Computer ( কম্পিউটার কি?)
compute শব্দের অর্থ হচ্ছে গণনা করা। মূলত কম্পিউটার (কম্পিউটার) শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। (আবার ল্যাটিন শব্দ Computare ও থেকে Computer শব্দের উৎপত্তি বলে ও মনে করে ) পূর্বে কম্পিউটার দিয়ে শুধুমাত্র হিসাব-নিকাশের কাজ করা হত। ইলেকট্রনিক সংকেতের উপর ভিত্তি করে তৈরী করা হয়েছে কম্পিউটার ল্যাংগুয়েজ বা কম্পিউটার ভাষা। কম্পিউটারের ল্যাংগুয়েজ এর মাধ্যমে কম্পিউটারে যে নির্দেশ দেয় তারই ভিত্তিতে Computer ফলাফল প্রকাশ করে থাকে। কম্পিউটারের এ ভাষা/ ল্যাংগুয়েজই হল কম্পিউটারের প্রোগ্রাম। প্রোগ্রাম ব্যতীত কম্পিউটার একটি জড় পদার্থ। কিন্ত বর্তমান যুগে কম্পিউটারের বহুমুখী ব্যবহারের ফলে কম্পিউটারের সংজ্ঞা অনেক ব্যাপকতা লাভ করেছে। কোন সীমিত সংজ্ঞা দিয়ে আর কম্পিউটার গন্ডীবন্ধ করা যায় না।
Computer এর সংজ্ঞা- কম্পিউটার হলো একগুচ্ছ বৈদুতিক তরঙ্গকে নিজস্ব সংকেতে রুপান্তর করে ব্যবহারকারী কর্তৃক প্রয়োগকৃত কমান্ডের সাহ্যাযে্য উদ্ভূ সমস্যার সমাধান করে থাকে।
কম্পিউটারের বৈশিষ্ট – কম্পিউটার নির্ভুল ফলাফল, দ্রুতগতি, ডাটা সংরক্ষন, স্বয়ংক্রিয় কর্মক্ষতা, সহনশীলতা, স্মৃতি বা মেমরী, ইত্যাদি বৈশিষ্ট বিদ্যমান।
কম্পিউটারের ব্যবহার – ঘর থেকে শুরু করে অফিস- আদালত এমন কোন জায়গায় খুজে পাওয়া যাবে না।যেখানে Computer ব্যবহার হয় না, অফিসের কাজে , ব্যবসার-বাণিজে্য, স্কুলে-কলেজে-বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিভিন্ন ধরনের প্রোজেক্ট। শিল্প-কারখানায়, খেলাধুলা, চিত্তবিনোদনে, দোকান পাট, ব্যাং-ইন্সুরেন্স কোম্পানী, আবহাওয়া অফিস, মহাশুন্য স্টেশন-ইত্যাদি সকল ক্ষত্রে কম্পিউটার ব্যবহার হয়।
কম্পিউটারের ইতিহাস
স্কটল্যান্ডের গণিতবিদ জন নেপিয়ার ( ১৫৫০- ১৬১৭ ) হিসাব-নিকাশের জন্য হাতীর দাতের ছোট ছোট অংশ দিয়ে একটি যন্ত্র তৈরি করলেন যাকে নেপিয়ারের অস্থি বলা হয়। নেপিয়ারের অস্থি ছিল এনালগ বা তুলনাভিত্তিক গণনা গন্ত্র। পরবর্তীতে ফরাসী বিজ্ঞানী রেইজ প্যাচক্যাল( ১৬২৩-১৬৬২) প্রথম গণনার যন্ত্র চাকার সাহায্যে তৈরিতে সক্ষম হন। যেতেতু চাকা দুই দিকেই ঘুরানো যেত তাই যোগ বিয়োগ করার কোন অসুবিধা হতোনা। পরবর্তী ৩০ বছর পর বিখ্যাত জার্মান গণিতবিদ লিবনিজ ( Leibniz- 1646-1716) আরেকটি গণক যন্ত্র তৈবি করেন যার সাহায্যে গুন ভাগ করা যেত।
তিন শতাব্দী পূর্বে বর্তমানের সমতুল্য চার ফাংশন বিশিষ্ট ক্যালকুলেটরটিও তিনি নির্মাণ করেন।
আধুনিক কম্পিউটারের জনক হিসাবে পরিচিত বৃটিশ নাগরিক র্চালস ব্যাবেজের ( ১৭৯২-১৮৭১) নাম স্মরন করা হয়ে থাকে। তিনি ১৮২২ সালে সরকারের অনুদানে ডিফারেন্স ইঞ্জিল বা বিয়োগ ভিত্তিক গণনা যন্ত্র তৈরি করেন। ( ada augusta lovelace) আদা আগুসতা ল্যাভল্যাচ ই পৃথিবীর প্রথাম Computer প্রোগামার। প্রায় ১০৩৭-৪৪ সাল পযর্ন্ত আই বি এম কোম্পানীর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের হাউয়ার্ড আইফেন হারভার্ড বিশ্ববিদ্যায়ে পৃথিবীর প্রথম বৈদুতিক যান্ত্রিক কম্পিউটার তৈরী করেন। চার্লস ব্যাবেজের এনালাইটিক ইঞ্জিনের এ ছিল বাস্তবরূপ।
কম্পিউটারের প্রজন্মঃ
প্রথম প্রজন্মঃ ১৯৪০ সাল থেকে ১৯৫৮ সাল কে কম্পিউটার কে প্রথম প্রজন্ম বলা হয়।
অইঈ ( Atanasof Barry কম্পিউটার) ডঃ জন আটানাসফ। গবেষনার জন্য।
দ্বিতীয় প্রজন্মঃ ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৬৫ সাল কে কম্পিউটার কে দ্বিতীয় প্রজন্ম বলা হয়।
গণনাকারী যন্ত্রের ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা যায়, প্রায় চার হাজার বছর পূর্বে চীনারা অ্যাবাকাস নামক গণনাকারী যন্ত্র আবিষ্কার করে। যাকে কম্পিউটারের পূর্বপুরুষ বলা হয়। সেই থেকে অদাবধি বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে বর্তমান আধুনিক কম্পিউটার আবিষ্কৃত হয়েছে।
♥♥♥♥♥♥
পৃথিবীর ১ম কম্পিউটার
