নোবেল পুরস্কার
নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়- ১৯০১ সাল
প্রথমে নোবেল পুরস্কার দেয়া হত- ৫ টি ক্ষেত্রে : পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা শাস্ত্র, শান্তি ও সাহিত্য)
বর্তমানে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয় – ৬ টি ক্ষেত্রে : পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা শাস্ত্র, শান্তি ও সাহিত্য ও অর্থনীতিতে (পরে অর্থনীতি যোগ করা হয়)
অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়- ১৯৬৯ সালে
প্রতি বছর নোবেল পুরস্কার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হয়- ১০ ডিসেম্বর
নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য- ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনার (১৪ লক্ষ ২০ হাজার ডলার)
নোবেল পুরস্কার প্রদানকারী সংস্থা- ৪ টি। যথা :
(ক) নোবেল কমিটি অব দি নরওয়েজিয়ান পার্লামেন্ট (নরওয়ে)- শান্তি
(খ) সুইডিশ একাডেমি (সুইডেন)- সাহিত্য
(গ) রয়েল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স (সুইডেন)- পদার্থ, রসায়ন ও অর্থনীতি
(ঘ) ক্যারোনিস্কা ইনস্টিটিউট (সুইডেন)- চিকিৎসা শাস্ত্র
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়- নরওয়েতে
এ পর্যন্ত নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়নি যেসব সালে- ১৯৪০, ১৯৪১, ১৯৪২ সাল (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে)
শান্তিতে সর্বাধিক তিনবার নোবেল পাওয়া সংস্থা- রেড ক্রস (১৯১৭, ১৯৪৪, ১৯৬৩)
বর্ষ - নাম - মনোনয়নপ্রাপ্তির ক্ষেত্র
1913 - রবি দত্ত (২ বার) - সাহিত্য
1929 - উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী - চিকিৎসাবিজ্ঞান
1930 - মেঘনাদ সাহা (২ বার) - পদার্থবিজ্ঞান
1934 - হরি মোহন ব্যানার্জী (২ বার) - শান্তি
1936 - হরি মোহন ব্যানার্জী (২ বার) - শান্তি
1936 - হরি মোহন ব্যানার্জী - সাহিত্য
1937 - নলিনী কুমার মুখার্জী - শান্তি
1937 - বেনসাধর মজুমদার - সাহিত্য
1937 - মেঘনাদ সাহা - পদার্থবিজ্ঞান
1938 - শান্তি
নলিনী কুমার মুখার্জী
হরি মোহন ব্যানার্জী
1938 - সঞ্জীব চৌধুরী - সাহিত্য
1939 - সাহিত্য
বেনসাধর মজুমদার -
সঞ্জীব চৌধুরী -
1939 - নলিনী কুমার মুখার্জী - শান্তি
1939 - মেঘনাদ সাহা - পদার্থবিজ্ঞান
1940 - মেঘনাদ সাহা - পদার্থবিজ্ঞান
1942 - উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী (৫ বার) - চিকিৎসাবিজ্ঞান
1943 - শ্রী অরবিন্দ ঘোষ - সাহত্য
1950 - শান্তি
সঞ্জীব চৌধুরী
শ্রী অরবিন্দ ঘোষ
1951 - সঞ্জীব চৌধুরী - শান্তি
1951 - মেঘনাদ সাহা - পদার্থবিজ্ঞান
1955 - সঞ্জীব চৌধুরী - শান্তি
1955 - মেঘনাদ সাহা - পদার্থবিজ্ঞান
1956 - সত্যেন্দ্রনাথ বসু - পদার্থবিজ্ঞান
1959 - সত্যেন্দ্রনাথ বসু - পদার্থবিজ্ঞান [১]
1962 - সত্যেন্দ্রনাথ বসু (২ বার) - পদার্থবিজ্ঞান
1967 - শান্তি
দাসমনি রায়
বিনাজ নারায়ণ সেন
সঞ্জীব চৌধুরী
1998-অমর্ত্য সেন-কল্যাণ অর্থনীতিতে মৌলিক অবদানের জন্য।
2005 - তসলিমা নাসরিন - শান্তি
2006-মুহাম্মদ ইউনুস-ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করে ।
2009 - মহাশ্বেতা দেবী - সাহিত্য
2011 - মহাশ্বেতা দেবী - সাহিত্য
2012 - সাহিত্য
মহাশ্বেতা দেবী
