এত এত সমস্যার গল্প কে শোনে বলো

এত এত সমস্যার গল্প কে শোনে বলো

সৎ মানুষটাকে আমরা সম্মান করি।
কালো মানুষ টাকে জগতের আলো বলে সম্মোধোন করি।
যোগ্যতার বিচারে টাকা পয়সা ফেলে গুনের কদর করি।
সুন্দর অসুন্দর বিচারে রূপের আগে মনের কথা বলি।
অথচ ভালোবাসার সময় শুধু সুন্দর মানুষটাই চাই....
হোক সে বিপরীত মুখী মানুষ
হোক সে আমার ধরা ছোয়ার বাইরে
হোক সে শত দোষে দোষী
দিন শেষে সুন্দর মানুষ টাই সব কিছু পায় গুনী মানুষটার জন্য থেকে যায় শুধু কথার ফুল ঝুরি।
আমরা যেমন বলি এক করি আরেক.....
তেমনি আমাদের জীবনে চাই এক ঘটে আরেক......
কথায় কাজে মিল হলে হয়ত চাওয়া পাওয়াটাও অন্যরকম হত।



আমি ঠিক করেছি আমাদের শোবার ঘরটায় অনেক গুলি আয়েনা থাকবে। সব গুলি আয়েনার মাঝখানে বসাবো তোমায়। যেদিকে তাকাবো শুধু চিনি বউ আর চিনি বউ 
আমি ঠিক করেছি তোমায় একদিন ডেকে বলব এই শোন না কানে কানে একটা কথা। তারপর তুমি যখন কান পেতে দিবে আমি গালে একটা চুমু দিয়ে দৌড়ে পালাব 
আমি ঠিক করেছি রোজ তোমার চুলে উঁকুন বেছে দিব। উকুন না থাকুক এমনি এমনি আমি আঙুল ফুটিয়ে শোনাব।
আমি ঠিক করেছি রোজ তোমায় চমকে দিব। তুমি ঘুমিয়ে গেলে তোমায় ভুঁত সাজিয়ে দিব। ওয়াশ রুমে গেলে দরজার আড়ালে ঘাপটি মেরে বসে থাকব। ভেজা চুলে বের হলে কোলে তুলে নিয়ে খাটের উপর ফেলে দিব 

বিধবা মেয়েটা স্বামী খেকো !
তালাক প্রাপ্ত মেয়েটা অপয়া চরিত্র হীনা !
প্রেমিকের ছুড়ে ফেলা মেয়েটা পতিতা !
'
বিধবা মেয়েটার দিকে আজকে যে প্রশ্নটা ছুড়ে দিচ্ছেন কাল যদি আপনি না থাকেন পরশু আপনার বিধবা বউটার কি হবে শুনবেন ? 
'
মাঝ রাতে আপনার বিধবাকে ফোন দিবে পাড়ার মুদি দোকানি l
'
ভাবি, ভাই তো নাই কিছু সদাই নিয়ে আসব বাসায় ?
'
আপনি বেচে থাকতে যাকে কোন দিন দেখেননি আপনি মরার পর সে আপনার বন্ধু হয়ে গেল l আপনার এতিম বাচ্চাটার হাতে বড় একটা মাছ ধরিয়ে দিয়ে বলল -
'
যাও বাবু এটা নিয়ে মাকে দাও l বলবে চাচ্চু আজ রাতে খাবে !
'
প্রেম শেষে ছুড়ে ফেলা মেয়েটাকে পতিতা বলে গড়িয়ে পরার আগে নিজের বোনটা বড় হয়েছে সে খেয়াল আছে ?
'
'বানরকে ভেংচি কাটলে বানর কখনো সালাম দেয়না' নিউটনের তৃতীয় সুত্র আবিষ্কারের বহু বছর আগেও মরুব্বিরা একটা সুত্র বলত জানেন ?
'
" কর্ম ফল " বাইবেল পড়েন বা কুরআন পড়েন, বেদ পড়েন আর গীতা পড়েন l আপনার পুরোটা জীবন আপনার কর্ম ফল l
'
'হাত পা নাড়ার আগে নিজের ছায়াটাকে দেখবেন l কে বলেরে পাপ দেখা যায়না' ?