১৮৩৩ সালে আধুনিক কম্পিউটারের মৌলিক রূপরেখা তৈরী করে বৃটিশ গণিত বিশারদ চার্লস ব্যাবেজ (charles babbage)। যাকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়। র্চালস ব্যাবেজের ধারণার প্রতিফলন ঘটিয়ে ১৯৪৪ সালে হাওয়ার্ড একিনের নেতৃত্বে মার্ক-১ (Mark-1) নামের ইলেক্ট্রনিক কম্পিউটার আবিষ্কার হয়। এই Computer টি তৈরিতে কাজ করেছিলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও বিখ্যাত আইবিএম কোম্পনির একদল বিজ্ঞানী।মাইক্রো প্রসেসর আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে কম্পিউটারের সবচেয়ে বড় বিপ্লব ঘটে। ১৯৭১ সালে আমেরিকার ইন্টেল (intel) কোম্পানী সর্বপ্রথম মাইক্রো প্রসেসর (micro processor) তৈরী করে। মাইক্রো প্রসেসর এক বর্গ ইঞ্চি মাপের অল্প আয়তন বিশিষ্ট সিলিকন পাতে হাজার হাজার ট্রানজিষ্টর সন্নিবেশিত একটি য্ন্ত্রাংশ। মাইক্রো প্রসেসর দিয়ে তৈরী কম্পিউটারই আধুনিক মাইক্রো কম্পিউটার বা পার্সোনাল কম্পিউটার।
কম্পিউটারের শ্রেণী বিভাগ
আকৃতিগত দিক থেকে কম্পিউটারকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা-
ক. সুপার কম্পিউটার (super computer),
খ. মেইনফ্রেম কম্পিউটার (mainframe computer),
গ. মিনি কম্পিউটার (mini computer),
ঘ. মাইক্রো কম্পিউটার (micro computer)।
ক. সুপার কম্পিউটার (super computer) : আকৃতিগত দিক থেকে সর্ববৃহত এই কম্পিউটারটিতে তথ্য সংরক্ষণ-তথ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা অত্যন্ত শক্তিশালী ও দ্রুত গতিসম্পন্ন। এই কম্পিউটার সাধারণত বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও বৃহত প্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমন-cray-1, cray x-mp, cyber-205.
খ. মেইনফ্রেম কম্পিউটার (mainframe computer) : সুপার কম্পিউটারের চেয়ে ছোট তবুও অন্যান্য কম্পিউটারের চেয়ে বড় এ ধরণের কম্পিউটার একই সাথে অনেকগুলো গ্রহণ মুখ ও নির্গমন মুখ, সরঞ্জাম ও বিভিন্ন রকম সহায়ক স্মৃতির সাথে সংযোগ রক্ষা করে কাজ করে থাকে। বড় বড় প্রতিষ্ঠানসমূহ এ ধরণের কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে। যেমন-univac1100/01, ibm 6120, ibm 4341, ncr n8370, data general cs30.
গ. মিনি কম্পিউটার (mini computer) : সবচেয়ে জনপ্রিয় এটি কম্পিউটারটি আকৃতিগত ছোট ও দামে সস্তা। অফিসিয়াল কাজ, খেলাধুলা ও এন্টারটেইনমেন্ট কাজে বহুল ব্যবহৃত। এ কম্পিউটারকে পিসি (personal computer) বলে। যেমন-ibm p.c, trs 80, apple 64.
ঘ. মাইক্রো কম্পিউটার (micro computer): মাইক্রোকম্পিউটার বা পার্সোনাল কম্পিউটারকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়।
যথা-
১. সুপার মাইক্রো (super micro)
২. ডেস্কটপ (desktop)
৩. ল্যাপটপ (laptop)
১. সুপার মাইক্রো (super micro) : সুপার মাইক্রো কম্পিউটার হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী মাইক্রো কম্পিউটার। এর অন্য নাম ওয়ার্ক ষ্টেশন। এই কম্পিউটারের ক্ষমতা যে কোন মিনি কম্পিউটারের কাছাকাছি হওয়ায় এগুলো মিনিফ্রেমের স্থান দখল করে নিচ্ছে।
২. ডেস্কটপ (desktop) : এটি সহজে ব্যবহার ও ডেস্কে স্থাপন করা যায়। যেমন-আইবিএম পিসি, এ্যাপল মেকিনটোশ।
 
৩. ল্যাপটপ (laptop) : ডেক্সটপ থেকে ছোট কম্পিউটারগুলো সহজে বহন ও ব্যবহার করা যায়। এটি lap (কোল) এর উপর top (উপর) রেথে কাজ করা যায়। ল্যাপটপ দুইশ্রেণীতে বিভক্ত। যেমন-নোট বুক (note book) ও পিডিএ (pda)।

নোট বুক (note book) : ছোট ডায়রী ও নোটবুক আকৃতির ল্যাপটপ। এগুলোকেও পাওয়ার বুক বলা হয়।

পিডিএ (pda) : সাবনোট বুক পিডিএ (personal digital assistance) এক ধরণের ল্যাপটপ।আকৃতিগত দিক ছাড়াও গঠনগত দিক থেকে কম্পিউটারকে আরও তিন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।
যেমন-
১. ডিজিটাল কম্পিউটার (digital computer),