সনেট মন্ডল
২০১৩ সালে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তি ও সংস্থা এর বায়োগ্রাফি
পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেলঃ
▬▬▬▬▬▬▬▬
বিজ্ঞানী হিগস জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৯ সালের ২৯ মে স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গে। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন, কিংস কলেজ লন্ডন, ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডন ও ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গ থেকে পড়াশোনা করেছেন তিনি। বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গেই এমিরিটাস প্রফেসর হিসেবে অধ্যাপনা করছেন তিনি।
অন্যজন ইংলার্ট জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩২ সালের ৬ নভেম্বর বেলজিয়ামে। ১৯৫৫ সালে ইউনিভার্সিটি লিবার দ্য ব্রাসেলস থেকে ইলেকট্রিক্যাল-মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক পাস করেন।
১৯৫৯ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পদার্থ বিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। বর্তমানে ইউনিভার্সিটি লিবার দ্য ব্রাসেলসে অধ্যাপনা করছেন।
১৯৬০-এর দশকে এ দুই বিজ্ঞানীসহ একদল কণাতত্ত্ববিদ একটি মডেল প্রস্তাব করেন, যার মাধ্যমে পরমাণুর কিছু প্রাথমিক কণার ভরের উৎস ব্যাখ্যা করা হয়। ওই মডেলে একটি কণার কথা বলা হয়, যার নাম রাখা হয় পিটার হিগস ও বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নামে। তত্ত্বীয় পদার্থবিদ্যার মতে, মহাবিশ্বের সব কিছুই ‘ভর’ পেয়েছে এই হিগস-বোসন কণার মাধ্যমে। এ কারণে এ কণার নাম হয়ে যায় ‘ঈশ্বর কণা। ঈশ্বর কণার অস্তিত্ব থাকার ব্যাপারে হিগস ও ইংলার্টের এই তাত্ত্বিক ধারণা সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চের (সার্ন) বিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়। জেনেভার কাছাকাছি ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডের সীমান্তবর্তী ইউরোপিয়ান পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র সার্নে লার্জ হ্যাড্রন কলাইডারে বিগ ব্যাংয়ের ‘মিনি সংস্করণ’ সৃষ্টি করে ‘ঈশ্বর কণা’ পাওয়ার ঘোষণা দেন বিজ্ঞানীরা। রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেসের সেক্রেটারি স্তেফান নোরমার্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এ বছরের পুরস্কার অতি ক্ষুদ্র এক কণাকে নিয়ে, যা এই বিশ্বের সব পরিবর্তনের মূলে।’
এ পুরস্কারের অর্থমূল্য বাবদ দুজনে মিলে ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার বা ১২ লাখ মার্কিন ডলার পাবেন। এ ছাড়া পাবেন একটি করে সোনার মেডেল ও সার্টিফিকেট।
১০ ডিসেম্বর স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
রসায়ন বিজ্ঞানে নোবেলঃ
▬▬▬▬▬▬▬▬
কম্পিউটার পদ্ধতির মাধ্যমে রাসায়নিক প্রক্রিয়াকে দৃশ্যমান করার উপায় উদ্ভাবন করায় এবার রসায়নে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী। এ বছর যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মার্টিন কারপ্লাস, মাইকেল লেভিট ও আরেই ওয়ারশেল। রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের ভাষ্য, রসায়নকে সাইবার-জগতে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্বের জন্য রসায়নে নোবেল পেলেন তিন গবেষক।