"এত এত সমস্যার গল্প কে শোনে বলো ?? ... সবাই খুব ব্যস্ত এখন
মায়ের অসুখ ... বাবার আর্থিক সমস্যা ... পড়াশুনা নিয়ে ডিপ্রেসন ... সাংসারিক সমস্যা ... ভালোবাসার মানুষটা প্রতারণা করেছে ... চাকরি হচ্ছে না ... কত শত রকম সমস্যা ... প্রতিটা দিন এগুলোর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা !!
সমস্যা তো আসলে এই সমস্যাগুলো না ... এই সমস্যাগুলো বরং পার্ট অফ লাইফ ... সমস্যাটা হলো, এই সমস্যাগুলো শেয়ার করার মত কোন মানুষ নাই !!
বুকের ভেতর অনেক কিছু চেপে রাখতে রাখতে একদিন ভেতরটা এত ভারী হয়ে আসে, সেদিন মনে হয় যে এই ভার নেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই ... শেষের গল্পটার শুরু বোধহয় সেই মূহুর্তেই !!
অথচ একটা বা দুটো মানুষ হলেই চলতো ... যে শুধু জমে থাকা কথাগুলো শুনতো ... যার কাছে ভারটা শেয়ার করে একটু হালকা হওয়া যেতো ... যে একটু মাথায় হাত রেখে বলতো কিভাবে কি করা যায় সামনে !!
কেউ চলে গেলেই আমরা আফসোস করি ... অথচ সে আমাদের মাঝেই ছিল ... আমরা দেখেও দেখে নি ... তাকে দেখেছি, কিন্তু তার চোখের ভেতরের বিষাদটুকু দেখি নি ... দেখার চেষ্টা করি নি ...
কিংবা আমরা হয়তো তার 'ভরসা করার মানুষ' হয়ে উঠতে পারি নি, তার বন্ধু হতে পারি নি, তার কাছের মানুষ হতে পারি নি, যার জন্য হয়তো সে চলে যাওয়ার আগে আটকে যেতো !!
"আজ শেষমেশ নেই, তোর কেউ নেই, কেউ নেই" - গানটা খুব খুব মিথ্যে হয়ে যাক সবার জন্য ... কেউ থাকুক ... কেউ না কেউ থাকুক পাশে ... যার জন্য প্রচণ্ড ডিপ্রেসড মানুষটাও থেকে যাবে এখানটায় ... একরাশ অভিমান নিয়ে কখনো চলে যাবে না !!" :


মেয়েকে জন্ম দেওয়া বাবাও একটা পুরুষ॥ আবার সেই বাবার আদরের পরীকে নষ্ট করে সেও একটা পুরুষ l পুরুষ তুমি, পুরুষ আমিও ভেদাভেদ তো থাকবেই !
"
তবে পুরুষ বলেই কিছু কথা বলছি l যদি তোমায় সাত দিন একটা ভেজা প্যান্ট পরে থাকতে বলা হয় পারবে ? যদি বলা হয় প্রতি মাসে ?
"
তবু নারীর পা ছড়িয়ে হাটা নিয়ে কিছু পূরুষের গবেষনা বোধ করি চটি বইয়ের গল্পকেও হার মানাবে ! 
"
প্রশ্ন জাগে কেন রমজান মাসে রোযা না রেখেও মেয়েটাকে লজ্জায় সেহেরি খেতে হবে !
"
কেন ফেইসবুকে অথবা ফোনে রোযা ভঙ্গের কারন জানতে চেয়ে তাকে টিপ্পনি কাটা যাবে !
''
কেন ? ফার্মেসি গুলোতে গুটি সুটি মারা মেয়েটার চুপিসারে কেনা সেনোরার প্যাকেট দেখে আনন্দে উল্লাসিত হবে কেউ কেউ !
"
প্রতি মাসেই এ নারী ভেজা প্যান্ট আর পেটে ব্যাথা নিয়ে পথে নামে, তবু কিছু পুরুষ ওত পেতে থাকে কখন সে নারীর নরম বুকে শক্ত কুনুইয়ের গুতায় নিজের পৌরুষত্ব দেখান যায় !
"
১২ হাত কাপড়ে মোড়া মেয়ের আঁচল সরে যাওয়ার বা সরিয়ে নেওয়ার অপেক্ষায় থাকা লক্ষ পুরুষের কাছে মা আর বোন ছাড়া সবাইতো নারী ! আর নারী মানেইতো....
"
তবু এত কিছুর পরেও নারী পথে নামে বা নামতে হয় কারন সব নারীর তোমার মত বাবা অথবা ভাই নাই ! কিংবা আছে অসুস্থ্য বাবা অথবা ছোট্ট বেকার ভাই !
"
কোনো নারীর পথ রোধের আগে কুনুইটা তার দিকে তাক করার আগে একবার ভেবে নিও পেটে ব্যাথা নিয়েও তাকে পথে নামতে হয় ভেজা প্যান্ট পরেও তাকে পথে নামতে হয় !! যদি ভাবনায় আসে তবে তুমি পুরুষ.. তার থেকেও বড় তুমি মানুষ !