২. অ্যানালগ কম্পিউটার (analog computer),
৩. হাইব্রিড কম্পিউটার (hybrid computer)।
১.ডিজিটাল কম্পিউটার (digital computer) : এ ধরণের কম্পিউটার বর্ণ/অংক সংকেতের মাধ্যমে তথ্যগ্রহণ করে থাকে এবং ফলাফল প্রকাশ করে। এ কম্পিউটার নির্ভুলভাবে গাণিতিক ও যুক্তিগত কাজ করে সূক্ষ্মভাবে। 1 ও 0 বাইনারী সংখ্যার উপর নির্ভর করে উপাত্ত সংগ্রহ করে।
২.অ্যানালগ কম্পিউটার (analog computer) : এ কম্পিউটারে বর্ণ ও অংক সংকেতের পরিবর্তে এনালগ বৈদ্যুতিক সংকেত ব্যবহার করে। রোদ, তাপ, উত্তাপ, চাপ জন্য সৃষ্ট বৈদ্যুতিক তরঙ্গকে অ্যানালগ কম্পিউটার ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে এবং ফলাফল সাধারণ প্লটার দিয়ে অংকন করে। রাসায়নিক, পেট্রোলিয়াম ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে অ্যানালগ কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়।

৩. হাইব্রিড কম্পিউটার (hybrid computer) : ডিজিটাল ও অ্যানালগ এ দুই ধরণের কম্পিউটারের সমন্বয়ে গঠিত কম্পিউটারকে হাইব্রিড কম্পিউটার বলে। বৈজ্ঞানিক সমাধানের জন্য হাইব্রিড কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়।
ইনপুট ও আউটপুট ইউনিট
কম্পিটারের কার্যপ্রণালীকে মোটামুটি দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

(১) ইনপুট ইউনিট ঃ নির্দেশ গ্রহন এলাকা। এই এলাকার মধ্যে পড়ে কী-বোর্ড ও মাউস।
(২) আউটপুট ইউনিট ঃ ফলাফল প্রদর্শন এলাকা এই এলাকার মধ্যেপড়ে সিপিইউ এবং মনিটর।
ইনপুট ডিভাইস ঃ
কম্পিউটারের সাথে মানুষের যোগাযোগ রা করাই হচ্ছে ইনপুট ডিভাইসের কাজ। যে কোন ধরনের ডাটাকে বাইনারী ইক্ট্রোনিক্স সিগন্যাল ( জিরো এবং ওয়ান) এ পরিণত করে সিপিইউ-এ পাঠানো হয়। কারণ সিপিইউ এই (০, ১) ছাড়া অন্য কোন কিছু বুঝতে পারে না।
আউটপুট ডিভাইস ঃ
ইনপুট ডিভাইস হতে আসা ইলেক্ট্রনিক্স সিগন্যালগুলোকে মানুষের অনুভবগম্য চিত্র ভিত্তিক, বর্ণমালা ভিত্তিক, অংক ভিত্তিক, শব্দ ও ছবি ভিত্তিক ইত্যাদি আকৃতিতে পরিণত করে থাকে।
মনিটর
যে ডিভাইসটি ছাড়া কম্পিউটার কল্পনাই করা যায়না সেটি হচ্ছে মনিটর। মনিটর হচ্ছে ডিসপ্লে ইউনিট। কম্পিউটারের যে সমস্ত কমান্ড দেওয়া এবং তার ফলে যে কাজ হয়, তার ফলাফল সরাসরি মনিটরে দেখা যায়। মনিটর ডিজিট্যাল হতে পারে আবার এ্যানালগ হতে পারে। এটি সাদাকলো হতে পারে আবার রঙীন হতে পারে। তবে আজকাল এ্যানালগ বা সাদাকালো মনিটর খুব একটা দেখা যায়না। প্রযুক্তি গত দিক থেকে মনিটর এলসিডি ও ক্যাথোড-রে টাইপ এ দুধরনের হতে পারে। আকৃতিতে দেওয়াল ঘড়ির মত এবং ওজনে হালকা হওয়া সত্বেও আধুনিক প্রযুক্তির এলসিডি মনিটর অধিক দামের কারণে জনপ্রিয় হতে পারেনি। ১৪ ইঞ্চি, ১৫ ইঞ্চি ১৭ ইঞ্চি ও ২১ ইঞ্চি মনিটর বাজারে পাওয়া যায়। ভিউসনিক, এনইসি, ফিলিপস্, এলজি, গোল্ডষ্টার, হুন্দাই, স্যামসং, হ্রানসন ইত্যাদি খ্যাতনামা মনিটর প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান।
মাউস(Mouse)
এটি অনেকটা ইঁদুরের মতো দেখতে তাই এর নাম মাউস। এক সরু প্রান্ত থেকে একটি তার সরাসরি সিপিইউ-এ সংযুক্ত থাকে। মাউসের উপরিভাগে দুটো চাপ দেওয়ার জায়গা আছে (অবশ্য অনেক মাউসে তিনটিও থাকে), এর ডান পাশের বোতামকে বলা হয় রাইট বাটন আর বাম পাশের বোতামকে বলা হয় লেফট বাটন। কম্পিউটার ওপেন করা থাকলে মাউস নাড়া দিলে একটি তীর চিহ্ন নড়া চড়া করে এটাকে বলা হয় মাউস পয়েন্টার। আর এই নাড়া চাড়া করাকে বলা হয় মাউস ড্রাগ করা। সাধারণত কোন ফাইল বা ফোল্ডারের আইকন সিলেক্ট বা নির্বাচন করতে হলে মাউসের পয়েন্টার তার ওপর নিয়ে মাউসের বাম পাশের বোতাম একবার চাপ দিলে তাকে বলে সিঙ্গল ক্লিক। আর ওটাকে ওপেন করতে মাউসের বাম পাশের বোতাম ঘনঘন দুবার চাপ দিতে হয় এই ঘনঘন দুবার চাপ দেওয়াকে বলে মাউসের ডবল ক্লিক। মাউসের ডান পাশের বোতাম চাপলে তাকে বলে রাইট ক্লিক। এই রাইট ক্লিক করে সাধারণত কোন ফাইল ফোল্ডার সিলেক্ট বা খোলা যায় না তবে এটা ব্যবহার করে তাৎক্ষণিক কিছু মেনু কমান্ড তালিকা পাওয়া যায়।