রাসায়নিক বিক্রিয়াকে কম্পিউটার পদ্ধতির মাধ্যমে দৃশ্যমান করার প্রক্রিয়াটি নতুন ধরনের ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগানো সম্ভব। গবেষকেদের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে কম্পিউটারের সাহায্যে রসায়নের জটিল ও রহস্যময় প্রক্রিয়ার ‘ম্যাপ’ তৈরি করা সম্ভব। রাসায়নিক প্রক্রিয়ার বিস্তারিত জানা সম্ভব হওয়ায় এর মাধ্যমে নতুন ব্যবহারিক ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
চিকিৎসায় নোবেলঃ
▬▬▬▬▬▬▬▬
সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট ৭অক্টোবর চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কারের ঘোষণা দেয়। ওই তিন বিজ্ঞানী দেখিয়েছেন যে কোষ থেকে কোষে রাসায়নিক অণুর পরিবহন কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। ওই পরিবহনব্যবস্থায় কোনো সমস্যা সৃষ্টি হলে রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা ব্যাহত হয়। এতে করে স্নায়বিক সমস্যা ও ডায়াবেটিস রোগ হতে পারে। এসব রোগের চিকিৎসায় নতুন আলো দেখাবে তিন গবেষকের ওই আবিষ্কার।
মানবদেহের প্রতিটি কোষ একেকটি রাসায়নিক অণুর কারখানা। কোষের মধ্যেই রাসায়নিক অণুর সৃষ্টি হয় এবং সেখান থেকে তা ছড়িয়ে পড়ে প্রয়োজনীয় জায়গামতো। কোষ থেকে কোষে বা কোষের বাইরে ওই সব রাসায়নিক অণুর পরিবহন হয় প্যাকেজ আকারে, চিকিৎসাশাস্ত্রে একে বলা হয় ভেসিকল। সঠিক সময়ে এবং দেহের সঠিক স্থানে এই ভেসিকল পৌঁছে দেওয়ার কাজটি কোষ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে, তা-ই উদ্ভাবন করেছেন তিন গবেষক।
গবেষক রেন্ডি শেকম্যান যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মলিক্যুলার ও সেল বায়োলজির অধ্যাপক। কোষ পরিবহনের প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রিত হয় যেসব জিনের মাধ্যমে, তা শনাক্ত করেছেন তিনি। আর ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেল বায়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জেমস রথম্যান সন্ধান পেয়েছেন একটি প্রোটিন যৌগের। এই প্রোটিনের কাজ ভেসিকল বা রাসায়নিক অণুর প্যাকেজ স্থানান্তরে সহায়তা করে।
শেকম্যান ও রথম্যানের উদ্ভাবনের পরবর্তী ধাপটি সম্পন্ন করেছেন জার্মানির নাগরিক ও যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থমাস সুডহফ। ঐতিহ্য আনুযায়ী, আগামী ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে বিজয়ীদের হাতে। পুরস্কারের আর্থিক মূল্যমান ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার (১২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার) নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেবেন তিন গবেষক।
সাহিত্যে নোবেলঃ
▬▬▬▬▬▬▬▬
মুনরোকে ‘সমকালীন ছোটগল্পের মাস্টার’ অভিহিত করে নোবেল কমিটি ।‘তিনি খুব সুন্দর করে গুছিয়ে গল্প বলতে পারেন। তাঁর গল্পের বিষয়বস্তু সুস্পষ্ট ও বাস্তববাদী। অনেকেই তাঁকে কানাডার চেখভ বলে থাকেন।’ কানাডার স্থানীয় সময় ৯অক্টোবর দিবাগত গভীর রাতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার খবরটি পৌঁছায় ৮২ বছর বয়সী মুনরোর কাছে।
