শব্দ
একটি শব্দের বিপরীত অর্থবাচক শব্দকে বিপরীতার্থক শব্দ বা বিপরীত শব্দ বলে ।
সাধারণত শব্দের শুরুতে অ, অন, অনা, অপ, অব, দূর, ন, না, নি, নির প্রভৃতি উপসর্গগুলো যুক্ত করলে শব্দের অর্থ না-বাচক বা নিষেধবোধক অর্থে রূপান্তরিত হয় । তাই শব্দের বিপরীত শব্দ তৈরিতেও এই উপসর্গগুলো ব্যবহৃত হতে দেখা যায় ।
যেমন- আগত – শব্দটির শুরুতে অন- উপসর্গটি যুক্ত হয়ে বিপরীত শব্দ হল- অনাগত ।
আবার যে সব শব্দের শুরুতে হ্যাঁ-বোধক উপসর্গ থাকে, তাদের শুরুর সেই উপসর্গের বদলে না-বোধক উপসর্গও ব্যবহৃত হতে দেখা যায় ।
যেমন- অনুরাগ- শব্দটি রাগ- শব্দমূলের পূর্বে অনু- উপসর্গ যুক্ত হয়ে গঠিত হয়েছে, যেখানে অনু- উপসর্গটি ইতিবাচক অর্থ প্রকাশ করেছে । এখন অনু-র পরিবর্তে বি- উপসর্গ ব্যবহার করলে, বিরাগ- শব্দে বি-উপসর্গটি নেতিবাচক অর্থ প্রকাশ করে, এবং শব্দটির অর্থ সম্পূর্ণ উল্টে যায় । অর্থাৎ, ইতিবাচক অনু- উপসর্গের বদলে নেতিবাচক বি-উপসর্গের ব্যবহারে বিপরীত শব্দ গঠিত হল ।
তবে সাধারণত, শব্দের বিপরীত শব্দগুলো অর্থের দিক থেকে বিপরীত অর্থবোধক হয়; না-বোধক বা নেতিবাচক হয় না । তাই, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এরকম কোন নিয়ম খাটে না । বরং অর্থের দিক থেকে যথাযথ বিপরীত শব্দটিই গৃহীত হয় ।
যেমন- আজ – কাল, অতীত- ভবিষ্যত, অধম- উত্তম, ইত্যাদি ।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিপরীত শব্দ
অ
অকর্মক =সকর্মক
অজ্ঞ =প্রাজ্ঞ
অধিত্যকা =উপত্যকা
অক্ষম =সক্ষম
অতিকায় =ক্ষুদ্রকায়
অনন্ত =সান্ত
অগ্র =পশ্চাৎ
অতিবৃষ্টি =অনাবৃষ্টি
অনুকূল =প্রতিকূল
অগ্রজ =অনুজ
অতীত =ভবিষ্যত
অনুগ্রহ =নিগ্রহ
অণু =বৃহৎ
অদ্য =কল্য
অগ্রজ =অনুজ
অচল =সচল
অধঃ =ঊর্ধ্ব
অনুরক্ত =বিরক্ত
অচলায়তন =সচলায়তন
অধম =উত্তম
অনুরাগ =বিরাগ
অচেতন =সচেতন
অধমর্ণ =উত্তমর্ণ
অনুলোম =প্রতিলোম
অলীক =সত্য
অশন =অনশন
অস্তগামী =উদীয়মান
অল্পপ্রাণ =মহাপ্রাণ
অসীম =সসীম
অস্তি =নাস্তি/নেতি
অহিংস =সহিংস
আ
আকর্ষণ =বিকর্ষণ
আধার =আধেয়
আরোহণ =অবরোহণ
আকুঞ্চন =প্রসারণ
আপদ =সম্পদ
আর্দ্র =শুষ্ক
আগত =অনাগত
আবশ্যক =অনাবশ্যক
আর্য =অনার্য
আগমন =প্রস্থান
আবশ্যিক =ঐচ্ছিক
আলস্য =শ্রম
আজ =কাল
আবাদি =অনাবাদি
আলো =আঁধার
আত্ম =পর
আবাহন =বিসর্জন
আশীর্বাদ =অভিশাপ
আত্মীয় =অনাত্মীয়
আবির্ভাব =তিরোভাব
আসক্ত =নিরাসক্ত
আদি =অন্ত
আবির্ভূত =তিরোহিত
আসামি =ফরিয়াদী
আদিম =অন্তিম
আবিল =অনাবিল
আস্তিক =নাস্তিক
আদ্য =অন্ত্য
আবৃত =উন্মুক্ত
আস্থা =অনাস্থা
ই
ইচ্ছুক =অনিচ্ছুক
ইদানীন্তন =তদানীন্তন
ইহকাল =পরকাল
ইতর =ভদ্র
ইষ্ট =অনিষ্ট
ইহলোক =পরলোক
ইতিবাচক =নেতিবাচক
ইহলৌকিক =পারলৌকিক
ঈ
ঈদৃশ =তাদৃশ
ঈষৎ =অধিক
উ
উক্ত =অনুক্ত
উত্তরায়ণ =দক্ষিণায়ন
উন্নত =অবনত
উগ্র =সৌম্য
উত্তাপ =শৈত্য
উন্নতি =অবনতি
উচ্চ =নীচ
উত্তীর্ণ =অনুত্তীর্ণ
উন্নীত =অবনমিত
উজান =ভাটি
উত্থান =পতন
উন্নয়ন =অবনমন
উঠতি =পড়তি
উত্থিত =পতিত
উন্মুখ =বিমুখ
উঠন্ত =পড়ন্ত
উদয় =অস্ত
উন্মীলন =নিমীলন
উৎকৃষ্ট =নিকৃষ্ট
উদ্ধত =বিনীত/ নম্র
উপকর্ষ =অপকর্ষ
উৎকর্ষ =অপকর্ষ
উদ্বৃত্ত =ঘাটতি
উপচয় =অপচয়
উৎরাই =চড়াই
উদ্যত =বিরত
উপকারী =অপকারী
উত্তম =অধম
উদ্যম =বিরাম
উপকারিতা =অপকারিতা
উত্তমর্ণ =অধমর্ণ
উর্বর =ঊষর
উপচিকীর্ষা =অপচিকীর্ষা
উত্তর =দক্ষিণ
উষ্ণ =শীতল
ঊ
ঊর্ধ্ব =অধঃ
ঊর্ধ্বগতি =অধোগতি
ঊষা =সন্ধ্যা
ঊর্ধ্বতন =অধস্তন
ঊর্ধ্বগামী =অধোগামী
ঊষর =উর্বর
ঋ
ঋজু =বক্র
এ
একান্ন =পৃথগান্ন
একাল =সেকাল
একূল =ওকূল
এখন =তখন
ঐ
ঐকমত্য =মতভেদ
ঐশ্বর্য =দারিদ্র্য
ঐহিক =পারত্রিক
ঐক্য =অনৈক্য
ও
ওস্তাদ =সাকরেদ
ঔ
ঔদার্য =কার্পণ্য
ঔচিত্য =অনৌচিত্য
ঔজ্জ্বল্য =ম্লানিমা
ঔদ্ধত্য =বিনয়
ক
কচি =ঝুনা
কুৎসিত =সুন্দর
কৃশাঙ্গী =স্থূলাঙ্গী
কদাচার =সদাচার
কুফল =সুফল
কৃষ্ণ =শুভ্র/গৌর
কনিষ্ঠ =জ্যেষ্ঠ
কুবুদ্ধি =সুবুদ্ধি
কৃষ্ণাঙ্গ =শ্বেতাঙ্গ
কপট =সরল/অকপট
কুমেরু =সুমেরু
কোমল =কঠিন
কপটতা =সরলতা
কুরুচি =সুরুচি
ক্রন্দন =হাস্য
কর্মঠ =অকর্মণ্য
কুলীন =অন্ত্যজ
ক্রোধ =প্রীতি
কল্পনা =বাস্তব
কুশাসন =সুশাসন
ক্ষণস্থায়ী =দীর্ঘস্থায়ী
কাপুরুষ =বীরপুরুষ
কুশিক্ষা =সুশিক্ষা
ক্ষীপ্র =মন্থর
কুঞ্চন =প্রসারণ
কৃতজ্ঞ =অকৃতজ্ঞ/ কৃতঘ্ন
ক্ষীয়মান =বর্ধমান
কুটিল =সরল
কৃপণ =বদান্য
কুৎসা =প্রশংসা
কৃশ =স্থূল
খ
খ্যাত =অখ্যাত
খুচরা =পাইকারি
খেদ =হর্ষ
খ্যাতি =অখ্যাতি
গ
গঞ্জনা =প্রশংসা
গূঢ় =ব্যক্ত
গৌণ =মুখ্য
গতি =স্থিতি
গুপ্ত =প্রকাশিত
গৌরব =অগৌরব
গদ্য =পদ্য
গৃহী =সন্ন্যাসী
গ্রামীণ =নাগরিক
গণ্য =নগণ্য
গ্রহণ =বর্জন
গ্রাম্য =শহুরে
গরল =অমৃত
গৃহীত =বর্জিত
গ্রাহ্য =অগ্রাহ্য
গরিমা =লঘিমা
গেঁয়ো =শহুরে
গরিষ্ঠ =লঘিষ্ঠ
গোপন =প্রকাশ
ঘ
ঘাটতি =বাড়তি
ঘাত =প্রতিঘাত
ঘৃণা =শ্রদ্ধা
চ
চক্ষুষ্মান =অন্ধ
চল =অচল
চিরায়ত =সাময়িক
চঞ্চল =স্থির
চলিত =অচলিত/সাধু
চ্যূত =অচ্যূত
চড়াই =উৎরাই
চিন্তনীয় =অচিন্ত্য/অচিন্তনীয়
চতুর =নির্বোধ
চুনোপুটি =রুই-কাতলা
ছ
ছটফটে =শান্ত
জ
জঙ্গম =স্থাবর
জল =স্থল
জোড় =বিজোড়
জড় =চেতন
জলে =স্থলে
জোয়ার =ভাটা
জটিল =সরল
জলচর =স্থলচর
জ্যোৎস্না =অমাবস্যা
জনাকীর্ণ =জনবিরল
জাতীয় =বিজাতীয়
জ্ঞাত =অজ্ঞাত
জন্ম =মৃত্যু
জাল =আসল
জ্ঞানী =মূর্খ
জমা =খরচ
জিন্দা =মুর্দা
জ্ঞেয় =অজ্ঞেয়
জরিমানা =বকশিশ
জীবন =মরণ
জ্যেষ্ঠা =কনিষ্ঠা
জাগ্রত =ঘুমন্ত/সুপ্ত
জীবিত =মৃত
জাগরণ =ঘুম/সুপ্ত
জৈব =অজৈব
ঠ
ঠুনকো =মজবুত
ড
ডুবন্ত =ভাসন্ত
ত
তদীয় =মদীয়
তারুণ্য =বার্ধক্য
তীক্ষ্ণ =স্থূল
তন্ময় =মন্ময়
তিমির =আলোক
তীব্র =মৃদু
তস্কর =সাধু
তিরস্কার =পুরস্কার
তুষ্ট =রুষ্ট
তাপ =শৈত্য
তীর্যক =ঋজু
ত্বরিত =শ্লথ
দ
দক্ষিণ =বাম
দুর্জন =সুজন
দৃঢ় =শিথিল
দণ্ড =পুরস্কার
দুর্দিন =সুদিন
দৃশ্য =অদৃশ্য
দাতা =গ্রহীতা
দুর্নাম =সুনাম
দেনা =পাওনা
দিবস =রজনী
দুর্বুদ্ধি =সুবুদ্ধি
দেশী =বিদেশী
দিবা =নিশি/রাত্রি
দুর্ভাগ্য =সৌভাগ্য
দোষ =গুণ
দিবাকর =নিশাকর
দুর্মতি =সুমতি
দোষী =নির্দোষ
দীর্ঘ =হ্রস্ব
দুর্লভ =সুলভ
দোস্ত =দুশমন
দীর্ঘায়ু =স্বল্পায়ু
দুষ্কৃতি =সুকৃতি
দ্বিধা =নির্দ্বিধা/ দ্বিধাহীন
দুঃশীল =সুশীল
দুষ্ট =শিষ্ট
দ্বৈত =অদ্বৈত
দুরন্ত =শান্ত
দূর =নিকট
দ্যুলোক =ভূলোক
দুর্গম =সুগম
দ্রুত =মন্থর
ধ
ধনাত্মক =ঋণাত্মক
ধারালো =ভোঁতা
ধূর্ত =বোকা
ধনী =নির্ধন/দরিদ্র
ধামির্ক =অধার্মিক
ধৃত =মুক্ত
ধবল =শ্যামল
ন
নতুন =পুরাতন
নিন্দা =জাগরণ
নির্মল =মলিন
নবীন =নিন্দিত
নিয়োগ =বরখাস্ত
নির্লজ্জ =সলজ্জ
নবীন =প্রবীণ
নিরক্ষর =সাক্ষর
নিশ্চয়তা =অনিশ্চয়তা
নর =নারী
নিরবলম্ব =স্বাবলম্ব
নীরস =সরস
নশ্বর =অবিনশ্বর
নিরস্ত্র =সশস্ত্র
নিশ্চেষ্ট =সচেষ্ট
নাবালক =সাবালক
নিরাকার =সাকার
নৈঃশব্দ্য =সশব্দ
নিঃশ্বাস =প্রশ্বাস
নির্দয় =সদয়
নৈতিকতা =অনৈতিকতা
নিকৃষ্ট =উৎকৃষ্ট
নির্দিষ্ট =অনির্দিষ্ট
নৈসর্গিক =কৃত্তিম
নিত্য =অনিত্য
নির্দেশক =অনির্দেশক
ন্যায় =অন্যায়
ন্যূন =অধিক
প
পক্ষ =বিপক্ষ
পূণ্যবান =পূণ্যহীন
প্রফুল্ল =ম্লান
পটু =অপটু
পুরস্কার =তিরস্কার
প্রবীণ =নবীন
পণ্ডিত =মূর্খ
পুষ্ট =ক্ষীণ
প্রবেশ =প্রস্থান
পতন =উত্থান
পূর্ণিমা =অমাবস্যা
প্রভু =ভৃত্য
পথ =বিপথ
পূর্ব =পশ্চিম
প্রশ্বাস =নিঃশ্বাস
পবিত্র =অপবিত্র
পূর্ববর্তী =পরবর্তী
প্রসন্ন =বিষণ্ণ
পরকীয় =স্বকীয়
পূর্বসূরী =উত্তরসূরী
প্রসারণ =সংকোচন/আকুঞ্চন
পরার্থ =স্বার্থ
পূর্বাহ্ণ =অপরাহ্ণ
প্রাচ্য =প্রতীচ্য
পরিকল্পিত =অপরিকল্পিত
প্রকাশিত =অপ্রকাশিত
প্রাচীন =অর্বাচীন
পরিশোধিত =অপরিশোধিত
প্রকাশ =গোপন
প্রতিকূল =অনুকূল
পরিশ্রমী =অলস
প্রকাশ্যে =নেপথ্যে
প্রায়শ =কদাচিৎ
পাপ =পূণ্য
প্রজ্জ্বলন =নির্বাপণ
প্রারম্ভ =শেষ
পাপী =নিষ্পাপ
প্রত্যক্ষ =পরোক্ষ
প্রীতিকর =অপ্রীতিকর
পার্থিব =অপার্থিব
প্রধান =অপ্রধান
ফ
ফলন্ত/ফলনশীল =নিস্ফলা
ফলবান =নিস্ফল
ফাঁপা =নিরেট
ব
বক্তা =শ্রোতা
বাধ্য =অবাধ্য
বিফল =সফল
বন্দনা =গঞ্জনা
বামপন্থী =ডানপন্থী
বিফলতা =সফলতা
বন্দী =মুক্ত
বাস্তব =কল্পনা
বিবাদ =সুবাদ
বদ্ধ =মুক্ত
বাল্য =বার্ধক্য
বিয়োগান্ত =মিলনান্ত
বন্ধন =মুক্তি
বাহুল্য =স্বল্পতা
বিয়োগান্তক =মিলনান্তক
বন্ধুর =মসৃণ
বাহ্য =আভ্যন্তর
বিরহ =মিলন
বন্য =পোষা
বিজেতা =বিজিত
বিলম্বিত =দ্রুত
বয়োজ্যেষ্ঠ =বয়োকনিষ্ঠ
বিদ্বান =মূর্খ
বিষাদ =আনন্দ/ হর্ষ
বরখাস্ত =বহাল
বিধর্মী =স্বধর্মী
বিস্তৃত =সংক্ষিপ্ত
বর্ধমান =ক্ষীয়মান
বিনয় =ঔদ্ধত্য
ব্যক্ত =গুপ্ত
বর্ধিষ্ণু =ক্ষয়িষ্ণু
বিনীত =উদ্ধত
ব্যর্থ =সার্থক
বহির্ভূত =অন্তর্ভূক্ত
বিপন্ন =নিরাপদ
ব্যর্থতা =সার্থকতা
বাদি =বিবাদি
বিপন্নতা =নিরাপত্তা
ব্যষ্টি =সমষ্টি
ভ
ভক্তি =অভক্তি
ভাটা =জোয়ার
ভূত =ভবিষ্যত
ভদ্র =ইতর
ভাসা =ডোবা
ভূমিকা =উপসংহার
ভীরু =নির্ভীক
ভোগ =ত্যাগ
ভেদ =অভেদ
ম
মঙ্গল =অমঙ্গল
মহাত্মা =দুরাত্মা
মুক্ত =বন্দী
মঞ্জুর =নামঞ্জুর
মানানসই =বেমানান
মুখ্য =গৌণ
মতৈক্য =মতানৈক্য
মান্য =অমান্য
মূর্খ =জ্ঞানী
মসৃণ =খসখসে
মিতব্যয়ী =অমিতব্যয়ী
মূর্ত =বিমূর্ত
মহৎ =নীচ
মিথ্যা =সত্য
মৌখিক =লিখিত
মহাজন =খাতক
মিলন =বিরহ
মৌলিক =যৌগিক