ইনপুট ডিভাইস হিসেবে মাউস কি-বোর্ডের ব্যবহারকে অনেক সীমিত করেছে। মাউসের ব্যবহার কম্পিউটার অপারেশনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। কার্যনীতির উপর ভিত্তি করে মাউসকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
(ক) মেকানিক্যাল মাউস (Mecanical Mouse) : মেকানিক্যাল মাউসের মধ্যে একটি ছোট বল থাকে। মাউস নাড়াচাড়া করলে বলটি নড়াচড়া করে। বলটি দুটি রোলারের মাধ্যমে দুটি সুইচকে অন অফ করে কারসরের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করে ।
(খ) অপটিক্যাল মাউসঃ অপটিক্যাল মাউসে অবশ্য ছোট বলটি থাকেনা তার পরিবর্তে থাকে লাইটবীম। বিশেষ ধরনের মাউস প্যাডের সাহায়্যে এই লাইটবীম কারসরের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করে।
বটন সংখ্যার উপর নির্ভর করে মাউস দুই ধরনের হয়। যথা-
১। দুই বা তিন বাটনের মাউস (আইবিএম কম্পিউটারের জন্য)।
২। এক বাটনের মাউস (মেকিনটোশ কম্পিউটারের জন্য)।
মাউস চলাচল নির্ণয়ের প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে মাউসকে তিন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যথা-
১। যান্ত্রিক মাউস
২। আলোক যান্ত্রিক মাউস ও
৩। আলোকীয় বা অপটিক্যাল মাউস।
কম্পিউটার সিস্টেমের সংঙ্গে মাউসের সংযোগ পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে মাউসকে চার শ্রেণীতে ভাগ করা যায়ঃ
১। সিরিয়াল মাউস
২। বাস মাউস
৩। প্রোপ্রাইটারি মাউস
৪। তারবিহীন মাউস
প্রধানত দু’ধরনের তারবিহীন মাউস পাওয়া যায়ঃ
১। ইনফ্রারেড তারবিহীন মাউস ও
২। রেডিও সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ তারবিহীন মাউস।
মাদারবোর্ড
মাদারবোর্ড বা মেইনবোর্ড হল কম্পিউটারের ভেতরে অবস্থিত সার্কিট বোর্ড যাতে সিস্টেম এর প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ডিভাইস পরষ্পরের সাথে সংযুক্ত থাকে এবং নতুন ডিভাইস সংযুক্ত করার ব্যাবস্থা থাকে। কম্পিউটিং এর ভাষায় এই ডিভাইসগুলোকে বলা হয় পেরিফেরালস (Peripherals)। প্রযুক্তির উত্তোরোত্তর উন্নতির কারণে মাদারবোর্ড এর নিঁখুত সংজ্ঞা দেওয়া সম্ভব নয় কারণ প্রতিদিনই নতুন নতুন পেরিফেরালস মাদারবোর্ডে যুক্ত হচ্ছে।
মাদারবোর্ড মূলত কম্পিউটার সিস্টেমের সকল ডিভাইসের মধ্যে বাস স্পীড দ্বারা সংযোগ দেয়া হয় । আগে অনেক ডিভাইস ,মাদারবোর্ড এক্সটেনশন স্লটের সাথে লাগিয়ে পারস্পরিক সংযোগ দেয়া হয় । বর্তমানে এ সকল ডিভাইস মাদারবোর্ডের সাথে বিল্ড ইন অবস্থায় থাকে ।ফলে এ সকল ডিভাইস গুলো আলাদা ভাবে ইন্সটল দিতে হয় না ।একটি পেন্টিয়াম মাদারবোর্ডে উপরে বাস স্লটসমুহ থাকে ।এ সকল বাস স্লটে সিস্টেম এডাঁপটার সমূহ যেমন ভিডিও ,সাউন্ড, নেটওয়ার্কিং ইত্যাদি কার্ড সমূহ স্থাপন হয় এবং অপর প্রান্তে স্ক্রু দিয়ে আটকিয়ে দিতে হয় । মাদারবোর্ডের উপর ডান দিকে র্যাম স্লট থাকে ।এছাড়া মাদারবোর্ডে ১/০ কার্ড , ফ্লোপি ড্রাইভ কান্টোলার , দুটি IDE চেইন কানেক্টর ,সাটা পোর্ট । কিবোর্ড ও মাউস কানেক্টর , ইউএসবি পোর্ট থাকে । এ সকল কানেক্টরের সাথে রিবন ক্যাবল ইত্যাদি দিয়ে সংযোগ দেয়া হয় । বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন সিরিজের মাদারবোর্ড পাওয়া যায় ।মাদারবোর্ড প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসুস,গিগাবাইট,ইন্টেল,ইসিএস ইত্যাদি
প্রিন্টার
কম্পিউটারের ফলাফল কাগজে ছাপা আকারে নেওয়ার জন্য জনপ্রিয় আউটপুট ডিভাইস হলো প্রিন্টার। প্রিন্টার এর মাধ্যমে কাগজে যে আউটপুট পাওয়া যায় তাকে হার্ড কপি বলা হয়।
প্রিন্টারকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়ঃ