মুনরোর জন্ম ১৯৩১ সালের ১০ জুলাই, কানাডার অন্টারিও প্রদেশের উইংহ্যাম এলাকায়। সেখানকার গ্রাম্য ও শান্ত পরিবেশেই তাঁর বেড়ে ওঠা। বাবা ছিলেন খামার মালিক, মা স্কুলশিক্ষক।
মাত্র ১১ বছর বয়সেই মুনরো ঠিক করে ফেলেন, বড় হয়ে একজন লেখকই হবেন। সে মতোই এগিয়েছে সবকিছু। নিজের পেশা নিয়ে পরবর্তী সময়ে আর কখনো তিনি দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেননি।
মুনরোর প্রথম গল্প দ্য ডাইমেনশন অব আ শ্যাডো। প্রকাশিত হয় ১৯৫০ সালে। তখন তিনি ওয়েস্টার্ন অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। সেখানেই পরিচয় হয় জেমস মুনরোর সঙ্গে। তাঁরা বিয়ে করেন ১৯৫১ সালে।
এরপর তিনি সংসার করেছেন, চালিয়ে গেছেন লেখালেখি। জেমসের সঙ্গে তাঁর দুই দশকের সংসার ভেঙে যায় ১৯৭২ সালে। এর আগে তিন কন্যাসন্তানের মা হন তিনি। চার বছর পর আবার বিয়ে করেন জেরাল্ড ফ্রেমলিনকে।
তখন থেকে গড়ে প্রায় চার বছরে তাঁর একটি করে বই বেরিয়েছে। তাঁর বেশির ভাগ গল্পে উঠে এসেছে কানাডার গ্রামাঞ্চলের পরিবেশ। অন্য বড় লেখকদের মতো তিনি বিশ্বভ্রমণে বের হননি। স্বাভাবিকভাবেই নিজের চারপাশের গি র বাইরের বিষয় নিয়ে তাঁর লেখালেখিও কম।
মুনরো গভর্নর জেনালের অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিন তিনবার। ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত ড্যান্স অব দ্য হ্যাপি শেডস, ১৯৭৮ সালে হু ডু ইউ থিংক ইউ আর এবং ১৯৮৬ সালে দ্য প্রোগ্রেস অব লাভ বইয়ের জন্য। তিনি কানাডার সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কারও পেয়েছেন। আর সাহিত্যে নোবেলের পর সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ম্যান বুকার পুরস্কার পেয়েছেন ২০০৯ সালে। দ্য বেয়ার কাম ওভার দ্য মাউন্টেন বইয়ের জন্য তিনি ওই পুরস্কার পান। তাঁর এই বই অবলম্বনে পরিচালক সারাহ পলি তৈরি করেছেন সিনেমা অ্যাওয়ে ফ্রম হার।
মুনরোর প্রকাশিত অন্যান্য ছোটগল্পের সংকলনের মধ্যে আছে লাইভস অব গার্লস অ্যান্ড উইম্যান-১৯৭১, সামথিং আই হ্যাভ বিন মিনিং টু টেল ইউ-১৯৭৪, দ্য মুনস অব জুপিটার-১৯৮২, ফ্রেন্ড অব মাই ইয়োথ-১৯৯০, ওপেন সিক্রেটস-১৯৯৪, দ্য লাভ অব আ গুড উইম্যান-১৯৯৮, হেটশিপ ফ্রেন্সশিপ কোর্টশিপ লাভশিপ ম্যারিজ-২০০১, রানঅ্যাওয়ে-২০০৪, টু মাচ হ্যাপিনেস-২০০৯ এবং ডিয়ার লাইফ-২০১২।
অর্থনীতিতে নোবেলঃ
▬▬▬▬▬▬▬▬
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস ১৪অক্টোবর অর্থনীতির নোবেল বিজয়ী হিসেবে ইগুইন এফ ফেমা, লার্স পিটার হ্যানসেন ও রবার্ট জে শিলারের নাম ঘোষণা করে। নোবেল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়- এই তিন অধ্যাপক পূর্বাভাস মডেল নিয়ে যে কাজ করেছেন, তার ভিত্তিতেই পুঁজিবাজারের আচরণ সম্পর্কে আমাদের আজকের ধারণা তৈরি হয়েছে। ১৯৩৯ সালে বস্টনে জন্ম নেওয়া ইগুইন এফ ফেমা অধ্যাপনা করছেন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৬০-এর দশকে তিনি দেখিয়ে দেন, যে কোনো নতুন খবর তাৎক্ষণিকভাবে শেয়ারের দামে প্রভাব ফেলে। ফলে কয়েক দিন বা সপ্তাহের ভিত্তিতে শেয়ারের দাম নিয়ে নির্ভরযোগ্য পূর্বাভাস দেওয়া প্রায় অসম্ভব। স্বল্প মেয়াদেই যেখানে শেয়ার দামের গতিবিধি আগে থেকে আঁচ করা যায় না, সেখানে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য কোনো নির্দিষ্ট শেয়ারের বিষয়ে আভাস দেওয়া আরও কঠিন হওয়ার কথা।