য
যত্ন =অযত্ন
যুদ্ধ =শান্তি
যৌথ =একক
যশ =অপযশ
যোগ =বিয়োগ
যৌবন =বার্ধক্য
যুক্ত =বিযুক্ত
যোগ্য =অযোগ্য
যুগল =একক
যোজন =বিয়োজন
র
রক্ষক =ভক্ষক
রাজি =নারাজ
রোদ =বৃষ্টি
রমণীয় =কুৎসিত
রুগ্ন =সুস্থ
রোগী =নিরোগ
রসিক =বেরসিক
রুদ্ধ =মুক্ত
রাজা =প্রজা
রুষ্ট =তুষ্ট
ল
লঘিষ্ঠ =গরিষ্ঠ
লাজুক =নির্লজ্জ
লেন =দেন
লঘু =গুরু
লেজ =মাথা
লেনা =দেনা
লব =হর
লৌকিক =অলৌকিক
শ
শঠ =সাধু
শিষ্ট =অশিষ্ট
শুষ্ক =সিক্ত
শঠতা =সাধুতা
শিষ্য =গুরু
শূণ্য =পূর্ণ
শায়িত =উত্থিত
শীত =গ্রীষ্ম
শোভন =অশোভন
শয়ন =উত্থান
শীতল =উষ্ণ
শ্বাস =প্রশ্বাস
শারীরিক =মানসিক
শুক্লপক্ষ =কৃষ্ণপক্ষ
শ্রী =বিশ্রী
শালীন =অশালীন
শুচি =অশুচি
শ্লীল =অশ্লীল
শাসক =শাসিত
শুদ্ধ =অশুদ্ধ
শিক্ষক =ছাত্র
শুভ্র =কৃষ্ণ
স
সংকীর্ণ =প্রশস্ত
সদৃশ =বিসদৃশ
সাহসিকতা =ভীরুতা
সংকোচন =প্রসারণ
সধবা =বিধবা
সিক্ত =শুষ্ক
সংকুচিত =প্রসারিত
সন্ধি =বিগ্রহ
সুকৃতি =দুষ্কৃতি
সংক্ষিপ্ত =বিস্তৃত
সন্নিধান =ব্যবধান
সুগম =দুর্গম
সংক্ষেপ =বিস্তার
সফল =বিফল
সুন্দর =কুৎসিত
সংক্ষেপিত =বিস্তারিত
সবল =দুর্বল
সুদর্শন =কুদর্শন
সংগত =অসংগত
সবাক =নির্বাক
সুধা =জাগ্রত
সংযত =অসংযত
সমতল =অসমতল
সুপ্ত =জাগ্রত
সংযুক্ত =বিযুক্ত
সমষ্টি =ব্যষ্টি
সুয়ো =দুয়ো
সংযোগ =বিয়োগ
সমাপিকা =অসমাপিকা
সুশীল =দুঃশীল
সংযোজন =বিয়োজন
সমাপ্ত =আরম্ভ
সুশ্রী =কুশ্রী
সংশ্লিষ্ট =বিশ্লিষ্ট
সম্পদ =বিপদ
সুষম =অসম
সংশ্লেষণ =বিশ্লেষণ
সম্প্রসারণ =সংকোচন
সুসহ =দুঃসহ
সংহত =বিভক্ত
সম্মুখ =পশ্চাত
সুস্থ =দুস্থ
সংহতি =বিভক্তি
সরব =নিরব
সূক্ষ্ম =স্থূল
সকর্মক =অকর্মক
সরল =কুটিল/জটিল
সৃষ্টি =ধ্বংস
সকাল =বিকাল
সশস্ত্র =নিরস্ত্র
সৌখিন =পেশাদার
সক্রিয় =নিষ্ক্রিয়
সস্তা =আক্রা
সৌভাগ্যবান =দুর্ভাগ্যবান/ভাগ্যহত
সক্ষম =অক্ষম
সসীম =অসীম
স্তুতি =নিন্দা
সচল =নিশ্চল
সহযোগ =অসহযোগ
স্তাবক =নিন্দুক
সচেতন =অচেতন
সহিষ্ণু =অসহিষ্ণু
স্থাবর =জঙ্গম
সচেষ্ট =নিশ্চেষ্ট
সাঁঝ =সকাল
স্থলভাগ =জলভাগ
সচ্চরিত্র =দুশ্চরিত্র
সাকার =নিরাকার
স্নিগ্ধ =রুক্ষ
সজাগ =নিদ্রিত
সাক্ষর =নিরক্ষর
স্বনামী =বেনামী
সজ্জন =দুর্জন
সাদৃশ্য =বৈসাদৃশ্য
স্বর্গ =নরক
সজ্ঞান =অজ্ঞান
সাফল্য =ব্যর্থতা
স্বাতন্ত্র্য =সাধারণত্ব
সঞ্চয় =অপচয়
সাবালক =নাবালক
স্বাধীন =পরাধীন
সতী =অসতী
সাবালিকা =নাবালিকা
স্বার্থপর =পরার্থপর
সত্বর =ধীর
সাম্য =বৈষম্য
স্মৃতি =বিস্মৃতি
সদয় =নির্দয়
সার =অসার
স্থির =অস্থির
সদর =অন্দর
সার্থক =নিরর্থক
সদাচার =কদাচার
সাহসী =ভীরু
হ
হরণ =পূরণ
হাল =সাবেক
হৃদ্যতা =শত্রুতা
হর্ষ =বিষাদ
হালকা =ভারি
হ্রস্ব =দীর্ঘ
হাজির =গরহাজির
হিত =অহিত
হ্রাস =বৃদ্ধি
হার =জিত
হিসেবি =বেহিসেবি
সমার্থক শব্দ
সমার্থক শব্দ :যে সব শব্দ একই অর্থ প্রকাশ করে, তাদের সমার্থক শব্দ বা একার্থক শব্দ বলে ।
মূলত, রচনায় মাধুর্য সৃষ্টি বা রক্ষার জন্য রচনার বিভিন্ন জায়গায় একই অর্থবোধক একটি শব্দ ব্যবহার না করে ভিন্ন ভিন্ন শব্দ ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় । বিশেষত কবিতায় এবং কাব্যধর্মী গদ্যরচনায় এর প্রয়োজনীয়তা খুবই বেশি ।
সমার্থক শব্দ বা প্রতিশব্দএকই বা সমান অর্থের শব্দকে প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ বলে। অথবা এমন অনেক শব্দ আছে যাদের অর্থ একই কিন্তু উচ্চারণ ভিন্ন, সেসব শব্দকে সমার্থক শব্দ বলে। অথবা মেয়ে, মেয়েমানুষ, মেয়েছেলে, মাইয়া, কনে, কন্যা, ঝি, বেটি, ঝিউরি, ঝিয়ারি, পুত্রী, দুহিতা, আত্মজা, দুলালী, কুমারী, নন্দিনী, তনয়া, তনুজা, পুত্রিকা, দারিকা ইত্যাদি শব্দগুলো একই অর্থ প্রকাশ করে তাই এগুলো সমার্থক শব্দ। অথবা Synonym is a word which expressingthe same meaning with another /Expressing the same meaning words is called synonym or similar word|
সমার্থক শব্দের প্রয়োজনীয়তা
ভিন্নভিন্ন ভাষার শব্দ থেকে আগত শব্দ, অর্থের দিক দিয়ে এক হলেও অর্থ দ্যোতনার দিক খেয়াল রেখে শব্দ ব্যবহার করা উচিত। যেমন: জল ও পানি একই অর্থবোধক শব্দ কিন্তু জলচ্ছ্বাসকে পানিচ্ছ্বাস লিখলে বাক্যের গুণ নষ্ট হয়। সমার্থক শব্দের ব্যবহার খুব জরুরি। যেমন : দেশি ভাষাকে সমৃদ্ধ করতে, বক্তৃতা ও বক্তব্য আকর্ষণীয় করতে, একই শব্দের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে, বাক্যকে সহজ, সুন্দর, বলিষ্ঠ, প্রাঞ্জল ও সমৃদ্ধ করতে, বাক্যে শাব্দিক সৌন্দর্য, গুণ, বৈচিত্র্য এবং প্রকাশশৈলীতে অভিনবত্ব আনতে, বাক্যকে অলংকারমণ্ডিত করতে, ছড়াকবিতার ছন্দের মাত্রা ঠিক রাখতে এবং কবিতার মিল দিতে এবং একই শব্দের বার বার প্রয়োগজনিত সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করতে সমার্থক শব্দের ব্যবহার জরুরি।
সমার্থক শব্দের নমুনা
স্বরবর্ণ
অ বর্ণ
১. অবকাশ — অবসর, ছুটি, ফুরসত, সময়, সুযোগ
২. অপূর্ব — অদ্ভুত, আজব, আশ্চর্য, তাজ্জব, চমৎকার
৩. অকস্মাৎ — আচমকা, আকস্মিক, সহসা, হঠাৎ
৪. অকাল — অসময়, অবেলা, অদিন, কুদিন, দুঃসময়
৫. অক্লান্ত — অদম্য, ক্লান্তি হীন, নিরলস, পরিশ্রমী
৬. অক্ষম — অসমর্থ, অপটু, অদক্ষ, অযোগ্য, দুর্বল
৭. অঙ্গীকার — পণ, প্রতিশ্রুতি, প্রতিজ্ঞা, শপথ, সংকল্প
৮. অচেতন — অজ্ঞান, অসাড়, জ্ঞানশূন্য, জ্ঞানহীন, বেহুঁশ
৯. অজ্ঞ — অশিক্ষিত, অজ্ঞানী, মূর্খ, নির্বোধ, বেকুব
১০. অতিরিক্ত — অনেক, প্রচুর, পর্যাপ্ত, বেশি, মেলা
১১. অতীত — গতদিন, তৎকাল, পূর্ব, সেকাল, পূর্বকাল
১২. অত্যাচার — উপদ্রব, নিপীড়ন, নির্যাতন, জুলুম, লাঞ্ছনা
১৩. অদৃশ্য — অগোচর, অদেখা, অদৃষ্ট, অলক্ষ্য, না দেখা
১৪. অধিবেশন — সভা, সমিতি, সমাবেশ, মিটিং
১৫. অধ্যয়ন — পাঠ, পঠন, পড়া, পাঠাভ্যাস, লেখাপড়া
১৬. অনন্ত — অবয়, অসীম, অশেষ, চিরস্থায়ী
১৭. অনুজ্জ্বল — নিস্তেজ, জ্যোতিহীন, ম্লান, বিবর্ণ
১৮. অনুরোধ — আবেদন, আবদার, আরজি, বায়না
১৯. অপরিচিত — অজানা, নাজানা, অজ্ঞাত, অচিন
২০. অভাব — অনটন, দারিদ্র্য, দৈন্য, গরিবি, দুর্দশা
২১. অলস — কুড়ে, অকর্ম, অকেজো, ঢিলে, আলসে
২২. অল্প — কম, সামান্য, অপ্রচুর, নগণ্য, কিয়ৎ, ঈষৎ
২৩. অগ্নি — আগুন, অনল, বহ্নি, দহন, পাবক ,, সর্বভূক, শিখা, হুতাশন, বৈশ্বানর, কৃশানু, বিভাবসু, সর্বশুচি
২৪. অশ্ব — ঘোড়া, বাজী, তুরগ, হ্রেষা, টাঙ্গন
২৫. অতিশয় — অতি, অতীব, অতিমাত্রা, অধিক, অত্যন্ত
২৬. অখ্যাতি — নন্দা, কুৎসা, বদনাম, দুর্নাম, অপবাদ
২৭. অন্ধকার — আঁধার, তিমির, তমসা, শর্বর, তমঃ, তমিস্রা, আন্ধার, তমস্র, তম
২৮. অচল — গতিহীন, অটল, স্থির, নিথর, অপ্রচলিত
২৯. অবস্থা — দশা, রকম, প্রকার, হাল, হালত
৩০. অনাদর — উপেক্ষা, অবজ্ঞা, অবহেলা, হেলা, অযত্ন
৩১. অপচয় — অপব্যয়, বৃথাব্যয়, ক্ষতি, ক্ষয়, হ্রাস
৩২. অতিথি — মেহমান, কুটুম, আগন্তুক, আমন্ত্রিত
৩৩.অতনু — মদন, অনঙ্গ, কাম, কন্দর্প
আ বর্ণ
৩৪. আকার — আকৃতি, চেহারা, আদল, গড়ন, গঠন
৩৫. আমন্ত্রণ — আহ্বান, নিমন্ত্রণ, সম্ভাষণ, অভ্যর্থনা
৩৬. আরম্ভ — শুরু, সূচনা, ভূমিকা, সূত্রপাত, প্রারম্ভ
৩৭. আলো —রশ্মি,, দীপ্তি, প্রভা, নুর, আভা ,আলোক, জ্যোতি, কিরণ,
৩৮. আকাশ — অম্বর, নভ,, আসমান, দ্যুলক , গগন, নভোঃ, নভোমণ্ডল, খগ, ব্যোম, অন্তরীক্ষ
৩৯. আদেশ — আজ্ঞা, হুকুম, অনুমতি, অনুশাসন, অনুজ্ঞা
৪০. আনন্দ — হর্ষ, আহ্লাদ, ফুর্তি, খুশি, আমোদ, মজা
৪১. আফসোস — পরিতাপ, দুঃখ, খেদ, অনুতাপ, আক্ষেপ
৪২. আধুনিক — সাম্প্রতিক, নব্য, নবীন, বর্তমান, হালের
৪৩. আকুল — ব্যাকুল, কাতর, উৎসুক, কৌতূহলি, অস্থির
৪৪. আশ্চর্য — বিস্ময়, চমক, অবাক
৪৫. আসল — খাঁটি, মূলধন, মৌলিক, মূল, মৌল
৪৬. আইন — বিধান, কানুন, ধারা, নিয়ম, নিয়মাবলি
৪৭. আঁধার — অন্ধকার, তমসা, তিমির, শর্বর, আলোহীন
ই /ঈ বর্ণ
৪৮. ইচ্ছা — সাধ, আশা, চাওয়া ,আকাঙ্ক্ষা, অভিলাষ, অভিরুচি, অভিপ্রায়, আগ্রহ, স্পৃহা, কামনা, বাসনা, বাঞ্চা, ঈপ্সা, ঈহা
৪৯. ইতি — সমাপ্তি, শেষ, অবসান, সমাপন, ছেদ
৫০. ইদানিং — সম্প্রতি, আজকাল, এখন, অধুনা, বর্তমান
৫১. ঈর্ষা — দ্বেষ, বিদ্বেষ, হিংসা, রেষারেষি, বৈরিতা
৫২. ঈশ্বর — আল্লাহ, খোদা, রব, সৃষ্টিকর্তা, স্রষ্টা, প্রভু
উ/ঊ বর্ণ
৫৩. নমুনা — দৃষ্টান্ত , নিদর্শন, নজির, নমুনা
৫৪. উজ্জ্বল — আলোকিত, উদ্ভাসিত, ভাস্বর, ঝলমলে, দীপ্ত
৫৫. উত্তম — উৎকৃষ্ট, প্রকৃষ্ট, শ্রেষ্ঠ, সেরা, অতুলনীয়
৫৬. উচ্ছেদ — উৎপাটন, উৎখাত, নির্মূল, বিনাশ, স্থানচ্যুতি
৫৭. উচিত — যোগ্য, কর্তব্য, উপযুক্ত, ন্যায্য, সমীচীন
৫৮. উপযুক্ত — যোগ্য, উপযোগী, সমকক্ষ, সক্ষম
৫৯. উপকথা — উপাখ্যান, কাহিনি, গল্প, কেচ্ছা
৬০. উপকার — হিতকর, মঙ্গল, সাহায্য, অনুগ্রহ, কল্যাণ
৬১. ঊর্বর — ভাল, ভারসাম্য, অনুকূল, ফলপ্রদ
৬২. ঊষা — প্রভাত, প্রত্যুষ, ভোর, সকাল
এ/ঐ বর্ণ
৬৩. একতা — ঐক্য, মিলন, একত্ব, অভেদ, অভিন্নতা, মিল, অভিন্ন, সমতা
৬৪. ঐশ্বর্য — ধন, সম্পত্তি, বিত্ত, প্রতিপত্তি
ব্যঞ্জনবর্ণ
ক-বর্গ (ক/খ/গ/ঘ)
৬৫. কাঁদা — ক্রন্দন, কান্না, রোদন, কান্নাকাটি, অশ্রুত্যাগ
৬৬. কেনা — ক্রয়, খরিদ, কেনাকাটা, সওদা
৬৭. কোন্দল — বিবাদ, বিরোধ, ঝগড়া, কলহ