"তোমাকে ঠকিয়ে যে মানুষটা চলে গেছে তাকে মন থেকে একটা ধন্যবাদ জানিয়ে দাও, কারণ তুমি তোমার জীবনটা আবার নতুন করে সাঁজাতে পারবে... জানি কষ্ট হবে, তাতে কি ? তোমার স্বপ্নের নৌকাটা তীরে থাকাঅবস্থাতেই ডুবে গেছে... তোমার ভাগ্য ভালো মাঝ নদীতে স্বপ্নের নৌকাটা ডুবে যায়নি !!
.
পৃথিবীতে ভালো মানুষের সংখ্যা খুবেই কম... চারপাশে শুধু প্রতারক আর ভুল মানুষে ভরা... তোমার জীবনে দুই একজন প্রতারক আসবে আবার চলে যাবে... এরমাঝে তোমাকে শিখিয়ে যাবে সে তোমার যোগ্য নয়... বলে যাবে তোমার জন্য আমি না, আরো ভালো কেউ অপেক্ষা করছে !!
.
একবার ভেবে দেখো তোমাকে কত মহা মূল্যবান একটা কথা বলে গেছে... তোমাকে আরো একটি সুযোগ দিলো জীবনটা সুন্দর করে সাঁজাতে... এতে তোমার কষ্ট না পেয়ে আনন্দে নাচা দরকার... শুধু একটা কথা মনে রাখো, যে তোমাকে ছেড়ে চলে যাবে সে যাবেই... আজ বা কাল সে ঠিকেই চলে যাবে... যদি আগে চলে যায় সেটা তোমার বড় ভাগ্য !!
.
পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে যাদের জীবনটা মাঝ পথে থেমে গেছে... তারা না পারছে সামনে যেতে না পারছে পিছনে আসতে... তোমার ভাগ্য ভালো তুমি তাদের দলে নেই... অতীতে কোন একটি পূণ্য করেছিলে যার ফল তুমি ঠিকেই পেয়ে যাচ্ছো !!
.
তোমার জীবনে প্রকৃত ভাবে কেউ একজন ঠিকেই আসবে... সে শুধু আসবেই কিন্তু চলে যাবে না... আর তাকে তুমি বলতে পারবে কোন এক প্রতারক তোমার কথা বলেছিল... যার কারণে আজ আমি তোমাকে পেলাম।একমাত্র সেই সময়েই তুমি প্রতারকের কাছে অশেষ কৃতঙ্গ থাকবে... শুধু তাই নয়,তার জন্য দোয়াও করতে ইচ্ছা করবে !!
.
ছোট্ট জীবনটা সুন্দর করে গুছিয়ে নাও... অতীতকে কষ্ট হলেও মাটি চাঁপা দিয়ে দাও... দেখবে তুমি খুব ভালো আছো, জীবনটা যেমন অদ্ভুদ তেমনেই সুন্দর... মনে রাখো, প্রতারক শুধু চলেই যায়নি বরং তোমাকে দিয়ে গেছে নতুন একটি সুন্দর জীবনের উৎস, ধারা ও পথ !!"



