সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর -১৩
1. পরিবেশ কাকে বলে?
উঃ উদ্ভিদ ও প্রাণীজগৎ সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থাকার জন্য যে পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রয়োজন হয় তাকে পরিবেশ বলে।
অন্যভাবে বলা যায়- আমাদের চারপাশের মাটি, জল, জঙ্গল, মরুভুমি, সমুদ্র, পাহাড়-পর্বত সেখানকার আলো, বাতাস, অন্ধকার এবং আমাদের প্রতিবেশী পশু-পাখী, কীট পতঙ্গ, জীবজন্তু, জীবানু, উদ্ভিদ এবং মানুষ – এদের পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া নিয়ে আমাদের যে পরিবেষ্টনী বা মাধ্যম তাকে পরিবেশ বলে।
2. পরিবেশ পাঠের মূল প্রয়োজনীয়তা কী?
উঃ পরিবেশ পাঠের দ্বারা আমরা পরিবেশের বিভিন্ন ঘটকের ক্রিয়াপদ্ধতি জানতে পারি, বিভিন্ন পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পারি এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সচেষ্ট হতে পারি।
3. পরিবেশের উপাদানগুলি কী কী?
উঃ পরিবেশের উপাদানগুলিকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। অজৈব উপাদান যথা – জল, আলোক, মৃত্তিকা প্রভৃতি এবং জৈবিক উপাদান যথা – উদ্ভিদ, প্রাণী ও অনুজীব।
4. মৃত্তিকার প্রধান প্রধান উপাদানগুলি কী কী?
উঃ খনিজ পদার্থ, জৈব পদার্থ, জল, বায়ু এবং ক্ষুদ্র জীবকুল।
5. হিউমাস কাকে বলে?
উঃ বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাংশের গলিত পচিত অংশ ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক প্রভৃতির দ্বারা বিঘটিত হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে একটি কালো বর্নের মৃত্তিকা সৃষ্টি করে। একে হিউমাস বলে। এর উপস্থিত মৃত্তিকার উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।
6. ভূ-মণ্ডলের মৃত্তিকা কয়টি স্তরে বিভক্ত কী কী?
উঃ পাঁচটি হরাইজন বা স্তরে বিভক্ত। এগুলি হল – O, A, B, C, এবং R।
7. অবশিষ্ট মৃত্তিকা কাকে বলে?
উঃ মাতৃপ্রস্তর খণ্ড থেকে উৎপন্ন হয়ে মৃত্তিকা যখন সেই প্রস্তরখণ্ডের উপরেই অবস্থান করে এবং পরিবাহিত হয়ে অন্যস্থানে যায় না তাকে অবশিষ্ট মৃত্তিকা বলে।
8. গঠন অনুসারে মৃত্তিকাকে কি কি ভাগে ভাগ করা যায়?
উঃ চার ভাগে। বেলে মাটি, দোঁয়াশ মাটি, পলিমাটি এবং এঁটেল মাটি।
9. ইউনিভার্সাল সলভেন্ট বা মহাদ্রাবক কাকে বলে?
উঃ জলকে। কারণ এর মধ্যে বেশীরভাগ দ্রাবগুলি দ্রবীভূত হতে পারে।
10. জীবদেহের কত অংশ জল দ্বারা তৈরী ?
উঃ প্রায় ৭০ শতাংশ।
11. বৃষ্টিপাত কী কী পদ্ধতিতে হতে পারে?
উঃ Rain, Snow, Hail, Sleet ইত্যাদি পদ্ধতিতে।
12. কোষের সমস্ত নির্দেশের গুদামঘর কাকে বলে?
উঃ DNA কে।
13. পৃথিবীতে কোন জাতীয় প্রাণীর সংখ্যা অত্যন্ত দ্রুত হারে কমছে?
উঃ পাখির সংখ্যা।
14. আলোক শক্তিকে উদ্ভিদ খাদ্যের মধ্যে কোন শক্তিরূপে সঞ্চিত রাখে?
উঃ রাসায়নিক শক্তিরূপে।
15. ‘B’ হরাইজন কোন বর্ণের মৃত্তিকা দ্বারা গঠিত?
উঃ কালো বর্ণের।
16. কোন হরাইজনে জলের স্তর দেখা যায়?
উঃ R হরাইজনে।
17. কোন মাটিতে বালি ও পলির পরিমাণ প্রায় সমান?
উঃ দোঁয়াশ মাটিতে।
18. বায়ুতে উপস্থিত জলের আর্দ্রতা মাপা হয় কোন যন্ত্রের সাহায্যে?
উঃ হাইগ্রোমিটার।
19. জীবের পরিবেশের সঙ্গে পরিবর্তিত হওয়ার ক্ষমতাকে কী বলে?
উঃ অভিযোজন।
20. ১৯৯৭ সালে পরিবেশের উপর রাষ্ট্রসংঘের সভা আয়োজিত হয়?
উঃ জেনেভা শহরে।
21. অম্লবৃষ্টির জন্য দায়ী কোন গ্যাস?
উঃ সালফার ডাই অক্সাইড গ্যাস।
22. CFC এর পুরো নাম কী?
উঃ ক্লোরো ফ্লুরো কার্বন।
23. মানুষের বিজ্ঞানসম্মত নাম কী?
উঃ হোমো সেপিয়েন্স।
24. বর্জ্য পদার্থ থেকে কোন গ্যাস বের হয়?
উঃ হাইড্রোজেন সালফাইড (H2S) গ্যাস।
25. লাইকেন কী?
উঃ শৈবাল ও ছত্রাকের মিথোজিবীতা।
26. সাইক্লোনের ঘূর্ণির মধ্যাঞ্চলকে কী বলে?
উঃ চোখ।
27. ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছ কোথায় দেখা যায়?
উঃ সমুদ্র ও স্থলের মিলনস্থলে (সুন্দরবনে)।
28. পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে বায়ুস্তরের উচ্চতা কত?
উঃ ১৬০০ কিমি।
29. বায়ুতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ কত?
উঃ ৭৮ শতাংশ।
30. বায়ুতে অক্সিজেনের পরিমাণ কত?
উঃ ২০ শতাংশ।
31. আমরা যে বায়বীয় স্তরে বাস করি তার নাম কী?
উঃ ট্রপোস্ফিয়ার।
32. পৃথিবীতে উপস্থিত মোট জলের শতকরা কত ভাগ সমুদ্রে অবস্থিত?
উঃ ৯৭ শতাংশ।
33. Environmental Science গ্রন্থটি কার লেখা?
উঃ আর্মস ১৯৯৪ সালে এবং বট্কিণ্ এবং কেলার ১৯৯৫ সালে।
34. পরিবেশবাদ কাকে বলে?
উঃ পরিবেশের অবস্থা ও সমস্যাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন উৎস থেকে যে মতামত ও চিন্তাধারার উৎপত্তি হয়েছে তাকে পরিবেশবাদ বলে।
35. পরিবেশবাদী কাদের বলে?
উঃ পরিবেশবাদে যারা বিশ্বাস করেন ও পরিবেশকে সুস্থ-স্বাভাবিক রাখার জন্য যারা চেষ্টা করেন তাদের পরিবেশবাদী বলে।
36. প্রাকৃতিক পরিবেশ কাকে বলে?
উঃ প্রকৃতি নিজে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিটি জীবের সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য যে উপাদানগুলি তৈরি হয়েছে সেই উপাদানগুলির সমষ্টিকে প্রাকৃতিক পরিবেশ বলে।
37. বারিমণ্ডল কাকে বলে?
উঃ শিলামণ্ডলের যে সব নিচু অংশ জলে পরিপূর্ণ হয়ে সাগর, মহাসাগর, হ্রদ, নদী ইত্যাদি গড়ে তুলেছে সেই জলমগ্ন অঞ্চলগুলিকে একত্রে বারিমণ্ডল বলে।
38. প্রাকৃতিক বাসভূমি কাকে বলে?
উঃ পৃথিবীর যে স্থানে অনুকূল পরিবেশের সাহায্যে কোন একটি জীব বা জীবগোষ্ঠী স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকে, দলবেঁধে বসবাস করে, তাকে প্রাকৃতিক বাসভূমি বলে।
39. জীবমণ্ডল কাকে বলে?
উঃ উদ্ভিদ ও প্রাণীজগতের সমষ্টিকে জীবমণ্ডল বলে।
40. Biogeography বইটি কার লেখা?
উঃ বিজ্ঞানী জে টিভি ১৯৮২ সালে।
41. বসতি কাকে বলে?
উঃ যে পরিবেশ বা অঞ্চল মানুষ, প্রাণী বা উদ্ভিদের অবস্থানকে সুনিশ্চিত করে তাকে বসতি বলে।
42. সিয়াল কাকে বলে?
উঃ ভূ-ত্বকের উপরের অংশ অপেক্ষাকৃত লঘু গ্রানাইট জাতীয় আম্লিক শিলায় গঠিত। এই শিলায় সিলিকন ও অ্যালুমিনিয়ামের ভাগ বেশি থাকে বলে একে সিয়াল বলে।
43. সীমা কাকে বলে?
উঃ ভূ-গর্ভস্থ ব্যাসল্ট শিলাস্তরে সিলিকন ও ম্যাগনেশিয়াম বেশি থাকে বলে এই স্তরকে সীমা বলে।
44. জৈব ভূ-রাসায়নিক চক্র কাকে বলে?
উঃ পরিবেশ ও জীবজগতের মধ্যে যে একাধিক রাসায়নিক উপাদান চক্রাকারে আবর্তিত হচ্ছে তাকেই জৈব ভূ-রাসায়নিক চক্র বলে।
45. ভূ-পৃষ্ঠের গড় উষ্ণতা কত?
উঃ ২২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।
46. অ্যামিনো আসিড কি করে তৈরি হয়?
উঃ বজ্রপাতের ফলে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেনের মিশ্রনের ফলে অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি হয়।
47. ড্রায়োপিথেমিন কী?
উঃ প্রায় আড়াই (২.৫) কোটি বছর আগে মিয়োথিন স্তর থেকে প্রাপ্ত জীবাশ্মকে বলা হয় ড্রায়োপিথেমিন।
48. পৃথিবীর কেন্দ্রমণ্ডলের তাপমাত্রা কত?
উঃ ৪০০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।
49. ভৌমজল কী?
উঃ যে জল ফাটল দিয়ে ভূ-গর্ভের ভিতরে প্রবেশ করে অসংবদ্ধ শিলাখণ্ডের জলভাণ্ডার সৃষ্টি করে তাকে ভৌমজল বলে।
50. কনরাড বিযুক্তি কী?
উঃ মহাদেশগুলির তলদেশে গ্রানাইট ও ব্যাসল্ট শিলাস্তরের মিলনরেখাকে কনরাড বিযুক্তি বলে।
সম্পদ ও শক্তি
1. বৃদ্ধি বিন্যাস কাকে বলে?
উঃ জীবসংখ্যার বৃদ্ধি ও পরিবর্তন একটি নির্দিষ্ট গতি ও নিয়মে হয়। একে জীববৃদ্ধির বিন্যাস বলে। এটি দু-প্রকারের দেখা যায়। ‘J’ আকারের বৃদ্ধি বিন্যাস ও ‘S’ আকারের বৃদ্ধি বিন্যাস।
2. পরিবেশগত চাপ কালে বলে?
উঃ যখন কোন নির্দিষ্ট পরিবেশে একটি প্রজাতির জীবসংখ্যা অত্যধিক হারে বৃদ্ধি পায় তখন খাদ্য, বাসস্থান প্রভৃতির অভাব ঘটে, এবং জীবসংখ্যায় তার বিরূপ প্রভাব পড়ে। এই প্রভাবকে পরিবেশগত চাপ বলে।
3. ধারণক্ষমতা কাকে বলে?
উঃ একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি নির্দিষ্ট বাসস্থানে কোন প্রজাতির সর্বাধিক সংখ্যা বহন করার ক্ষমতাকে ধারণ ক্ষমতা বলে।
4. মানুষের সংখ্যার অত্যধিকা হারে বৃদ্ধির প্রধান কারণ কী?
উঃ কৃষিকার্যে ফলে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব সাফল্য।
5. কোন সালকে বিশ্ব জনসংখ্যা বর্ষ ঘোষণা করা হয়েছিল?
উঃ.১৯৭৪ খ্রীষ্টাব্দকে।
6. গত ১০০ বছরে ভারতের জনসংখ্যা কি হারে বৃদ্ধি পেয়েছে?
উঃ প্রায় ৩.৫ গুণ বৃদ্ধি ঘটেছে।
7. বর্তমান ভারতের কত অংশ ভূমি অরণ্যে আচ্ছাদিত?
উঃ প্রায় ১৪ শতাংশ, যেখানে একটি দেশের মোট ভূমির ৩৩ শতাংশ অরণ্য থাকা প্রয়োজন।
8. ভারতের কত সংখ্যাক মানুষেরা বন্যাপ্রবণ অঞ্চলে বাস করে?
উঃ প্রায় ২৫ থেকে ৩০ কোটি মানুষ।
9. ভারতবর্ষে সহনযোগ্য শব্দমাত্রা কত?
উঃ দিনের বেলায় ৬৫ ডেসিবল এবং রাতের সময় ৫৫ ডেসিবল
10. কোন ধরণের বৃদ্ধি বিন্যাসে পপুলেশান বৃদ্ধির হার অত্যন্ত দ্রুত হয়?
উঃ J আকারের।
11. মানুষের বৃদ্ধিতে কোন ধরণের বৃদ্ধি বিন্যাস দেখা যায়?
উঃ S আকারের।
12. জনসংখ্যা তত্ত্বের প্রবক্তা কে?