৬৮. কষ্ট — ক্লেশ, আয়াশ, পরিশ্রম, দুঃখ
৬৯. কন্যা — মেয়ে,, কুমারী, ঝি, বেটি , দুহিতা, দুলালী, আত্মজা, নন্দিনী, পুত্রী, সূতা, তনয়া
৭০. কথা — উক্তি, বচন, কথন, বাক্য, বাণী
৭১. কলহ — ঝগড়া, বিরোধ, বিবাদ, দ্বন্দ্ব, কাইয়া
৭২. কল্যাণ — মঙ্গল, শুভ, সুখ, কল্যাণযুক্ত, সমৃদ্ধি
৭৩. কাটা — কর্তন করা, খণ্ডন করা, খনন করা
৭৪. কারণ — হেতু, নিমিত্ত, প্রয়োজন, উদ্দেশ্য, মূল
৭৫.কোকিল — পরভৃত, পিক, বসন্তদূত ,
৭৬. কুল — বংশ, গোত্র, গোষ্ঠী, জাতি, বর্ণ
৭৭. কঠিন — শক্ত, দৃঢ়, কঠোর, কড়া, জটিল, রুক্ষ
৭৮. কপাল —অদৃষ্ট, ভাগ্য, নিয়তি,ললাট, ভাল, অলিক
৭৯. কেশ — অলক, চিকুর, কুন্তল, চুল, কবরী
৮০. কৃষক — চাষি, কৃষিজীবী, কর্ষক
৮১. কূল — তীর, তট, কিনারা, ধার, পার, পাড়
৮২. খ্যাতি — যশ, সুনাম, নাম, নামযশ, প্রতিষ্ঠা
৮৩. খাদ্য — খাবার, ভোজ্য, অন্ন, রসদ, খানা
৮৪. খবর — সংবাদ, বার্তা, তত্ত্ব, তথ্য, সমাচার, নিউজ
৮৫. খাঁটি — বিশুদ্ধ, আসল, প্রকৃত, যথার্থ, সাচ্চা
৮৬. খারাপ — মন্দ, কু, বদ, নিকৃষ্ট, দুষ্ট, নষ্ট, অভদ্র
৮৭. খুব — ভীষণ, প্রচণ্ড, প্রচুর, অনেক, অত্যন্ত , অতিশয়
৮৮. খোঁজা — অন্বেষণ, সন্ধান, অন্বেষা, এষণা, তালাশ
৮৯. খেচর — পাখি, পক্ষি, বিহঙ্গ, দ্বিজ, খগ
৯৫. গভীর — অগাধ, প্রগাঢ়, নিবিড়, অতল, গহন
৯৬. গরু — গো, পয়স্বিনী , গাভী, ধেনু
৯৭. গৃহ — ঘর, আলয়, নিবাস, আবাস, আশ্রয়, নিলয়, নিকেতন, ভবন, সদন, বাড়ি, বাটী, বাসস্থান
৯৮. ঘরনি — গৃহিণী, গিন্নী, বউ, স্ত্রী, পত্নী, জায়া, বিবি
৯৯.ঘোড়া — অশ্ব, ঘোটক, তুরগ, বাজি, হয়, তুরঙ্গ, তুরঙ্গম
চ-বর্গ (চ/ছ/জ/ঝ)
চুল — চিকুর, কুন্তল, কেশ, অলক,
৯১. চন্দ্র — চাঁদ, শশী, ইন্দু ,চন্দ্রমা, শশধর, শশাঙ্ক, শুধাংশু, হিমাংশু, সুধাকর, সুধাংশু, সোম, বিধু, নিশাকর, নিশাকান্ত, মৃগাঙ্ক, রজনীকান্ত
৯২. চক্ষু — চোখ, লোচন, নয়ন, নেত্র, অক্ষি, আঁখি , দর্শনেন্দ্রিয়
৯৩. চঞ্চল — অস্থির, চপল, ব্যাকুল, কম্পিত, বিচলিত
৯৪. চতুর — চালাক, ধূর্ত,
৯৫. চিত্র — ছবি, আলেখ্য, প্রতিমূর্তি, নকশা
৯৬. চির — অনন্ত , নিরবধি, নিত্য, অটুট
৯৯. চিন্তা — মনন, ভাবা, স্মরণ, ধ্যান, ভাবনা
১০০. ছেদ — যতি, ছেদন, বিরাম, খণ্ড, দাঁড়ি
১০১. ছাত্র — বিদ্যার্থী, শিষ্য, শিক্ষার্থী, শিক্ষানবিশ
১০২. জন্ম — উৎপত্তি, উদ্ভব, সৃষ্টি, ভূমিষ্ঠ, জনম, আবির্ভাব
১০৩. জননী — মা, মাতা, প্রসূতি, গর্ভধারিণী, জন্মদাত্রী,
১০৪. জলাশয় — পুকুর, সরোবর, দিঘি, জলাধার, জলাভূমি
১০৫. জাত — জাতি, গোষ্ঠী, গোত্র, বংশ, প্রকার, কুল
১০৬. জ্ঞান — বোধ, বুদ্ধি, পাণ্ডিত্য, শিক্ষা, চেতনা
১০৭. ঝড় — সাইক্লোন, ঝটিকা, ঝঞ্ঝা, তুফান
১০৮. ঝোঁক — টান, আকর্ষণ, মমতা, মায়া, ভালবাসা
১০৯. ঠিক — সত্য, যথার্থ, নির্ভুল, ন্যায্য, ভাল, উত্তম
১১০. ঠাট্টা — উপহাস, রসিকতা, বিদ্রুপ, শ্লেষ, মশকরা
১১১. ডগা — শীর্ষ, শিখর, অগ্রভাগ, আগা, মাথা
১১২. ঢেউ — ঊর্মি, তরঙ্গ, কলল, হিলল, জোয়ার
১১৩. ঢাকনা — আবরণ, আচ্ছাদন, ঢাকা, ছাদ, সরা
১১৪. ঢের — প্রচুর, অনেক, বেশি, রাশি, স্তুপ
ত-বর্গ (ত/থ/দ/ধ/ন)
১১৫.তীর — কূল, তট, পাড়, সৈকত, পুলিন, ধার, কিনারা
১১৬. তপন — সূর্য, রবি, ভানু, প্রভাকর, দিনপতি
১১৭. তৃষ্ণা — পিপাসা, তেষ্টা, পিয়াসা, ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা
১১৮. তুষার — বরফ, হিম, হিমানী, তুহীন, নীহার
১১৯. তৈরি — গঠন, নির্মাণ, গড়া, বানানো, প্রস্তুত
১২০. দলিল — নথি, নথিপত্র, কাগজপত্র, পাট্টা, দস্তাবেজ
১২১. দক্ষ — নিপুণ, পটু, পারদর্শী
১২২. দরদ — ব্যথা, বেদনা, মমতা, টান, আকর্ষণ
১২৩. দয়া — অনুগ্রহ, করুণা, কৃপা, অনুকম্পা, মায়া
১২৪.দিন — দিবা, দিবস, দিনমান
১২৫.দেবতা — অমর, দেব, সুর, ত্রিদশ, অমর, অজর, ঠাকুর
১২৬.দ্বন্দ্ব — বিরোধ, ঝগড়া, কলহ, বিবাদ, যুদ্ধ
১২৭. দুঃখ — কষ্ট, ক্লেশ, যন্ত্রণা, দুখ, ব্যথা, বেদনা
১২৮. দাস — ভৃত্য, চাকর, ক্রীতদাস, অনুগত, অধীন
১২৯. দান — দেওয়া, অর্পণ, সম্প্রদান, বিতরণ, উৎসর্গ
১৩০. দাহ — দহন, জ্বালা, পোড়া, সৎকার
১৩১. দীন — দরিদ্র, কাতর, অসহায়, দুঃখ, করুণ , দুর্গত, নির্ধন, গরিব, বিত্তহীন, নির্বিত্ত
১৩২. ধন — বিত্ত, অর্থ, সম্পদ, বিভব, টাকা-পয়সা
১৩৩. ধর্ম — রীতি, আচরণ, আইন, সৎকর্ম, পূণ্যকর্ম
১৩৪. ধ্বংস — নাশ, বিনাশ, বিলপ, শেষ, ভস্ম, কেয়ামত
১৩৫. ধবল — সাদা/শাদা, শ্বেত, শুভ্র, শুল্ক, ধলা, সিতা
১৩৬. নবীন — আনকোরা, নতুন, আধুনিক, অধুনা, নব, নয়া
১৩৭.নদী — তটিনী, তরঙ্গিনী, প্রবাহিনী, শৈবালিনী, স্রোতস্বতী, স্রোতস্বিনী, গাঙ, স্বরিৎ, নির্ঝরিনী, কল্লোলিনী
১৩৮.নৌকা — নাও, তরণী, জলযান, তরী
১৩৯. নাম — খ্যাতি, সুনাম, অভিধা, পরিচয়, মর্যাদা
১৪০.নারী —রমণী, কামিনী, মহিলা, স্ত্রী, অবলা, স্ত্রীলোক, অঙ্গনা, ভাসিনী, ললনা, কান্তা, পত্নী, সীমন্তনী
১৪১. নিকট — সন্নিহিত, কাছে, অদূর, অদূরবর্তী
১৪২. নম্র — ভদ্র, বিনয়ী, বিনয়াবনত, কোমল, নরম
১৪৩. নর — মানব, মানুষ, মনুষ্য, লোক, জন, পুরুষ
১৪৪. নিজ — আপন, স্বীয়, স্বয়ং, নিজস্ব, ব্যক্তিগত
১৪৫. নিত্য — সতত, সর্বদা, প্রত্যহ, নিয়মিত, রোজ
১৪৬. নিদ্রা — ঘুম, বিশ্রাম, রাতের অবসান, অসাড়
প-বর্গ (প/ফ/ব/ভ/ম)
১৪৭.পণ্ডিত — বিদ্বান, জ্ঞানী, বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ
১৪৮.পদ্ম — কমল, উৎপল, সরোজ, পঙ্কজ, নলিন, শতদল, রাজীব, কোকনদ, কুবলয়, পুণ্ডরীক, অরবিন্দ, ইন্দীবর, পুষ্কর, তামরস, মৃণাল, সরসিজ, কুমুদ
১৪৯.পৃথিবী — ধরা, ধরিত্রী, ধরণী, অবনী, মেদিনী, পৃ, পৃথ্বী, ভূ, বসুধা, বসুন্ধরা, জাহান, জগৎ, দুনিয়া, ভূবন, বিশ্ব, ভূ-মণ্ডল
১৫০.পর্বত — শৈল, গিরি, পাহাড়, অচল, অটল, অদ্রি, চূড়া, ভূধর, নগ, শৃঙ্গী, শৃঙ্গধর, মহীধর, মহীন্দ্র
১৫১.পানি — জল, বারি, সলিল, উদক, অম্বু, নীর, পয়ঃ, তোয়, অপ, জীবন, পানীয়
১৫২.পুত্র — তনয়, সুত, আত্মজ, ছেলে, নন্দন,দুলাল,কুমার,পোলা
১৫৩.পত্নী — জায়া, ভার্যা, ভামিনী, স্ত্রী, অর্ধাঙ্গী, সহধর্মিণী, জীবন সাথী, বউ, দারা, বনিতা, কলত্র, গৃহিণী, গিন্নী
১৫৪.পাখি — পক্ষী, খেচর, বিহগ, বিহঙ্গ, বিহঙ্গম, পতত্রী, খগ, অণ্ডজ, শকুন্ত, দ্বিজ
১৫৫. পরিবর্তন — বদল, পাল্টানো, সংস্কার, সংশোধন
১৫৬.পর্বত — শৈল, গিরি, পাহাড়, অচল, অটল, অদ্রি, চূড়া, ভূধর, নগ, শৃঙ্গী, শৃঙ্গধর, মহীধর, মহীন্দ্র
১৫৭. পাপ — পাতক, কুলুষ, দুষ্কর্ম, দুষ্কৃতি
১৫৮. পদ্ম — কমল, উৎপল, পঙ্কজ, কুমুদ, শতদল
১৫৯. পিতা — জনক, জন্মদাতা, বাবা, আব্বা, বাপ
১৬০. পাথর — পাষাণ, প্রস্তর, শিলা, কাঁকর, কঙ্কর
১৬১. পুষ্প — কুসুম, ফুল, রঙ্গনা, প্রসূন
১৬২. পণ্ডিত — বিদ্বান, বিজ্ঞ, প্রাজ্ঞ, বিশারদ, মনীষী
১৬৩. পতন — পড়া, অধোগতি, অবনতি, ধ্বংস, স্থলন
১৬৪. পতাকা — কেতন, ঝাণ্ডা, ধ্বজা, নিশান
১৬৫. পথ — রাস্তা, সরণি, সড়ক, নির্গমন, রাহা, দ্বার
১৬৬. পরম — শ্রেষ্ঠ, মহৎ, অত্যন্ত , প্রধান, চরম
১৬৭. পূর্ণ — পুরা, ভর্তি, সফল, সিদ্ধ, সম্পূর্ণ, সমাপ্ত
১৬৮. পেলব — কোমল, মৃদু, লঘু, সুন্দর, নিপুণ, নরম
১৬৯. পেষণ — দলন, মর্দন, বাঁটা, চূর্ণন, পেষা
১৭০. প্রকৃতি — স্বভাব, চরিত্র, ধর্ম, নিসর্গ
১৭১. প্রবৃত্তি — অভিরুচি, স্পৃহা, ব্যাপৃত, চেষ্টা, নিয়োগ
১৭২. প্রভু — মনিব, স্বামী, ঈশ্বর, কর্তা, অধিপতি
১৭৩. পত্র — পাতা, পল্লব, পত্তর, চিঠি, দ্রব্যাদি
১৭৪. ফাঁকি — অবহেলা, বঞ্চনা, প্রতারণা, ঠকামি, ভোগা
১৭৫.বৃক্ষ — গাছ, শাখী, বিটপী, অটবি, দ্রুম, মহীরূহ, তরু, পাদপ
১৭৬.বন — অরণ্য, জঙ্গল, কানন, বিপিণ, কুঞ্জ, কান্তার, অটবি, বনানী, গহন
১৭৭.বায়ু — বাতাস, অনিল, পবন, হাওয়া, সমীর, সমীরণ, মারুত, গন্ধবহ
১৭৮.বিদ্যুত — বিজলী, ত্বড়িৎ, ক্ষণপ্রভা, সৌদামিনী, চপলা, চঞ্চলা, দামিনী, অচিরপ্রভা, শম্পা
১৭৯. বন্ধুত্ব — মৈত্রী, সৌহার্দ, সখ্য, মিতালি, দোস্তি
১৮০. বিচিত্র — বিভিন্ন, রকমারি, রকমফের, বিবিধ, নানান
১৮১. বিশৃঙ্খল — ব্যতয়, গোলমাল, গোলযোগ
১৮২. বৃহৎ — বিশাল, প্রকাণ্ড, মস্ত , বিপুল, বড়
১৮৩. বন্ধু — সখা, মিত্র, সুহৃদ, বান্ধব, স্বজন, প্রিয়জন
১৮৪. বস্ত্র — বসন, পরিধেয়, কাপড়, পোশাক
১৮৫. বসন্ত — মধুকাল, রাগ, ঋতুরাজ, মধুমাস
১৮৬. বিমান — উড়োজাহাজ, হাওয়াই জাহাজ, আকাশযান
১৮৭. বদ — দুষ্ট, মন্দ, অসাধু, অসৎ, কর্কশ, খারাপ
১৮৮. বাদ — বাতিল, কথন, ভাষণ, উক্তি, বিয়োগ, ত্যাগ
১৮৯. বর — বরণীয়, পতি, স্বামী, জামাই
১৯০. বহু — যথেষ্ট, অধিক, অনেক, প্রচুর, বেশি
১৯১. বড় — জ্যেষ্ঠ, ধনী, শ্রেষ্ঠ, শীর্ষ, উচ্চ, মহৎ
১৯২. বন্ধ — বাঁধা, আবদ্ধ, রুদ্ধ, যুক্ত, ন্যস্ত , বিন্যস্ত
১৯৩. বন্যা — প্লাবন, বান, জলচ্ছ্বাস, জোয়ার, কোটাল
১৯৪. বশ — অধীন, আয়ত্ত, অধীনতা, বশবর্তিতা
১৯৫. বসা — উপবেশন, স্থাপন, সক্রিয় হওয়া
১৯৬. বাস্তু — বাসস্থান, বাসগৃহ, বাসভূমি, আবাস
১৯৭. বিদ্যুৎ — তড়িৎ, বিজলি, শম্পা, চপলা, চঞ্চলা
১৯৮. বিফল — ফলহীন, অচল, নিষ্ফল, অসমর্থ, ব্যর্থ
১৯৯. বিচক্ষণ — বহুদর্শী, দূরদর্শী, অভিজ্ঞ, কর্মদক্ষ
২০০ .বিচার — বিবেচনা, যুক্তিপ্রয়োগ, তর্ক, মীমাংসা
২০১. বিধি — নিয়ম, বিধান, আইন, পদ্ধতি, উপায়
২০২. বিয়োগ — বিচ্ছেদ, বিরহ, মৃত্যু, অভাব