(ক) ক্যারেক্টার প্রিন্টার: একসাথে একটি ক্যারেক্টার প্রিন্ট করে। অল্প আউটপুট এর ক্ষেত্রে পিসিতে ব্যবহৃত এ ধরনের প্রিন্টার প্রতি সেকেন্ডে ৩০ থেকে ৬০০ ক্যারেক্টার প্রিন্ট করতে পারে। যেমন – ডট-মেট্রিক্স প্রিন্টা, ডেইজি হুইল প্রিন্টার।
(খ) লাইন প্রিন্টার : একসাথে এক লাইন টেক্সট প্রিন্ট করে। অধিক পরিমানের আউটপুট এর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত এ ধরনের প্রিন্টার প্রতি মিনিটে ৩০০ থেকে ৩০০০ লাইন প্রিন্ট করতে পারে। মিনি ও মেইনফ্রেম কম্পিউটারে এ ধরনের প্রিন্টার ব্যবহার করা যায়। যেমনঃ চেইন প্রিন্টার, ড্রাম লাইন প্রিন্টার।
(গ) পেজ প্রিন্টার : একসাথে এক পৃষ্ঠা প্রিন্ট করতে পারে। এ ধরনের প্রিন্টার প্রতিমিনিটে ১০ থেকে ৩০০ পৃষ্ঠা প্রিন্ট করতে পারে। যেমন- লেজার প্রিন্টার।
টেকনোলজির উপর ভিত্ত করে প্রিন্টার আবার দুই প্রকারঃ
(ক) ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার এ ধরনের প্রিন্টারে একটি ইলেকট্রোমেকানিক্যাল প্রিন্টিং হেড থাকে। যাহার হাতুরি বা পিন রিবন ও পেপারের উপর আঘাত করে টেক্সট প্রিন্ট করে। যেমনঃ ডট-মেট্রিক্স প্রিন্টার, ডেইজি হুইল প্রিন্টার, চেইন প্রিন্টার , ড্রাম প্রিন্টার, বল প্রিন্টার।
(খ) নন-ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার এ প্রিন্টারে কোন প্রিন্টিং হেড থাকেনা। এধরনের প্রিন্টার টেক্সট প্রিন্ট করার জন্য তাপীয়, রাসায়নিক, ইলেকট্রোষ্ট্যাটিক, লেজার বিম বা ইঙ্কজেট টেকলোজি ব্যবহার করে। ইঙ্ক জেট প্রিন্টার,
প্রচলিত প্রিন্টার সমূহঃ ডট্ মেট্রিক্স প্রিন্টার ঃ ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার হিসেবে ডট্ মেট্রিক্স প্রিন্টার সবচেয়ে সস্তা।
কিন্তু বেশ জনপ্রিয়। প্রিন্ট করার জন্য এ প্রিন্টারে একটি প্রিন্ট হেড থাকে, প্রিন্ট হেডে সাধারণত ৭, ৯, ১৮ অথবা ২৪ টি ছোট ছোট পিনের গ্রিড ব্যবহার করা হয়। ঐ পিনগুলি হতে কতগুলি পিনের মাথা রিবনের উপর আঘাত করে কাগজের উপর নির্দিষ্ট সংখ্যক
বিন্দু বসিয়ে ক্যারেক্টার তৈরী করে। এ প্রিন্টারে ছাপানো ছবি বা ক্যারেক্টার স্মুথ বা সাবলীল হয়না। এ প্রিন্টার প্রতি সেকেন্ড ৩০ থেকে ৩০০ ক্যারেক্টার প্রিন্ট করতে পারে।
বল প্রিন্টারঃ বল প্রিন্টার আর এক ধরনের ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার এতে একটি ঘূর্ণায়মান বল থাকে।
যার গায়ে প্রতিটি ক্যারেক্টার থাকে এবং এখান থেকে রিবনে আঘাত করে টাইপরাইটারের মত ছাপা হয়।
অপর এক ধরনের প্রিন্টার, ডেইজী হুইল প্রিন্টারও একই ধাচের। এদের উভয়ের প্রিন্টিং এর মান বেশ উন্নত কারণ এতে টাইপরাইটারের মত প্রতিটি ক্যারেক্টারের আলাদা ছাচ থাকে । আর এদেরকে টাইপরাইটার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
ইঙ্কজেট প্রিন্টারে কালির কার্টিজের ভিতরে একটি তরল কালির উৎস থাকে। কালির এ উৎস থেকে ৩০০-৬০০টি নজল প্রিন্ট হেডের উপর বসানো থাকে। নজল গুলির ব্যাস আমাদের চুলের ব্যাসের চেয়েও কম। যে কাগজে প্রিন্ট হবে তার উপর দিয়ে প্রিন্ট হেডের আসা যাওয়ার সময় নজল গুলোর মাধ্যমে কালির ফোঁটা এসে কাগজের উপর পড়ে। এই ফোটা কোথায় পড়বে তা কম্পিউটার নির্দিষ্ট করে দেয়।
লেজার প্রিন্টার
উন্নত মানের প্রিন্টিংয়ের জন্য লেজার প্রিন্টারের বিকল্প নেই। বেশী পরিমাণ, ছাপার উন্নত মান, স্পষ্ট আউপুট এসবের জন্য
লেজার প্রিন্টার সর্বাধিক পরিচিত। অন্যান্য প্রিন্টার থেকে এ প্রিন্টারটির প্রযুক্তিগত পার্থক্য রয়েছে। ফটোকপি মেসিনে যে প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় লেজার
প্রিন্টারেও সেই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। এতে কোনো রিবন বা তরল কালি ব্যবহৃত হয়না। তার পরিবর্তে টোনার নামে একটি বিশেষ ব্যবস্থায়
পাউডার কালি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতিতে একটি ফটোইলেকট্রিক বেল্ট বা ড্রামে লেজার বিম ফোকাস করা হয়, যার ফলশ্র“তিতে ইলেকট্রিক্যাল চার্জ উৎপন্ন হয়। ড্রামটি ঘুরতে ঘুরতে ডেভেলপার ইউনিটে প্রবেশ করে।