উঃ ম্যালথাস।
13. শিল্পবিপ্লব কবে শুরু হয়?
উঃ অষ্টাদশ শতাব্দীতে।
14. আমরা যে ছায়াপথে বাস করি তার নাম কী?
উঃ মিল্কি ওয়ে।
15. পি. আর. আরলিক ও এ. আরলিক দ্বারা লিখিত বই এর নাম কী?
উঃ দ্য পপুলেশান এক্সপ্লোসান।
16. Silent Spring বা নীরব বসন্ত বইটি কার লেখা?
উঃ শ্রীমতি র্যাচেল কার্সনের লেখা।
17. NON-DEGRADABLE-কথাটির অর্থ কী?
উঃ যেসব বর্জ্য পদার্থ মাটি, জল ও বাতাসের মেশে না তাদের NON-DEGRADABLE পদার্থ বলে। যেমন – প্লাস্টিক।
18. বিশ্বব্যাঙ্ক কর্তৃক নির্ধারিত দারিদ্র্যের সংজ্ঞা কী?
উঃ দৈনিক মাথাপিছু আয় এক মার্কিন ডলারের কম হলে সেই ব্যক্তিকে দরিদ্র বলে চিহ্নিত করা হয়।
19. আফ্রিকা মহাদেশের দূর্ভিক্ষ পীড়িত দুটি দেশ কী কী?
উঃ ইথিওপিয়া ও সোমালিয়া।
20. জনসংখ্যার হতাশা তত্ত্বের জনক কাকে বলা হয়?
উঃ টি. আর. ম্যালথসকে।
21. জৈব সঞ্চয়ন কাকে বলে?
উঃ মানুষ এবং অন্যান্য জীবজন্তুর শরীরে খাদ্যের মাধ্যমে পারদ, ডি ডি টি প্রভৃতি বিষাক্ত পদার্থ সঞ্চিত হলে তাকে জৈব সঞ্চয়ন বলে।
22. ধোঁয়াশা কী?
উঃ গাড়ি, কারখানার চিমনি ও উনুনের ধোঁয়া বাতাসের জলীয় বাষ্পের সঙ্গে মিশে যে কুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থার সৃষ্টি করে তাকে ধোঁয়াশা বলে।
23. সম্পদ কাকে বলে?
উঃ কোন বস্তু বা পদার্থ যে কাজ সম্পন্ন করে, বা কোন বস্তু বা পদার্থের মধ্যে যে কার্যকরী শক্তি নিহিত রয়েছে তাকে সম্পদ বলে।
24. প্রাকৃতিক সম্পদ কাকে বলে?
উঃ প্রাকৃতিক সম্পদ বলতে সেই সকল বস্তুকে বোঝায় যেগুলি মানুষ দ্বারা সৃষ্টি হয়নি। যেমন –সূর্যের আলো, তাপ, বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেন, খনিজ পদার্থ ইত্যাদি।
25. নবীভবনযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদের একটি উদাহরণ দাও?
উঃ বনাঞ্চল।
26. চক্রাকার প্রাকৃতিক সম্পদের উদাহরণ কী?
উঃ জল।
27. ভারতবর্ষের কোন কোন রাজ্যে বনাঞ্চলের পরিমাণ বেশি?
উঃ আসাম, উড়িষ্যা ও মধ্যপ্রদেশ।
28. ধাতব খনিজ সম্পদ কোনগুলি?
উঃ লোহা, তামা, সোনা, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতি।
29. তামা ভারতের কোন অঞ্চলে পাওয়া যায়?
উঃ বিহারের সিংভূম ও হাজারিভাগ।
30. অধাতব খনিজসম্পদ কোনগুলি?
উঃ কয়লা, পেট্রোলিয়াম।
31. পরিবেশের উপর সিটিজেনস্ রিপোর্ট প্রকাশকারী সংস্থার নাম কী?
উঃ সেন্টার ফর সায়েন্স এণ্ড এনভায়রণমেন্ট
32. অ্যালুমিনিয়ামের আকরিকের নাম কী?
উঃ বক্সাইট।
33. ভারতবর্ষে তামার আকরিক কোথায় পাওয়া যায়?
উঃ সিংভূম।
34. জেরোফাইট উদ্ভিদ কোথায় দেখা যায়?
উঃ মরুভূমি অঞ্চলে।
35. চিরাচরিত শক্তি কাকে বলে?
উঃ যে সকল উৎস থেকে বহু যুগ ধরে মানুষ জ্বালানি শক্তি আহরণ করে চলেছে সেই শক্তিকে চিরাচরিত শক্তি বলে। যেমন – কয়লা, খনিজ তেল।
36. অচিরাচরিত শক্তি কাকে বলে?
উঃ যে উৎসগুলি থেকে মানুষ ইদানীং জ্বালানি শক্তি আহরণ করার চেষ্টা করছে সেই সব শক্তি গুলিকে অচিরাচরিত শক্তি বলে। যেমন – জোয়ার-ভাটা, সৌরশক্তি।
37. জৈবশক্তি কাকে বলে?
উঃ জীবন বা প্রাণ থেকে উৎসারিত শক্তিকে জৈবশক্তি বা প্রাণশক্তি বলে। যেমন – উদ্ভিদ, জীবজন্তু, মানুষ ইত্যাদি থেকে উদ্ভুত শক্তি।
38. জড় শক্তি কাকে বলে?
উঃ জড় পদার্থ থেকে আহরিত শক্তিকে জড়শক্তি বলে। যেমন – কয়লা, পেট্রোলিয়াম থেকে প্রাপ্ত শক্তি।
39. ভারতবর্ষের দুটি জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের নাম লেখ।
উঃ ভাকরা-নাঙ্গাল ও হীরাকুঁদ।
40. তড়িৎকোষ কে, কবে আবিষ্কার করেন?
উঃ ১৭৯৯ খ্রীষ্টাব্দে অ্যালেজান্দ্রো ভোল্টা।
41. কে, কবে ডায়নামো আবিষ্কার করেন?
উঃ মাইকেল ফ্যারাডে, ১৮২০ খ্রীষ্টাব্দে।
42. কোটাল শক্তি কাকে বলে?
উঃ জোয়ার-ভাটার সময় জলের উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে যে শক্তি উৎপন্ন করা হয় তাকে কোটাল শক্তি বলে।
43. ভারতের দুটি পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্রের নাম লেখ।
উঃ কালপক্কম ও ট্রম্বে।
44. OPEC-এর পুরো অর্থ কী?
উঃ Organization of the Petroleum Exporting Countries.
বাস্তুতন্ত্র
1. বাস্তুবিদ্যা বা ইকোলজি কাকে বলে?
উঃ ইকোলজি শব্দটি গ্রীক শব্দ ‘Oikos’ থেকে এসেছে যার অর্থ বাসস্থান, ‘Logos’ শব্দটির অর্থ জ্ঞান। অর্থাৎ জীবের বাসস্থান সম্পর্কে বিশেষ বিদ্যাকেই বাস্তুবিদ্যা বলে।
2. পপুলেশন বা জীবসংখ্যা কাকে বলে?
উঃ একটি নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলে বসবাসকারী একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির জীবগোষ্ঠীকে পপুলেশান বলে।
3. জীবমণ্ডল কাকে বলে?
উঃ প্রকৃতির সমস্ত অঞ্চল যথা – বায়ুমণ্ডল, বারিমণ্ডল, অশ্মমণ্ডল যেখানে জীবের অস্তিত্ব দেখা যায় সেই সমস্ত অঞ্চলকে একত্রে জীবমণ্ডল বলে।
4. প্ল্যাঙ্কটন কাকে বলে?
উঃ জলের উপর বসবাসকারী ভাসমান আনুবীক্ষণিক জীবকে প্ল্যাঙ্কটন বলে। এই জীব যদি প্রাণী হয় তবে তাকে প্রাণী প্ল্যাঙ্কটন (zoo plancton) বলে এবং যদি উদ্ভিদ হয় তবে তাকে উদ্ভিদ প্ল্যাঙ্কটন (phytoplankton) বলে।
5. স্বভোজী জীব কাকে বলে?
উঃ যে সকল জীব প্রকৃতি থেকে বিভিন্ন প্রকার খনিজ দ্রব্য ও জল আহরণ করে সূর্যালোকের উপস্থিতিতে কার্বন ডাই অক্সাইডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে খাদ্য প্রস্তুত করে তাদের স্বভোজী জীব বলে।
6. খাদ্যজালিকা কাকে বলে?
উঃ বাস্তুতন্ত্রের একাধিক খাদ্যশৃঙ্খল পরস্পর যুক্ত হয়ে যে জালিকার গঠন করে তাকে খাদ্যজালিকা বলে।
7. পশ্চিমবঙ্গের যে কোন দুটি অভয়ারণ্যের নাম লেখ।
উঃ জলদাপাড়া ও গরুমারা।
8. পশ্চিমবঙ্গের কোথায় সংরক্ষিত বন বর্তমান?
উঃ সজনেখালিতে।
9. খাদক কাকে বলে?
উঃ যে সকল জীব অন্য জীবদের খেয়ে নিজেদের শক্তি সংগ্রহ করে তাদের খাদক বলে।
10. অনবীভবনযোগ্য সম্পদ কাকে বলে?
উঃ যে সকল সম্পদের মজুত পৃথিবীতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে বর্তমান এবং একবার নিঃশেষিত হলে পুনরায় প্রাপ্তি সম্ভব নয় তাদেরকে অনবীভবনযোগ্য সম্পদ বলে। যেমন কয়লা, ধাতু, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি।
11. নেকটন কাদের বলে?
উঃ জলে বসবাসকারী যে সকল প্রাণী সাঁতার কাটতে পারে তাদের নেকটন বলে। যেমন- মাছ ইত্যাদি।
12. বাস্তুতন্ত্রের বৃহত্তম একক কী?
উঃ বায়োস্ফিয়ার।
13. বনভূমির বৃক্ষের সবচেয়ে উপরের আবরণকে কী বলে?
উঃ চাঁদোয়া।
14. বাস্তুতন্ত্রের উদ্ভিদসমূহকে কী বলা হয়?
উঃ ফ্লোরা।
15. পার্মাফ্রস্ট কোথায় দেখা যায়?
উঃ তুন্দ্রা বায়মে।
16. সরলবর্গীয় বৃক্ষের অপর নাম কী?
উঃ টেগা।
17. পৃথিবীর মোট বনভূমির কত শতাংশ নিরক্ষীয় বন দ্বারা আবৃত?
উঃ ৭ শতাংশ।
18. নিরক্ষীয় বর্ষা বনে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কত?
উঃ ২৪০-৪৩০ সেমি।
19. চিপকো আন্দলন কোথায় শুরু হয়?
উঃ উত্তরপ্রদেশে।
20. উত্তর আমেরিকার তৃণভূমির নাম কী?
উঃ প্রেইরী।
21. বনসংরক্ষণ আইন কবে প্রণয়ন হয়?
উঃ ১৯৮০ সালে।
22. বর্তমান ভারতবর্ষে অবলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ প্রজাতির সংখ্যা কত?
উঃ ৪৫০ টি।
23. এখন ভারতবর্ষে অভয়ারণ্যের সংখ্যা কটি?
উঃ ৪৪১ টি।
24. করবেট জাতীয় পার্ক কোথায় অবস্থিত?
উঃ উত্তরপ্রদেশে।
25. পশ্চিমবঙ্গের কোথায় গণ্ডার পাওয়া যায়?
উঃ জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে।
26. গ্রেট ইণ্ডিয়ান বাস্টার্ড পাখি ভারতের কোন রাজ্যে দেখা যায়?
উঃ গুজরাটে।
27. ভারতের অবলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদের নাম যে বইয়ে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে সেই বইয়ের নাম কী?
উঃ রেড ডাটা বুক।
28. বন্দিপুর জাতীয় পার্ক কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ কর্ণাটকে।
29. ভারতের বৃহত্তম পক্ষী অভয়ারণ্য কোথায় অবস্থিত?
উঃ ঘানা (রাজস্থান)।
30. ভারতে কোথায় সিংহ দেখা যায়?
উঃ গুজরাটের গির অভয়ারণ্যে।
31. ভারতে কোথায় গণ্ডার দেখা যায়?
উঃ আসামের কাজিরাঙ্গা অভয়ারণ্যে।
32. পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার একটি অভয়ারণ্যের নাম লেখ।
উঃ বেথুয়াডহরী।
33. পশ্চিমবঙ্গের বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ কোথায় অবস্থিত?
উঃ সুন্দরবনে।
34. ১৯৭৫ সালে আন্তর্জাতিক রামসার কনভেনশান অনুষ্ঠিত হয় কী জন্য?
উঃ জলাভূমি সংরক্ষণে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য।
35. ইকোলজি শব্দটির সংজ্ঞা কে প্রদান করেন?
উঃ আর্নেস্ট হেক্কেল।
36. ইকোসিস্টেম শব্দটির কে প্রবর্তন করেন?
উঃ আর্থার ট্যান্সলে।
37. সাভানা কী?
উঃ নিরক্ষীয় অঞ্চলের তৃণভূমি।
38. পরাশ্রয়ী অর্কিড উদ্ভিদ কোথায় দেখা যায়?
উঃ নিরক্ষীয় বর্ষাবনে।
39. ইকোটোন কাকে বলে?
উঃ দুইটি বাস্তুতন্ত্রের মিলনকে।
40. সাইলেন্ট ভ্যালি কোথায় অবস্থিত?
উঃ কেরলে।
41. ভারতে কোথায় একশৃঙ্গ গণ্ডার দেখা যায়?