২০৩. বিরক্ত — বিমুখ, বিপ, অপ্রসন্ন, বিদ্বিষ্ট, ক্ষুব্ধ
২০৪. বিবাহ — বিয়ে, পরিণয়, পাণিগ্রহণ, উদ্বাহ, শাদি
২০৫. ভয় — শঙ্কা, ত্রাস, ভীতি, ডর
২০৬. ভাই — ভ্রাতা, সহোদর, ভাইয়া, ভায়া
২০৭. ভাগ্য — বিধি, কপাল, নসিব, তকদির, নিয়তি
২০৮. ভুল — ভ্রম, ভ্রান্তি , ত্রুটি, প্রমাদ, গলদ, দোষ
২০৯. ভ্রমর — ভোমরা, মৌমাছি, মধুকর, মধুপ, অলি
২১০. ভগ্ন — ভাঙা, খণ্ডিত, চূর্ণিত, দুমড়ানো, কুঞ্চিত
২১১. ভজন — স্তুতি, আরাধনা, সেবা, প্রশংসা
২১২. ভয়ানক — ভয়ঙ্কর, ভয়াবহ, খুব, ভীষণ
২১৩. ভর — অবলম্বন, নির্ভর, সহযোগিতা, ভার
২১৪. ভাব — সত্তা, অস্তিত্ব, স্থিতি হওয়া
২১৫. মাতা — জননী, মা, প্রসূতি, গর্ভধারিণী, জন্মধাত্রী
২১৬.মাটি — ক্ষিতি, মৃত্তিকা,
২১৭.মেঘ — জলধর, জীমৃত মরণ, নিধন, ইন্তেকাল, মহাপ্রস্থান
২১৮.মানুষ — মানব,, বারিদ, নীরদ, পয়োদ, ঘন, অম্বুদ, তায়দ, পয়োধর, বলাহক, তোয়ধর
২১৯. মৃত্যু — মনুষ্য, লোক, জন, নৃ, নর,
২২০.মাটি — ক্ষিতি, মৃত্তিকা,
২২১.মেঘ — জলধর, জীমৃত, বারিদ, নীরদ, পয়োদ, ঘন, অম্বুদ, তায়দ, পয়োধর, বলাহক, তোয়ধর
২২২.রাজা — নরপতি, নৃপতি, ভূপতি, বাদশাহ
২২৩.রাত — রাত্রি, রজনী, নিশি, যামিনী, শর্বরী, বিভাবরী, নিশা, নিশিথিনী, ক্ষণদা, ত্রিযামা
২২৪. রাজা — রাজ্যপাল, নৃপতি, ভূপতি, মহীপাল, সম্রাট
২২৫. রানি — রাজ্ঞী, মহিষী, সম্রাজ্ঞী, রাজমহিষী, বেগম
২২৬.লাল — লোহিত, রক্তবর্ণ
২২৭. ঋষি — তপস্বী, মুনি, যোগী, সাধুপুরুষ
২২৮. ঋদ্ধ — সমৃদ্ধ, উন্নত, পুষ্ট, কল্যাণকর
২২৯. ঋতু — আর্তব, কাল, মৌসুম, মরশুম
২৩০.শরীর — দেহ, বিগ্রহ, কায়, কলেবর, গা, গাত্র, তনু, অঙ্গ, অবয়ব
২৩১. শিক্ষক — গুরু, ওস্তাদ, মাষ্টার, টিচার
২৩২.সর্প — সাপ, অহি, আশীবিষ, উরহ, নাগ, নাগিনী, ভুজঙ্গ, ভুজগ, ভুজঙ্গম, সরীসৃপ, ফণী, ফণাধর, বিষধর, বায়ুভুক
২৩৩.স্ত্রী — পত্নী, জায়া, সহধর্মিণী, ভার্যা, বেগম, বিবি, বধূ,
২৩৪.স্বর্ণ — সোনা, কনক, কাঞ্চন, সুবর্ণ, হেম, হিরণ্য, হিরণ
২৩৫.স্বর্গ — দেবলোক, দ্যুলোক, বেহেশত, সুরলোক, দ্যু, ত্রিদশালয়, ইন্দ্রালয়, দিব্যলোক, জান্নাত
২৩৬.সাহসী — অভীক, নির্ভীক,
২৩৭.সাগর — সমুদ্র, সিন্ধু, অর্ণব, জলধি, জলনিধি, বারিধি, পারাবার, রত্নাকর, বরুণ, দরিয়া, পারাবার, বারীন্দ্র, পাথার, বারীশ, পয়োনিধি, তোয়ধি, বারিনিধি, অম্বুধি
২৩৮.সূর্য — রবি, সবিতা, দিবাকর, দিনমনি, দিননাথ, দিবাবসু, অর্ক, ভানু, তপন, আদিত্য, ভাস্কর, মার্তণ্ড, অংশু, প্রভাকর, কিরণমালী, অরুণ, মিহির, পুষা, সূর, মিত্র, দিনপতি, বালকি, অর্ষমা
২৩৯.স্বর্ণ — সোনা, কনক, কাঞ্চন, সুবর্ণ, হেম, হিরণ্য, হিরণ
২৪০.সর্প — সাপ, অহি, আশীবিষ, উরহ, নাগ, নাগিনী, ভুজঙ্গ, ভুজগ, ভুজঙ্গম, সরীসৃপ, ফণী, ফণাধর, বিষধর, বায়ুভুক
২৪১.স্ত্রী — পত্নী, জায়া, সহধর্মিণী, ভার্যা, বেগম, বিবি, বধূ,
২৪২.স্বর্গ — দেবলোক, দ্যুলোক, বেহেশত, সুরলোক, দ্যু, ত্রিদশালয়, ইন্দ্রালয়, দিব্যলোক, জান্নাত
২৪৩.সাহসী — অভীক, নির্ভীক,
২৪৪. হরিণ — মৃগ, কুরঙ্গ, সাঙ্গ, সৃনয়ন
২৪৫.হাত — কর, বাহু, ভুজ, হস্ত, পাণি
২৪৬.হস্তী — হাতি, করী, দন্তী, মাতঙ্গ, গজ, ঐরাবত, দ্বিপ, দ্বিরদ, বারণ, কুঞ্জর, নাগ
সমোচ্চারিত শব্দ
কিছু সমোচ্চারিত শব্দ ও তাদের অর্থ উল্লেখসহ বাক্য রচনা
এখানে কিছু সমোচ্চারিত শব্দ ও তাদের অর্থ উল্লেখসহ বাক্য রচনা করে দেখানো হলো-
অন্য (অপর) :তাকে অন্য দিন আসতে বলেছি
অন্ন (ভাত) আমরা অন্ন ছাড়া জীবন ধারণ করতে পারি না।
অশ্ব (ঘোড়া) :অশ্ব একটি দ্রুতগামী প্রাণী।
অশ্ব (পাথর) :অশ্ম নিক্ষেপে সর্পটির মস্তক চূর্ণ হইল।
অনু (পশ্চাৎ) :মিথ্যাবাদীর অনুগমন করা উচিত নয়।
অণু (ক্ষুদ্রতম) :এ বিশাল পৃথিবী অণুপরমাণুর সৃষ্টি।
অপচয় (নষ্ট) :কোনো কিছুই অপচয় করা ভালো নয়।
অবচয় (সংগ্রহ) :এ অংশটি কবি সুফিয়া কামালের কবিতা থেকে অবচয়িত হয়েছে।
অবদান (কীর্তি) :রেডিও আবিষ্কারে বৈজ্ঞানিক জগদীশচন্দ্রের অবদান রয়েছে।
অবধান (মনোযোগ):গুরুজনের উপদেশ অবধান সহকারে শোনা উচিত।
অবিরাম (অনবরত):দুদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি।
অভিরাম (সুন্দর) :বাংলাদেশের মতো এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য আর কোথাও দেখিনি।
অনিষ্ট (ক্ষতি) :পরের অনিষ্ট করতে গেলে নিজের অনিষ্ট হয়।
অনিষ্ঠ (নিষ্ঠাহীন) :অনিষ্ঠ ছাত্র জীবনে উন্নতি করতে পারে না।
আপন (নিজ) : সবারই আপন কাজে মন দেওয়া উচিত।
আপণ (দোকান) :শহরে বহর আলির একটি আপণ আছে।
আবাস (বাসস্থান) :লোকটির আবাস অনেক দূরে।
আভাস (ইঙ্গিত) :খেলা দেখার জন্য স্কুল বন্ধ থাকতে পারে বলে রফিক স্যার আভাস দিয়েছেন।
আসার (জলকণা) :আষাঢ়ে মেঘ থেকে আসার নামে।
আষাঢ় (মাস বিশেষ):আষাঢ়শ্রাবণ বর্ষাকাল।
আশা (আকাঙ্ক্ষা) : বেশি আশা করেই ভুল করেছি।
আসা (আগমন) : বাবার আজ স্কুলে আসার কথা।
আবরণ (আচ্ছাদন) :এ আবরণের ভেতরে রহস্য আছে।
আভরণ (অলংকার):মেয়েরা আভরণ পছন্দ করে।
উপাদান (উপকরণ) :বাবা আচারের সব উপাদান এনেছেন।
উপাধান (বালিশ) :উপাধান ছাড়া শোয়া যায় না।
উদ্যত (প্রস্তুত) : লোকটি চলে যেতে উদ্যত হয়েছিল।
উদ্ধত (অবিনীত) :কখনোই উদ্ধত আচরণ করতে নেই।
কমল (পদ্মফুল) :আমাদের দিঘিতে রক্তকমল ফুটেছে।
কোমল (নরম) :শিশুটির হাতখানা খুবই কোমল।
কুল (বংশ) :তিনি উচ্চ কুলে জন্মেছিলেন।
কুল (বরই) :এ গাছের কুল খেতে মজা।
সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দ
অর্থ এবং বানানে ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও কোনো কোনো শব্দের উচ্চারণ প্রায় একই রকম। এ ধরনের শব্দকে সমোচ্চারিত শব্দ বা প্রায় সমোচ্চারিত শব্দ বলে। যেমন- ‘অন্ন’ এবং ‘অন্য’ শব্দদুটির উচ্চারণ প্রায় একই রকম হলেও এদের বানান এবং অর্থে পার্থক্য আছে। ‘অন্য’ শব্দের অর্থ অপর এবং ‘অন্ন’ শব্দের অর্থ ভাত।
কিছু উদাহরণ-
শর তীর/তৃণবিশেষ ধুম প্রাচুর্য, জাঁকজমক
ষড় ছয় (৬) ধূম ধোঁয়া
সর দুধের মালাই সুত পুত্র
স্বর শব্দ, সুর সূত সারথি, জাত
আবরণ আচ্ছাদন শিকার মৃগয়া
আভরণ গহনা, অলংকার, ভূষণ স্বীকার মেনে নেওয়া, বরণ
অন্ন ভাত পড়-পড় পড়ন্ত
অন্য অপর পর পর একের পর এক
আসা আগমন বাণী কথা, উক্তি
আশা প্রত্যাশা, ভরসা বানি গয়না তৈরির মজুরি
বেশি অনেক নিচ নিম্ন স্থান, বাড়ির নিম্নতল
বেশী বেশধারী (ছদ্মবেশী) নীচ হীন, নিকৃষ্ট
শব মৃতদেহ সকল সব, সমস্ত
সব সমস্ত শকল মাছের আঁশ
কাঁচা অপক্ব কাঁটা কণ্টক
কাচা ধৈৗত করা কাটা কর্তন
গাঁথা গেঁথে দেয়া গাঁ গ্রাম
গাথা কাহিনী, কাহিনীকাব্য গা শরীর
ঘাঁটি দাঁড়ি পূর্ণচ্ছেদ
ঘাটি দাড়ি মাঝি
বাঁক নদী বা পথের বাঁক বাঁধা বন্ধন
বাক কথা বাধা প্রতিহত করা, রোধ করা
কাঁদা ক্রন্দন গোঁড়া অন্ধ বা উগ্রভাবে সমর্থনকারী
কাদা কর্দম গোড়া নিচের অংশ
বাঁ বাম রোধ প্রতিরোধ, বাধা দেয়া
বা অথবা, কিংবা রোদ রৌদ্র
বরশা কূল তীর, উপকূল
বরষা বর্ষা, বৃষ্টি কুল বরই/জাত
ক্ষুরধার প্রচণ্ড ধারালো
ক্ষুরধারা ক্ষুরের মত ধারালো যে প্রবাহ বা স্রোত
সাড়া শব্দ বা ডাকের জবাব, প্রতিক্রিয়া শোনা শ্রবণ
সারা সমগ্র, শেষ, আকুল সোনা স্বর্ণ
দেড়ী দেড়গুণ জোড় যুগল
দেরি বিলম্ব জোর বল, শক্তি, সামর্থ্য
পাড়ি পারাপার
পারি সমর্থ বা সক্ষম হই
সমোচ্চারিত শব্দের প্রকরণ
১. সমধ্বনি: ণন, শ—ষ—স, উ—ঊ ইত্যাদি দ্বারা শব্দ গঠিত হতে পারে। যেমন: শোনা— সোনা।
২. সমরূপ : যার বানান ও উচ্চারণ এক কিন্তু অর্থ ভিন্ন। যেমন: চাল—চাল, উত্তর—উত্তর, মাথায়—মাথায়।
সমোচ্চারিত শব্দের প্রয়োজনীয়তা
সমোচ্চারিত শব্দ বিভিন্নভাবে বাক্যকে সাহায্য করে থাকে। সমোচ্চারিত শব্দ সঠিক বাক্য ও বাক্যের সঠিক অর্থ রক্ষা করা ছাড়াও অন্যান্য প্রয়োজনীয়তা রক্ষা করে। দেশীয় ভাষাকে সমৃদ্ধ করতে, বক্তৃতার বক্তব্য আকর্ষণীয় করতে, বাক্যকে অলংকারমণ্ডিত করতে, অর্থের বিপর্যয় থেকে বাক্যকে রক্ষা করতে, বাক্যের ভাব— অর্থ রক্ষা করতে, ভুল বানান থেকে রক্ষা করে এবং বাক্যে যমক অলংকার ব্যবহার করতে সাহায্য করে।
কতিপয় শব্দের নমুনা
সমোচ্চারিত শব্দ অর্থ বাক্যরচনা
১
অন্ন (ভাত) — দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্ব গতিতে মানুষের মুখে অন্ন ওঠা দায়।
অন্য (অপর) — সংস্কার, সংস্কার বাদ দিয়ে দুটো অন্য কথা বল।
২
অনু (পশ্চাৎ) — এই দেশে এক সময় স্ত্রীলোকদের মৃত স্বামীর চিতায় অনুগমন করতে হতো।
অণু (ক্ষুদ্রতম অংশ) — এটুকু ভাতে আমার পেটের অণুটুকুও ভরবে না।
৩
অনিষ্ট (ক্ষতি) — অন্যের অনিষ্টের চিন্তা কখনো মনে এনো না।
অনিষ্ঠ (নিষ্ঠাহীন) — লেখা পড়ায় অনিষ্ঠ হলে পাশ করতে পারবে না।
৪
অংশ (ভাগ) — বাপের জমির অংশ মেয়েরাও ছাড়বে না।
অংস (কাঁধ) — বিপদে দূরে সরে না থেকে অংস মেলাও।
৫
অর্ঘ (মূল্য) — তোমার একাজের অর্ঘ দেওয়ার সাধ্য আমার নাই।
অর্ঘ্য (পূজার উপকরণ) — মানুষের জন্য কাজ করলে তারা তোমার পায়ের কাছে অর্ঘ্য সাজাবে।
৬
অশ্ব (ঘোড়া) — শুয়ে পড়ো, অশ্বের মতো দাঁড়িয়ে ঘুমিয়ো না।
অশ্ম (পাথর) — অশ্মে মাথা ঠুকে লাভ নাই, চল বাড়ি যাই।
৭
অশক্ত (দুর্বল) — বিপদে অশক্ত হতে নাই।