ডেভলপার ইউনিট টোনারকে কিছু চার্জ দেয় ফলে ড্রামের অনাহিত অংশ আকর্ষণ করে। কাগজে দেওয়া হয় তার চেয়েও বেশী চার্জ।
ফলে ড্রামের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় টোনার কাগজে স্থানান্তরিত হয়ে যায়।
সবশেষে কাগজে লেগে থাকা টোনারকে বসাতে কাগজকে দুটি উত্তপ্ত ঘুর্ণায়মান সিলিন্ডারের মধ্য দিয়ে চালিয়ে দেওয়া হয় ফলে ইমেজ কাগজের উপর বসে পড়ে।
সিপিইউ Central Processing Unit
সিপিইউ মানে “সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট” (Central Processing Unit)। এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা সকল কাজ নির্দেশ অনুযায়ী সম্পাদন করে ফলাফল বের করে। সিপিইউ বলতে মূলতঃ প্রসেসরকেই বোঝানো হয়। প্রসেসর হল অসংখ্য একটি ইলেক্ট্রনিক সার্কিট যুক্ত ডিভাইস যা লজিক গেইট ব্যবহার করে প্রদত্ত তথ্য যাচাই করে তুলনামুলক তথ্য বের করতে পারে। প্রসেসরের মাঝে এই কাজ সম্পাদন করার জন্য যে অংশ থাকে তার নাম এএলইউ।

কম্পিউটারের সাংগঠনিক অংশগুলোর মধ্যে সিপিউ (সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কম্পিউটারে কাজ করার সময় আমরা যে সব নির্দেশ দিয়ে থাকি সেগুলোর গাণিতিক বিশ্লেষণ, যুক্তিমূলক বিন্যাস, নিয়ন্ত্রণ এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণ; এক কথায় যাবতীয় প্রক্রিয়াকরণের কাজ এই অংশে হয়ে থাকে। প্রাণির মস্তিস্ক যেমন যাবতীয় কাজ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দেহকে সচল রাখে, কম্পিউটার সিপিউ তেমনি যাবতীয় কর্মসম্পাদনের মাধ্যমে কম্পিউটারকে কার্যউপযোগী রাখে। এজন্য সিপিউকে কম্পিউটারের মস্তিস্ক বলা হয়।
কী-বোর্ড পরিচিতি
কী-বোর্ডে ৮৪ থেকে ১০১টি বা কোন কোন কী-বোর্ডে ১০২টি কী আছে। ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে কী-বোর্ডকে মোটামুটি ৫টি ভাগে ভাগ করা যায়।
(১) ফাংশন কী।
(২) অ্যারো কী।
(৩) আলফা বেটিক কী।
(৪) নিউমেরিক কী বা লজিক্যাল কী।
(৫) বিশেষ কী।
@ ফাংশন কী ঃ
কী বোর্ডের উপরের দিকে বাম পার্শ্বে F1 থেকে F12 পর্যন্ত যে কী গুলো আছে এদরকে ফাংশন কী বলে। কোন নির্দিষ্ট কাজ করা যায় বলে একে ফাংশন কী বলে। যেমন কোন প্রোগ্রামের জন্য help, অথবা কোন প্রোগ্রাম রান করানো ইত্যাদি কাজে এই কী এর ব্যবহার করা হয়।
অ্যারো কী ঃ
কী বোর্ডের ডান দিকে নিচে পৃথক ভাবে চারটি কী আছে। কোন কোন কী বোর্ডে উপরের দিকেও থাকে। কীগুলোর উপরে অ্যারো বা তীর চিহ্ন দেওয়া থাকে। যা দিয়ে খুব সহজেই কার্সরকে ডানে, বামে, উপরে এবং নীচে সরানো যায়। এগুলিকে আবার এডিট কীও বলে। কারণ টেক্স এডিট করার কাজেও এ কীগুলো ব্যবহার করা হয়।
আলফা বেটিক কী ঃ
কী বোর্ডের যে অংশে ইংরেজী বর্ণমালা A খেকে Z পর্যন্ত অরগুলো সাজানো থাকে সেই অংশকে আলফাবেটিক সেকশন/অংশ বলে।
নিউমেরিক কী বা লজিক্যাল কী ঃ
কীবোর্ডের ডানদিকে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যা লেখা যে কীগুলো রয়েছে তাকে নিউমেরিক কী বলে। এখানে +, -, *, / প্রভৃতি অ্যারিথমেটিক অপারেটর থাকে। এছাড়াও <, >, = লজিক্যাল অপারেটরগুলো কী বোর্ডে থাকে।
বিশেষ কী ঃ
উল্লেখিত কী গুলো ছাড়া কী-বোর্ডের অন্যান্য কী সমূহ কোন না কোন বিশেষ কার্য সম্পাদন করে বলে এদেরকে বিশেষ কী বলা হয়। নিম্নে বিশেষ কী সমূহ সম্পর্কে সংপ্তি বর্ণনা দেওয়া হলো।
Esc : এই কী এর সাহায্যে কোন নির্দেশ বাতিল করতে হয়।
Tab : পর্দায় প্যারাগ্রাফ, কলাম, নম্বর, অনুচ্ছেদ শুরুর স্থান ইত্যাদি প্রয়োজন অনুযায়ী প্রস্তুতের জন্য এই কী ব্যবহার করা হয়।
Caps Lock : এই কী ব্যবহার করে ইংরেজী ছোট হাতের ও বড় হাতের লেখা টাইপ করা হয়।
Shift : একই ওয়ার্ডের মধ্যে বা শুরুতে বড় ও ছোট অর টাইপ করতে এই কী ব্যবহার করা হয়। যেমন : Dhaka, Khulna শব্দ দু’টি লিখতে প্রথম অরে শিফ্ট কী চেপে ধরে এবং পরের অর গুলো শিফ্ট কী ছেড়ে দিয়ে লিখতে হবে। আর বাংলা অর বা বর্ণমালা লেখার ক্ষেত্রে অর বিন্যাস্ত কী এর উপরের ও নীচের লেখা টাইপের জন্য এই কী ব্যবহার করা হয়। এছাড়া শিফ্ট কী এর সাথে ফাংশন কী চেপে কম্পিউটারকে বিভিন্ন কমান্ড দেওয়া হয়।