কিন্তু ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রবার্ট শিলার ১৯৮০-এর দশকে জানালেন, এর উল্টোটাই সত্যি। ১৯৪৬ সালে ডেট্রোয়েটে জন্ম নেওয়া শিলার দেখালেন, শেয়ারের দাম যত দ্রুত বদলায়, করপোরেট ডিভিডেন্ডে তত পরিবর্তন আসে না। শেয়ারের দাম ও ডিভিডেন্ডের অনুপাত বিচার করে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসের পথ দেখালেন তিনি। এরপর অধ্যাপক পিটার হ্যানসেন একটি সংখ্যাতাত্ত্বিক পদ্ধতি তৈরি করলেন, যার মাধ্যমে সম্পদমূল্য হিসাব করার তত্ত্বগুলো যাচাই করা যায়। হ্যানসেন ও তার সহযোগীরা দেখতে পেলেন, প্রচলিত তত্ত্বগুলো একটু বদলে নিলেই শেয়ার ও বন্ডের দাম সম্পর্কে দীর্ঘ মেয়াদে নির্ভরযোগ্য পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব। ১৯৫২ সালে জন্ম নেওয়া পিটার হ্যানসেন বর্তমানে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছেন। পুরস্কার বাবদ ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার (১২ লাখ ৫০ হাজার ডলার) ভাগ করে নেবেন এই তিন অধ্যাপক। ১০ ডিসেম্বর অসলোয় আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
শান্তিতে নোবেলঃ
▬▬▬▬▬▬▬▬
সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছে রাসায়নিক অস্ত্র পর্যবেক্ষক সংস্থা ওপিসিডবিউ। সংস্থাটি সিরিয়ায় কর্মরত। রাসায়নিক অস্ত্র নিষ্ক্রিয় করার কাজে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ওপিসিডবিউকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয় ।
১১অক্টোবর ওই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। পুরস্কার বাবদ একটি সোনার মেডেল ও ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার পাবে ওপিসিডবিউ।
ওপিসিডবিউর জন্ম: বিশ্বে রাসায়নিক অস্ত্র পুরোপুরি ধ্বংসের প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন (সিডবিউসি)। এ কনভেনশন বাস্তবায়নে নব্বইয়ের দশক থেকে কাজ শুরু করে ওপিসিডবিউ। সংস্থাটি সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রে আসে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের কাজ শুরু করার পর।
সিডবিউসি চুক্তিটি কী ও ওপিসিডবিউর সদস্য কারা: সিডবিউসি চুক্তিতে রাসায়নিক অস্ত্রের উৎপাদন, মজুতকরণ, হস্তান্তর বা ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ১৯৯৭ সালে এটা কার্যকর হয়। ১৮৯টি দেশ এ কনভেনশনে সমর্থন দিয়েছে। এর মধ্যে আলবেনিয়া, ভারত, ইরাক, লিবিয়া, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের কাছে রাসায়নিক অস্ত্র থাকার বিষয়টি স্বীকার করে।
দক্ষিণ কোরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র থাকার বিষয়টি স্বীকার না করলেও ওপিসিডবিউ মনে করে, এ দেশটির কাছেও রাসায়নিক অস্ত্র রয়েছে। সিরিয়া সম্প্রতি তার কাছে রাসায়নিক অস্ত্র থাকার কথা স্বীকার করেছে। এসব অস্ত্র ধ্বংসের লক্ষ্যে সোমবার এ কনভেনশনের সদস্য হতে যাচ্ছে দেশটি। কনভেনশনে স্বাক্ষর করেনি উত্তর কোরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, মিসর ও দক্ষিণ সুদান। ইসরায়েল ও মিয়ানমার কনভেনশনে স্বাক্ষর করলেও চূড়ান্ত অনুমোদন করেনি।