অসক্ত (আসক্তিহীন) — বইয়ে অসক্ত হলে ছাত্রজীবন বৃথা হবে।
৮
অনিল (বাতাস) — গুমোট গরমে অনিল এসে প্রাণ জুড়াল।
অনীল (যা নীল নয়) — আকাশ কী কখনো অনীল হয়।
৯
অভ্যাস (বারবার চেষ্টা)— পরীক্ষা কাছে রাত জেগে পড়ার অভ্যাস করো।
অভ্যাশ (নিকট) — অংক অভ্যাস কর, পরীক্ষা অভ্যাশে।
১০
অবধ্য (বধের অযোগ্য) — মানুষ মানুষের অবধ্য।
অবোধ্য (যা বোঝা যায় না) — অবোধ্য তত্ত্ব কথা সব জায়গায় বল না।
১১
অপরিণত (যা পরিণত হয়নি) — অপরিণত বয়সে এ বই পড়ে কিছুই বুঝবে না।
অপরিণীত (অবিবাহিত) — বিধবার ঘরে অপরিণীত দুটো মেয়ে আছে।
১২
অন্ত (শেষ) — সংসারে কাজের অন্ত নাই।
অন্ত্য (যা অন্তে আছে) — অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া শেষেই মানুষের শোক নিঃশেষ হয়ে যায়।
১৩
অন্যন্য (অপরাপর) — অন্যন্যের সঙ্গেই তার ভাল সম্পর্ক আছে।
অন্যোন্য (পরস্পর) — অন্যোন্যের প্রতি ভালোবাসায় মানুষের সুখ।
১৪
অন্নপুষ্ট (ভোজনপুষ্ট) — এ আকালে অন্নপুষ্ট মানুষ নাই।
অন্যপুষ্ট (কোকিল) — কাকের বাসায় কোকিলের ছা অন্যপুষ্ট হয়।
১৫
অবদান (সৎকর্ম) — মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অনস্বীকার্য।
অবধান (মনোযোগ) — স্বাধীনদেশের মান বাড়াতে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তিতে অবদান দিতে হবে।
১৬
অবিরাম (অনবরত) — অবিরাম চেষ্টা মানুষকে সফলতা এনে দেয়।
অভিরাম (সুন্দর) — পোশাকে নয়নাভিরাম সেজো না, মনের দিকে অভিরাম হও।
১৭
অপচয় (ক্ষতি) — সময়ের অপচয় করলে জীবন নষ্ট হয়।
অবচয় (চয়ন) — সবকিছুতেই সৌন্দর্য অবচয়ন করতে হবে।
১৮
অবিনীত (উদ্ধত) — অবিনীত সন্তান মা—বাবার মর্যাদা নষ্ট করে।
অভিনীত (অভিনয় করা হয়েছে)— অনেক সময় নাট্যদলের অভিনীত মঞ্চনাটক দর্শকের মনে আশা জাগায়।
১৯
অজগর (সাপ) — অজগর অলস প্রকৃতির।
অজাগর (নিদ্রা) — মা অজাগর ছেলেকে কোলে নিয়ে বসে আছে।
২০
অপগত (দূরীভূত) — অপরের দুঃখ অপগত করতে জীবন বিলিয়ে দাও।
অবগত (জানা) — দেশসেবা করতে চাইলে দেশ সম্পর্কে অবগত হওয়া চাই।
২১
আদি (মূল) — চর্যাপদ বিাংলার আদি ভাষা।
আধি (মনঃকষ্ট) — আধি গোপন না করে খোলা মেলা আলোচনা করা ভালো।
২২
আশা (ভরসা) — ছাত্রদের উপর দেশের মানুষের অনেক আশা।
আসা (আগমন) — আজ তার বাড়িতে আসা হবে না।
২৩
আবাস (বাসস্থান) — ঢাকা শহরে অনেক মানুষের আবাস নাই, তারা ফুটপথে থাকে।
আভাস (ইঙ্গিত) — পুলিশের আভাসেই চোরটা পালিয়ে গেল।
২৪
আবরণ (আচ্ছাদন) — ছাতার আবরণে রোদ— বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
আভরণ (অলংকার) — আভরণের লোভ দেখিয়ে মেয়েদের ঘরে আটকিয়ে রাখা যাবে না।
২৫
আপন (নিজ) — আপন কাজে কেউ ফাঁকি দেয় না।
আপন (দোকান) — আপন থেকে লবণ কিনে আনো।
২৬
আষাঢ় (মাস বিশেষ) — বাংলাদেশে আষাঢ়ে প্রচুর বৃষ্টি হয়।
আসার (প্রবল বৃষ্টিপাত)— আসার বন্যার অন্যতম কারণ।
২৭
উপাদান (উপকরণ) — আমাদের দেশে কৃষি উপাদান সহজলভ্য।
উপাধান (বালিশ) — উপাধানে মাথা রেখে ঘুমাও।
২৮
ওষধি (যে গাছ একবার ফল দিয়ে মারা যায়)— ধান ওষধি গাছ।
ওষধি (ভেষজ উদ্ভিদ) — ওষধির পর্যাপ্ত চাষ বাংলাদেশের জন্য জরুরি।
২৯
কূল (তট) — নদিকূলে বসে সূর্যাস্ত দেখতে ভালো লাগে।
কুল (বংশ) — উঁচুকুল জন্মালেই ভালো মানুষ হওয়া যায় না।
৩০
কাক (পাখি বিশেষ) — কাক কালো হয়।
কাঁখ (কোমর) — কাঁখে কলসি গ্রামীণ বধূর প্রাচীন ছবি।
৩১
কালি (লেখার রং) — কালো কালিতে ভালো লেখা হয়।
কালী (সনাতন ধর্মের দেবী) — কালী শক্তির প্রতীক।
৩২
ক্রীত (কেনা হয়েছে যা) — শ্রমিকেরা ক্রীতদাস নয়।
কৃত (করা হয়েছে যা) — প্রত্যেক মানুষ নিজের কৃতকর্মের ফল ভোগ করে।
৩৩
কপাল (ললাট) —কপাল ভালোমন্দ বলে কিছু নাই কাজ করলে ফল লাভ করা যায়।
কপোল (গণ্ডদেশ) — জ্বর এলে কপোলে হাত দিয়ে তাপমাত্রা বোঝা যায়।
৩৪
খাট (পালঙ্ক) — খাটতো দূরের কথা আমাদের দেশে বহু মানুষের ঘরই নাই।
খাটো (বেঁটে) — আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ খাটো প্রকৃতির।
৩৫
খুর (পশুর পায়ের তলদেশ) — গরুর খুরের নিচে পা পড়লে মানুষের পা থেতলে যায়।
ক্ষুর (চুল দাড়ি কামাবার অস্ত্রবিশেষ)—এখন ক্ষুরের চেয়ে বে¬ড দিয়েই বেশি মানুষ শেভ করে।
৩৬
গা (শরীর) — কৃষকের গা রোদে পুড়ে তামাটে হয়।
গাঁ (গ্রাম) — গাঁয়ের মানুষ সহজসরল হয়।
৩৭
গাদা (রাশি, স্তুপ) — কৃষক ধান কেটে গাদা দিয়েরাখে।
গাধা (গর্ধভ) — গাধার সামনে মূলা ঝুলিয়ে ভারটানা সহজ।
৩৮
গোকুল (বৃন্দাবন) — কৃষ্ণ গোকুলে বাঁশি বাজায়।
গোকুল (গরুজাতি) — গোকুল আমাদের গৃহপালিত পশু।
৩৯
ঘোড়া (অশ্ব) — ঘোড়ার গায়ে শক্তি বেশি।
ঘোরা (বিচরণ) — রোদে বেশি ঘোরাঘুরি করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
৪০
চাখড়ি (খড়িমাটি) — চাখড়ি দিয়ে কাপড়ে দাগকাটা যায়।
চাকরি (বেতনের বিনিময়ে কাজ)— চাকরিতে স্বাধীনতা নাই।
৪১
চাল (ঘরের চালা) — গ্রামেও এখন আর খড়ের চালের প্রচলন নাই।
চাল (চাউল) — চালের বাজারে এখন সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নাই।
৪২
চির (দীর্ঘকাল) — চিরদিন কেউ বেঁচে থাকে না।
চীর (ছেঁড়া কাপড়) — চীর হলেও পরিষ্কার করে পরতে হয়।
৪৩
ছার (অধম) — সে আবার কোন ছার, তাকে কুর্নিশ করতে হবে।
ছাড় (অনুমতি) — অশালীন সিনেমা প্রদর্শণীয় ছাড়পত্র বাতিল করতে হবে।
৪৪
ছাদ (আচ্ছাদন) — ছাদে উঠলেই চাঁদে যাওয়া যায় না।
ছাঁদ (আকৃতি, গঠন) — পৃথিবীতে নানা ছাঁদের মানুষ দেখা যায়।
৪৫
জল (পানি) — জলের কোন রং নেই।
জ্বল (দীপ্তি) — রাতে ঝোপে ঝোপে জোনাকির আলো জ্বলজ্বল করে।
৪৬
জাম (ফলবিশেষ) — পাকা জামের রস মধুর।
যাম (অংশ) — দিবসের দ্বিতীয় যামে তোমার সঙ্গে দেখা হবে।
৪৭
জিব (জিহ্বা) — কুকুরের জিব দিয়ে লালা পড়ে।
জীব (প্রাণী) — বুদ্ধির জোরেই জীব জগতে মানুষ শ্রেষ্ঠ।
৪৮
জ্যোতি (আলো) — চাঁদের নিজের কোন জ্যোতি নাই।
যতি (ছেদ) — কাজে যতি দেওয়া মানে কাজবন্ধ করা নয়।
৪৯
টিকা (রোগের প্রতিষেধক) — টিকা দিলে অনেক রোগের আক্রমন থেকেরক্ষা পাওয়া যায়।
টীকা (ব্যাখ্যা) — অবোধ্য লেখায় টীকা টিপ্পনি জুড়ে স্পস্ট করতে হয়।
৫০
টেকা (সয়ে থাকা) — দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে গরিব মানুষের টেকা দায়।
টেক্কা (প্রতিযোগিতা) — হস্তশিল্প যন্ত্রশিল্পের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে টিকতে পারে না।
৫১
ঠক (ধ্বনিবিশেষ) — ঠকঠক শব্দ করে সে অন্ধকার রাস্তায় হেঁটে চলে।
ঠক (প্রতারক) — ঠক মানুষকে কেউ শ্রদ্ধা করে না।
৫২
ডোল (ভাণ্ড) — ডোলে ধান চাল রাখা হয়।
ঢোল (বাদ্যযন্ত্র) — ঢাক ঢোল বাজিয়ে আসর জমিয়ে নিলো।
৫৩
ডাল (শাখা) — ঝড়ের সময় গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে।
ডাল (খাদ্যবিশেষ) — গরিবের ডালভাত খেয়ে দিন কাটে।
৫৪
ঢাল (আঘাত প্রতিরোধ করার অস্ত্র)—ঢাল দিয়ে সে তীরের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করল।
ঢাল (ঢালু জমিবিশেষ) — পাহাড়ের ঢালে ঢালে জুম চাষ হয়।
৫৫
দিন (দিবস) — দিন যেয়ে রাত আসে।
দীন (দরিদ্র) — দীনে দয়া করা মানুষের ধর্ম।
৫৬
দেশ (ভূখণ্ড) — অনেক শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে।
দ্বেষ (হিংসা) — দ্বেষ মানুষকে ধবংস করে।
৫৭
দীপ (আলো) — মঙ্গলদীপ জ্বালিয়ে শুভ কামনা করা হয়।
দ্বীপ (জলবেষ্টিত স্থলভাগ) — ভোলা বাংলাদেশের বৃহত্তম বদ্বীপ।
৫৮
ধনী (বিত্তশালী) — ধনী মানুষের ধনের লোভ অপরিসীম।
ধ্বনি (আওয়াজ) —১৯৭১ সালে ‘জয়বাংলা’ ধ্বনি রাজাকারদের আতঙ্কিত করে তুলত।
৫৯
ধরা (পৃথিবী) — ধনে ধান্যে ভরা আমাদের এই ধরা।
ধড়া (কটি বস্ত্র) — ধড়া পরে তাকে অসহায় মনে হচ্ছে।
৬০
ধাতৃ (বিধাতা) — মানুষের মাঝেই ধাতৃ নিজেকে লুকিয়ে রাখেন।
ধাত্রী (দাই) — ধাত্রী মা শিশুটিকে লালনপালন করেন।
৬১
নীর (পানি) — বানের নীর মানুষের দুঃখের কারণ।
নীড় (পাখির বাসা) — কোকিল নীড় বানাতে পারে না।
৬২
নিতি (রোজ) — নিতি দিন তোমার কাছে আমার প্রার্থনা।
নীতি (নিয়ম) — দেশ পরিচালনার নীতিই রাজনীতি।
৬৩
নিত্য (প্রতিদিন) — সে নিত্য এখানে আসা যাওয়া করে।
নৃত্য (নাচ) — ছোট শিশুটির নৃত্য সবাইকে মুগ্ধ করেছে।
৬৪
নিরাশ (আশাহীন) — নিরাশ মানুষকে সফল হতে দেয় না।
নিরাস (প্রত্যাখ্যান) — দুর্নীতিকে মানুষ নিরাস করেছে।
৬৫
নিরস্ত্র (অস্ত্রহীন)— ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর গুলি চালিয়েছে পাকিস্তানি সৈন্য।
নিরস্ত (ক্ষান্ত) — শহিদ হয়েছে তবু যুদ্ধে বাঙালি নিরস্ত হয়নি।
৬৬
প্রদান (দেওয়া) — ভিয়েতনাম সরকার দুজন বাংলাদেশিকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি প্রদান করেছে।
প্রধান (বড়, শ্রেষ্ঠ) — ভাত বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য।
৬৭
পরা (পরিধান) — আদিম মানুষ কাপড় পরত না।
পড়া (পাঠ করা) — বই পড়া মজার কাজ।
৬৮
পান (পাতা বিশেষ) — পাহাড়ে পানের চাষ ভালো হয়।
পান (পান করা) — ধূমপান বদ অভ্যাস।
৬৯
প্রসাদ (অনুগ্রহ) — প্রসাদ নয়, গরিবকে তার প্রাপ্য অধিকার দিতে হবে।
প্রাসাদ (বড় দালান) — ঢাকা শহরে প্রাসাদের অভাব নাই।
৭০