Ctrl : এই কী এর সাথে বিশেষ কী একসাথে চেপে কমান্ড দেওয়া হয়। ব্যবহারকারীর সুবিধার জন্য কীবোর্ডের ডানে ও বামে এই কী ২টি থাকে।
Alt : বিভিন্ন প্রোগ্রামে বিভিন্ন নির্দেশ দেওয়ার জন্য এই কী ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ব্যবহৃত হয় এবং বিভিন্ন কমান্ড তৈরী করা যায়।
Enter : কম্পিউটারকে কোন নির্দেশ দিয়ে তা কার্যকর করতে এই কী ব্যবহার হয়। লেখা লেখির জন্য নতুন প্যারা তৈরী করতেও এই কী ব্যবহার করা হয়।
Pause Break : কম্পিউটারে কোন লেখা যদি দ্রুত গতির জন্য পড়তে অসুবিধা হয় তা হলে এই কী চেপে তা পড়া যায়।
Print Screen: কম্পিউটারের পর্দার দৃশ্যত যা কছিু থাকে তা সব প্রিন্ট করত চাইলে এই কী ব্যবহার করতে হয়।
Delete : কোন বাক্য, অর বা কোন লেখাকে মুছে ফেলতে এই কী ব্যবহার করা হয়।
Home : এই কী ব্যবহার করে কার্সারকে পাতার প্রথমে আনা হয়।
End : এই কী চাপলে কার্সার বা পয়েন্টার যেখানেই থাকুক না কেন টেক্স বা পাতার শেষে চলে আসবে।
Page Up : এই কী ব্যবহার করে কার্সারকে উপরের দিকে উঠানো হয়।
Page Down : এই কী ব্যবহার করে কার্সারকে নীচের দিকে নামানো হয়।
Insert : কোন লেখার মাঝে কোন কিছু লিখলে তা সাধারণত লেখার ডান দিকে লেখা হয়, কিন্তু এই কী চেপে লিখলে তা পূর্ববর্তী বর্ণের উপরে ওভার রাইটিং হয়। কাজ শেষে আবার এই কী চাপলে তা পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে।
Back Space : কোন লেখার পিছনের অংশ মুছে ফেলতে এই কী ব্যবহার করা হয়।
Space Bar : কী বোর্ডের কীগুলোর মধ্যে এই কী টি সবচেয়ে লম্বা কোন বাক্য লেখার সময় শব্দ গুলোর মাঝে ফাঁকা করার জন্য এই কী ব্যবহার করা হয়।
Num Look : এই কী চাপা থাকলে ডান দিকের কী গুলো চালু হয়। এছাড়া মাল্টিমিডিয়া কীবোর্ডে আরও ৪ টি কী থাকে
যেমন ঃ
Stand by Mood : এই কী চেপে রাখলে কম্পিউটার চালু থাকবে কিন্তু মনিটর বন্ধ হয়ে যাবে।
Mail key : এই কী চেপে আউটলুক এক্সপ্রেস চালু হয় এবং তা দিয়ে মেইল পাঠানো যায়। তবে ইন্টারনেট চালু থাকতে হবে।
Web key : এই কী ব্যবহার করে সরাসরি ওয়েব ব্রাউজার ওপেন করা যায়। এবং ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যায়।
Start Menu key: এই কী চেপে ষ্ট্যাট মেনু ওপেন করা যায় এবং প্রয়োজনীয় কমান্ড করা যায়।
মেমোরি ইউনিট (র্যাম ও রম)
কম্পিউটারের সকল অপারেশন উহার ঈচট দ্বারা সম্পন্ন হয়। ক্ষুদ্রতম আকৃতির ডাটা অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য ঈচট তে রেজিষ্টার থাকলেও মৌলিক ইন্সট্রাকশন, সম্পূর্ণ প্রোগ্রাম এবং ডাটা সংরক্ষণের কোন সামর্থ্য ঈচট এর নেই।
রেজিষ্টারে মাত্র কয়েক বাইট ডাটা সংরক্ষণ করা যায়। রেজিষ্টার ছাড়াও হাজার হাজার বাইট প্রোগ্রাম এবং ডাটা সংরক্ষনের জন্য
কম্পিউটারে একটি অংশের প্রয়োজন হয়, এ অংশকেই মেমোরি বলা হয়।
অর্থাৎ কম্পিউটার উহার যে অংশে প্রোগ্রাম, ডাটা এবং ফলাফল সংরক্ষণ করে তাকে মেমেরি বলা হয়।
কম্পিউটার সিষ্টেমের মেমোরিকে প্রধাণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়ঃ
১। প্রাইমারি মেমোরিএবং
২। সেকেন্ডারী মেমোরি
প্রাইমারি মেমোরি কম্পিউটারের প্রাইমারি মেমেরি সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তিতে তৈরী দ্রুতগতি সম্পন্ন মেমোরি। কম্পিউটার অপারেশনের সময় প্রোগ্রাম এবং ডাটা সংরক্ষণের জন্য প্রাইমারি মেমোরি ব্যবহৃত হয়।