"ছেলেদের ক্ষেত্রে কালো হয়ে জন্ম নেয়াটা মেনে নেয়া গেলেও, মেয়েদের ক্ষেত্রে কালো হয়ে জন্ম নেয়েটা কেউ মেনে নিতে চায় না... একটা কালো মেয়ের জীবনে প্রতিটি পদে পদে ধাক্কা খেয়ে খেয়ে আসতে হয়... এটা আসলে আপনার কিংবা আমার কারোর দোষ নেই, এটা আমাদের সমাজের দোষ... পূর্ব পুরুষের দোষ !!
.
আপনি যে কোন মার্কেট কিংবা শপিং মলে যান তাহলে নিজেই দেখতে পারবেন সব প্রতিষ্ঠান কিংবা কোম্পানিতে শুধু সুন্দরী মেয়ের আনাগোনা... একটা কালো মেয়েও খুঁজে পাববেন না যে জব করতেছে... কারণ এসব প্রতিষ্ঠান কিংবা কোম্পানির মালিকরাও জানে সুন্দরী মেয়েদের প্রতি ক্রেতার আকর্ষণ বেশি !!
.
আপনি কোন হাসপাতালে যান সেখানেও দেখতে পারবেন যেসব নার্স কিংবা দেখাশুনার করার জন্য যেসব মেয়েদের রাখা হয় তারা অধিকাংশই সুন্দরী... আজকাল আবার শোনা যায় সুন্দরী নার্সের সেবা পেলে নাকি রোগীর তারাতারি সুস্থ হয়ে ওঠে !!
.
আপনি মিডিয়াতে যান সেখানেও সেই একই রকম... আপনার যতই টাকা থাকুক না কেন মেয়ে কালো হলে গ্রহনযোগ্য নয়... কিংবা রাস্তায় বিভিন্ন সাইনবোর্ড অথবা ব্যানারেও বিজ্ঞাপনের জন্য যত প্রচারণা দেখবেন সবগুলোতেই সুন্দরী মেয়েদের ছবি... এমন কোন সাইনবোর্ড কিংবা ব্যানার পাবেন না যেখানে কালো মেয়ের ছবি ঝুলতেছে !!
.
আপনার ছেলের জন্য মেয়ে দেখতে যাবেন, সেখানেও আপনি সবার আগে প্রশ্ন করবেন - মেয়ে দেখতে কেমন..? মেয়ে কালো হলে নিজেই মনে মনে বলবেন - এ সম্পর্ক হবে না... অথচ মেয়ে শিক্ষিত, ভদ্র, ভালো চাকরীও করে এসব আপনার চোখে পড়বে না !!
.
কালো মেয়েদের সমাজে টিকে থাকতে হলে অনেক সংগ্রাম করতে হয়... অনেক চ্যালেঞ্জ নিতে হয়... প্রতিটা কালো মেয়েই জানে কতটা যুদ্ধ করে সে বেঁচে আছে... তাই তো কথায় আছে - মেয়ে তুমি নষ্ট হও তবুও কালো হয়েও না, কারণ কালো হলেই তুমি যে অচল !!"


কারো কারো মস্তিষ্ক খুব ধীরে কাজ করে। যেমন প্রচন্ড রেগে গেলে তার মস্তিষ্ক স্থির হয়ে যায়। সে বুঝে উঠতে পারেনা ঠিক করা উচিত। প্রচন্ড রাগে মস্তিষ্ক সচল হয়ে ওঠার আগেই আমাদের বডি রিএক্ট করে বসে।
হুট করে চিৎকার করে ওঠা,কিছু ভেঙে ফেলা বা আঘাত করে বসা এই সিদ্ধান্ত গুলো তখন মস্তিষ্ক নেয় না, আমাদের বডি নিজে নিজেই নিয়ে নেয়। এরপর মস্তিষ্ক যা করে সেটা হলো বডি রিএক্টকে অনুসরণ করে। মস্তিষ্ক তখন ধরেই নেয় এই কাজ গুলা ঠিকই আছে। বডি যে রিএক্ট করে মস্তিষ্ক সেদিকে যুক্তি দিয়ে সেটাকে সঠিক করে দেয়। তাই রাগী মানুষ এক সময় নিজের রাগ টাকে স্বাভাবিক বলেই বিশ্বাস করে নেয় এবং তাতে সে অভ্যস্ত হয়ে যায়।
এ ব্যপারটা মানুষ যখন বিপদে পড়ে কিংবা প্রচন্ড ভয় পায় তখনো ঘটে। কিছু সময়ের জন্য মস্তিষ্ক পুরো ডার্ক মোশনে চলে যায়। তখন খুব সাধারন কিছু সিদ্ধান্ত যেমন আত্মরক্ষা, পালিয়ে যাওয়া কিংবা পালটা আঘাত করা এই সিদ্ধান্ত গুলোও তখন মস্তিষ্ক নিতে পারেনা। তখন আমাদের বডি, হয় দিক ভ্রান্তের মত রিএক্ট করে অথবা জমে যায়।
এসব পরিস্থিতিতে যারা নিজেকে সামলাতে পারেনা তাদের জন্য সব চেয়ে সহজ সমাধান হলো যখনই প্রচন্ড রাগ বা ইমোশন তৈরি হবে তখন কোনো রুপ রিএক্ট না করা। কয়েক মুহুর্ত একদম চুপ থাকা, একটা নির্দিষ্ট সময় পর মস্তিষ্ক কাজ করতে থাকে তখন ইমোশন প্রশমিত হয় ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয়।
আমরা আমাদের নিজেদের বুঝতে পারিনা বলে খুব দ্রুত ইমোশন সুইচ করে। আর সেই সামান্য একটা মাত্র মুহুর্ত বা ঘটনায় এমন কিছু ঘটে যায় যার মাশুল আমাদের আজীবন দিতে হয়।
পৃথিবীর কোনো ঘটনাই বিচ্ছিন্ন নয়, প্রতিটা ঘটনার সাথে পরবর্তী ঘটনার যোগসুত্র থাকে। একটা ভুল থেকে বার বার ভুল করি। এই ভুল গুলি মানুষটাকে একসময় একদম একলা করে দেয়। রাগ, দুঃখ, ক্ষোভ বা আফসোস কোনোটাই আর পিছু ছাড়েনা তখন ! আমরা বলি মানুষটা বদ মেজাজী, বোকা, রাগী, ইমোশনাল অথচ একটা মানুষের মাঝে সব কিছুই থাকা উচিত। সে শুধুই রাগী বোকা বা ইমোশনাল হবে কেন!!