উঃ আসামের কাজিরাঙ্গায়।
42. ভারতের সর্ববৃহৎ পক্ষিরালয় কোথায় অবস্থিত?
উঃ রাজস্থানের ভরতপুরস্থিত ঘানায়।
43. খাদ্যশৃঙ্খল কাকে বলে?
উঃ খাদ্য-খাদক সম্পর্কের ভিত্তিতে উৎপাদক স্তর থেকে ধাপে ধাপে বিভিন্ন জীবগোষ্ঠীর মধ্যে খাদ্যশক্তির প্রবাহকে খাদ্যশৃঙ্খল বলে।
44. খাদ্যশৃঙ্খল কয় প্রকার ও কী কী?
উঃ খাদ্যশৃঙ্খল দুই প্রকার। যথা – গ্রেজিং খাদ্যশৃঙ্খল ও ডেট্রিটাস খাদ্যশৃঙ্খল।
45. গ্রেজিং খাদ্যশৃঙ্খল কী?
উঃ যে খাদ্যশৃঙ্খলে উৎপাদক স্তর থেকে শক্তি ধাপে ধাপে তৃণভোজী ও মাংসাশী প্রাণীদের মধ্যে সংক্রমিত হয় তাকে গ্রেজিং খাদ্যশৃঙ্খল বলে। যেমন – উদ্ভিদ → হরিণ → বাঘ।
46. ডেট্রিটাস খাদ্যশৃঙ্খল কাকে বলে?
উঃ যে খাদ্যশৃঙ্খলে বিয়োজক স্তর থেকে খাদক স্তরে ধাপে ধাপে শক্তি সঞ্চারিত হয় তাকে ডেট্রিটাস খাদ্যশৃঙ্খল বলে। যেমন – পচাপাতা → ক্ষুদ্র জলজ প্রাণী → ছোট মাছ → বড় মাছ।
47. ডেট্রিভোর কাকে বলে?
উঃ ডেট্রিটাস বা আংশিক ভাবে বিয়োজিত জৈব পদার্থকে যে সব ছোট ছোট প্রাণী খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে তাদের ডেট্রিভোর বলে। যেমন – কেঁচো, উইপোকা।
48. শক্তিপ্রবাহ কাকে বলে?
উঃ বাস্তুতন্ত্রে সৌরশক্তি রূপান্তরিত হয়ে এক দেহ থেকে অন্য দেহে স্থানান্তরিত হওয়াকে শক্তিপ্রবাহ বা Energy Flow বলে।
49. পরজীবী খাদ্যশৃঙ্খল কাকে বলে?
উঃ যে খাদ্যশৃঙ্খলে খাদ্য-খাদক সম্পর্ক বৃহৎ প্রাণী থেকে শুরু হয়ে পরজীবী ক্ষুদ্র প্রাণীতে শেষ হয় তাকে পরজীবী খাদ্যশৃঙ্খল বলে। যেমন – কুকুর → কৃমি → বিয়োজক।
50. মৃতজীবী খাদ্যশৃঙ্খল কাকে বলে?
উঃ যে খাদ্যশৃঙ্খল শক্তির প্রবাহকে ভিত্তি করে মৃতজীবী বিয়োজক স্তরেই আবদ্ধ থাকে তাকে মৃতজীবী খাদ্যশৃঙ্খল বলে।
51. কার্বন চক্র কাকে বলে?
উঃ যে প্রক্রিয়ায় কার্বন মৌল কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস রূপে পরিবেশ থেকে জীবদেহে ও জীবদেহ থেকে পরিবেশে আবর্তিত হয়ে পরিবেশে কার্বনের সমতা বজায় রাখে তাকে কার্বন চক্র বলে।
52. নাইট্রোজেন চক্র কাকে বলে?
উঃ যে প্রক্রিয়ায় বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেন জীবজগতে এবং জীবজগত থেকে নাইট্রোজেন বায়ুমণ্ডলে আবর্তিত হয়ে পরিবেশে নাইট্রোজেনের সমতা বজায় রাখে তাকে নাইট্রোজেন চক্র বলে।
53. ফসফরাস চক্র কাকে বলে?
উঃ যে প্রক্রিয়ায় ফসফরাস মৌল পরিবেশ থকে জীবদেহে এবং জীবদেহ থেকে পরিবেশে আবর্তিত হয়ে পরিবেশে ফসফরাসের সমতা বজায় রাখে তাকে ফসফরাস চক্র বলে।
54. অ্যামোনিফিকেশন কাকে বলে?
উঃ যে পদ্ধতিতে মাটিতে বসবাসকারী ব্যাকটিরিয়া নাইট্রোজেন যৌগকে অ্যামোনিয়ায় পরিণত করে তাকে অ্যামোনিফিকেশন বলে।
55. সালফার চক্র কাকে বলে?
উঃ যে পদ্ধতিতে সালফার মৌল পরিবেশ থকে জীবদেহে এবং জীবদেহ থেকে পরিবেশে আবর্তিত হয়ে পরিবেশে সালফারের সমতা বজায় রাখে তাকে সালফার চক্র বলে।
56. পরিবেশে সালফারের উপাদানগুলি কী কী?
উঃ হাইড্রোজেন সালফাইড ও সালফার ডাই অক্সাইড।
57. জলচক্র কাকে বলে?
উঃ যে প্রাকৃতিক শক্তির বশে জল তার বিভিন্ন অবস্থায় শিলামণ্ডল, বারিমণ্ডল ও আবহমণ্ডলের মধ্যে ক্রমাগত অপরিহত অবস্থায় আবর্তিত হয়ে চলেছে, জলের সেই চক্রাকার আদান-প্রদান ব্যবস্থাকেই জলচক্র বলে।
58. বায়োম কাকে বলে?
উঃ উদ্ভিদ ও প্রাণীজগৎ মাটি ও জলবায়ুর সাথে পারস্পরিক সম্পর্কের মাধ্যমে যে বাস্তুতান্ত্রিক একক গড়ে তোলে তাকে বায়োম বলে।
59. বায়োজিওগ্রাফিক্যাল প্রসেসেস বইটি কার লেখা?
উঃ বিজ্ঞানী সিমন্স ১৯৮২ সালে বইটি লেখেন।
60. জিওগ্রাফি অ্যান্ড ম্যান্স এনভার্নমেন্ট বইটি কার লেখা?
উঃ বিজ্ঞানী স্ট্র্যালার অ্যান্ড স্ট্র্যালার ১৯৭৬ সালে বইটি লেখেন।
61. ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিস বইটি কার লেখা?
উঃ বিজ্ঞানী জিমারম্যান ১৯৫১ সালে বইটি লেখেন।
62. জীবভর বা বায়োমাস কী?
উঃ বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে কোনও নির্দিষ্ট স্থানে বসবাসকারী জীবিত প্রাণীদের মোট ভরকে জীবভর বা বায়োমাস বলে।
63. IBWL –এর পুরো নাম কী?
উঃ Indian Board of Wild Life.
64. CRYO BANK কী?
উঃ মাইনাস (-) ১৯৬ ডিগ্রি উষ্ণতায় উদ্ভিদের কোন বিশেষ অঙ্গ, কোষ, পরাগরেণু, ভ্রুণ, শুক্রাণু, ডিম্বাণু ইত্যাদি যেখানে সংরক্ষণ করা হয় তাকে CRYO BANK বলে।
65. বিয়োজক কাকে বলে?
উঃ যারা মৃত প্রাণী ও উদ্ভিদের জৈব পদার্থকে সরলীকরণ করে পুনরায় উদ্ভিদের গ্রহণযোগ্য করে তোলে তাদের বিয়োজক বলে। যেমন – ব্যাকটিরিয়া।
66. নেবুলা কী দিয়ে গঠিত হয়?
উঃ গ্যাস ও ধুলোবালি দ্বারা।
67. ওজন গ্যাসের আবরণ দেখা যায় বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে?
উঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে।
68. বায়ুমণ্ডলের কত উচ্চতা পর্যন্ত ট্রপোস্ফিয়ার বিস্তৃত?
উঃ ১৫ কিমি।
69. নগ্ন জিন কাকে বলা হয়?
উঃ নিউক্লিক অ্যাসিডকে।
70. প্রোটিনের গঠনমূলক একক কী?
উঃ অ্যামাইনো অ্যাসিড।
71. স্থলজ ও জলজ দশা দেখা যায় কোন চক্রে?
উঃ ফসফরাস চক্রে।
72. বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের (O2) পরিমাণ কত?
উঃ ২০.৬০ ভাগ।
73. বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের (CO2) পরিমাণ কত?
উঃ ০.০৩ ভাগ।
74. শিলামণ্ডলের উপরিভাগ প্রধানত কী দিয়ে গঠিত?
উঃ সিলিকা ও অ্যালুমিনিয়াম।
75. উত্তপ্ত তরল স্যুপ মতবাদটি কে প্রদান করেন?
উঃ বিজ্ঞানী হ্যালডেন।
76. জীবদেহের কোন অনুগুলি আত্মপ্রতিলিপি গঠনে সক্ষম?
উঃ DNA ও RAN।
77. দুটি ব্যাকটেরিয়ার নাম লেখ যারা প্রোটিন ভেঙে প্রকৃতিতে সালফার মুক্ত করে?
উঃ ইশ্চেরিশিয়া এবং প্রোটিয়াস।
78. FAO-এর পুরো নাম কী?
উঃ Food and Agricultural Organization.
পরিবেশের বিপর্যয়
1. প্রাকৃতিক বিপর্যয় কাকে বলে?
উঃ যেসকল দুর্ঘটনা প্রাকৃতিকভাবে ঘটে এবং প্রকৃতি ও সভ্যতার সমূহ ক্ষতি ঘটায় তাকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে।
2. মনুষ্যসৃষ্ট কয়েকটি পরিবেশ বিপর্যয়ের নাম কর।
উঃ পারমাণবিক বিস্ফোরণ, কীটনাশক দুর্ঘটনা ইত্যাদি।
3. পরিবেশীয় ডিজাস্টার কাকে বলে?
উঃ যে সকল প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপর্যয়ে মানুষের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয় তাকে পরিবেশীয় ডিজাস্টার বলে।
4. একটি জৈব পরিবেশীয় বিপর্যয়ের নাম লেখ।
উঃ ইউট্রোফিকেশন।
5. নিরক্ষীয় সাইক্লোন পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে কী কী নাম ডাকা হয়?
উঃ দক্ষিণ আমেরিকায় হ্যারিকেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টাইফুন, অস্টেলিয়ায় উইলি এবং ভারত, বাংলাদেশে সাইক্লোন।
6. ধ্বস কাকে বলে?
উঃ পাহাড়ের ঢাল বরাবর মাধ্যাকর্ষণের টানে পাথরের চাঁই, শিলাচূর্ণ, মাটি এবং অন্যান্য আলগা পদার্থের হঠাৎ নেমে আসা বা খসে পড়ার ঘটনাকে ঢাল বলে।
7. ধ্বস নিয়ন্ত্রনের দুটি উপায় লেখ।
উঃ যেখানে সেখানে বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট তৈরি না করা।
বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, সেতু নির্মাণ করার আগে ওই এলাকার মাটি, পাথর ইত্যাদি কতটা চাপ সহ্য করতে পারে তা পরীক্ষা করা।
8. ভারতের ধ্বসপ্রবণ এলাকাগুলির নাম লেখ।
উঃ দার্জিলিং, কার্শিয়াং, গ্যাংটক, শিলং, নৈনিতাল, উত্তর কাশী।
9. ভূমিকম্প কাকে বলে?
উঃ প্রাকৃতিক অথবা মনুষ্যসৃষ্ট কারণে পৃথিবীর অভ্যন্তরে হঠাৎ যে কম্পন হয় তাকে ভূমিকম্প বলে।
10. কতকগুলি ভূমিকম্পনপ্রবণ এলাকার নাম লেখ।
উঃ জাপান, চিন, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, ইরান, ফিলিপাইনস দ্বীপপুঞ্জ।
11. কোন যন্ত্রের সাহায্যে ভূমিকম্প মাপা হয়?
উঃ সিসমোগ্রাফ যন্ত্রের সাহায্যে।
12. ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপার যন্ত্রের নাম কী?
উঃ রিখটার স্কেল।
13. ভূমিক্ষয় কাকে বলে?
উঃ নদী, বৃষ্টির জল, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি প্রাকৃতিক কারণে এবং চাষবাস, বৃক্ষছেদন, পশুপালন ইত্যাদির কারণে যদি মাটি একস্থান থেকে অন্যস্থানে সরে যায় তবে তাকে ভুমিক্ষয় বলে।
14. ভূমিক্ষয় কয় প্রকার ও কী কী?
উঃ ভূমিক্ষয় তিন প্রকার। যথা – শিট ভূমিক্ষয়, রিল ভূমিক্ষয় ও নালি ভূমিক্ষয়।
15. শিট ভূমিক্ষয় কাকে বলে?
উঃ বৃষ্টির জলে ভূমির ধার বরাবর জমির উপরের পাতলা মাটির আস্তরণ যদি চাদরের মত সরে যায় তবে তাকে শিট ভূমিক্ষয় বলে।
16. রিল ভূমিক্ষয় কাকে বলে?
উঃ মাটির উপর বর্ষার জলে সরু সরু অগভীর গর্ত তৈরি হলে সেই খাদ বরাবর মাটি ধুয়ে গেলে তাকে রিল ভূমিক্ষয় বলে।
17. নালি ভূমিক্ষয় কাকে বলে?
