতাশা কোথায়?
মোটিভেশন তাদের জন্য যারা এক দিনের রোযা ভাঙতে একশোটা অযুহাত বের করে, যারা বড় বড় চাকুরী আর প্রমোশনের আসা করে অথচ সামান্য ১০ মিনিটের নামায আদায় করতে আলসেমী করে।
যে রবের ডিউটি করেনা সে অন্যের ডিউটি কেম্নে করে?
যে রবের কথা রাখতে পারেনা সে অন্যের কথা কি রাখবে?
ডিপ্রেশনে তারাই ভোগে, মোটিভেশন তাদের ই লাগে, নিঃস্ব তারাই হয়, যারা স্রষ্টায় বিশ্বাস হারিয়ে অন্যকে বিশ্বাস করে,, যারা আপনার আপন রেখে অন্যকে আপন করতে চায়!!


"সারাদিন অনেক প্ল্যান করি ... সকালে উঠে এটা করবো ... আগামী এক মাস এভাবে চলবো ... কালকে একটু ঘুরতে যাবো ... পরশু একটা কুইজ আছে ... একটু টাকা জমলে মাস তিনেক পর একটা ফোন কিনবো ... চাকরি, ক্যারিয়ার, ট্যুর - নিয়ে শত শত প্ল্যান প্রতি মূহুর্তে মাথায় ঘুরতে থাকে !!
টুকটাক লিখালিখি করি ... ছুটির দিনে ঘুমাই ... গেমস খেলি ... Meme শেয়ার দিই ... কখনো হাসিখুশি থাকি, কখনো বিষাদ ভর করে ... আকাশের দিকে তাকিয়ে মাঝে মাঝে ভাবি, ৫ বছর পর কই থাকবো, কি করবো !!
তারপর এক সকালে ঘুম ভেঙ্গে দেখি, আম্মু প্রচণ্ড অসুস্থ ... যে আম্মুর ডাকে প্রতি সকালে ঘুম ভাঙ্গে, সেই আম্মু হাতের ব্যথায় চিৎকার করে কাঁদতেছে ... অসহায়ের মত আম্মুর মাথায় হাত রাখি ... বিড়বিড় করে প্রার্থনা করতে থাকি ... পুরো পৃথিবীর সমস্ত প্ল্যানিং, সমস্ত কাজ, সমস্ত চাওয়া-পাওয়া আর ইচ্ছেগুলো অনেক বেশি তুচ্ছ মনে হয় তখন !!
জীবনটাকে আমরা যেমন মনে করি, জীবনটা আসলে সেরকম না ... এক মূহুর্ত, একটা অসুস্থতা, একটা দুর্ঘটনা, একটা মিনিটে জীবন নিয়ে সমস্ত চিন্তা-ভাবনা, প্ল্যানিং হুট করে বদলে যেতে পারে ... এই জায়গায় আমরা শুধুই দর্শক ... আমাদের হাতে কিচ্ছু নেই ... কিচ্ছু না !!
পৃথিবীর সমস্ত কিছুর বিনিময়ে আমি চাই, বাবা-মা সুস্থ থাকুক ... প্রচণ্ড অসুস্থতায় আর যন্ত্রণায় বাবা-মা কষ্ট পাচ্ছে, বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে - একজন সন্তানের জন্য এর থেকে বেশি অসহায় মুহূর্ত বোধহয় আর নেই !!"