হ্যা মেয়েরা খুব লোভী হয়, ভালোবাসার পিঞ্জর খুলে দিলেও টাকা ছাড়া মেয়েদের কাছে কোনো দাম নাই।
লোভী মেয়েটা লোভী ছিলোনা কখনোই, কারন ছোট থেকে সে বড় হয়েছে ছোট ছোট সুখ গুলোকে আঁকড়ে ধরেই। খুব সামান্যতেই সুখী হওয়া শেখানো হয়েছিলো তাকে।
তার বায়না না মিটিয়ে মাথায় হাত বুলানোতেই সে সুখী ছিলো। এটা করা যাবেনা ওটা করা যাবেনা শত বারনেও সে সুখীই ছিলো।
ছোট ছোট হাড়ি পাতিল নিয়ে খেলতে খেলতেই তাকে সংসার সাঁজানো শেখানো হয়েছিল।
দুনিয়া দেখার আগে সারাক্ষন সে মায়ের আঁচল ধরে ধৈর্য ধরা শিখেছিলো। লবন দেখতে দেখতে মায়ের সাথে চুলায় হাড়ি বসানোও সে শিখে গিয়েছিল একটু একটু করে। তার কাছে পৃথিবী ছিলো শুধু সংসার।
সব কিছু শিখে মেয়েটা যখন বেকারের হাত ধরে শুধু ভালোবাসা নিয়ে সুখী হতে চেয়েছিলো তখন সেই সংসারই তাকে শিখিয়ে দিলো বেঁচে থাকতে টাকা দরকার। ওসব আবেগ অনুভূতি ভালোবাসার কোনো দাম নাই। স্বামীর টাকা নাই তো মেয়ের ভবিষ্যৎ নাই?
যেই সংসার তাকে ভালোবাসা শিখিয়েছে সেই সংসার তার ভালোবাসা প্রত্যাখ্যান করেছে। মেয়েটা লোভী হয়েছে। লোভী করেছে তাকে এই জগৎ সংসার।
কি করে একটা মেয়ে কাড়ি কাড়ি টাকা নিয়ে? কোথায় খরচ করে? এক গাদা টাকা নিয়ে যে শপিংটা সে করে আনে জমা হয় সেটা তারই সংসারে।
বেশি বেশি চেয়ে যে টাকা গুলো সে জমিয়ে নেয় সেটা দিয়ে সে নিজের জন্য কি করে আসলে? সংসারে নতুন কিছু করা, অথবা তোমার প্রয়োজনে হাতে তুলে দিয়ে মিটি মিটি হাসা, বাচ্চাদের জন্য এটা সেটা করা তাইতো? পকেটের টাকা তোষকের নিচে জমানো কি খরচ করা হলো?
একটা ছেলে যখন লোভী হয় রাজার ভান্ডারও ফুরিয়ে যায়, কিন্তু মেয়েটা যখন লোভী হয় তখন সংসারটা আরো গর্জিয়াস হয়।