উঃ রিল গুলি গভীর ও আরও লম্বা হয়ে নালি তৈরি করলে এবং ঐ নালি বরাবর বৃষ্টির জল মাটি ধুয়ে দিলে তাকে নালি ভূমিক্ষয় বলে।
18. ভূমিক্ষয় নিয়ন্ত্রনের দুটি উপায় লেখ।
উঃ স্থানান্তর কৃষি বন্ধ করা ও বৃক্ষ রোপন করা।
19. ভারতের দুটি অঞ্চলের উদাহরণ দাও যেখানে ভূমিক্ষয় বেশি হয়?
উঃ হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চল, উপকূল অঞ্চল, ছোটনাগপুর মালভূমি, দাক্ষিণাত্যের মালভুমি।
20. খরা কাকে বলে?
উঃ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম বৃষ্টি হলে বা বহুদিন ধরে বৃষ্টি না হলে যে অস্বাভাবিক শুষ্ক অবস্থার সৃষ্টি হয় তাকে খরা বলে।
21. প্রকট খরা কাকে বলে?
উঃ যখন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মোট স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের ৫০% কম হয় তখন তাকে প্রকট খরা বলে।
22. ভারতের খরাপ্রবণ অঞ্চল কোনগুলি?
উঃ ভারতের ৬৭ টি জেলাকে খরা প্রবণ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এই জেলাগুলি আছে রাজস্থান, গুজরাট, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশ।
23. খরা নিয়ন্ত্রণের প্রধান উপায়গুলি কী?
উঃ কৃত্রিম বনাঞ্চল সৃষ্টি করা, কৃত্রিম জলাশয়ের নির্মাণ ও ভূ-নিমস্থ জলের পরিমাণ বৃদ্ধি করা।
24. মরুকরণ বা ডেজার্টিফিকেশন কাকে বলে?
উঃ ধারাবাহিকভাবে মরভূমির আয়তন বৃদ্ধিকে মরুকরণ বলে।
25. মরুভূমি সম্প্রসারণের দুটি কারণ লেখ।
উঃ অবাধ পশুচারণ, যথেচ্ছভাবে বৃক্ষ ছেদন ও অবৈজ্ঞানিক প্রথায় চাষ আবাদ।
26. বন্যা কাকে বলে?
উঃ নদী তার দুকূল ছাপিয়ে যখন চারপাশকে জলমগ্ন করে দেয় তাকে বন্যা বলে।
27. বন্যার প্রধান মনুষ্যজনিত কারণ কী?
উঃ অরণ্যধ্বংস ও অত্যধিক হারে ভূমিকর্ষণ।
28. ভারতের কোথায় কোথায় সবচেয়ে বেশী বন্যা হয়?
উঃ আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উড়িষ্যা, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ প্রভৃতি।
29. সাইক্লোন ঘূর্ণবাত কাকে বলে?
উঃ কোন জায়গায় বায়ুর চাপ কমার ফলে নিম্নচাপের কেন্দ্রে দিকে ছুটে আসা ঘূর্ণির মত বায়ুপ্রবাহকে সাইক্লন বা ঘূর্ণবাত বলে।
30. পৃথিবীর কোথায় কোথায় ঘূর্ণবাত বেশি হয়?
উঃ ভারত, বাংলাদেশ, চিন, জাপান, ফিলিপাইন প্রভৃতি দেশে।
31. হ্যারিকেন কী?
উঃ ওয়েস্টিণ্ডিজের ঘূর্ণবাতের প্রচলিত নাম হ্যারিকেন।
32. টাইফুন কী?
উঃ চীন ও জাপানে ঘূর্ণবাতের স্থানীয় নাম টর্নেডো।
33. টরনেডো কী?
উঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘূর্ণবাতের নাম টর্নেডো।
34. গাড়ির ধোঁয়ায় থাকা দুটি বায়ুদূষকের নাম লেখ।
উঃ নাইট্রিক অক্সাইড ও নাইট্রোজেন ড্রাই অক্সাইড।
35. প্রকৃতির বৃক্ক কাকে বলে?
উঃ জলাভূমিকে।
36. আমাদের দেশে প্রথম কবে কীটনাশক আইন চালু হয়?
উঃ ১৯৬৮ সালে।
37. সালফার ডাই অক্সাইড-এর অভাবে গাছের কী ক্ষতি হয়?
উঃ গাছের পাতা হলুদ হয়ে যায় ও বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
38. PAN মানুষের কী ক্ষতি করে?
উঃ চোখ জ্বালা করে ও ক্যান্সার রোগ সৃষ্টি হয়।
39. COD কী?
উঃ জলে উপস্থির বিভিন্ন জৈব ও অজৈব পদার্থের সম্পূর্ণ জারণের জন্য যে অক্সিজেনের চাহিদা দেখা দেয় তাকে COD বোলে।
40. শব্দদূষণের ফলে সৃষ্ট কতকগুলি রোগের নাম লেখ।
উঃ অনিদ্রা, হৃদরোগ, পেপটিক আলসার, সাইকোসিস।
41. ভূমিকম্পের তীব্রতা প্রথম যে অঞ্চলে অনুভূত হয় তার নাম কী?
উঃ এপিসেণ্টার।
42. ভূ-নিম্নস্থ অঞ্চলে মোট কটি মূখ্য প্লেট আছে?
উঃ ৬ টি।
43. ভূ-নিম্নস্থ অঞ্চলে মোট কটি গৌণ প্লেট আছে?
উঃ ২০ টি।
44. গুজরাটের মহাভূমিকম্প কবে হয়?
উঃ ২০০১ সালে।
45. ভূপালের গ্যাস দূর্ঘটনা কবে হয়?
উঃ ১৯৮৪ সালে।
46. ভূপালের গ্যাস দুর্ঘটনায় নির্গত গ্যাসের নাম কী ছিল?
উঃ MIC (মিথাইল আইসোসায়ানেট) গ্যাস ।
47. জাপানে মিনামাটা বিপর্যয় কীজন্য ঘটে?
উঃ পারদ সংক্রামিত মাছ খাওয়ার ফলে।
48. জাপানে কত সালে পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটে?
উঃ. ১৯৪৫ সালে।
49. চের্নোবিল দুর্ঘটনা কত সালে ঘটে?
উঃ ১৯৮৬ সালে।
50. চের্নোবিল দুর্ঘটনা কোথায় ঘটে?
উঃ রাশিয়ায়।
51. ভূপাল গ্যাস দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কোম্পানীর নাম কী?
উঃ ইউনিয়ন কার্বাইড।
52. ওজোন স্তরকে ধ্বংস্কারী মনুষ্য উৎপাদিত গ্যাসের নাম কী?
উঃ ক্লোরো ফ্লুরো কার্বন।
53. ১৯৬৭ সালে ভারতের কয়নার ভূমিকম্প কী জন্য হয়?
উঃ কয়নার জলাধার তৈরীর জন্য।
54. ১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধের কে নেতৃত্ব প্রদান করে?
উঃ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র।
55. সোনিক বুম কী?
উঃ সুপার সোনিক এয়ারক্রাফটের শব্দ যে শক্ ওয়েভ তৈরি করে এবং যা প্রচণ্ড শব্দ ঘাতের সৃষ্টি করে তাকে সোনিক বুম বলে।
পরিবেশ সম্পর্কিত সমস্যাবলী
1. পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রতিবছর কতটা করে বৃদ্ধি পাচ্ছে?
উঃ প্রতিবছর ০.৬ ডিগ্রি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
2. সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে সৃষ্ট মানুষের দুটি রোগের নাম লেখ।
উঃ ত্বকে ক্যানসার ও চোখে ছানি।
3. Stone Cancer কী?
উঃ অ্যাসিড বৃষ্টির প্রভাবে মার্বেল পাথরের সৌধ বা ভাস্কর্যে যে ক্ষেতের সৃষ্টি হয় তাকে স্টোন ক্যান্সার বলে।
4. পৃথিবীর প্রথম জাতীয় উদ্যানের নাম কী?
উঃ ইয়োলো স্টোন পার্ক।
5. সিলিকসিস কী?
উঃ ফুসফুসে বালি কণা জমে যে সমস্যা দেখা দেয় তাকে সিলিকসিস বলে।
6. কত মাত্রার শব্দ মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে?
উঃ ২০০ ডেসিবেল।
7. Sand Fly এর মাধ্যমে কোন রোগ ছড়ায়?
উঃ কালাজ্বর।
8. রক্ত বাহিত দুটি রোগের নাম লেখ।
উঃ ম্যালেরিয়া, হেপাটাইটিস বি, এডস ইত্যাদি।
9. অ্যানথেরিয়ার্কোসিস কী?
উঃ ফুসফুসে কয়লার গুঁড়ো জমে যে রোগ যে রোগ দেখা দেয় তাকে অ্যানথোরিয়াকসিস বলে। কয়লাখনি অঞ্চলের শ্রমিকদের এই রোগ দেখা যায়।
পরিবেশের অবক্ষয় ও দূষণ
1. বায়ুদূষণের সংজ্ঞা দাও।
উঃ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যে অনিষ্টকর পদার্থের সমাবেশ ঘটলে তা মানুষ ও পরিবেশের ক্ষতি করে এবং তখন তাকে বায়ুদূষণ বলে।
2. বায়ুর মূল উপাদান গুলি কী কী?
উঃ নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, আর্গন, কার্বন ডাই অক্সাইড, জলীয়বাষ্প, ধূলিকণা ইত্যাদি।
3. বায়ুমণ্ডলের আবরণকে মুখ্যতঃ কি কি স্তরে ভাগ করা হয়?
উঃ ট্রপোস্ফিয়ার, স্ট্রাটোস্ফিয়ার, মেসোস্ফিয়ার ও থার্মোস্ফিয়ার।
4. বায়ুর বেশিরভাগ অংশ কোন স্তরে বিদ্যমান?
উঃ ট্রপোস্ফিয়ারে।
5. ভূস্তর থেকে কত উচ্চতা পর্যন্ত ট্রপোস্ফিয়ার বর্তমান?
উঃ প্রায় ১৫ কিমি পর্যন্ত।
6. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে ওজোন গ্যাসের লেয়ার দেখা যায়?
উঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে।
7. বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তর পৃথিবীর জীবকে কিভাবে রক্ষা করে?
উঃ সূর্য থেকে আগত অতিবেগুনী রশ্মি বিভিন্ন জীবের উপর মারাত্মক ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। ওজোনস্তর এই রশ্মিকে শোষণ করে এবং পৃথিবী পৃষ্ঠে পৌঁছাতে বাধা দেয়। ফলে পৃথিবীর জীবরা এই রশ্মির মারাত্মক প্রভাব থেকে রক্ষা পায়।
8. প্রাকৃতিক উপায়ে বায়ুদূষণ কিভাবে ঘটে?
উঃ আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত বিভিন্ন গ্যাস, ধূলিকণা, ছাই, মহাকাশ থেকে আগত মহাজাগতিক রশ্মি, উল্কা, সমুদ্র থেকে নির্গত লবণের কণা প্রভৃতির দ্বারা।
9. দূষিত বায়ুতে ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোন যৌগের উপস্থিতি দেখা যায়?
উঃ বেঞ্জো পাইরিন নামক জৈব যৌগের উপস্থিতি দেখা যায় সেটি ক্যানসার সৃষ্টি করে।
10. বায়ুতে কার্বন মনোক্সাইডের (CO) উপস্থিতি প্রাণীদেহে কি ক্ষতি করে?
উঃ কার্বন মনোক্সাইড (CO) একটি অতি বিষাক্ত গ্যাস, এটি রক্তের হিমোগ্লোবিনের সঙ্গে ক্রিয়া করে কার্বক্সি হিমোগ্লোবিন যৌগ গঠন করে ও দেহে অক্সিজেন পরিবহনের মাত্রা হ্রাস করে। এই গ্যাসের অতিমাত্রায় উপস্থিতিতে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
11. বায়ুতে সালফার ডাই অক্সাইডের (SO2) মাত্রা বৃদ্ধিতে প্রধান প্রধান উৎস গুলি কী কী?
উঃ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লার দহন, যানবাহনের নির্গত ধোঁয়া, সালফিউরিক অ্যাসিড তৈরির কারখানা প্রভৃতি।
12. বায়ুতে সালফার ডাই অক্সাইড গ্যাস মানুষের দেহে কি ব্যাঘাত ঘটায়?
উঃ এই গ্যাস মুখ্যতঃ শ্বাসনালী ও ফুসফুসে প্রভাব ফেলে, ফলে শ্বাসঘটিত বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়।
13. অম্লবৃষ্টির জন্য প্রধানতঃ কোন গ্যাস দায়ী?
উঃ সালফার ডাই অক্সাইড (SO2), নাইট্রোজেনের অক্সাইড (NOx), ওজোন (O3) প্রভৃতি।
14. অম্লবৃষ্টিতে প্রধানতঃ কোন কোন অ্যাসিডের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়?
উঃ মোটামুটিভাবে ৬০ ভাগ সালফিউরিক অ্যাসিড (H2SO4) এবং ৪০ ভাগ নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3)।
15. অম্লবৃষ্টিতে জলাশয়ের উপর কি প্রভাব ফেলে?
উঃ জলাশয়ের পি এইচ (PH) এর মান কম হওয়াতে বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃত্যু ঘটে, ফলে জলাশয়টি অনুৎপাদক বলে পরিগণিত হয়।
16. ভারতে অম্লবৃষ্টি কোন কোন অঞ্চলে দেখা যায়?
উঃ ভারতের বিভিন্ন শিল্পপ্রধান অঞ্চল ও মেট্রো শহরগুলি যেমন মুম্বাই, চেন্নাই, দিল্লী, কলকাতা প্রভৃতি অঞ্চল।
17. গ্রীণহাউস গ্যাস কোনগুলি?