"মেয়েদের ভালোবাসা কি রকম হয় আমার জানা নেই, তবে আমার যতটুকু মনে হয় একটা মেয়ে যখন কাউকে মন থেকে সত্যিকার অর্থেই ভালোবেসে থাকে তখন ঐ মেয়েটার পুরো পৃথিবী থাকে একদিকে আর শুধুমাত্র প্রিয় মানুষটা থাকে একদিকে... প্রিয় মানুষটার খুশির জন্য যা করা লাগে, যেভাবে করলে সে খুশি হয়, যাতে আরেকটু ভালোবাসা পাওয়া যায় তার জন্য অনবরত চেষ্টা করতে থাকে... এবং কি নিজের পছন্দ অপছন্দ গুলোও প্রিয় মানুষটার জন্য বিলিন করে দেয় !!
.
একটা মেয়ে যতই শান্তশিষ্ট স্বভাবের হোক না কেন সে সত্যিকার অর্থেই কারো প্রেমে পড়লে তার মধ্যে সবার আগে পাগলামি দেখা যাবে... তার পাগলামি এমনিতে বেড়ে যাবে... সারাক্ষণ কি করবে না করবে এমন ভাবে ছুটতে থাকবে যে সে নিজেও জানে না কি করতে চাচ্ছে... তার পুরো পৃথিবীটা হয়ে যাবে অন্যরকম... কারণে অকারণে সে ঢঙ অভিমান করবে... চোখে মুখে, কথায় সবকিছুতে দুষ্টামির ভাব চলে আসবে !!
.
ভীতু মেয়েরাও প্রেমে পড়লে সাহসী হয়ে যায়... সহসী হয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হলো তার সাথে তার প্রেমিক আছে... প্রেমিকের পাওয়া ভরসার হাতদুটোও তখন সে নিজের সেরা অস্র মনে করে লড়াই করে যায় সবার সাথে... মেয়েরা আবেগী হয়, প্রেমে পড়লে মেয়েরা চেপে রাখতে পারে না... মুখ ফসকে হলেও সব সত্যিটা সে বলে দেয় এতে যা হবার হোক !!
.
প্রেমে পড়লে মেয়েরা অনায়াসে অনেক সেক্রিফাইস করতে শিখে... অনেক বেশি পরিমাণে সেক্রিফাইস করে যায় তারা শুধুমাত্র সম্পর্কটাকে সুন্দর করতে আর বাঁচিয়ে রাখতে... একটা ছেলে সম্পর্ক শুরুর আগে যতটা না সেক্রিফাইস করে যায়, সম্পর্ক হয়ে গেলে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা আরো শতগুণে সেক্রিফাইস করে যায় !!
.
মেয়েরা কাউকে মন থেকে ভালোবাসলে পাগলের মতই ভালোবাসে... তখন তার কোন হুস জ্ঞান থাকে না... আর যদি প্রেমিকের সাথে থাকে তাহলে সবকিছু ভুলে যায়... প্রতিনিয়তই তার ভালোবাসা বাড়তে থাকে শুধুমাত্র একটি মানুষের জন্যই... সত্যিকারের ভালোবাসায় মেয়েরা কখনো প্রেমিকের কাছে জিততে চায় না, বরং বারবার হেরে গিয়ে সে ভালোবাসা খুঁজে নেয় !!
.
মেয়েদের ভালোবাসা প্রকাশ পায় পাগলামিতে, ঢঙ্গে, আবেগে ও অভিমানে... ছেলেদের ভালোবাসা প্রকাশ পায় কর্তব্যে ও দায়িত্ববোধে... যে সম্পর্কে মেয়েদের কোন পাগলামি নাই কিংবা কোন আবেগ নাই সে সম্পর্ক অনেকটা লবনহীন তরকারীর মতো হয়ে যায়... যে সম্পর্কে ছেলেদের কোন কর্তব্য ও দায়িত্ব নাই সে সম্পর্কও এক সময় তিক্ততা চলে আসে !!
.
ভালোবাসতে তো সবাই পারে কিন্তু ভালোবাসার মতো ভালোবাসতে পারে কয়জন ?? ভাগ্যবান তো সেই ছেলে যে তার প্রেমিকার পাগলামিতে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে... ভাগ্যবতী তো সেই মেয়ে যে তার প্রেমিকের কর্তব্য ও দায়িত্ববোধের কাছে নিজেই বারবার হেরে যায়... জগতে এরকম ভাগ্যবান ও ভাগ্যবতী হতে সবাই পারে না... এরকম কপাল নিয়ে সবাই জন্ম নেয় না !!" 