ওপিসিডবিউ কী করে: ৮৬টি দেশে ওপিসিডবিউর পাঁচ হাজারের বেশি পরিদর্শক কাজ করেছে। সংস্থাটি বলছে, ঘোষিত মজুত থাকা শত ভাগ রাসায়নিক অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। আর এর মধ্যে ৮১ দশমিক ১ শতাংশ ধ্বংস করা হয়েছে। আলবেনিয়া ও ভারত তাদের ঘোষণা দেওয়া অস্ত্রের মজুত পুরোপুরি ধ্বংস করেছে। দক্ষিণ কোরিয়াও একই কাজ করেছে বলে মনে করা হয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে ওপিসিডবিউর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র তার মজুতের ৯০ শতাংশ, রাশিয়া ৭০ ও লিবিয়া ৫১ শতাংশ ধ্বংস করেছে।
ওপিসিডবিউর সদস্য ১৩টি দেশ তাদের মোট ৭০টি রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন স্থাপনার কথা স্বীকার করে। এগুলো একটি কমিশনের আওতায় নেওয়া হয়েছে। ওপিসিডবিউ বলছে, ইতিমধ্যে ৪৩টি স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। ২১টি স্থাপনা শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্য রূপান্তর করা হয়েছে।
ওপিসিডবিউ কারা পরিচালনা করে: সদস্যদের দেওয়া তহবিল দিয়ে ওপিসিডবিউ পরিচালিত হয়। ২০১১ সালে সংস্থাটির বাজেট ছিল ১০ কোটি মার্কিন ডলার। নেদারল্যান্ডসে সংস্থাটির ৫০০ বিজ্ঞানী কাজ করেন।
শান্তিতে নোবেল পাওয়া সংস্থাগুলো
সংগঠন ও সংস্থার মধ্যে তিনবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়ে শীর্ষে আছে আন্তর্জাতিক রেডক্রস। ১৯১৭, ১৯৪৪ ও ১৯৬৩ সালে রেডক্রস এ পুরস্কার পায়। ১৯৫৪ ও ১৯৮১ সালে এ পুরস্কার পায় ইউএনএইচসিআর। শান্তিতে নোবেল পাওয়া অন্য সংস্থাগুলো হলো:
১৯০৪: ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ল
১৯১০: পার্মানেন্ট ইন্টারন্যাশনাল পিস ব্যুরো
১৯৩৮: ন্যানসেন ইন্টারন্যাশনাল অফিস ফর রিফিউজিস
সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছে রাসায়নিক অস্ত্র পর্যবেক্ষক সংস্থা ওপিসিডবিউ। সংস্থাটি সিরিয়ায় কর্মরত। রাসায়নিক অস্ত্র নিষ্ক্রিয় করার কাজে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ওপিসিডবিউকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয় ।
১১অক্টোবর ওই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। পুরস্কার বাবদ একটি সোনার মেডেল ও ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার পাবে ওপিসিডবিউ।
ওপিসিডবিউর জন্ম: বিশ্বে রাসায়নিক অস্ত্র পুরোপুরি ধ্বংসের প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন (সিডবিউসি)। এ কনভেনশন বাস্তবায়নে নব্বইয়ের দশক থেকে কাজ শুরু করে ওপিসিডবিউ। সংস্থাটি সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রে আসে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের কাজ শুরু করার পর।
সিডবিউসি চুক্তিটি কী ও ওপিসিডবিউর সদস্য কারা: সিডবিউসি চুক্তিতে রাসায়নিক অস্ত্রের উৎপাদন, মজুতকরণ, হস্তান্তর বা ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ১৯৯৭ সালে এটা কার্যকর হয়। ১৮৯টি দেশ এ কনভেনশনে সমর্থন দিয়েছে। এর মধ্যে আলবেনিয়া, ভারত, ইরাক, লিবিয়া, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের কাছে রাসায়নিক অস্ত্র থাকার বিষয়টি স্বীকার করে।