উঃ যে গ্যাসগুলি বাতাসে গ্রীণহাউস এফেক্ট সৃষ্টি করে তাদেরকে গ্রীণহাউস গ্যাস বলে। যেমন – কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, ক্লোরো ফ্লুরো কার্বন, নাইট্রাস অক্সাইড।
18. গ্রীণহাউস প্রভাবে কোন কোন CFC গ্যাস বেশী দায়ী?
উঃ ট্রাই ক্লোরো ফ্লুরো মিথেন এবং ডাই ক্লোরো ডাই ফ্লুরো মিথেন প্রভৃতি।
19. প্রকৃতিতে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসের মাত্রাধিক্যের কারণ কী?
উঃ অরণ্যের বিনাশ এবং শিল্প ও যানবাহনের প্রসার।
20. CFC গ্যাস বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরের কিভাবে ক্ষতি করে?
উঃ CFC গ্যাস বায়ুমণ্ডলের স্ট্রাটোস্ফিয়ারে উপস্থিত হলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি এই গ্যাসকে ভেঙ্গে ক্লোরিন মুক্ত করে। এই মুক্ত ক্লোরিন অনুঘটকের কাজ করে এবং ওজোন ভেঙ্গে অক্সিজেনে পরিণত করে।
21. কোন কোন যন্ত্রের সাহায্যে বায়ুতে উপস্থিত কণাজাতীয় দূষক পদার্থ অপসারণ করা হয়?
উঃ প্রধানত সাইক্লোন সেপারেটর এবং ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক সেপারেটর যন্ত্রের সাহায্যে।
22. বায়ুমণ্ডলে কোন গ্যাসের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি?
উঃ নাইট্রোজেন।
23. ১৯৫২ সালে লণ্ডন শহরে ৪০০০ লোকের মৃত্যু কি কারণে হয়েছিল?
উঃ বায়ুদূষণের ফলে।
24. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে মেঘের অবস্থান দেখা যায়?
উঃ ট্রপোস্ফিয়ারে।
25. PAN এর পুরো নাম কী?
উঃ পার অক্সি অ্যাসিটাইল নাইট্রেট।
26. হাইড্রোজেন ফ্লুরাইড দ্বারা প্রাণীদেহে সৃষ্ট রোগের নাম কী?
উঃ ফ্লুরোসিস।
27. অম্লবৃষ্টি গঠনের প্রধান প্রধান অ্যাসিডগুলি কী কী?
উঃ সালফার ডাই অক্সাইড, হাইড্রোজেন পারক্সাইড, ওজোন, জল।
28. প্রশম জলের পি এইচ (PH) মান কত?
উঃ সাত (৭)।
29. পশ্চিমজার্মেনীর বনাঞ্চল ধ্বংস হওয়ার কারণ কী?
উঃ অম্লবৃষ্টি।
30. কলকাতায় বৃষ্টির জলের গড় পি এইচ মান কত?
উঃ ৫.৮।
31. সালফার ডাই অক্সাইড (SO2) দ্বারা বায়ুদূষণের সবচেয়ে বৃহত্তম উৎস কী?
উঃ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
32. ক্লোরো ফ্লুরো কার্বন এর (CFC) উৎস কী?
উঃ রেফ্রিজারেটর।
33. প্রধান গ্রীনহাউস গ্যাসের নাম কী?
উঃ কার্বন ডাই অক্সাইড।
34. অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে যে গ্যাস ব্যবহার করা হয় তার নাম কী?
উঃ হালন।
35. অতিবেগুনী রশ্মি জীবদেহের কী ক্ষতি করে?
উঃ ত্বকের ক্যানসার সৃষ্টি করে।
36. ওজোন হোল প্রথম কবে আবিষ্কৃত হয়?
উঃ ১৯৮৫ সালে।
37. ওজোন হোলের ক্ষয়ের জন্য দোষী প্রধান গ্যাসের নাম কী?
উঃ CFC।
38. এনভায়রনমেণ্টাল প্রোটেকশান এজেন্সী কোথায় অবস্থিত?
উঃ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে।
39. SPM এর পুরো নাম কী?
উঃ Suspended Particulate Matter.
40. লেডেড পেট্রোলে যে যৌগটি মেশানো থাকে তার নাম কী?
উঃ টেট্রা ইথাইল লেড।
41. অম্লবৃষ্টির ফলে ভারতের যে অভয়ারণ্য সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার নাম কী?
উঃ ভরতপুরের পক্ষী অভয়ারণ্য।
42. Air Pollution গ্রন্থটি কার লেখা।
উঃ বিজ্ঞানী পার্কিন্স।
43. গ্রীন হাউস প্রভাব কী?
উঃ বায়ুমণ্ডলে মূলত কার্বনডাই অক্সাইডের ঘনত্ব বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির ঘটনাকে গ্রীনহাউস প্রভাব বলে।
44. পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণ কী?
উঃ জীবাশ্ম জ্বালানির দহন, জ্বালানি হিসাবে কাঠের ব্যবহার বৃদ্ধি, ক্লোরোফ্লুরো কার্বন বৃদ্ধি, নাইট্রাই অক্সাইড বৃদ্ধি ইত্যাদি।
45. গ্লোবাল ওয়ার্মিং কী?
উঃ সাড়া পৃথিবী জুড়ে উষ্ণতার ক্রমবর্ধমান অবস্থাকে বিজ্ঞানীরা গ্লোবাল ওয়ার্মিং বলেছেন।
46. অ্যাসিড বৃষ্টি কাকে বলে?
উঃ শিশির, তুষার ও বৃষ্টির জলের সাথে মিশ্রিত হয়ে বাতাসে ভাসমান সালফিউরিক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড, হাইড্রোজেন ক্লোরাইড প্রভৃতি রাসায়নিক পদার্থ পৃথিবীতে যখন ঝরে পড়ে তখন তাকে অ্যাসিড বৃষ্টি বলে।
47. পৃথিবীতে কোথায় কোথায় অ্যাসিড বৃষ্টি বেশি হয়?
উঃ কানাডা, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, সুইডেন, নেদারল্যাণ্ড প্রভৃতি দেশে।
48. ভারতে কোথায় কোথায় অ্যাসিড বৃষ্টি বেশি হয়?
উঃ মুম্বাইয়ের চেম্বুর, মহারাষ্ট্রের পুনে, কেরালার ত্রিবান্দ্রাম।
49. ওজোন হোল কী?
উঃ বায়ুমণ্ডলের ১০ থেকে ৮০ কিমি উচ্চতায় স্ট্রাটোস্ফিয়ারের মধ্যে ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি শোষণ প্রতিহত করার জন্য ওজোন গ্যাসের যে প্রাকৃতিক আবরণ আছে বিভিন্ন কারণে সেই স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাকে ওজোন হোল বলে।
50. ওজোন হোল সৃষ্টির কারণগুলি কী?
উঃ রঙ শিল্প, রেফ্রিজারেশন, প্লাস্টিক শিল্প প্রভৃতি থেকে নিঃসৃত ক্লোরোফ্লুরো কার্বন বায়ুমণ্ডলের অতিবেগুনী রশ্মির সাথে বিক্রিয়া করে ওজোন হোল সৃষ্টি হয়।
51. B.O.D-বলতে কী বোঝ?
উঃ B.O.D বা বায়লজিক্যাল অক্সিজেন ডিমাণ্ড বা জীব রাসায়নিক চাহিদা বলত জলজ ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য অনুজীবদের স্বাভাবিক কাজকর্ম ও বারবৃদ্ধির জন্য জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের চাহিদা বোঝায়।
52. ইউট্রোফিকেশন বলতে কী বোঝ?
উঃ যে পদ্ধতিতে হ্রদের তলদেশে জৈব পদার্থ ক্রমাগত জমা হওয়ার ফলে হ্রদ ভরাট হয় তাকে ইউট্রোফিকেশন বলে।
53. আর্সেনিক দূষণ কাকে বলে?
উঃ অতিরিক্ত আর্সেনিক যুক্ত হয়ে জল বা মাটি দূষিত হলে তাকে আর্সেনিক দূষণ বলে।
54. শব্দদূষণ কাকে বলে?
উঃ শব্দ যখন মানুষের সহনক্ষমতা অতিক্রম করে তখন তাকে শব্দ দূষণ বলে।
55. শব্দদূষণ পরিমাপের একক কী?
উঃ শব্দ দূষণ পরিমাপের একটি বহুল প্রচলিত একক হল ডেসিবেল।
56. শব্দদূষণের দুটি ক্ষতিকর প্রভাব উল্লেখ কর।
উঃ মানুষের কর্মদক্ষতা হ্রাস পায় ও স্মৃতি-শক্তি কমে যায়।
57. কীটনাশক দূষণ কী?
উঃ অতিরিক্ত বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহার করে অবাঞ্ছিত কীটপতঙ্গ মারার সাথে সাথে জল মাটি বাতাস উদ্ভিদ প্রাণী এবং মানুষের শারিরীক ক্ষতি যখন হয় তাকে কীটনাশক দূষণ বলে।
58. চের্নোবিল দুর্ঘটনা কী?
উঃ ১৯৮৬ সালের ২৬ শে এপ্রিল ইউক্রেনের চের্নোবিল শহরে পারমানবিক শক্তি কেন্দ্রে যে বিস্ফোরণ ঘটে তাকে চের্নোবিল দুর্ঘটনা বলে।
59. চের্নোবিল দুর্ঘটনার কারণ কী?
উঃ চের্নোবিল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে তেজস্ক্রিয় ইউরেনিয়াম ব্যবহার করা হত। এখানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকলেও দুর্ঘটনার দিন সেগুলি চালু ছিল না, ফলে পারমানবিক চুল্লীর ভিতরে ইউরেনিয়াম জ্বালানি প্রচণ্ড গরম হয়ে যায় ও বিস্ফোরণ ঘটে।
60. ভারতের কোন কোন রাজ্যে সৌর শক্তিকে কাজে লাগানো হচ্ছে?
উঃ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, গুজরাট ইত্যাদি রাজ্যে।
61. জোয়ার-ভাটা শক্তি কাজে লাগানো হয় এমন দুটি দেশ কী কী?
উঃ কানাডা, ইংল্যাণ্ড, আর্জেন্টিনা।
62. পারমাণবিক শক্তি থেকে ভারতের কোথায় কোথায় বিদ্যুৎ তৈরি হয়?
উঃ তারাপুর, কালপক্কম, নাড়োরা।
63. ভূপাল গ্যাস দুর্ঘটনা কবে, কোথায় ঘটেছিল?
উঃ ১৯৮৪ সালের ২-৩ ডিসেম্বরের মাঝরাতে মধ্যপ্রদেশের রাজধানি ভূপালে ইউনিয়ন কার্বাইড কারখানায়।
64. MIC কী?
উঃ MIC গ্যাসের বিজ্ঞানসম্মত নাম হল মিথাইল আইসোসায়ানেট। এই গ্যাস। এই গ্যাস থেকে কার্বোরিল বা সেভিন নামক কীটনাশক উৎপাদন করা হয়।
65. Silent Valley কোথায় অবস্থিত? Silent Valley নামকরণের কারণ কী?
উঃ দক্ষিণ ভারতের কেরল রাজ্যে পালঘাট জেলায় ক্রান্তীয় বৃষ্টি অরণ্যে ঢাকা উপত্যকার নাম হল সাইলেণ্ট ভ্যালি। পাহাড়ি অরণ্য সংকুল এই অঞ্চলের পরিবেশ প্রচণ্ড শান্ত ও নিস্তব্ধ বলে একে সাইলেণ্ট ভ্যালি বলা হয়।
66. গঙ্গা উন্নয়ন প্রকল্প প্রথম কবে চালু হয়?
উঃ ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী ১৯৮৬ সালের ১৪ই জুন বারাণসীতে আনুষ্ঠানিকভাবে গঙ্গা উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
67. তেজস্ক্রিয়তা সর্বপ্রথম কে আবিষ্কার করেন?
উঃ ১৮৯৬ খ্রীষ্টাব্দে ফরাসী বিজ্ঞানী হেনরি ব্যাকারেল।
68. রেডিয়াম কে আবিষ্কার করেন?
উঃ ১৯০২ খ্রীষ্টাব্দে মাদাম কুরি ও তার স্বামী পিয়ের কুরি।
69. তেজস্ক্রিয় পদার্থ কোথায় কোথায় ব্যবহৃত হয়?
উঃ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানী হিসাবে, পারমাণবিক বোমা প্রস্তুতিতে, চিকিৎসা শাস্ত্রে এবং গনেষণাগারে ট্রেসার মৌল হিসাবে।
70. পরিবেশে স্বাভাবিক তেজস্ক্রিয়তার গড় মান কত?
উঃ বার্ষিক গড় মান ১০৫ Mrem।
71. কোন রশ্মি বায়ুমণ্ডলে তেজস্ক্রিয়তার সৃষ্টি করে?
উঃ কসমিক রে বা মহাজাগতিক রশ্মির বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে কিছু কম অর্ধজীবনকাল সম্পন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থ উৎপন্ন করে। যেমন – কার্বন-১৪ (C14)।
72. মাটিতে প্রধানতঃ কোন কোন তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ থাকে?
উঃ প্রধানতঃ পটাসিয়াম-৪০ (K40) এবং রুবিডিয়াম–৮৭ (Rb)।
73. বায়ু কিভাবে তেজস্ক্রিয় পদার্থ দ্বারা দূষিত হয়?
উঃ তেজস্ক্রিয় পদার্থের খনন, ধৌতকরণ ও বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়ায় বায়ু তেজস্ক্রিয় তেজস্ক্রিয় পদার্থ দ্বারা দূষিত হয়।
74. রেম এককে কী মাপা হয়?