চল্লিশ পেরিয়ে টাকার গরমে বিয়ে করছি কুঁড়ি বছরের মেয়ে। সেই বিয়েতে বেজায় খুশি মেয়ের বাবা ভাই সব্বাই।
মেয়েটা তখনো বোকা, বেকার কোনো যুবকের হাত ধরে কথা দেয়া কথা গুলো মুষ্টি বদ্ধ করে জেদ দেখায়। বিয়ে করলে তাকেই করবে।
ওদিকে বেকার শিল্পী প্রেমিকাকে মাথা ছুইয়ে কসম কাটিয়ে দিবা লোকের স্বপ্নে বুদ বুদ হয়ে আছে।
গাছ তলায় শুয়ে হাওয়া খেয়ে বাঁচার প্রতিজ্ঞা তো করাই আছে প্রেমিকার সাথে।
বেকারেরও আকার হয়না, ওদিকে বাবা মাও বুঝ মানেনা। মাঝ খানে অসহায় দুলতে থাকে অবুঝ হৃদয়। এক দিকে ছোট্ট দুই কামড়ার এক সোনার সংসার, দক্ষিনা জানালা, জ্যোৎস্নায় ভরা ব্যালকনিতে স্বপ্নে বিভোর প্রেমিক যুগল অপর দিকে কঠিন বাস্তবতা!
সেই বাস্তবতায় স্বপ্নেরা ধূসর কারন স্বপ্নবাজ প্রেমিক স্বপ্ন পূরনে অপারগ ওদিকে বাবা মায়ের সংশয়।
পরাজিত হয় কুঁড়ি বছরের অবুঝ বালিকা বাস্তবতা মেনে নিয়ে প্রতারক হয় প্রেমিকের কাছে।
বাবা মা খুশি হয় মেয়ের ভবিষ্যৎ ভেবে। বাবার বয়সী চল্লিশ বছরের পোড় খাওয়া মানুষটার বুকে না আছে ভালোবাসা না আছে লাল নীল দেয়ালে লেগে থাকা জ্যোৎস্নার আলো!
অবুঝ বালিকার ছেলে মানুষী তাকে আকর্ষিত করেনা বরং বার বার তার হীনমন্যতা বাড়িয়ে দেয়। নিজের অযোগ্যতা ঢাকতে দোষের চাদরে ঢাকতে থাকে মেয়েটিকে সেই সাথে ঢেকে যায় প্রজাপতির স্বপ্ন গুলোও। কুড়ি বছরের বিষন্ন মেয়েটির মুখ প্রদীপের শেষ নিভু আলোয় আচ্ছন্ন হয়ে করেছি নিঃশ্বেষিত হতে থাকে। নিভু নিভু জ্বলতে থাকা আলো টুকু দপ করে নিভে যাওয়ার আগে হয়ত জানেইনা কেউ মরে যাওয়ার অনেক আগেই মরে গিয়েছিলো সে।
সত্যি ই তো এখনকার মেয়েরা তাই বড্ড বেশি খারাপ। তারা পুরুষের বুকে নিশ্বেষিত হতে চায়না। হাই হীলে হেটে চলা মেয়েটা প্রতিষ্ঠিত হতে চায় কারন তার স্বপ্ন পূরনের ক্ষমতা বেকার ছেলেটির নাই।
তারা প্রেমিকের চাঁদ পেড়ে দেয়ার মিথ্যা আশ্বাসে ভিজে চুপ চুপে হয়না। বরং শক্ত হাতে তাকে বুকে চেপে চার দেয়ালের এক এক শক্ত ভবিষ্যৎ করে দেয়া যোগ্য ছেলেটাকে খোঁজে।
এটাই অপরাধ? ভালো থাকতে চাওয়ার অপরাধ? হাজার টা দিবা স্বপ্নে ডুবে থাকা ছেলেকে ফিরিয়ে দিয়ে যোগ্য মানুষটা খুঁজে নেয়া অপরাধ?
কারা তোমরা যারা মেয়েদের মেইক আপ বা বডি লোশনের খোটা দাও? মানায় তোমার মুখে? সেরা সুন্দরী ছাড়া তোমার চলেনা অথচ সেই সুন্দরকে সাজানোর মুরদ যদি তোমার না হয় লজ্জা হয়না এসব নিয়ে ট্রোল করতে?
লজ্জা হয়না সেই চল্লিশ উর্ধ চাচার যে মেয়ের বয়সী মেয়েটাকে বিয়ে করে এখন নষ্টা বলে গালি দেয়! হাতের মুঠোয় যৌবন শেষ করে পরোকীয়ার দিকে ঠেলে দেয়া মানুষটাও সেই মেয়েটির চেয়ে কম অপরাধী কিসে?
ভাই হয়ে শাসন করো, প্রেমিক হয়ে ভোগ করো, ব্যার্থ হয়ে ঘৃনা করো, যেই রূপেই আসোনা পুরুষ, পুরুষ তুমি তবেই যদি সম্মান করো নারীকে। আমি তুমি ডাকলেই পুরুষ হবোনা, যদি নারীর কাছে পুরুষ না হই।