দামী গহনা মেয়েদের বিশেষ কোনো দিনের জন্য সুখী করে, কিন্তু সামান্য দশ টাকার বেলী ফুলের মালা তাদের আজীবন সুখী করে। কারন একদিনের ওই গহনার জন্য আজীবন খোটা শুনতে হয় কিন্তু ফুলের জন্য কেউ খোটা দেয়না। মেয়েরা উপহারে যতটা খুশি হয় তার চেয়ে হাজার গুন কষ্ট পায় খোটা শুনতে!!
সামান্য একটা ফুল সামান্য নয় কারন টাকা হলে উপহার সবাই দিতে পারে কিন্তু সুন্দর একটা মন না থাকলে কেউ কাওকে ফুল দিতে পারেনা।
গহনা টা দরকার ভালো আছি সেটা দেখানোর জন্য, আর নিয়ম করে একটু অনুভূতি নিয়ে ছুঁয়ে দেয়া, দুটো ভালোবাসার কথা বলা, চুড়ি,নুপুর কিংবা লুকিয়ে আনা ফুলের দরকার হয় ভালো আছি সেটা বোঝার জন্য।
কেউ কেউ দেখবা সারা গা গহনা দিয়ে মুড়িয়ে দিয়েও ভালোবাসা পায়না, আর কেউ কেউ সামান্য একটা ফুল দিয়ে জড়িয়ে ধরে কাঁদিয়ে দেয়।
ভালো থাকার জন্য টাকা দরকার, ভালোবাসার জন্য মন দরকার, ভালো মনের জন্য একটা ভালো মানুষ দরকার। মানুষের অভাব নেই এই দুনিয়াতে কিন্তু ভালো মনের দাম গহনার চাইতে বেশি, তাই যত সহজে জীবনে টাকা আসে তত সহজে ভালো মানুষ আসেনা!


This post about
বিপ্লব,biplob,BIPLOB,biplobblogger,biplobblogger,বিপ্লবব্লোগার,বিপ্লব ব্লোগার,বিপ্লব পার্বতীপুর,বিপ্লবপার্বতীপুর, বিপ্লব হলদীবাড়ি,বিপ্লবহলদীবাড়ি,BIPLOBBLOGGER,BIPLOB PARBATIPUR,BIPLOBPARBATIPUR,01616918888,০১৬১৬৯১৮৮৮৮,0178791888,০১৭৮৭৯১৮৮৮৮,BIPLOBBANGLADASH,BIPLOBHOLDIBARIPARBATIPUR,BIPLOBDINAGPUR,বিপ্লবদিনাজপুর,বিপ্লব দিনাজপুর,বিপ্লব ইলেকট্রনিক্স,বিপ্লবইলেকট্রনিক্স,বিপ্লব ইলেকট্রনিক্স হলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুর দিনাজপুর,বিপ্লবইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুর দিনাজপুর,বিপ্লবইলেকট্রনিক্স হলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুরদিনাজপুর,বিপ্লব ইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুরদিনাজপুর,বিপ্লবইলেকট্রনিক্সহলদীবাড়িরেলগেট পার্বতীপুরদিনাজপুর,Biplob ElectronicsHaldibariRailgatePar batipurDinajpur,BiplobElectronicsHaldibariRailgate ParbatipurDinajpur,Biplob Electronics HaldibariRailgate ParbatipurDinajpur,Biplob Electronics HaldibariRailgateParbatipur Dinajpur,Biplob Electronics HaldibariRailgate Parbatipur Dinajpur

☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "এত এত সমস্যার গল্প কে শোনে বলো"

Post a Comment

যোগাযোগ ফর্ম

Name

Email *

Message *

 BIPLOB BLOGGER

প্রতিদিন সকল ধরনের চাকরির খবর আপডেট পেতে আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করবে এবং আপনি যদি এন্ড্রয়েড মোবাইলে আপনার চাকরির বিজ্ঞপ্তি গুলো পেতে চান তাহলে আমাদের একটি অ্যাপস রয়েছে সেটি নিচের দেওয়া লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন

বাংলাদেশ রেলওয়েতে একটি নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে পদের 
নামঃ খালাসী 
পদ সংখ্যা:-১০৮৬ জন
আবেদনের শেষ তারিখ:-২৬ই জানুয়ারি ২০২২।  ও বিস্তারিত জানুন নিচের দেওয়া ভিডিওটিতে