উঃ রেম এককে তেজস্ক্রিয় বিকিরণে মানুষের শরীরে সম্ভাব্য ক্ষতির মাত্রা প্রকাশ করা হয়।
75. র্যাড কাকে বলে?
উঃ শরীরে তেজস্ক্রিয় বিকিরণের শোষণের পরিমাণের একককে র্যাড বলে।
76. দুটি তেজস্ক্রিয় ট্রেসার মৌলের নাম লেখ।
উঃ কার্বন–১৪ (C14) এবং আয়োডিন–১২৫ (I125)।
77. পারমাণবিক চুল্লী নির্গত বর্জ্যপদার্থে কোন কোন ক্ষতিকারক বস্তু থাকে?
উঃ আয়রণ–৫৯ (Fe59) এবং কোবাল্ট–৬০ (Co60)।
78. অর্ধজীবনকাল কাকে বলে?
উঃ বিকিরণের ফলে যে সময়কালে তেজস্ক্রিয় পদার্থটির পরমাণু সংখ্যা প্রাথমিক পরমাণুর সংখ্যার অর্ধেক হবে তাকে সেই তেজস্ক্রিয় পদার্থের অর্ধজীবনকাল বলে।
79. তেজস্ক্রিয় দূষণে মানুষের শরীরে কোন কোন রোগের সৃষ্টি হয়?
উঃ প্রধানতঃ রক্তাল্পতা, ব্লাড ক্যানসার, বিভিন্ন অঙ্গের ক্যান্সার, স্নায়বিক বৈকল্য প্রভৃতি।
80. দুটি মারাত্মক পারমাণবিক বিস্ফোরণের নাম লেখ।
উঃ জাপানের হিরোসীমা ও নাগাসাকিতে পরমানু বোমা বিস্ফোরণ এবং রাশিয়ার চের্নোবিলে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্ঘটনা।
81. তেজস্ক্রিয় বর্জ্য পদার্থকে কিভাবে অপসারণ করা হয়?
উঃ তেজস্ক্রিয় বর্জ্য পদার্থকে একটি ইস্পাতের পাত্রে রেখে মাটির গভীরে বা সমুদ্রের নীচে নিষ্ক্রান্ত করা হয়।
82. রেডিয়ামের তেজস্ক্রিয়তা ইউরেনিয়ামের চেয়ে কত গুণ বেশি?
উঃ দশ লক্ষ গুণ বেশি।
83. তেজস্ক্রিয় মৌল প্রধানত কোথায় ব্যবহৃত হয়?
উঃ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে।
84. বায়ুতে যে তেজস্ক্রিয় মৌল পাওয়া যায় তার নাম কী?
উঃ রেডন (রেডন-২২২), থোরণ (রেডন-২২০)।
85. পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ করার আন্তর্জাতিক চুক্তির নাম কী?
উঃ কমপ্রিহেনসিভ নিউক্লিয়ার টেস্ট ব্যান ট্রিটি।
86. তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ফলে জীবদেহে কী ক্ষতি ঘটে?
উঃ জেনেটিক মিউটেশন ঘটে।
87. তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ক্ষতিকর বস্তুগুলি কী কী?
উঃ আলফা কণিকা, বিটা কণিকা ও গামা রশ্মি।
88. জাপানের নাগাসাকি যে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল তার নাম কী?
উঃ ফ্যাটম্যান।
89. কত কম্পাঙ্ক যুক্ত শব্দ আমরা শুনতে পাই?
উঃ শব্দ তরঙ্গের কম্পাঙ্ক প্রতি সেকেণ্ডে হলে ২০ থেকে ২০০০০ বার হলে আমরা শুনতে পাই।
90. শব্দের তীক্ষ্মতা কিসের উপর নির্ভর করে?
উঃ কম্পাঙ্কের উপর নির্ভর করে। কম্পাঙ্ক যত বাড়ে শব্দের তীক্ষ্মতাও তত বাড়ে। আবার শব্দের কম্পাঙ্ক যত কমে তীক্ষ্মতাও তত কমে।
91. শব্দের প্রাবল্য কোন এককে মাপা হয়?
উঃ ডেসিবেল এককে।
92. দিনের চেয়ে রাতের বেলায় শব্দ বেশি জোরে শোনা যায় কেন?
উঃ মাধ্যমের ঘনত্ব বেশি হলে শব্দের তীব্রতা বাড়ে। দিনের বেলায় বায়ু উত্তপ্ত থাকার ফলে বায়ুর ঘনত্ব রাতের ঘনত্বের থেকে কম হয়। এই কারণে দিনের চেয়ে রাতে শব্দ বেশী জোরে শোনা যায়।
93. শব্দদূষণের প্রধান উৎসগুলি কী কী?
উঃ বিভিন্ন কলকারখানা, যানবাহন, বাইক, টিভি প্রভৃতি।
94. কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্ধারিত মান অনুযায়ী বসতি অঞ্চলে দিন ও রাতের শব্দসীমা কত হওয়া উচিত?
উঃ দিনের বেলায় ৫০ ডেসিবেল এবং রাতের বেলায় ৪৫ ডেসিবেল।
95. ট্রেনের হুইসেল যে শব্দদূষণ হয় তার মাত্রা কত?
উঃ ৯০ ডেসিবেল।
96. শ্রবণ ইন্দ্রিয়ের অবসাদ কাকে বলে?
উঃ ৯০ ডেসিবেলের বেশী মাত্রার শব্দ আমাদের কানে এলে সেটি শ্রবণ অঙ্গকে সাময়িকভাবে অকেজো করে তোলে এবং কানের মধ্যে ক্রমাগত ভোঁ ভোঁ শব্দ শোনা যায়। এই ঘটনাকে শ্রবণ ইন্দ্রিয়ের অবসাদ বলে।
97. আমাদের শ্রবণ যন্ত্রে শ্রুতিগ্রাহক অঙ্গ কোনটি?
উঃ অর্গান অব কর্টি।
98. শব্দের মাত্রা কতখানি হলে কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে?
উঃ ১৬০ ডেসিবেলের বেশী।
99. শব্দ দূষণের ফলে রক্তের কোন কোন রোগ দেখা যায়?
উঃ হাইপোকেলিমিয়া, ইওসিনোফিলিয়া প্রভৃতি।
100. কোন শব্দ দূষণের প্রভাবে ঘরের কাঁচ নির্মিত জানালা ভেঙে যায়?
উঃ সুপারসনিক বিমানের সনিক বুমের ফলে।
101. শব্দদূষণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাড়িঘরে কি ব্যবস্থা অবলম্বন করা উচিত?
উঃ ঘরবাড়ি তৈরীর সময় শব্দ শোষক টাইলস ব্যবহার করা হয়।
102. পরিবেশকে শব্দ দূষণের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত?
উঃ উদ্ভিদরা শব্দ শোষণ করে। তাই বেশি সংখ্যায় গাছ লাগানো উচিত।
103. গাড়িতে শব্দদূষণ রোধে কোন যন্ত্রের ব্যবহার করা হয়?
উঃ সাইলেন্সার।
104. হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রভৃতির কত দূরত্ব পর্যন্ত নিরব অঞ্চল ঘোষণা করা হয়ে থাকে?
উঃ ১০০ মিটার পর্যন্ত।
105. আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহৃত কোন কোন যন্ত্রাদি শব্দ দূষণ ঘটায়?
উঃ টিভি, ওয়াশিং মেশিন, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার প্রভৃতি।
106. শব্দের মাত্রা কত ডেসিবেলের বেশি হলে আমাদের শারীরবৃত্তীয় ক্ষতি শুরু হয়?
উঃ ৯৫ ডেসিবেলের বেশি।
107. ভারী ধাতু কাকে বলে?
উঃ যেসকল ধাতু মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীদেহে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে তাদের ভারী ধাতু বলে। যেমন অ্যালুমিনিয়াম, আর্সেনিক, সীসা, পারদ প্রভৃতি।
108. খনিজ তেলে উপস্থিত কোন ধাতুর ফলে পরিবেশ দূষিত হয়?
উঃ লেড (Pb) বা সীসা।
109. মানব শরীরের কোন অঙ্গ দ্বারা বিষাক্ত ধাতু নিষ্কাশিত হয়?
উঃ কিডনীর দ্বারা।
110. নেফ্রোটক্সিক ধাতু কাকে বলে?
উঃ যেসকল ধাতু কিডনি বা নেফ্রনের ক্ষতি করে তাদের নেফ্রোটক্সিক ধাতু বলে। যেমন – সীসা, পারদ প্রভৃতি।
111. সীসার কোন যৌগগুলি সবচেয়ে বিষাক্ত?
উঃ লেড অক্সাইড, লেড আর্সনেট ও লেড কার্বনেট।
112. সীসার কোন যৌগ কীটনাশক হিসাবে ব্যবহৃত হয়?
উঃ লেড আর্সনেট।
113. সীসার কোন যৌগ ত্বকের দ্বারা শোষিত হয়?
উঃ টেট্রা ইথাইল লেড।
114. সীসার আক্রান্ত রুগীকে কিভাবে চিকিৎসা করা হয়?
উঃ সীসা আক্রান্ত রোগীর রক্তে স্যালাইনের মাধ্যমে ক্যালসিয়ার চিলেট প্রয়োগ করা হয়।
115. পাণীয় জলে সীসার গ্রাহ্যমাত্রা কত?
উঃ ০.০৫ মিলিগ্রাম প্রতি লিটার।
116. মিনমাটা রোগ কোন ধাতুর বিষক্রিয়ায় দেখা যায়?
উঃ পারদ-এর।
117. মিনামাটা রোগ প্রথম কোথায় দেখা দেয়?
উঃ জাপানে।
118. পারদের প্রধান আকরিকের নাম কী?
উঃ সিনারার।
119. দুটি পারদযুক্ত ছত্রাকনাশকের নাম লেখ?
উঃ মিথাইল মারকারী নাইট্রাইল ও মিথাইল মারকারী অ্যাসিটেট
120. পারদের বিষক্রিয়ায় ভ্রূণের কী ক্ষতি হয়?
উঃ পারদ গর্ভস্থ ভ্রুণের স্নায়ুতন্ত্রের উপর ক্রিয়া করে। ফলে জন্মের সময় শিশুর জন্মগত ত্রুটি যেমন সেরিব্রাল পলসি, মানসিক ত্রুটি প্রভৃতি দেখা যায়।
121. কোন কোন দেশে আর্সেনিক দূষণ মহামারীর আকারে দেখা গিয়েছিল?
উঃ থাইল্যাণ্ড ও মেক্সিকোয়।
122. পানীয় জলে আর্সেনিকের গ্রহণযোগ্য মাত্রা কত?
উঃ ০.০৫ মিলিগ্রাম প্রতি লিটার।
123. কোন ধাতুর প্রভাবে ব্ল্যাকফুট ডিজিজ দেখা যায়?
উঃ আর্সেনিকের (As) প্রভাবে।
124. পশ্চিমবঙ্গের কোন কোন জেলায় আর্সেনিক দূষণ প্রবলভাবে দেখা যায়?
উঃ দক্ষিণ ২৪ পরগণা, মালদা ও মুর্শিদাবাদ।
125. ইটাই ইটাই রোগ কোন ধাতুর প্রভাবে দেখা যায়?
উঃ ক্যাডমিয়াম ধাতুর প্রভাবে।
126. তামাক সেবনের ফলে কোন ধাতু শরীরে বিষাক্ত প্রভাব বিস্তার করে?
উঃ ক্যাডমিয়াম (Cd)।
127. ক্যাডমিয়াম কতখানি ডোজ মানুষের পক্ষে মারাত্মক?
উঃ প্রায় ১ গ্রাম ক্যডমিয়াম মানুষের মুখের দ্বারা শরীরে প্রবেশ করলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
128. ক্যাডমিয়াম হাড়ের কোন ধাতু প্রতিস্থাপিত করে?
উঃ ক্যালসিয়াম (Ca)।
129. মানুষের পানীয় জলে ক্যাডমিয়ামের গ্রাহ্যমাত্রা কত?
উঃ ০.০১ মিলিগ্রাম প্রতি লিটার।
130. ক্যাডমিয়াম বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত মানুষকে কি দ্বারা চিকিৎসা করা হয়?
উঃ মেটালো থিওনিন নামক প্রোটিন দ্বারা।
131. বিষাক্ত ধাতু আমাদের শরীর থেকে কিভাবে নিষ্কাশিত হয়?
উঃ কিডনির মাধ্যমে।
132. যে সকল ধাতু কিডনির ক্ষতি করে তাকে কী বলে?
উঃ নেফ্রোটক্সিক ধাতু।
133. ব্যাকফুট ডিজিজ কার প্রভাবে হয়?
উঃ আর্সেনিকের (As) প্রভাবে।
134. তামাক পাতায় উপস্থিত ক্ষতিকর ধাতুর নাম কী?
উঃ ক্যাডমিয়াম (Cd)।
135. বিভিন্ন কীটনাশকগুলি পাখীদের কি ক্ষতি করে?
উঃ পাখীদের ডিমের খোলস পাতলা করে দেয়।
136. DDT জাতীয় কীটনাশকের ক্রিয়া কতদিন পর্যন্ত বলবৎ থাকে?
উঃ মাটিতে প্রয়োগের পরেও প্রায় ১০ বছর পর্যন্ত তার রাসায়নিক ক্রিয়া বজায় থাকে।
137. দুটি অর্গানোফসফরাস যৌগের নাম লেখ?
উঃ প্যারাথিয়ন ও ম্যালাথিয়ন।
138. কোন ধরণের ছত্রাকনাশক যৌগ মারাত্মক বলে পরিগণিত হয়?