"স্বাভাবিক ভাবেই আমরা কেউই বিপদে পড়তে চাই না... সবাই চাই যাতে কোন রকম বিপদ ছাড়া জীবনটা পার করে দিতে... কিন্তু বিপদ জীবনে কোন না কোন সময় ঠিকই আসে... বিপদ খারাপ হলেও এটা কিন্তু আমাদের নিজেকে অনেক কিছু শিখিয়ে যায়... কাছের মানুষদেরও চিনিয়ে দেয়... নিজেকে এবং কাছের মানুষদের চিনতে পারার জন্যও কখনো কখনো বিপদ একে বারেই বৃথা যায় না !!
.
মানুষ বিপদে পড়লে সবার আগে যাদেরকে চিনতে পারে তারা হলো কাছের মানুষ... খুব খেয়াল করে দেখবে তোমার কাছের মানুষগুলো যারা আছে তারা কখনো বিপদে পড়লে তোমার থেকে প্রতিনিয়ত কোন না কোন উপকার সাহায্য ঠিকই নিয়ে নিচ্ছে বা তুমি তাদের পাশে ঠিকই দাঁড়াচ্ছো... কিন্তু তুমি যখন বিপদে পড়ে তাদেরকে খুঁজবে, দেখবে কেউই তোমার পাশে নাই... কেউ কেউ থাকলেও নানা রকমের অজুহাত তুলে ধরবে !!
.
মাঝে মাঝে আমিও বিপদের পড়ি... কিন্তু যখন বিপদ আসে তখন বন্ধুগুলো কেমন যেন সব ব্যস্ত হয়ে পড়ে... কাউকেই পাশে পাই না... যাদের বিপদে আমি পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম তাদেরকেও না... তখনই বুঝতে পারি আসলে আমার কোন সত্যিকারের বন্ধু নাই...
.
বিপদে বন্ধুর পরিচয় হলেও কখনো কখনো বিপদে শত্রুর পরিচয়ও মিলে... মাঝে মাঝে এমন হয় যে তোমার বিপদের সময় কোন বন্ধুকেই তুমি পাশে পেলে না কিন্তু তোমার কোন এক শত্রু মানবতার খাতিরে ঠিকই তোমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে... কখনো কখনো বিপদ শত্রুকেও বন্ধুর চেয়েও আরো বড় বন্ধু বানিয়ে তোলে... আরো আপন করে তোলে !!
.
বিপদে পড়লে আরো একটা উপকার আছে, সেটা হলো নিজেকে চিনতে পারা যায়... তুমি বিপদকে কিভাবে কন্ট্রোল করে সামনে আগাতে পারো... তোমার আত্মবিশ্বাস, মনোবল, ধৈর্য, শক্তি কতটুকু তাও তুমি বুঝতে পারবে... তুমি তোমাকে চিনতে পারবে... জানতে পারবে... বিপদ কিন্তু সব সময় কেড়ে নেয় না, মাঝে মাঝে অনেক কিছু দিয়েও যায় !!
.
তাই কখনো বিপদে পড়ে নিজেকে হতাশ করো না... বিপদ আসে নিজেকে জানার জন্য... বিপদ আসে কাছের মানুষদের চেনার জন্য... বিপদ চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দেয় কে আপন কে পর... বিপদ নিজেকে বুঝতে শিখায়... জীবনে কাছের মানুষদের ও নিজেকে চেনাটা খুব দরকার !!"


মেয়েরা দামী কিছু চায়না, চায় প্রিয় মানুষটির সময় " এই কথা গুলো বলা বেশির ভাগ মেয়ে মিডল ক্লাসের অনেক উপরে বিলং করে।
এই মেয়েরাই যখন মিডল ক্লাস কোনো ফ্যামিলিতে জড়ায় তখন স্বামী সারাক্ষন পুতু পুতু করলেও অভিযোগ করে কি পেয়েছি তোমার সংসারে এসে!
আসলে এই চাওয়া গুলো মেয়েলী কোনো চাওয়া না। মানুষ হিসাবে ছেলে মেয়ে সবাই আমরা সবটাই চাই। কিন্তু বাস্তবতা হলো সময় বেঁচে আমরা খাই। যার অর্থ আছে তার সময় নাই, যার সময় আছে তার অর্থ নাই!
আবেগ বা অভিযোগ নয়,, বাস্তবতা মেনে নিয়েই আমাদের ভালো থাকতে হবে। এ জগতে এখন তারাই সুখী যারা যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে।