পালক (পাখির ডানার অংশ) — পালক পাখিকে শীত ও তাপ থেকে রক্ষা করে।
পলক (মুহূর্ত, অল্প সময়) — পারমাণবিক বোমা এক পলকে আমাদের পৃথিবীকে ধবংস করে দিতে পারে।
৭১
পরভৃত (কোকিল) — বসন্তে পরভৃত ডাকে।
পরভৃৎ (কাক) — পরভৃৎ কাকা করে।
৭২
ফি (প্রত্যেক) — ফিবছর আমরা নববর্ষ উদযাপন করি।
ফি (বেতন) — ফি বৃদ্ধি করে শিক্ষাকে পণ্য বানানো হচ্ছে।
৭৩
বর্ষা (ঋতুবিশেষ) — বর্ষাকালে মাঠঘাট পানিতে ভরে যায়।
বর্শা (অস্ত্রবিশেষ) — বর্শার আঘাতে মানুষের মৃত্যু হয়।
৭৪
বান (বন্যা) — বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়াও।
বাণ (শর) — বানবিদ্ধ হরিণ শাবক ছটফট করতে করতে মারা গেল।
৭৫
বল (শক্তি) — খাদ্য শরীরের বল বৃদ্ধি করে।
বল (খেলার বল) — চার বছর পরপর বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
৭৬
বিনা (ব্যতীত) — বিনা কারণে কার্য হয় না।
বীণা (বাদ্যযন্ত্র) — বীণার সুরে মানুষ আনন্দ পায়।
৭৭
বিষ (গরল) — আর্সেনিক এক প্রকার বিষ।
বিশ (কুড়ি) — বিশ টাকায় এখন এক কেজি আলুও কিনতে পাওয়া যায় না।
৭৮
ভাষণ (উক্তি, কথন, বক্তব্য) — মিথ্যা ভাষণে মানুষকে আর বিভ্রান্ত করা যাবে না।
ভাসন (দীপ্তি) — সূর্যের আলয় সোনা ভাসন ছড়ায়।
৭৯
ভারা (স্তূপাকার) — ধান কাটা শেষে চাষিরা ভারা করে রাখে।
ভাড়া (মাশুল) — এখন বাসের ভাড়াও মানুষের অসহনীয়।
৮০
মন (অন্তর, হৃদয়) — মনই মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
মণ (চল্লিশ সের) — পরিমাপের জন্য এখন আর মণ ব্যবহার করা হয় না।
৮১
মাস (ত্রিশ দিন) — বারমাস সে এখানে থাকে।
মাষ (কলাই) — মাষকলাই ডাল খেতে ভালো।
৮২
মুখ (বদন) — পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিতে ক্রিকেটাররা বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে।
মুক (বোবা) — মুক মানুষ কথা বলতে পারে না।
৮৩
মরা (মৃত) — মরা মানুষ পানিতে ভেসে ওঠে।
মড়া (শবদেহ) — মড়াকে তাড়াতাড়ি সৎকার করাই ভালো।
৮৪
মূর্খ (জ্ঞানহীন) — মূর্খ মানুষের কান্ডজ্ঞান থাকে না।
মুখ্য (প্রধান) — মেধা নয়, টাকাই শিক্ষা গ্রহনের জন্য মুখ্য বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে এখন।
৮৫
মোড়ক (আচ্ছাদন) — বিজ্ঞাপনের মোড়কে পন্যের গুণ বোঝা যায় না।
মড়ক (মহামারি) — আগে মড়ক লেগে গ্রামের পর গ্রাম উজাড় হয়ে যেত।
৮৬
যোগ্য (উপযুক্ত) — মন্ত্রীর ছেলে চোর যোগ্য বাপের যোগ্য পুত্র বটে।
যজ্ঞ (যাগ, উৎসব) — বিজয় দিবস বাঙালিদের মিলনযজ্ঞ।
৮৭
রচক (রচয়িতা) — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের রচক।
রোচক (উপভোগ্য) — মুখরোচক হলেই খাদ্য পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হয় না।
৮৮
রাধা (রাধিকা) — রাধা কৃষ্ণের লীলা বৈষ্ণব মতে ভগবত লীলা।
রাঁধা (রন্ধন করা) — যে ভাতরাঁধে সে চুলও বাধে।
৮৯
লক্ষ (সংখ্যা বিশেষ) — লক্ষ লক্ষ মানুষ মাঠে নেমেছে।
লক্ষ্য (দৃষ্টি, উদ্দেশ্য, গন্তব্যস্থল) — স্বাধীনতা পরবর্তী সংবিধানই আমাদের লক্ষ।
৯০
লব্ধ (লাভ করা) — জ্ঞানলব্ধ মানুষ পথ চিনতে ভুল করে না।
লুব্ধ (আকৃষ্ট) — মানুষের পোশাক দেখে অনেকেই লুব্ধ হয়।
৯১
লক্ষণ (চিহ্ন) — নিয়মিত লেখাপড়া করা ভালো ছাত্রের লক্ষণ।
লক্ষ্মণ (রামের ভাই) — রাম লক্ষ্মণ সহোদয়।
৯২
শক্ত (কঠিন) — কাদা মাটি নরম হলেও গুড়িয়ে ইট শক্ত হয়।
সক্ত (আসক্ত) — মাদকাসক্ত সন্তান মা— বাবার কষ্টের কারণ।
৯৩
শয্যা (বিছানা) — শয্যা বিছিয়ে সে ঘুমিয়ে গেলো।
সজ্জা (সাজ) — বর সজ্জায় তাকে বেশ মানিয়েছে।
৯৪
শীত (শীতল) — উত্তরবঙ্গে শীত বেশি পড়ে।
সিত (সাদা) — সিত কাগজে ইচ্ছামত লেখা হয় না।
৯৫
শব (মৃতদেহ) — সব ধর্মেই শব সৎকারের কথা আছে।
সব (সকল) — সব মানুষের মুখে ভাত যোগানোর দায়িত্ব সরকারের।
৯৬
শিকার (মৃগয়া) — শিকার করা অনেক মানুষের শখ।
স্বীকার (মেনে নেওয়া) — ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্য পরাজয় স্বীকার করে।
৯৭
সর্গ (অধ্যায়) — বইটি পাঠ সর্গে সাজানো।
স্বর্গ (বেহেশত) — মাতৃভূমি মানুষের কাছে স্বর্গের সমান।
৯৮
সহিত (সঙ্গে) — পণ্যের সহিত ফ্রি দেওয়া বিক্রয় কৌশল।
স্ব—হিত (নিজ কল্যাণ) — পাগলেও স্ব-হিত বোঝে।
৯৯
সাড়া (সংকেত) — বিড়ালের সাড়া পেয়ে ইঁদুরটি পালিয়ে গেল।
সারা (সমাপ্ত) — কাজ সারা হলেই ঘরে ফিরব।
১০০
সাক্ষর (শিক্ষিত, অবদান) — আমাদের দেশে সাক্ষর মানুষ কম।
/সাহিত্যে তিনি সাক্ষর রেখেছেন।
স্বাক্ষর (নামসই) — আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই স্বাক্ষর করতে জানে না।
১০১
হুতি (হোম) — পুরোহিত অগ্নিতে সৃতাহুতি দিয়ে মন্ত্র পাঠ শুরু করলেন।
হূতি (আহবান) — শ্রমিক অহূতিতে আগামিকাল ধর্মঘট।
১০২
হাড় (অস্তি) — হাড়ই সম্বল, তার শরীরে মাংস নাই বললেই চলে।
হার (পরাজয়) — প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কাউকে না কাউকে হার মানতেই হয়।
১০৩
হাঁস (হংস) — হাঁস পানিতে সাতাঁর কাটে।
হাস (হাসি) — হাসতে পারলে মন ভালো থাকে।
দ্বিরুক্ত শব্দ
দ্বিরুক্ত শব্দকে ভাঙলে পাওয়া যায় ‘দ্বি+উক্ত’। অর্থাৎ, যা দুইবার বলা হয়েছে।
বাংলা ভাষায় অনেক শব্দ বা পদ দুইবার ব্যবহৃত হয়ে অন্য একটি বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে। কোন শব্দ বা পদ পরপর দুইবার ব্যবহৃত হয়ে কোন বিশেষ অর্থ প্রকাশ করলে তাকে দ্বিরুক্ত শব্দ বলে। যেমন- ‘আমার জ্বর জ্বর লাগছে।’ এখানে ‘জ্বর জ্বর’ দ্বিরুক্ত শব্দটি ঠিক ‘জ্বর’ অর্থ প্রকাশ করছে না। জ্বরের ভাব প্রকাশ করছে।
দ্বিরুক্ত শব্দ ৩ প্রকার- শব্দের দ্বিরুক্তি, পদের দ্বিরুক্তি ও অনুকার দ্বিরুক্তি।
(ক) শব্দের দ্বিরুক্তি
১. একই শব্দ অবিকৃতভাবে দুইবার ব্যবহৃত হয়ে দ্বিরুক্ত শব্দ গঠন করতে পারে। যেমন- ভাল ভাল বই, ফোঁটা ফোঁটা জল, বড় বড় বাড়ি, ইত্যাদি।
২. সহচর শব্দযোগে দ্বিরুক্ত শব্দ গঠিত হতে পারে। দুটি সম্পর্কিত শব্দকে সহচর শব্দ বলা যায়। যেমন, ‘কাপড়-চোপড়’ সহচর শব্দযোগে গঠিত দ্বিরুক্ত শব্দ। ‘কাপড়’ অর্থ গা ঢাকার জন্য যেসব পরা হয়। আর কাপড়ের সঙ্গে অনুষঙ্গ হিসেবে যেগুলো পরা হয় সেগুলোই ‘চোপড়’। অর্থাৎ, এই দুটি শব্দ পরস্পর সম্পর্কিত। তাই এই দুটি শব্দ সহচর শব্দ। এরকম- লালন-পালন, খোঁজ-খবর, ইত্যাদি।
৩. একই শব্দ দুইবার ব্যবহৃত হয়ে পরেরবার একটু পরিবর্তিত হয়ে দ্বিরুক্ত শব্দ হতে পারে। যেমন- মিট-মাট, ফিট-ফাট, বকা-ঝকা, তোড়-জোড়, গল্প-সল্প, রকম-সকম, ইত্যাদি।
৪. সমার্থক শব্দযোগে দ্বিরুক্ত শব্দ হতে পারে। যেমন- ধন-দৌলত, বলা-কওয়া, টাকা-পয়সা, ইত্যাদি।
৫. বিপরীতার্থক শব্দযোগেও দ্বিরুক্ত শব্দ গঠিত হতে পারে। যেমন- লেন-দেন, দেনা-পাওনা, ধনী-গরিব, আসা-যাওয়া, ইত্যাদি।
(খ) পদের দ্বিরুক্তি/ পদাত্মক দ্বিরুক্তি
পদ বা বিভক্তিযুক্ত শব্দ দুইবার ব্যবহৃত হয়ে কোন বিশেষ অর্থ প্রকাশ করলে তাকে পদের দ্বিরুক্তি বা পদাত্মক দ্বিরুক্তি বলে।
পদাত্মক দ্বিরুক্তি নিম্নোক্তভাবে গঠিত হতে পারে-
১. একই পদ অবিকৃতভাবে পরপর দুইবার ব্যবহৃত হয়ে। যেমন- ঘরে ঘরে লেখাপড়া হচ্ছে। দেশে দেশে ধন্য ধন্য পড়ে গেলো। মনে মনে আমিও এ কথাই ভাবছিলাম।
২. দ্বিতীয় পদ কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে। তবে এক্ষেত্রেও পদ-বিভক্তি অপরিবর্তিত থাকে। অর্থাৎ, মূল শব্দ কিছুটা পরিবর্তিত হয়, কিন্তু বিভক্তি অপরিবর্তিত থাকে। যেমন- আমরা হাতে-নাতে চোরটাকে ধরেছি।
৩. সহচর, সমার্থক বা বিপরীতার্থক শব্দ একই বিভক্তি যুক্ত হয়ে পরপর ব্যবহৃত হয়ে দ্বিরুক্ত শব্দ গঠন করতে পারে। যেমন- আমার সমত্মান যেন থাকে দুধে-ভাতে। দেশে বিদেশে বইটি লিখেছেন সৈয়দ মুজতবা আলী, আর পথে-প্রবাসে লিখেছেন মুহম্মদ এনামুল হক।
পদাত্মক দ্বিরুক্তির প্রয়োগ
বিশেষ্য পদের দ্বিরুক্তি(উল্লেখ্য, বিশেষ্য পদের দ্বিরুক্তি হলে সেগুলো বিশেষণ পদের মত কাজ/ আচরণ করে। অর্থাৎ, বিশেষ্য পদের দ্বিরুক্তি হলে সেগুলো বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।)
১. আধিক্য বোঝাতে : রাশি রাশি ধন, ধামা ধামা ধান
২. সামান্য বোঝাতে : আমার জ্বর জ্বর লাগছে। কবি কবি ভাব।
৩. পরস্পরতা বা ধারাবাহিকতা বোঝাতে : তুমি দিন দিন রোগা হয়ে যাচ্ছ। ওরা বাড়ি বাড়ি হেঁটে চাঁদা তুলছে।
৪. ক্রিয়া বিশেষণ : ধীরে ধীরে যায়, ফিরে ফিরে চায়।
৫. অনুরূপ কিছু বোঝাতে : তার সঙ্গী সাথী কেউ নেই।
৬. আগ্রহ বোঝাতে : ও দাদা দাদা বলে ডাকছে।
বিশেষণ পদের দ্বিরুক্তি
১. আধিক্য বোঝাতে : ভাল ভাল আম। ছোট ছোট ডাল।
২. তীব্রতা বা সঠিকতা বোঝাতে : গরম গরম জিলাপী। নরম নরম হাত।
৩. সামান্যতা বোঝাতে : উড়ু উড়ু ভাব। কাল কাল চেহারা।
সর্বনাম পদের দ্বিরুক্তি
১. বহুবচন বা আধিক্য বোঝাতে : সে সে লোক কোথায় গেল? কে কে এল? কেউ কেউ বলে।
ক্রিয়াপদের/ ক্রিয়াবাচক পদের দ্বিরুক্তি
১. বিশেষণ রূপে : রোগীর তো যায় যায় অবস্থা। তোমার নেই নেই ভাব আর গেল না।
২. স্বল্পকাল স্থায়ী বোঝাতে : দেখতে দেখতে আকাশ কাল হয়ে এল।
৩. ক্রিয়া বিশেষণ : দেখে দেখে যাও। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে শুনলে কিভাবে?