উঃ যে সকল ছত্রাকনাশক যৌগে তামা ও পারদের যৌগ উপস্থিত থাকে সেগুলি মানুষদের পক্ষে মারাত্মক বলে পরিগণিত হয়।
139. কোন ধরণের কীটনাশকগুলিতে উন্নত দেশে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে?
উঃ ক্লোরিনেটেড হাইড্রোকার্বন (DDT, BHC ইত্যাদি)।
140. কোন ধরণের কীটনাশক মৌমাছি ও বোলতার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক?
উঃ কার্বামেটস।
141. কোন ধরণের জীবনাশক বীজ থেকে শিকড় ও কাণ্ডের নির্গমন রোধ করে?
উঃ থায়োকার্বামেট।
142. জৈব নিয়ন্ত্রণ কাকে বলে?
উঃ যখন কোন পেস্টকে তার প্রাকৃতিক শত্রু প্রয়োগ করে নিয়ন্ত্রণ করা হয় তখন তাকে জৈব নিয়ন্ত্রণ বলে।
143. ক্লোরিনেটেড হাইড্রোকার্বন মানুষের শরীরে কোথায় সঞ্চিত হয়?
উঃ ফ্যাটজাতীয় কলায়।
144. বায়োলজিক্যাল কণ্ট্রোল বলতে কী বোঝায়?
উঃ জীবের প্রাকৃতিক শত্রু দ্বারা জীবকে ধ্বংস করা।
পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য
1. ব্যাকটিরিয়া জনিত দুটি রোগের নাম লেখ।
উঃ কলেরা, আন্ত্রিক।
2. প্রোটোজোয়া ঘটিত দুটি রোগের নাম লেখ।
উঃ আমাশয়, ম্যালেরিয়া।
3. ভাইরাস ঘটিত দুটি রোগের নাম লেখ।
উঃ জলবসন্ত, পীতজ্বর।
4. দরিদ্র জনগণের মধ্যে কোন কোন রোগের প্রকোপ বেশি?
উঃ কলেরা, হেপাটাইটিস, কুষ্ঠ, ম্যালেরিয়া, টাইফ্রয়েড ইত্যাদি।
5. পরিবেশ আইন কাকে বলে?
উঃ পরিবেশ সংক্রান্ত যে আইনের মাধ্যমে পরিবেশকে সুরক্ষা করা যায় এবং সামগ্রিকভাবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা যায় তাকে পরিবেশ আইন বলে।
6. জলদূষণ নিবারণ আইনের দুটি উদ্দেশ্য লেখ।
উঃ জলদূষণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করা ও জলের গুণগত মান বজায় রাখা।
7. সেস-এর আওতাভুক্ত দুটি শিল্পের উল্লেখ কর।
উঃ সিমেন্ট শিল্প, কাগজ শিল্প।
8. ভূমিদূষণ নিবারণের উদ্দেশ্যে প্রণীত দুটি আইন লেখ।
উঃ কীটনাশক আইন ১৯৬৮, বিস্ফোরক দ্রব্য আইন – ১৯৮৪।
9. Silent Zone কাকে বলে?
উঃ হসপিটাল, শিক্ষাকেন্দ্র এবং আদালতের ১০০ মিটারের মধ্যের এলাকাকে সাইলেন্স জোন বা নিঃশব্দ অঞ্চল বলে। এই অঞ্চলে গাড়ীর হর্ণ, মাইক বাজানো ও বাজি ফাটানো যায় না।
10. ফুড পয়েজনিং কিসের দ্বারা ঘটে?
উঃ এটি একটি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ। দূষিত ও বাসী খাবার খেলে এটি বেশি হয়।
11. দুটি প্রটোজোয়া ঘটিত রোগের নাম লেখ?
উঃ ম্যালেরিয়া, আমাশয় প্রভৃতি।
12. এনডেমিক অবস্থা ও মহামারী কাকে বলে?
উঃ প্রকৃতিতে বেশিরভাগ রোগই একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক পোষক প্রাণীর মধ্যে সবসময় অবস্থান করে। কিছু সংখ্যক প্রাণীর মধ্যে রোগের উপস্থিতিকে এনডেমিক অবস্থা বলে।
হোস্টের ঘনত্ব ও সংস্রব যখন বৃদ্ধি পায় এই রোগ হঠাৎ বিপুল মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে তখন সেই অবস্থাকে মহামারী বলে।
13. DDT এর পুরো নাম কী?
উঃ ডাই ক্লোরো ডাই ফিনাইল ট্রাইক্লোরো ইথেন।
14. দূষিত পানীয় জল দ্বারা কি কি রোগের বিস্তার ঘটে?
উঃ টাইফয়েড, কলেরা, আন্ত্রিক প্রভৃতি।
15. সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের প্রধান পদ্ধতিগুলি কী কী?
উঃ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্যশিক্ষা, টীকা প্রদান এবং মল ও বিভিন্ন বর্জ্যপদার্থের যথাযথ নিষ্কাশন।
16. পাখীর দ্বারা সংক্রামিত হয় এমন ভাইরাসের নাম কী?
উঃ আর্বোভাইরাস।
17. মৃত্তিকায় বিস্তারলাভ ঘটে এমন রোগজীবানুর নাম কী?
উঃ টিটেনাশ, অ্যানথ্রাক্স প্রভৃতি।
18. ভেক্টর কাকে বলে?
উঃ যখন কোন প্রাণী কোন রোগজীবাণু বহন করে তখন তাকে ভেক্টর বলে।
19. দুটি বায়ুবাহিত রোগের নাম লেখ।
উঃ জলবসন্ত, ইলফ্লুয়েঞ্জা প্রভৃতি।
20. উকুন দ্বারা যে রোগের বিস্তার ঘটে তার নাম কী?
উঃ এপিডেমিক টাইফাস।
21. কোন মাছি কালাজ্বরের বিস্তার ঘটায়?
উঃ স্যাণ্ড ফ্লাই।
22. বায়ুবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের সহজ পথ কী?
উঃ ভীড় বা জমায়েত পরিহার করা ও হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলি ভালমত নির্জীব করা।
23. কোন কোন রোগ প্রতিরোধে টীকা প্রদান করা হয়?
উঃ ডিপথেরিয়া, পোলিওমাইলিটিস, টিটেনাস, হুপিং কাশি প্রভৃতি।
24. মানুষের দেহে পরোক্ষ ভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিভাবে সঞ্চার করা হয়?
উঃ ইম্যুনোগ্লোবুলিন ইঞ্জেক্সন করে।
25. ম্যালেরিয়া রোগ সৃষ্টিকারী জীবানুর নাম কী?
উঃ প্লাসমোডিয়াম ভ্যাইভ্যাক্স।
26. ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধে কোন ঔষুধ প্রয়োগ করা হয়?
উঃ ক্লোরোকুইন, প্যারাকুইন, ম্যালাকুইন প্রভৃতি।
27. মশার লার্ভা ভক্ষণকারী মাছের নাম কী?
উঃ গাম্বুসিয়া, তেলাপিয়া প্রভৃতি।
28. যক্ষা রোগের পরজীবীর নাম কী?
উঃ মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারক্যুলোসিস।
29. কোন ধরণের শ্রমিকদের ত্বকের ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি?
উঃ কোক তৈরীর কারখানা ও তৈল শোধনাগারে কর্মরত শ্রমিকদের।
30. কলেরা রোগের পরজীবীর নাম কী?
উঃ ভিব্রিও কলেরি।
31. প্লেগ নিয়ন্ত্রণের প্রধান পদ্ধতি কী?
উঃ ইঁদুর ও ফ্লি জাতীয় প্রাণীর ধ্বংস ও টীকাকরণ।
32. ব্যাগাসোসিস রোগ কাদের দেখা যায়?
উঃ চিনি মিলে কর্মরত শ্রমিকদের এই রোগ দেখা যায়।
33. একটি প্রটোজোয়া ঘটিত রোগের নাম লেখ?
উঃ আমাশয়।
34. পাখীর দ্বারা বিস্তারলাভ করে এরকম একটি রোগের নাম লেখ।
উঃ অরনিথোসিস।
35. AIDS এর পুরো নাম কী?
উঃ অ্যাকোয়ার্ড ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি সিনড্রোম।
36. কুকুরের কামড়ে কোন রোগ সংক্রামিত হয়?
উঃ রেবিস ভাইরাস।
37. উকুন দ্বারা প্রসারিত রোগের নাম কী?
উঃ এপিডেমিক টাইফাস।
38. ভারত সরকারের টীকা প্রদানের কার্যক্রমের নাম কী?
উঃ এক্সপাণ্ডেড প্রোগ্রাম অন ইম্যুনাইজেসন।
39. ব্যাগাসোসিস রোগ প্রধানত কী থেকে হয়?
উঃ আখের সূক্ষ্ম ছিবড়ে থেকে।
40. সিসিকোসিস রোগ সাধারণত কাদের হয়?
উঃ খনি এলাকায় কর্মরত শ্রমিকদের।
41. বিজিনোসিসি রোগ সাধারণত কাদের হয়?
উঃ বস্ত্র শিল্পের শ্রমিকদের।
42. প্লাসমোডিয়াম ভাইভক্সের অযৌন জনন কোথায় দেখা যায়?
উঃ মানুষের দেহে।
43. প্লাসমোডিয়াম ভাইভক্সের যৌন জনন কোথায় দেখা যায়?
উঃ মশার মধ্যে।
44. দিনের বেলায় যে মশারা কামড়ায় তারা সাধারণত কোন প্রজাতির?
উঃ এডিস প্রজাতির।
45. মশা নিধনে যে ব্যাকটেরিয়া প্রয়োগ করা হয় তার নাম কী?
উঃ ব্যাসিলাস থুরিজিয়েন্সিস।
46. স্যাণ্ডফ্লাই বাহিত রোগের নাম কী?
উঃ কালাজ্বর।
47. স্লিপিং সিকনেশ রোগ কে ছড়ায়?
উঃ সেটসি মাছি।
48. যে রোগে মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস হয় তার নাম কী?
উঃ এডস্(AIDS) রোগে।
49. ব্রঙ্কাইটিস অ্যাজমা প্রভৃতি রোগসৃষ্টির মূল কারণ কী?
উঃ বায়ুদূষণ।
পরিবেশ নীতি
1. CITES কী?
উঃ CITES এর পুরো কথা হল কনভেনশন অন ইন্টার ন্যাশানাল ট্রেড ইন এন্ডেনজার স্পিসিস এই সংস্থাটি আন্তর্জাতিক স্তরে বিলুপ্ত প্রায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের কাজে নিযুক্ত রয়েছে।
2. UPEN কী?
উঃ UPEN –র পুরো কথা হল ইউনাইটেড নেশনস এনভার্নমেণ্ট প্রোগ্রাম। ১৯৭৬ সালে গঠিত এই সংস্থাটির উদ্দেশ্য হল বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলিতে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
3. EPA কী?
উঃ এওনভারমেন্টাল প্রোটেকশান এজেন্সি। ১৯৭০ সালে গঠিত এই মার্কিন সংস্থাটির কাজ হল জল বায়ু শব্দ ইত্যাদি দূষণের হাত থেকে পরিবেশকে রক্ষা করা।
4. ECC কী?
উঃ ECC এর পুরো কথা হল ইউরোপিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটি। ইউরোপের ১২ টি দেশ সম্মিলিতভাবে এই সংস্থাটি গড়ে তুলেছে সদস্য দেশগুলির মধ্যে কৃষি বিজ্ঞান ও পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়গুলির আদান প্রদান ও পারস্পরিক বোঝাপড়া ও নীতি নির্ধারণের উদ্দেশ্যে।
5. ICSU এর পুরো নাম কী?
উঃ ICSU–র পুরো কথা হল ইণ্টারন্যাশানাল কাউন্সিল অফ সাইন্টিফিক ইউনিয়নস।
6. INCO কী?
উঃ INCO–র পুরো কথা হল – ইন্টারনাশ্যানাল মেরিন কনসালটেটিভ অর্গানাইজেশন। এই সংস্থার কাজ হল দূর সমুদ্রে জাহাজ চলাচল ও সমুদ্র দূষণ নিবারণ করা।
7. SACEP কী?
উঃ SACEP সাউথ এশিয়া কো অপারেটিভ এনভার্মেন্ট প্রোগ্রাম নামক এই সংস্থাটি ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, পাকিস্তান, ইরান প্রভৃতি দেশের মধ্যে পরিবেশ সংক্রান্ত জ্ঞান ও তথ্য আদান প্রদান করা।
8. UNESCO এর পুরো নাম কী?
উঃ ইউনাইটেড নেশনস এডুকেশনাল সাইন্টিফিক এণ্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন। রাষ্ট্র সংঘের সদস্য দেশগুলিতে শিক্ষা গবেষণা তথ্য ও সংস্কৃতির আদা প্রদান ও বিস্তারের উদ্দেশ্যে ১৯৪৫ সালে এই সংস্থাটি গড়ে তোলা হয়। ফ্রান্সের প্যারিসে এর মুখ্য কার্যালয়।
9. MAB কী?
উঃ MAB-এর পুরো কথা হল Man and Biosphere Program। ১৯৬৮ সালে UNESCO-র আন্তর্জাতিক জীবমণ্ডল সংক্রান্ত অধিবেশনে এই সংস্থাটি গড়ে তোলা হয়।
10. চিপকো আন্দোলন প্রথম কোথায় শুরু হয়?
উঃ ১৯৭৩ সালে উত্তরপ্রদেশের গোপেশ্বর নামক স্থানে।
11. গোপেশ্বর অঞ্চলের চিপকো আন্দোলনের নেতা কে ছিলেন?