এইযে আমরা বলি আমি একলা, আমার কথা বলার মানুষ নেই। আসলেই কি এমন হয় কখনো? একটা মানুষ রোজ ঘড়ির কাটার মত বিরামহীন কথা বলে যাচ্ছে আমাদের সাথে। জানেন সেই একজন কে? সেই একজন হলেন আপনি নিজে!
ভাবেন তো কেউ একজন যদি আপনার কানের কাছে সারাক্ষন প্যাচর প্যাচর করতে থাকে ক্যামন লাগবে আপনার? আপনি আপনার সাথে এমন ই প্যাচর প্যাচর করেন।
মানুষ যখন চিন্তা করে মানুষ আসলে কি করে?
নিজের সাথে কথাই তো বলে। কথা না বলে কি চিন্তা করা যায়? খেয়াল করে দেখবেন সারাক্ষনই আপনি নিজেকে কিছু না কিছু বলছেন।
সেই চিন্তা গুলোও কেমন বানরের মতন, একবার এখানে তো আরেকবার ওখানে।কোনোটার সাথেই কোনোটার মিল নাই। একবার এক কথা ভাবছেন আরেকবার আরেক কথা।
মজার ব্যাপার হলো আমাদের দিনের ৯০ ভাগ ভাবনা গুলোই গুরুত্ব হীন। আবর্জনার মত এই ভাবনা গুলোই সারাক্ষন আপনার কানের কাছে খচর মচর করতে থাকে।
ভালো থাকার জন্য সুখে থাকার জন্য স্থির হওয়া খুব প্রয়োজন। নিজের সাথে এমন খচর মচর করা বন্ধ করে দিলেই দেখবেন পানির মত শান্ত হয়ে গেছেন।
দশ মিনিটির একটা রুটিন করেন,প্রতি দশ মিনিট পর পর মনকে প্রশ্ন করবেন মন তুই কি ভাবিস? দেখবেন সাথে সাথে ভাবনা গায়েব। কয়েক মুহুর্তের জন্য আপনি কোনো ভাবনা খুঁজে পাবেন না।
আমরা যখন আমাদের মনের দিকে নজর করি মনের ভাবনা বন্ধ হয়ে যায়, কারন মন ভাবে অবচেতন মনে। আর অবচেতন মনে সচেতনতা এলেই সব ঠিক। সচেতন অবস্থায় মানুষ কখনো গারবেজ চিন্তা করেনা। সেটাই ভাবে যেটা ভাবা দরকার।
কঠিন জীবনের সহজ সমাধান হলো- "চিন্তা করো দুশ্চিন্তা নয়"। যেটা তোমার হাতে নেই সেটা হাজার ভেবেও লাভ নেই। যা হবার হয়ে গেছে যা হওয়া উচিত নয় সেটাই ভাবো। মন হয়ত আমার নিয়ন্ত্রনে নাই কিন্তু ভাবনা গুলো আমার। আমি যা যা ভাবি আমি ঠিক তাই, আবর্জনা ভাবলে হবো আবর্জিত আর সৃজনশীল ভাবলে হবো সৃষ্টিশীল।


"খুব সুন্দর স্মার্ট একটা ছেলের সাথে কালো কুৎসিত একটা মেয়ে... আবার খুব কিউট একটা মেয়ের সাথে কালো হিরুঞ্চি টাইপের একটা ছেলে... ঠিক এই রকম কাপল দেখলে আমরা অনেকেই অাশ্চর্য হয়ে যাই। অথচ যারা সুন্দর হওয়া সত্বেও সিঙ্গেল তারা হতাশার নিশ্বাস ছেড়ে মনে মনে বলে কি করলাম জীবনে !!
.
এই টাইপের কাপল গুলো সাধারণত পার্কে বা লেকে দেখা যায়। আমরা অনেকেই এদের দেখে হাসাহাসি করি কিংবা তাদের শুনিয়ে বাজে মন্তব্য করি। অনেকেই বলে এদের রুঁচি বলতে কিছু নেই কিংবা এদের চয়েজ এতো খারাপ !!
.
আসলে এদের চয়েজ বা রুঁচি একটাও খারাপ না। এরা ভালো ম্যাচিং দেখেনি, এরা শুধুমাত্র আন্ডারস্ট্যান্ডিং দেখেছে... যার ফলে এরা দু'জনেই একে অপরের ভুলত্রুটি ভালোবেসে শুধরে নিয়েছে... এবং এরা নিজেরাই মনে করে শুধুমাত্র তারাই একে অপরের জন্য সত্যিকারের ভালোবাসা !!
.
যেসব মানুষ সম্পর্কটাকে চেহারার ক্ষেত্রে বেশি বিবেচনা করবে তারা সাধারণত সত্যিকারের ভালোবাসা খুঁজে না কিংবা ভালো আন্ডারস্ট্যান্ডিং চায় না। তারা শুধুমাত্র চেহারাকেই বেশি প্রাধান্য দেয় যার ফলে সে সব সম্পর্ক বেশি দিন যায় না !!
.
মানুষ ভালো চেহারা না দেখে যদি ভালো কমিনিকেশন দেখতো... ভালো আন্ডারস্ট্যান্ডিং দেখতো তাহলে হয়তো বেশিরভাগ মানুষেই সিঙ্গেল থাকতো না। ভালোলাগা থেকে ভালোবাসা হয়, তেমনি একটু ভালোবেসে দেখলে ভালোলাগা এমনিই চলে আসবে... তখন চেহারার কথা একটুও মনে পরবে না !!
.
তারপরও যারা সিঙ্গেল তাদের আফসোস করার কিছু নেই। কারণ, দিনশেষে বাজারের শেষ ফলটাও বিক্রি হয়ে যায়... তেমনি ক্লাসের সিঙ্গেল মেয়েটাও একদিন টোপর পড়া জামাই পাবে... আর ছেলেটারও লাল টুকটুকে শাড়ি পড়া বউ হবে !!"