৪. পৌনঃপুনিকতা বোঝাতে : ডেকে ডেকে হয়রান হয়ে গেছি।
অব্যয় পদের দ্বিরুক্তি
১. ভাবের গভীরতা বোঝাতে : সবাই হায় হায় করতে লাগল। ছি ছি, তুমি এত খারাপ!
২. পৌনঃপুনিকতা বোঝাতে : বার বার সে কামান গর্জে উঠল।
৩. অনুভূতি বা ভাব বোঝাতে : ভয়ে গা ছম ছম করছে। ফোঁড়াটা টন টন করছে।
৪. বিশেষণ বোঝাতে : পিলসুজে বাতি জ্বলে মিটির মিটির।
৫. ধ্বনিব্যঞ্জনা : ঝির ঝির করে বাতাস বইছে। বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর।
বিশিষ্টার্থক বাগধারায় দ্বিরুক্ত শব্দের প্রয়োগ
সতর্কতা বোঝাতে : ছেলেটিকে চোখে চোখে রেখো।
ভাবের প্রগাঢ়তা বোঝাতে : ভুলগুলো তুই আনরে বাছা বাছা।
কালের বিসত্মার বোঝাতে : থেকে থেকে শিশুটি কাঁদছে।
আধিক্য বোঝাতে : লোকটা হাড়ে হাড়ে শয়তান।
: খাঁচার ফাঁকে ফাঁকে, পরশে মুখে মুখে, নীরবে চোখে চোখে চায়।
পারিভাষিক শব্দ
অভিধানে পরিভাষার অর্থ সংক্ষেপার্থ শব্দ। অর্থাৎ যে শব্দের দ্বারা সংক্ষেপে কোন বিষয় সুনির্দিষ্টভাবে ব্যক্ত করা যায় তাই পরিভাষা। সাধারণত পরিভাষা বললে এমন শব্দ বা শব্দাবলি বোঝায় যার অর্থ পণ্ডিতগণের সম্মতিতে স্থিরীকৃত হয়েছে এবং যা দর্শন বিজ্ঞানের আলোচনায় প্রয়োগ করলে অর্থবোধে সংশয় ঘটে না। অন্যভাবে বলা যায়, সুনির্দিষ্ট সংক্ষেপার্থ সংশয়মুক্ত শব্দই হলো পরিভাষা। সহজভাবে বললে, বিশেষ ভাষা। ইংরেজি শব্দের স্বাদ, গন্ধ, বৈশিষ্ট্য, চরিত্র, সম্পর্ক, অর্থ ইত্যাদি অনুসারে বাংলা শব্দে রূপ দেয়া হয় তাকে পারিভাষিক শব্দ বলে। যেমন : Oxygen-অম্লজান, Act-আইন, Farm- খামার।
বিশিষ্ট তিন ভাষাবিদের অভিমত
সৈয়দ আলী আহসান: বাংলাদেশের প্রতি প্রকৃতির দিকে এবং বোধগম্যতার দিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের পরিভাষা নির্মাণ করতে হবে। যেখানে আরবি ফারসির প্রয়োগ সমীচীন সেখানে আরবি, ফারসি এবং যেখানে সংস্কৃতের প্রয়োজন সেখানে সংস্কৃত-এটাই আমাদের আদর্শ হওয়া উচিত।
সৈয়দ আলী আহসানের পরিভাষা নীতি—যে বিদেশি শব্দগুলোর অতিরিক্ত প্রয়োগে একটি সবল এবং সুষ্ঠুরূপ নিয়েছে সেগুলোর পরিবর্তন না করা। জটিল বৈজ্ঞানিক শব্দ যেগুলোর কোন প্রতিরূপ আমাদের ভাষায় নাই >সেগুলো অবিকৃত রাখা। যেগুলো ব্যাখ্যা চলে এবং ব্যাখ্যা করলেই আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়-একমাত্র সেগুলোরই প্রতিশব্দ নির্মাণ করা।
মুহম্মদ আব্দুল হাই: যতটা সম্ভব বাংলা ভাষার ধর্ম, তার শ্রুতিমাধুর্য এবং ব্যবহারিক প্রয়োজনের দিক লক্ষ্য রেখে সংস্কৃত ও আরবি ভাষার শব্দ মূলের মধ্যে একটি ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।
ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর অভিমত: বাংলা গদ্যের সাহিত্যিক ব্যবহারের প্রারম্ভ থেকেই পরিভাষার জন্য সংস্কৃতের সাহায্য লওয়া হচ্ছে। আমি মনে করি যে বাংলা ভাষার এই ঐতিহ্যের দিকে লক্ষ্য করে আমরা একদম সংস্কৃত বর্জন করতে পারি না। সেইরূপ রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনের দিকে লক্ষ্য করে আরবির ফারসিও আমরা অগ্রাহ্য করতে পারি না।
বাংলা পরিভাষা নির্মাণের ইতিহাস
১৭৭২ সালের ১৫ই আগস্ট প্রতি জেলায় দেওয়ানি বিচারের জন্য মফস্বলে দেওয়ানি আদালত স্থাপিত হয়। ১৭৭৫ সালে স্থাপিত হয় কলকাতায় সুপ্রীম কোর্ট। ১৭৯৭ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট আইন প্রণয়ন করেন। ওই আইনের রেগুলেশন খাতে সরকার ইচ্ছামত পরিবর্তন না করতে পারে সে ব্যাপারে নির্দেশ থাকে। প্রতিটি রেগুলেশন মুদ্রিত এবং দেশি ভাষায় অনূদিত হবারও নির্দেশ থাকে। এই আবশ্যিক অনুবাদের মাধ্যমে এদেশে আইনের অনুবাদ শুরু হয়। ফলে ১৭৭৬ সাল থেকে ১৭৯৭-৯৮ সাল পর্যন্ত জেন্টু কোড, অর্ডিন্যান্স অভমনু, এ ডাইজেস্ট অব হিন্দুল (১৭৭৬-১৭৯৮) প্রণয়নে সংস্কৃত থেকে ইংরেজি পরিভাষা নির্মাণের গোড়াপত্তন হয়। বাংলায় পরিভাষা নির্মাণের গোড়াপত্তন হয় ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে। ১৭৮৪ সালে জনাথান ডানকানের ‘হইবার কারণ ধারার নিয়ম বাংলা ভাষায়’র বাংলা হরফে প্রকাশ হবার মধ্য দিয়েই বাংলা পরিভাষার সূচনা হয়। এ ধারা অব্যাহত থাকে ১৮৯৩ সাল পর্যন্ত। ১৮৯৪ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে যা ব্যাপক পরিণতরূপ পায়। বিগত দুইশ বছরে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের পাশাপাশি পরিভাষা নির্মাণে অবদান রেখেছেন ফেলিকস কেরি, জনমেক, উইলসন, পীয়ারসন বৃটন প্রমুখ মনীষী থেকে শুরু করে অক্ষয় কুমার দত্ত, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্কিম চন্দ্র, বিপিনবিহারী দাস, রাজেন্দ্রলাল মিত্র, রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী, যোগেশচন্দ্র, ড. রঘুবীর, বি এন শীল, সুনীতিকুমার, রাজশেখর বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুধীন্দ্রনাথ প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশের পরিভাষা
১৯৪৭ সালে পূর্বপাকিস্তান নামকরাষ্ট্র জন্মাবার পর শিশুরাষ্ট্রে ভাষা সংকট দেখা দেয়। ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে জিন্নাহর দাম্ভিক ঘোষণা পূর্ববঙ্গবাসীদের মর্মাহত করে। যার পরিণতি ১৯৫২ সালে রক্তাক্ত মহান ভাষা আন্দোলন। অনেক রক্তের বিনিময়ে ১৯৫৬ সালে পশ্চিমা শাসকরা উর্দুর সঙ্গে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। সেদিন পূর্ববঙ্গের বাঙালিরা ভাষার প্রশ্নে ছিল উত্তপ্ত ও উদ্বেলিত। বাংলা অক্ষর, ভাষা ও ব্যাকরণকে সহজ করার জন্য বাঙালিরা ২টি সংস্থার জন্ম দেয়। বাংলা ভাষা পরিকল্পনায় এদুটো প্রতিষ্ঠানই মুখ্য ভূমিকা রাখে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষাবোর্ড, টেকস্টবুক বোর্ড তখনও গৌণ। এসব প্রতিষ্ঠান নিজনিজ ক্ষেত্রে প্রয়োজন মতো পরিভাষা প্রণয়নে ভূমিকা রাখে। বাংলা একাডেমি (১৯৫৭) ও বাংলা উন্নয়ন বোর্ড (১৯৬৩)। এদেশে পরিভাষা সম্পর্কিত চিন্তার সূত্রপাত হয়। মুহম্মদ আব্দুল হাই-এর ‘আমাদের পরিভাষা সমস্যায় সংস্কৃতের স্থান’ (১৯৬১) এবং ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ‘আমাদের পরিভাষা সমস্যা’ (১৯৬২) প্রবন্ধ দুটি পরিভাষার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশে পরিভাষা প্রণয়নে ৩ জন মনীষীর নাম স্মরণযোগ্য। যেমন : আব্দুল হাই, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও সৈয়দ আলী আহসান।
পরিভাষার বৈশিষ্ট্য
পরিভাষার ৪টি বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
যেমন: সর্বজন স্বীকৃতি, স্বাভাবিকতা, বিশিষ্টার্থ প্রয়োগ, আড়ষ্টত্বহীনতা
পরিভাষা নির্মাণের উপায়: ৪টি উপায়ে পরিভাষা নির্মাণ করা যায়।
যেমন:
১. পূর্ব ব্যবহৃত শব্দ ও শব্দাংশ জুড়ে। যেমন: উপাচার্য (Vice Chancellor)
২. পূর্ব ব্যবহৃত শব্দের অর্থের পরিবর্তন ঘটিয়ে। যেমন: বর্ণ (রং)>কিন্তু ব্যাকরণে ধ্বনি সংকেত।
৩. অন্য ভাষা থেকে শব্দ ধার করে। যেমন: Green>সবুজ (ফারসি)-এর বাংলা নাই।
৪. সোজাসুজি নতুন শব্দ নির্মাণ করে। যেমন: Circle>চক্র।
পরিভাষা নির্মাণের রীতি
পরিভাষা নির্মাণের ৩টি রীতি রয়েছে। যেমন:
১. ঋণ: ঋণ শব্দ অপরিবর্তিত থাকাই শ্রেয়। যেমন: অতি প্রচলিত ঋণ শব্দ।
২. ঋণ অনুবাদ: পুরনো শব্দ, অপ্রচলিত শব্দ কিংবা অর্ধবিস্মৃত শব্দই এর উৎস।
যেমন: epenthesis-অপিনিহিত, en = নি, thisis = হিতি, up = উজান।
৩. নির্মাণ>সংস্কৃত, আরবি, ফারসি এর উৎস। যেমন: fact-তথ্য।
পারিভাষিক শব্দের নমুনা
১. রসায়ন
Aberration — বিচ্যুতি
Absolute — পরম/ খাঁটি/আসল
Bronze — তামা
Extraction — নিষ্কাশন
Hydrogen — উদজান
Nitrogen — যবক্ষারজান
Neutron — নিষ্ক্রিয় কর্মা/ তড়িৎ বিহীন কথা
Oxygen — অম্লজান
৩. পদার্থ বিদ্যা
Arc — চাপ
Axis — অক্ষ
Axis of rotation — ঘূর্ণাক্ষ
Cell — সেল
Central force — কেন্দ্রিক বল
Chance — দৈব
Inlet — প্রবেশ পথ
৪. ভূবিদ্যা
Ablation — ক্ষয়
৫. মৃৎবিজ্ঞান
Buffer elements — নিরপেক্ষ উৎপাদন
Bulk density — আকারের ঘনত্ব
Calcium — ক্যালসিয়াম
Calcium carbonate — খড়িমাটি
Capillary force — কৈশিক শক্তি
৬. তথ্য গণিত
Absolute — স্বকীয়
Applied statistics — ফলিত বা ব্যবহারিক তথ্য গঠিত
Job evaluation — কার্যের মূল্যায়ন
৭. গণিত শাস্ত্র
Eccentr Icity — রাশি/রাশিমালা
Expression — সসীম
Fundamental rules — মূল নিয়ম
Integral number — পূর্ণসংখ্যা
৮. রাষ্ট্র বিজ্ঞান
Knave — প্রতারক
Legal — বৈধ
Nationality — জাতীয়তা
বর্ণভিত্তিক পারিভাষিক শব্দের নমুনা
A
Academic : অধিবিদ্যা / শিক্ষায়তনিক
Allotment : বরাদ্দ
Admit card : প্রবেশ পত্র
Affidavit : শপথনামা / হলফনামা
Adult education : বয়স্ক শিক্ষা
Acting : ভারপ্রাপ্ত / অস্থায়ী
Academic year : শিক্ষাবর্ষ
Address of welcome : অভিনন্দন পত্র বা সংবর্ধনা ভাষণ
Account : হিসাব
Autonomous : স্বায়ত্তশাসিত
Acknowledgement : প্রাপ্তিস্বীকার
Administrator : প্রশাসক
Article : অনুচ্ছেদ
Articles : নিয়মাবলি / ধারা
Agreement : চুক্তি / সম্মতি / মতৈক্য
Author : লেখক / গ্রন্থকার
Appendix : পরিশিষ্ট
Agenda : আলোচ্য-সূচি
Ad-hoc : অনানুষ্ঠানিক / তদর্থক
Air-conditioned : শীতাতপনিয়ন্ত্রিত
Adviser : উপদেষ্টা
Aid : সাহায্য
Air-mail : বিমান-ডাক
Admission : ভর্তি, প্রবেশ
Assembly : পরিষদ, সভা