উঃ চণ্ডীপ্রসাদ ভট্ট।
12. আপিক্কো আন্দোলন কোথায় এবং কবে শুরু হয়?
উঃ ১৯৮৩ সালে কর্ণাটকের সিরসী অঞ্চলের সলকানী বনাঞ্চলে।
13. আপিক্কো আন্দোলনের নেতৃত্ব কে প্রদান করেন?
উঃ পাণ্ডুরাও হেগড়ে।
14. ভারতবর্ষে আজ পর্যন্ত কতগুলি বাঁধ নির্মানের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে?
উঃ প্রায় ৩৫০০।
15. নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের নেত্রী কে?
উঃ মেধা পাটকর।
16. স্বাধীনতার পর ভারতে জলসেচের উন্নতির হার কি রকম?
উঃ প্রায় ৪ গুণ জমি জলসেচের আওতায় আনা হয়।
17. আন্তর্জাতিক কোন NGO ভারতে সিংগ্রোলী সুপার থার্মাল পাওয়ার স্টেশন নির্মাণের বিরোধিতা প্রদর্শন করে?
উঃ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের এনভায়রণমেণ্ট ডিফেন্স ফাণ্ড।
18. জলদূষণ ও বায়ুদূষণ আইন কত সালে প্রণয়ন করা হয়?
উঃ জলদূষণ ১৯৭৪ সালে এবং বায়ুদূষণ ১৯৮১ সালে।
19. গঙ্গার দূষণ প্রতিরোধ ও দূষিত জলের শোধন সম্পর্কিত গৃহীত প্রকল্পটির নাম কী?
উঃ গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান। এটি ১৯৮৪ সালে গ্রহণ করা হয়।
20. ভারতের পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের অন্যতম কর্ণধার কে?
উঃ সুন্দরলাল বহুগুণা।
21. চিপকো আন্দোলনের মতো কর্ণাটকে যে আন্দোলন তৈরী হয় তার নাম কী?
উঃ আপিক্কো আন্দোলন।
22. পাঞ্জাবে সবুজ বিপ্লব সম্ভব হয়েছে যে বাঁধ প্রকল্পের জন্য তার নাম কী?
উঃ ভাকরা নাঙ্গাল বাঁধ প্রকল্প।
23. এওনভারনমেণ্ট ডিফেন্স ফাণ্ড সংস্থাটি কোথায় অবস্থিত?
উঃ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে।
24. নর্মদা ভ্যালি প্রোজেক্টের বিরুদ্ধে যে নেত্রী আন্দোলন গড়ে তোলেন তার নাম কী?
উঃ মেধা পাটকর।
25. বোধঘাট প্রকল্প কোথায় চালু হয়?
উঃ মধ্যপ্রদেশে।
26. EPA এর পুরো নাম কী?
উঃ এনভায়রনমেণ্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি।
27. IUCN এর মুখ্য কার্যালয় কোথায় অবস্থিত?
উঃ সুইজারল্যাণ্ড।
28. পরিবেশ সুরক্ষা আইন কবে প্রণয়ন করা হয়?
উঃ ১৯৮৬ সালে।
29. কেন্দ্রীয় স্তরে পরিবেশ দূষণ রোধে গঠিত বোর্ডের নাম কী?
উঃ সেণ্টাল পল্যুশন কন্ট্রোল বোর্ড।
30. গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান করে তৈরী হয়?
উঃ ১৯৮৪ সালে।
31. ভারতে লোক দায়িত্ব বীমা আইন বলবৎ কবে হয়?
উঃ ১৯৯১ সালে।
32. পশ্চিমবঙ্গে বনবাসীদের নিয়ে অরণ্যসম্পদ রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক পল গেটি পুরস্কার কারা লাভ করে?
উঃ মেদিনীপুরের আরাবাড়ি প্রকল্প।
33. কেরালায় সাইলেণ্ট ভ্যালি প্রকল্পের বিরোধ আন্দোলন কারা গড়ে তোলে?
উঃ কেরালা শাস্ত্র সাহিত্য পরিষদ।
34. ১৯৮৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের কোন প্রকল্পটি ইন্দিরা বৃক্ষমিত্র পুরস্কার পায়?
উঃ আরাবাড়ি প্রকল্প।
35. TERI-এর পুরো কথাটি কী?
উঃ Tata Energy Research Institute।
36. WCED কী?
উঃ ১৯৮৪ সালের রাষ্ট্রসংঘের একসাথে ২৩টি দেশকে নিয়ে গঠিত এই সংস্থাটি হল World Commission on Environment and Development।
37. NWMC এর পুরো নাম কী?
উঃ National Wasteland Management Committee।
38. NDDB এর পুরো নাম কী?
উঃ National Dairy Development Board।
39. CFC এর পুরো নাম কী?
উঃ Central Forestry Commission।
40. গ্রীন বেঞ্চ কবে গঠিত হয়?
উঃ ১৯৮৬ সালে।
41. গ্রীন বেঞ্চ কী?
উঃ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্ট পরিবেশ সম্পর্কিত মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য ১৯৮৬ সালে যে নতুন বেঞ্চ গঠন করা হয় তা গ্রীন বেঞ্চ নামে খ্যাত।
মানবাধিকার
1. মানবাধিকার কী?
উঃ সময়ের সাথে সাথে মানুষ যেমন পরিবেশের উপর নিজের দাবি বা অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছে, তেমনি মানুষ তার নিজের সমাজেও নিজের অধিকার কায়েম করছে যা মানব অধিকার নামে পরিচিত।
2. Human Rights in the World গ্রন্থটি কার লেখা?
উঃ সমাজ বিজ্ঞানী হলকোম্ব (১৯৪৮)-এর লেখা।
3. কোন দিনটিকে মানবাধিকার দিবস ঘোষণা করা হয়?
উঃ ১০ই ডিসেম্বর।
4. মানবাধিকার রক্ষার উদ্দেশ্য কী?
উঃ মানব কল্যাণই হল মানবাধিকার রক্ষার মূল উদ্দেশ্য। এছাড়া ব্যক্তি গোষ্ঠী দেশ ও আন্তর্জাতিক স্তরে শান্তি ও সমৃদ্ধি রক্ষার জন্য এবং মানুষের ব্যক্তিত্বের পরিপূর্ণ বিকাশে সাহায্য করার জন্য মানবাধিকার রক্ষার প্রয়োজন।
5. মানবাধিকার লঙ্ঘনের দুটি উদাহণ দাও।
উঃ দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলিতে বর্ণবিদ্বেষ, রাশিয়ার ভূমিদাস প্রথা।
6. ভারতীয় সংবিধানের কোন কোন ধারায় মানবাধিকার বিষয়টি স্থান পেয়েছে?
উঃ ৪৭, ৪৮–এ, ২২৬, ৩০০–এ, ৩২৫ ও ৩২৬।
7. কবে কোথায় মানবাধিকার সম্পর্কে বিশ্ব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়?
উঃ ১৯৪৩ সালের ১৪–২৫শে জুন অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা শহরে মানবাধিকার সম্পর্কে বিশ্বসম্মেলন হয়। মোট ১৭১ টি দেশ এই সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করে।
8. North Environmental Block কাকে বলে?
উঃ পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের শিল্পোন্নত দেশগুলির নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষার জন্য অর্গানাইজেশন অফ ইকোনমিক কো অপারেশন এণ্ড ডেভলপমেণ্ট নামে একটি জোট গঠন করেছে। এই দেশগুলিকে নর্থ এনভার্মেন্টাল ব্লক বলে।
সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও আন্দোলন
1. সংরক্ষণের সংজ্ঞা লেখ।
উঃ যে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সুপরিকল্পিতভাবে পরিবেশের অনুকূল অবস্থা তৈরী করে উদ্ভিদ প্রাণী ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদকে সুরক্ষিত করা যায় এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে তাদের আবার ফিরিয়ে দেওয়া যায় তাকে সংরক্ষণ বলে।
2. বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের দুটি প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ কর।
উঃ প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখা ও প্রাকৃতিক পরিবেশে খাদ্যশৃঙ্খল অটুট রাখা।
3. পৃথিবী থেকে লুপ্ত হওয়া কয়েকটি প্রাণীর নাম লেখ।
উঃ ডোডো পাখি, মেছো কুমীর, তুষার চিতা ইত্যাদি।
4. ভারতের দুটি কুমীর প্রকল্পের নাম লেখ।
উঃ পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের লোথিয়ান দ্বীপ ও উড়িষ্যার টিকের পাড়া।
5. অভয়ারণ্য কাকে বলে?
উঃ যেসব সংরক্ষিত বনভূমিতে কিছু বিশেষ ধরণের প্রাণী ও উদ্ভিদ বাস করে তাকে অভয়ারণ্য বলে।
6. ভারতে মোট কয়টি অভয়ারণ্য আছে?
উঃ ৪২১ টি।
7. পৃথিবীর সর্বপ্রথম জাতীয় উদ্যান কোনটি?
উঃ আমেরিকার ইয়োলোস্টোন ন্যাশানাল পার্ক (১৮৭২ সাল)।
8. ওল্ড ফেথফুল কী?
উঃ আমেরিকার একটি সবিরাম উষ্ণ প্রসবন।
9. ব্যাঘ্র প্রকল্প বলতে কী বোঝ?
উঃ স্বাভাবিক পরিবেশে বাঘকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার যে পরিকল্পনা তাকে ব্যাঘ্রপ্রকল্প বলে।
10. Animal in Danger বইটি কার লেখা?
উঃ বিজ্ঞানী জন স্পার্কাস এর (১৯৭১) লেখা।
11. বনভূমি সংরক্ষণ বলতে কী বোঝ?
উঃ মানুষের যে দূরদর্শী কল্যাণকর কাজের মাধ্যমে অরণ্যকে সুরক্ষিত রাখা যায়, বনভূমি সৃজন করা যায়, পরিবেশকে সুস্থিত করা যায় বন্যজীবজন্তুর আবাস নিরাপদ রাখা যায় সেই জনমুখী কাজকে বনভূমি সংরক্ষণ বলে।
12. ‘Agenda 21’ বা একুশ দফা কর্মসূচী কী?
উঃ ১৯৯২ সালে ৩-১৪ ই জুন রিও ডি জেনিরো শহরে অনুষ্ঠিত এবং বসুন্ধরা সম্মেলনে গৃহীত ২১ দফা কর্মসূচীকে এজেণ্ডা ২১ বলে।
13. কতকগুলি পরিবেশ আন্দোলনের নাম লেখ?
উঃ চিপকো আন্দোলন, নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন, সাইলেণ্ট ভ্যালি আন্দোলন, গ্রীন পিস আন্দোলন প্রভৃতি।
14. চিপকো আন্দোলন কবে কোথায় হয়?
উঃ ১৯৭৩ সালের এপ্রিল মাসে উত্তর প্রদেশের গাড়োয়াল প্রদেশের মণ্ডল গ্রামে গাছকাটার বিরুদ্ধে একটি স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন গড়ে ওঠে, যা চিপকো আন্দোলন নামে খ্যাত।
15. চিপকো আন্দোলনের দুজন নেতার নাম লেখ।
উঃ সুন্দর লাল বহুগুণা, চণ্ডীপ্রসাদ ভট্ট।
16. চিপকো আন্দোলন কারা, কীভাবে করে?
উঃ হিমালয়ের পাহাড়ি এলাকা থেকে গাছ কেটে নেওয়ার ব্যবসা দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসছিল, এর ফলে ঐ অঞ্চলের অধিবাসীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিল, ৯৭৩ সাল নাগাদ গ্রামবাসী মহিলারা প্রথম এই আন্দোলন শুরু করে। ঠিকাদাররা গাছ কাটতে এলে তারা গাছগুলি জড়িয়ে ধরে, ফলে ঠিকাদাররা গাছ না কাটতে পেরে ফিরে যায়।
17. নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন কোথায় ও কেন হয়?
উঃ গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশের যৌথ উদ্যোগে নর্মদা প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয় কিন্তু পরিবেশবাদীরা মনে করেন যে এই প্রকল্প রূপায়িত হলে ৯২ টি গ্রাম সম্পূর্ণ জলমগ্ন হবে, ২৯৪ টি গ্রাম আংশিক জলমগ্ন হবে এবং প্রায় তিন লক্ষের মত মানুষ কর্মহীন ও গৃহহীন হবে। তাই মেধা পাটকারের নেতৃত্বে নর্মদা প্রকল্প রূপায়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হয়, যা নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন নামে খ্যাত।
18. গ্রীন পিস আন্দোলন কী?
উঃ ১৯৭১ সালে নেদারল্যাণ্ড আমস্ট্রারদামে পরিবেশ সুরক্ষা উদ্দেশ্যে একটি আন্তঃর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গঠন করা হয়। এই সংস্থাটি গ্রীন পিস নামে খ্যাত বং এদের আন্দোলন গ্রীনপিস আন্দোলন নামে খ্যাত।
19. স্টকহোম আন্দোলন কবে, কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
উঃ ১৯৭২ সালে ৫–১৬ই জুন সুইডেনের স্টক হোম শহরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানব পরিবেশ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
20. পৃথিবীর কয়টি দেশ স্টকহোম সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিল?
উঃ ১১৩ টি দেশ।
21. বসুন্ধরা সম্মেলন কবে, কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
উঃ রাষ্ট্রসংঘের তত্ত্বাবধানে ১৯৯২ সালে ৩–১৪ই জুন ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়গুলি পর্যালোচনা করার জন্য বসুন্ধরা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর -১৩"
Post a Comment