চার পাঁচ বছর বয়সেই ছেলেরা নিজের পছন্দে জামা পড়তে শুরু করে। দশ বারো বছরের মেয়েটার মত তাকে সোনা জাদু বা ধমক দিয়ে বোঝানো যায়না।
অথচ সেই ছেলে দশ বছর প্রেম করে যাবার আগে বলে যায় আমাকে ক্ষমা করে দিও বাবা মা তোমাকে মেনে নিবেনা!
দশ বছরের সম্পর্কটা মাত্র দশ সেকেন্ডে ভেঙে দেয়াটা কত সহজ তাইনা?
সহজ ই তো! তোমার দশ সেকেন্ডের এই মিথ্যা বোঝার ক্ষমতা মেয়েদের নাই, যে মেয়ে সাবালিকা হবার আগে মাথায় ঘোমটা দেয়ার সময় প্রশ্ন করে নাই আমি তো ঢাকলাম কিন্তু ভাইয়া যে শার্টের বোতাম খুলে হাটে! সেই মেয়েকে বুঝ দেয়া এমন কি কঠিন কাজ। মেয়েটার জন্মই তো হয়েছে এমন হাজারটা বুঝ নিতে নিতে।
বাপ ভাইয়ের টেনে দেয়া হিজাব টা খুলতেও তো তোমার সময় লাগেনি, কারন নারীরা তো বুঝের জাত বুঝাতে পারলেই হলো— আমি তো তোমায় ভালোবাসি আমার কাছে কিসের রাখ ঢাক!!
বয়সের আগেই তুমি ম্যাচিউরড হতে পেরেছ, লুকিয়ে লুকিয়ে বন্ধুর খালি বাসায় তাকে নিয়ে যেতে পেরেছ। ভালোবাসার প্রলোভোনে লাল নীল দেয়ালের ছোট্ট সংসারের স্বপন দেখিয়ে তাকে ম্যানেজ করতে কোনো ম্যাজিক লাগেনি তোমার অথচ বাবা মাকে ম্যানেজ করতে তোমার শিশু সুলভ আচরন!
বলি কি এত ভন্ডামি না করে বলে দিলেই তো পারো চেনা পরিচিত দেহের ভাজ গুলো এখন আর শিহরিত করেনা তোমায়,
আর মেয়েদের বলছি ঈশ্বর তোমার মনের উপর উঁচু মাংস পিন্ডটা জুড়ে না দিলে হয়ত তুমি মনের মূল্য পেতে, কবে বুঝবে তুমি ওই নরম মাংস ভেদ করে মন ছোঁয়ার মত পুরুষ কোথাও নাই। বেশির ভাগ পুরুষ নিস্তেজ হয়ে যায় ওই বুকের মাংসে। বুকের ভাজে পুরুষ বেঁধে রাখা যায়না, পুরুষ রাখতে হয় মনের ভাজে....




কোনো একদিন এই হলুদ আলোর নিচে কেউ একজন আমার পায়ে পা তুলে দাঁড়াবে, তার সোনালী চুলের ফাঁক গলে লাল সূর্যটা আরো কিছুটা সময় টুপ করে ঝুলে থাকবে ওই দিগন্ত জুড়ে।
হলুদ আভা মায়া ছড়াবে তার দু গালে, তার ফাঁকা কপাল টায় ঠোট জোড়া গোল করে একটা ছোট্ট সূর্যের টিপ বসিয়ে দিবো।
দূর থেকে ভেসে আসা সাগরের ছোট ছোট ঢেউয়ের মৃদু শব্দের সাথে মিশে থাকবে তার নিশ্বাসের আনা গোনা। বুকের সাথে বুক মিশিয়ে হারিয়ে যাবো তারও গভীরে। ঝিরি ঝিরি বাতাসে ভেসে বেড়াবে ভালোবাসায় দিশেহারা দুটি হৃদ স্পন্দন।
হবেনা স্বপ্ন পূরন? হোক না একদিন! পৃথিবীর সবচেয়ে সফল মানুষটাও বিফল তার জীবন যদি এমন একটা স্বপ্ন আঁকার মত রঙ তুলি না থাকে!
তোমরা আমায় পাগল ভাবতে পারো, বাস্তবতার লাল চক্ষু দেখিয়ে আমায় ভয় দেখাতে পারো, বিশ্বাস করো এতটুকু ভড়কাবো না আমি। স্বপ্ন বাজেরা ভয়ংকর হয়, ভয়ংকর বাস্তবতার সামনে দাড়িয়ে নোনা জলে ঘাম ঝরিয়ে মিটি মিটি হেসে তবুও তারা স্বপ্ন বুনে যায়।
ভরে উঠুক পৃথিবীটা স্বপ্নবাজে, ভাঙা ঘরে দুমরে মুচড়ে পড়ে থাকা টুকরো হৃদয় গুলো আবারো নতুন করে স্বপ্ন দেখুক। বিশ্বাস করো স্বপ্ন ভেংে ঠকিয়ে যাওয়া মানুষ গুলা নিজেকে জয়ী মনে করলেও কোনো একদিন ওই অট্টালিকার সুখে তার দম বন্ধ হয়ে আসে। সব কিছু হাতের মুঠোয় পেয়েও নি:স্ব ওই স্বপ্নবাজ মানুষ টার কথা ভেবে তার চোখ ভিজে যায়। জীবনের কোনো এক অধ্যায়ে এসে সে বুঝে যায় স্বপ্নহীন ধূসর পৃথিবীতে আধিপত্য আছে হয়ত তবে সেই আধিপত্যে সুখ নেই।
সুখ সে তো রক্ত কনিকায় যা জেগে ওঠে শুধু প্রেমের আলিঙ্গনে। সেই প্রেমের বাগানে একেকটা অট্টালিকা লিখে দেয়া যায় শুধু একটা চুমুর বিনিময়ে....