Acting editor : ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
Abbreviation : সংক্ষেপণ
Auditor : হিসাবনিরীক্ষক
Assembly house : সংসদ ভবন
Accessories : সরঞ্জাম
Absent — স্থত, গরহাজির
A.C — খ্রিস্টপূর্ব
A/C — হিসাব
Academy — বিদ্যাপীঠ
Act — আইন
Auxiliary — সহায়ক
Average — গড়, গড়পড়তা
B
Boyscout : ব্রতী বালক
Bearer : বাহক
Biography : জীবনচরিত, জীবনী
Bio-data : জীবনবৃত্তান্ত
Basic : মৌলিক, মৌল
Basic pay : মূল বেতন
Background : পটভূমি
Bureau : সংস্থা
Banker : ব্যাংক মালিক
Bail : জামিন
Book-post : খোলা ডাক
Ballot-paper : ভোটপত্র
Bidder : নিলাম ডাকিয়ে
Break of study : অধ্যয়ন-বিরতি, শিক্ষা বিরতি
Brand : ছাপ, মার্কা
Bidding : নিলাম ডাক
By-law — উপধারা, উপবিধি
Back-ground — পটভূমি
Back-bone — মেরুদণ্ড
B.C — খ্রিস্টপূর্ব
Bearer — বাহক
Bill — মূল্যপত্র
Blacklist — দুষ্ট সূচি
Breath — শ্বাস-প্রশ্বাস
C
Capital : পুঁজি, মূলধন
Cabinet : মন্ত্রিপরিষদ
Caption : শিরোনাম, পরিচিতি
Campus : অঙ্গন / ক্যাম্পাস
Crown : মুকুট
Carbon di-oxide : অঙ্গারাম্লজান
Constitution : সংবিধান
Catalogue : তালিকা, গ্রন্থতালিকা
Conduct : আচরণ
Calendar : পঞ্জিকা
Copy : প্রতিলিপি
Cable : তার
Chancellor : আচার্য
Cartoon : ব্যঙ্গচিত্র
Code : বিধি, সংকেত
Copyright : লেখস্বত্ব
Calender : ইস্ত্রি
Care-taker : তত্ত্বাবধায়ক
Coldstorage : হিমাগার
Civil war : গৃহযুদ্ধ
Cordon : বেষ্টনী
Conference : সম্মেলন
Cable — তার
Coin — মুদ্রা
Collection — আদায়, সংগ্রহ
Colony — উপনিবেশ, সঙ্ঘ
Complemen — পূরণ, প্রতিপূরণ
Complex — জটিল, মিশ্র
Compliment — সৌজন্য
Control Room — নিয়ন্ত্রণ কক্ষ
Crisis — সংকট
Criminal Law — দণ্ডবিধি
Forum — ভাস্থল, ফোরাম, বিচারালয়
Fund — তহবিল
Cyclic — আবর্ত, বৃত্তস্থ
Cyclone — ঘূর্ণিঝড়
D
Data — উপাত্ত, তথ্য
Deal — ব্যবসায়ের চুক্তি
Duplication — অনুলিপি, অনুবর্তন
Dairy — দোহশালা
Dead lock — অচলাবস্থা
Dealer — পরিবেশক, ব্যাপারি
Duty — কর্তব্য, কার্য, শুল্ক
Dynamite — বিস্ফোরক বিশেষ
E
Economic — মিতব্যয়ী, অর্থনৈতিক
Exhibition — প্রদর্শনী, মেলা
Expert — বিশেষজ্ঞ, দক্ষ
Eyewash — ধোঁকা
Eye evidence — চাক্ষুষ প্রমাণ
F
Fact — প্রকৃত ঘটনা, তথ্য
Factor — কারণ, উৎপাদক, গুণক
Faculty — অনুষদ, মনোবৃত্তি
Fair Price — ন্যায্যমূল্য
Farce — প্রহসন, হাসির নাটক
Farm — খামার
Fascism — ফ্যাসিবাদ
Formula — সূত্র
Fulltime — পূর্ণকাল
Magnet — চুম্বক
Machine — যন্ত্র, কল
Machinetools — যন্ত্রপাতি
Magazine — সাময়িকপত্র, বারুদখানা
G
Gazette — ঘোষণা
Gazetted — ঘোষিত
Guilty — অপরাধী
Guide-Book — নির্দেশিকা, নির্দেশ গ্রন্থ
Guard — রক্ষী, প্রহরী
H
Hand-Bill — ইশতেহার, প্রচারপত্র
Hostile — শত্রুভাবাপন্ন
Hostess — বাড়িওয়ালা
House Wife — গৃহিণী/গিন্নি
Hygiene — স্বাস্থ্যবিদ্যা
I
Irrigation — সেচ
Initial — প্রারম্ভিক
Introduction — ভূমিকা
Invigilator — পরীক্ষা-পরিদর্শক
Invitation — আমন্ত্রণ, নিমন্ত্রণ
Issue — প্রেরণ, প্রচার, প্রদান
J
Job — কাজ, চাকরি, কর্ম
Jail — কারাগার, জেল
Judge — বিচারক
Jointventure — যৌথ প্রচেষ্টা
Journalism — সাংবাদিকতা
K
Kingdom — রাজ্য
Knight — সম্ভ্রান্ত, বংশীয়
Kindness — দয়া
Keeper — রক্ষক
Kiln — ভাটি
Knowledge — কৌশল, জ্ঞান
L
Liver — যকৃত
Lawyer — আইনজ্ঞ
Laboratory — পরীক্ষাগার
Leisure — অবকাশ
Landing — অবরোহণ, অবতরণ
Land Lord — জমিদার, ভূস্বামী
M
Magistrate — শাসক
Muscle — পেশী
Memo — স্মারক
Urban — পৌর, শহর
Urine — প্রস্রাব, মূত্র
Urgent — জরুরি
Union — সংযোগ, মিল, সম্মেলন
Urinal — প্রস্রাবের স্থানে, মূত্রাধার
N
Nation — জাতি
National — জাতীয়
Nationality — জাতীয়তা
Nationalization — জাতীয়করণ
Notice — বিজ্ঞপ্তি
O
Oath — শপথ
Overseer — উপদর্শক
P
Paid — পরিশোধিত
Para — অনুচ্ছেদ
Panel — নামসূচি
Parliamentary — সংসদীয়
Parliament — সংসদ
Q
Qualification — গুণ, যোগ্যতা
Quarter — চতুর্থাংশ, সিকি; পাদ
Quarterly — ত্রৈমাসিক
Quotation — মূল্যজ্ঞাপন, উদ্ধার
R
Receipt — রসিদ
Revenue — রাজস্ব
Respiration — শ্বাস, শ্বসন
Report — প্রতিবেদন
Ratio — অনুপাত
Reagent — বিকারক
S
Salary — বেতন
Salesman — বিক্রয়কর্মী
Sanction — অনুমোদন
Script — লিপি
Science — বিজ্ঞান
Secretary General — মহাসচিব
T
Technical — কারিগরি
Treasurer — কোষাধ্যক্ষ
Tribal — উপজাতীয়
U
University — বিশ্ববিদ্যালয়
United Front — যুক্তফ্রন্ট
Universal — সার্বিক, সর্বজনীন
Workshop — কারখানা
Worship — পূজা, ধর্মকর্ম
Writer — লেখক, লিপিকার মুরশি
Writing Off — অবলকন
V
Visit — সফর
Volcano — আগ্নেয়গিরি
Volunteer — স্বেচ্ছাসেবক
Voucher — রশিদ
Voluntary — স্বেচ্ছাক্রিয়া
Vanity Bag — প্রসাধন ব্যাগ
Vegetable — সবজি
Venue — স্থান
Virus — জীবাণু
Visa — প্রবাসাজ্ঞা
Visiting-Card — সাক্ষাৎপত্র, দর্শনপত্র
W
Weather — আবহাওয়া
X
X-ray — রঞ্জনরশ্মি
Y
Year — বৎসর
Year-Book — বর্ষপঞ্জি
Yearly — বার্ষিক, বাৎসরিক
Yours Sincerely — বিশ্বস্ত, ভবদীয়
Yieldto — নতি স্বীকার করা
Z
Zone — অঞ্চল, বলয়, মণ্ডল
Zoo — চিড়িয়াখানা
Zeal For — উৎসাহ
Zealous For — উৎসাহী
Zest For — অনুরাগ
D
Diplomat : কূটনীতিক
Deputation : প্রেষণ
Diagnosis : নিদান / রোগনির্ণয়
Defence : প্রতিরক্ষা
Donation : দান, অনুদান
Demonstrator : প্রদর্শক
Donor : দাতা
Dynamic : গতিশীল, গভীর
Deed of gift : দানপত্র
Dialect : উপভাষা
Data : উপাত্ত
Deed : দলিল
Diplomacy : কূটনীতি
Dowry : যৌতুক
Deputy : উপ-প্রতিনিধি
Deputy Secretary : উপ-সচিব
E
Editor : সম্পাদক
Editorial : সম্পাদকীয়
Edition : সংস্করণ
Enquiry : অনুসন্ধান, তদন্ত
Exchange : বিনিময়
Equation : সমীকরণ
Embargo : অবরোধ, নিষেধাজ্ঞা
Expert : বিশেষজ্ঞ
Excuse : অজুহাত
Ex-officio : পদাধিকার বলে
F
File : নথি
Faculty : অনুষদ
Forecast : পূর্বাভাস
Fiction : কথাসাহিত্য
Fundamental : মৌলিক / মৌল / মূল
Follow-up : অনুসরণ করা
G
Gazetted : ঘোষিত
Global : বৈশ্বিক
Galaxy : ছায়াপথ
Geology : ভূতত্ত্ব
Green house : সবুজ বলয় / গ্রিন হাউস
Goodwill : সুনাম
Godown : গুদাম
Green-room : সাজঘর
Gunny : চট
Gazette : ঘোষণাপত্র
H
Hostile : বৈরী, প্রতিকূল
Hand bill : প্রচারপত্র
Hostage : জিম্মি
Headline : শিরোনাম
Home Ministry : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
Hood : বোরখা, বোরকা
Hypocrisy : কপটতা, ভণ্ডামি
Hand-book : তথ্যপুস্তিকা
I
Interview : সাক্ষাৎকার
Internal : অভ্যন্তরীণ
Index : নির্ঘণ্ট, নির্দেশক
Interim : অন্তর্বর্তীকালীন
Irrigation : সেচ
Immigrant : অভিবাসী
Idiom : বাগধারা
Interpreter : দোভাষী
J
Justice : বিচারপতি
Judge : বিচারক
K
Key-word : মূল-শব্দ
Key note : মূল ভাব, মূল সুর
L
Leap-year : অধিবর্ষ
Literature : সাহিত্য
Lien : পূর্বস্বত্ব / লিয়েন
Legend : কিংবদন্তি
Limited : সীমিত, সীমাবদ্ধ
Lock-up : হাজত
M
Manuscript : পাণ্ডুলিপি
Mayor : মেয়র, পুরকর্তা
Manifesto : ইশতেহার
Millennium : সহস্রাব্দ
Method : প্রণালি
Memorandum : স্মারকলিপি
Mercury : পারদ
Medical College : চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়
N
Nationality : জাতীয়তা
National Assembly : জাতীয় পরিষদ
Note : মন্তব্য
Nationalisation : জাতীয়করণ / রাষ্ট্রীয়করণ
Notice Board : বিজ্ঞপ্তি ফলক
Nursery : শিশুমালা / তরুশালা
O
Obedient : অনুগত, বাধ্য
Option : ইচ্ছা
Office-bearer : কর্মচারী
Occupation : বৃত্তি / পেশা / দখল
Optional : ঐচ্ছিক
Out-post : ফাঁড়ি
P
Passport : ছাড়পত্র / পাসপোর্ট
Public : সরকারি লোক / জনসাধারণ
Public works : গণপূর্ত
Principle : তত্ত্ব / সূত্র / নীতি
Para : অনুচ্ছেদ
Pay-bill : বেতন-বিল / বেতন-পত্র
Parliament : সংসদ
Publication : প্রকাশনা
Pollution : দূষণ
Principal : অধ্যক্ষ / প্রধান
Payee : প্রাপক
Philanthropist : লোকহিতৈষী
Q
Quarantine : সঙ্গরোধ
R
Rank : পদমর্যাদা
Republic : প্রজাতন্ত্র
Routine : রুটিন / নিত্যক্রম
Relation : সম্পর্ক
Registration : নিবন্ধন
Regiment : সৈন্যদল
Ratio : অনুপাত
S
Sanction : অনুমোদন / মঞ্জুরি
Salary : বেতন
Sir : মহোদয় / জনাব / স্যার
Scale : মাপনী / স্কেল / ক্রম
Specialist : বিশেষজ্ঞ
Secondary : মাধ্যমিক
Sabotage : অন্তর্ঘাত
Secretary : সচিব
T
Termination : অবসান
Telecommunication : টেলিযোগাযোগ
Theory : তত্ত্ব / সিদ্ধান্ত / সূত্র
U
Union : সংঘ / ইউনিয়ন; সংযোগ
Up-to-date : হালনাগাদ
Urbanization : নগরায়ন
V
Valid : বৈধ / সিদ্ধ / চালু
Venue : স্থান
Viva-voce : মৌখিক পরীক্ষা
Vocation : বৃত্তি
Vehicle : যান / গাড়ি
Vacation : অবকাশ / ছুটি
W
Worship : পূজা
Walk-out : সভাবর্জন / ওয়াক আউট
White paper : শ্বেতপত্র
X
X-ray : রঞ্জনরশ্মি
Y
Year-Book : বর্ষপঞ্জি
Z
Zoo : চিড়িয়াখানা
Zone : অঞ্চল; বলয় / মণ্ডল
সফল দিয়ে বাক্য রচনা
ReplyDeleteThanks
ReplyDelete