দক্ষিণ কোরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র থাকার বিষয়টি স্বীকার না করলেও ওপিসিডবিউ মনে করে, এ দেশটির কাছেও রাসায়নিক অস্ত্র রয়েছে। সিরিয়া সম্প্রতি তার কাছে রাসায়নিক অস্ত্র থাকার কথা স্বীকার করেছে। এসব অস্ত্র ধ্বংসের লক্ষ্যে সোমবার এ কনভেনশনের সদস্য হতে যাচ্ছে দেশটি। কনভেনশনে স্বাক্ষর করেনি উত্তর কোরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, মিসর ও দক্ষিণ সুদান। ইসরায়েল ও মিয়ানমার কনভেনশনে স্বাক্ষর করলেও চূড়ান্ত অনুমোদন করেনি।
ওপিসিডবিউ কী করে:
৮৬টি দেশে ওপিসিডবিউর পাঁচ হাজারের বেশি পরিদর্শক কাজ করেছে। সংস্থাটি বলছে, ঘোষিত মজুত থাকা শত ভাগ রাসায়নিক অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। আর এর মধ্যে ৮১ দশমিক ১ শতাংশ ধ্বংস করা হয়েছে। আলবেনিয়া ও ভারত তাদের ঘোষণা দেওয়া অস্ত্রের মজুত পুরোপুরি ধ্বংস করেছে। দক্ষিণ কোরিয়াও একই কাজ করেছে বলে মনে করা হয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে ওপিসিডবিউর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র তার মজুতের ৯০ শতাংশ, রাশিয়া ৭০ ও লিবিয়া ৫১ শতাংশ ধ্বংস করেছে।
ওপিসিডবিউর সদস্য ১৩টি দেশ তাদের মোট ৭০টি রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন স্থাপনার কথা স্বীকার করে। এগুলো একটি কমিশনের আওতায় নেওয়া হয়েছে। ওপিসিডবিউ বলছে, ইতিমধ্যে ৪৩টি স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। ২১টি স্থাপনা শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্য রূপান্তর করা হয়েছে।
ওপিসিডবিউ কারা পরিচালনা করে: সদস্যদের দেওয়া তহবিল দিয়ে ওপিসিডবিউ পরিচালিত হয়। ২০১১ সালে সংস্থাটির বাজেট ছিল ১০ কোটি মার্কিন ডলার। নেদারল্যান্ডসে সংস্থাটির ৫০০ বিজ্ঞানী কাজ করেন।
শান্তিতে নোবেল পাওয়া সংস্থাগুলো
সংগঠন ও সংস্থার মধ্যে তিনবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়ে শীর্ষে আছে আন্তর্জাতিক রেডক্রস। ১৯১৭, ১৯৪৪ ও ১৯৬৩ সালে রেডক্রস এ পুরস্কার পায়। ১৯৫৪ ও ১৯৮১ সালে এ পুরস্কার পায় ইউএনএইচসিআর। শান্তিতে নোবেল পাওয়া অন্য সংস্থাগুলো হলো:
১৯০৪: ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ল
১৯১০: পার্মানেন্ট ইন্টারন্যাশনাল পিস ব্যুরো
১৯৩৮: ন্যানসেন ইন্টারন্যাশনাল অফিস ফর রিফিউজিস
১৯৪৭: ফ্রেন্ডস সার্ভিস কাউন্সিল (দ্য কুয়েকার্স), আমেরিকান ফ্রেন্ডস সার্ভিস কমিটি (দ্য কুয়েকার্স)
১৯৬৫: জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)
১৯৬৯: আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)
১৯৭৭: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
১৯৮৫: ইন্টারন্যাশনাল ফিজিশিয়ানস ফর দ্য প্রিভেনশন অব নিউক্লিয়ার ওয়ার
১৯৮৮: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী
১৯৯৫: দ্য পুগওয়াশ মুভমেন্ট
১৯৯৭: ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু ব্যান ল্যান্ডমাইনস
১৯৯৯: মেদসাঁ সঁ ফ্রন্তিয়েখ (ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস)
২০০১: মহাসচিব কফি আনান (ঘানা) ও জাতিসংঘ
২০০৫: আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) ও এর মহাপরিচালক এল বারাদি
২০০৭: ইউএন ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)
২০১২: ইউরোপীয় ইউনিয়ন
☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "নোবেল পুরস্কার "
Post a Comment