"আমরা আশা করি, এই পৃথিবীটা প্রতিনিয়ত আমাদের ইচ্ছেগুলো পূরণ করবে ... ঘুম ভাঙ্গার পর যে সকাল দেখি, সে সকালটা আমার স্বপ্নের মত হবে ... ব্যস্ত বিকেলটাতে প্রিয় মানুষটার মুখ থেকে যে কথাটা আমি শুনতে চাই - মানুষটা সেই কথাটাই বলবে !!
মাঝে মাঝে ঠিক এমনটাই হয় ... যেমনটা হিসেব করি, যেমনটা খুব করে চাই, জীবনটা ঠিক সেভাবেই চলতে থাকে ... তারপর হুট করে বদলে যায় সব ... খুব করে যখন বৃষ্টি চাই, রোদ্দুর এসে স্বপ্নগুলোকে পুড়িয়ে দেয় ... কাছের মানুষটার ছুড়ে দেয়া শব্দগুলো আঘাত করতে থাকে ... অথচ এমনটা তো হওয়ার কথা ছিল না !!
পৃথিবীটা আমার মত হবে না ... পৃথিবীটা তোমার মত হবে না ... পৃথিবীটা তার মত করে চলছে, চলবে ... যতক্ষণ আমার ইচ্ছেগুলোর সাথে পৃথিবীর চিত্রনাট্য সমান্তরালে চলছে, আমার জীবনটা ততক্ষণই গল্পের মত সুন্দর ... ঠিক যখনই পৃথিবী আর তার মানুষগুলো আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে, সেই গল্পের নাম হয়ে যায় বাস্তবতা !!
বাস্তবতা কেমন যেন অসহ্য রকমের সত্য ... সব বুঝেও বুঝতে চাই না, সব জেনেও মানতে চাই না !!
বাস্তবতা যখন আঘাত করে, চোখমুখ শক্ত করে নিজেকে বলি, আর কখনোই এই পৃথিবী আর তার মানুষগুলো থেকে কিচ্ছু আশা করবো না ... পৃথিবী তখন মুচকি হাসে ... সে জানে, আমার গল্পের মত করে দু'দিন সে চললেই আবার আমি বোকার মত আশা করতে থাকবো !!
বোকা মানুষগুলো আশায় বাঁচে আর হতাশায় ধুকে ধুকে মরতে থাকে ... বারবার মনে করিয়ে দেয়ার পরেও বোকা মানুষগুলো ভুলে যায়ঃ
"The world is NOT a wish-granting factory !!"


"মানুষের সাথে মিশতে পারাটাও একটা গুণ... খুব কম সংখ্যক মানুষই আছে যারা সহজেই সবার সাথে মিশতে পারে... এটা বিধাতার দেয়া একটা বিশেষ ক্ষমতা... আপনি আমি চাইলেই কিন্তু এই ক্ষমতা সবার সাথে ব্যবহার করতে পারিনা, কারণ সবাই ইচ্ছা করলেই যে কারো সাথে মিশতে পারেনা !!
.
খেয়াল করলে দেখবেন আপনার জীবনে কেউ না কেউ আছে যার সাথে আপনি চাইলেও মিশতে পারছেন না... আবার এমনও হতে পারে আপনি তাকে কোন কারণে অপছন্দ করছেন কিংবা সে আপনাকে কোন কারণে অপছন্দ করে... অর্থাৎ দুইজনই কোন না কোন দিক দিয়ে একে অপরের সাথে মিলছে না !!
.
অথচ আপনাদের এই দূরত্বের মাঝেই কেউ একজন এসে আপনি যার সাথে মিশতে পারছেন না তার সাথে দিব্যি ভাবে মিশে গেছে... মজার বিষয় হচ্ছে যার সাথে মিশেছে সেই মানুষটাকে দেখে আপনি কখনো কল্পনাও করেননি এর সাথে কিভাবে মিশলো ?? অথচ আপনি ঐ মানুষটার চেয়ে সবদিক থেকে এগিয়ে !!
.
আপনি যাকে দেখতে পারেন না তার সাথে আপনার কোন একটা বন্ধুর খুব ভালো সম্পর্ক আছে... আবার যে আপনাকে দেখতে পারেনা তার কোন একটা বন্ধুর সাথে আপনার খুব ভালো সম্পর্ক হয়ে আছে... আর মাঝখানে আপনারা দুইজনই একে অপরের হেটার্স হয়ে আছেন !!
.
যাকে আপনি সহ্য করতে পারছেন না তারও একটা হলেও বেষ্ট বন্ধু আছে, যেমনটা আপনারও আছে... তাহলে যে মানুষটা আপনার অপছন্দের তার অবশ্যই একটা হলেও ভালো দিক আছে নাহলে তার কোন বন্ধুই থাকতো না... আপনার ব্যর্থতা আপনি সেই দিকটা ধরতে পারেননি !!
.
মিশতে না পারার ব্যর্থতা কখনো অন্যকারোর হয়না, ব্যর্থতাটা সম্পূর্ন আপনার নিজেরই... কারণ কার সাথে কিভাবে মিশতে হয় সেটা আপনি ঠিকমতো ধরতে পারেন না, তাই সবার সাথেও আপনি মিশতে পারেন না... এটাই ধ্রুব সত্য !!
.
আপনি মিশতে পারছেন না এটাতে আপনার দোষের কিছু নাই, কিন্তু মিশতে না পারার কারণে যারা মিশতে পারছে তাদের ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখা কিংবা তাদের বিরুদ্ধে বদনাম ছড়ানোর অধিকার আপনার নাই... এটা কোন সুস্থ মানুষের কাজ হতে পারেনা... কারো দিকে অাঙুল তুলে কিছু বলার আগে দেখে নিবেন আপনার দিকে কিন্তু বাকি তিনটা অাঙুল ফিরে আছে !!"


This post about
বিপ্লব,biplob,BIPLOB,biplobblogger,biplobblogger,বিপ্লবব্লোগার,বিপ্লব ব্লোগার,বিপ্লব পার্বতীপুর,বিপ্লবপার্বতীপুর, বিপ্লব হলদীবাড়ি,বিপ্লবহলদীবাড়ি,BIPLOBBLOGGER,BIPLOB PARBATIPUR,BIPLOBPARBATIPUR,01616918888,০১৬১৬৯১৮৮৮৮,0178791888,০১৭৮৭৯১৮৮৮৮,BIPLOBBANGLADASH,BIPLOBHOLDIBARIPARBATIPUR,BIPLOBDINAGPUR,বিপ্লবদিনাজপুর,বিপ্লব দিনাজপুর,বিপ্লব ইলেকট্রনিক্স,বিপ্লবইলেকট্রনিক্স,বিপ্লব ইলেকট্রনিক্স হলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুর দিনাজপুর,বিপ্লবইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুর দিনাজপুর,বিপ্লবইলেকট্রনিক্স হলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুরদিনাজপুর,বিপ্লব ইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুরদিনাজপুর,বিপ্লবইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুরদিনাজপুর,Biplob ElectronicsHaldibariRailgatePar batipurDinajpur,BiplobElectronicsHaldibariRailgate ParbatipurDinajpur,Biplob Electronics HaldibariRailgate ParbatipurDinajpur,Biplob Electronics HaldibariRailgateParbatipur Dinajpur,Biplob Electronics HaldibariRailgate Parbatipur Dinajpur

☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "বিপ্লব ব্লোগার"

Post a Comment

যোগাযোগ ফর্ম

Name

Email *

Message *

 BIPLOB BLOGGER

প্রতিদিন সকল ধরনের চাকরির খবর আপডেট পেতে আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করবে এবং আপনি যদি এন্ড্রয়েড মোবাইলে আপনার চাকরির বিজ্ঞপ্তি গুলো পেতে চান তাহলে আমাদের একটি অ্যাপস রয়েছে সেটি নিচের দেওয়া লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন

বাংলাদেশ রেলওয়েতে একটি নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে পদের 
নামঃ খালাসী 
পদ সংখ্যা:-১০৮৬ জন
আবেদনের শেষ তারিখ:-২৬ই জানুয়ারি ২০২২।  ও বিস্তারিত জানুন নিচের দেওয়া ভিডিওটিতে