প্রাইমারি মেমোরি ভোলাটাইল এবং নন ভোলাটাইল এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়। বিদ্যূৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিলে যে সেমিকন্ডাক্টর মেমোরির সংরক্ষিত ডাটা মুছে যায় তাকে ভোলাটাইল মেমোরি বলা হয়। আর বিদ্যূৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিলেও যে সকল সেমিকন্ডাক্টর মেমোরির সংরক্ষিত তথ্য মুছে যায়না তাদেরকে নন-ভোলাটাইল মেমোরি বলাহয়। প্রাইমারি মেমোরি বাজারে আইসি আকারে পাওয়া যায় এবং কমিউটারের মাদারবোর্ড নামে পরিচিত প্রাধাণ সাকির্ট বোর্ডে বসানো হয় প্রাইমারি মেমোরিকে আমরা পর পর সজ্জিত কতগুলি কুঠুরিরসাথে তুলনা করতে পারি। প্রতিটি কুঠুরিতে ডাটা লিখে (রাইট) সংরক্ষণকরা যায় আবার কুঠুরি হতে সংরক্ষিত ডাটা উত্তোলন (রিড) করা যায়। কুঠুরীগুলোকে লোকেশন বলা হয়। কোন লোকেশনে ডাটা সংরক্ষণ করতে হবে বা কোন লোকেশন হতে ডাটা রিড করতে হবে তা লোকেশন গুলোর ক্রমিক নম্বর দিয়ে নির্দেশ করা হয়। লোকেশন গুলির এই ক্রমিক নম্বর গুলোকে মেমোরি এ্যাড্রেস বলা হয়।
প্রাইমারি মেমোরি প্রধাণত দুই প্রকার:
১। র্যাম

২। রম

১। র্যাম
র্যাম সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তিতে তৈরী রিড/রাইট মেমোরি, অর্থাৎ এ মেমোরিতে সংরক্ষিত ডাটা যেমন রিড করা যায় আবার প্রয়োজনে এ মেমোরিতে ডাটা রাইট করে সংরক্ষণ করা যায়। এ মেমোরির ডাটা মুছে ফেলা যায় আবার নতুন ডাটা সংরক্ষণ করা যায়। যেকোন সময় র্যামের যেকোন লোকেশনের ডাটা রিড বা যেকোন লোকেশনে ডাটা রাইট করা যায় বলে একে র্যান্ডম এ্যাকসেস মেমোরি সংক্ষেপে র্যাম বলা হয়। এ ছাড়া র্যামের বিদ্যূৎ সরবরাহ ব›দ্ধ হয়ে গেলে সম্পূর্ণ ডাটা মুছে যায় বলে র্যামকে ভোলাটাইল মেমোরিও বলা হয়। যতক্ষণ বিদ্যূৎ সরবরাহ থাকে ততক্ষণ র্যাম ডাটা সংরক্ষণ করে রাখতে পারে। র্যাম সাারণত ছোট সার্কিট বোর্ডে চীপ আকারে পাওয়া যায় এদেরকে মেমোরি মড্যূল বলা হয়। ১গই, ২গই, ৪গই, ৮গই, ৮গই, ১৬গই, ৩২গই, ৬৪গই, ১২৮গই ও ২৫৬গই ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন র্যাম মড্যূল কম্পিউটারে ব্যবহৃত হয়েছে। বর্তমানে ৬৪গই, ১২৮গই ও ২৫৬গই মেমোরি মড্যূলক্ষাজারে পাওয়া যায এবং কম্পিউটারে ব্যবহৃত হচ্ছে।
২। রম
রম এক ধরণের স্থায়ী সেমিকন্ডাক্টর মেমোরি। এ মেমোরিও আইসি আকারে তৈরী করা হয়। তৈরীর সময় ডাটা বা প্রোগ্রাম সংরক্ষণ করা হয়। কম্পিউটার সিষ্টেম চালু হওয়ার জন্য অত্যাবশ্যকীয় এবং বার বার প্রয়োজন হয় এমন ধরণের প্রোগ্রাম রমে সংরক্ষণ করা হয়। এ প্রোগ্রামকে বায়োস বলা হয়। কম্পিউটার সিষ্টেমে মাইক্রোপ্রসেসর প্রথমে রমের প্রোগ্রাম সমূহ এক্সিকিউট করে। অতঃপর রমের প্রোগ্রাম অন্যান্য প্রোগ্রাম এক্সিকিউশনের পরিবেশ তৈরী করে। রমে একবার ডাটা সংরক্ষণ করা হলে তা আর পরিবর্তন করা যায়না বলে একে স্থায়ী মেমোরি বলা হয়। আবার বিদ্যূৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলেও এ মেমোরির ডাটা মুছে যায়না বলে একে নন-ভোলাটাইল মেমোরিও বলা হয়। রমে সংরক্ষিত তথ্য শুধু পড়া যায় কিন্তু রমে ব্যবহারকারী কোনো তথ্য লিখতে পারেনা বলেই এ মেমোরিকে জবধফ ঙহষু গবসড়ৎু সংক্ষেপে জঙগ বলা হয়। রম তৈরীর সময় প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান এতে প্রোগ্রাম ভরিয়ে দেয় বলে রমে সংরক্ষিত প্রোগ্রামকে ফার্মওয়্যার বলা হয়।
ষ্টোরেজ ডিভাইস(ফ্লপি ডিস্ক,হার্ড ডিস্ক,সিডি রম)
সাধারণত মেমোরি বলতে কম্পিউটার ব্যবহারকারীগণ র্যামকেই বুঝিয়ে থাকে। মেমোরি, ইনপুট, আউটপুট এবং ঈচট থাকলেই কম্পিউটার কাজ করতে পারে। তবে কম্পিউটারের প্রোগ্রাম ফাইল এবং উহার সাথে সংশ্লিষ্ট ডাটা যখন ব্যবহৃত না হয় তখন একটি জায়গায় ঐ প্রোগ্রাম ও ডাটা সংরক্ষণ করে রাখার প্রয়োজন হয়। যে সকল মাধ্যমে ঈচট প্রোগ্রাম ও ডাটা দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করে রাখতে পারে এবং প্রয়োজনে মেমোরিতে উত্তোলন করে কাজ করতে পারে তাদেরকে ষ্টোরেজ ডিভাইস বলা হয়।
ষ্টোরেজ ডিভাইস ও মেমোরির মধ্যে প্রধাণ তিনটি পার্থক্য হলোঃ
ক) মেমোরি অপেক্ষা ষ্টোরেজ ডিভাইসের ধারণ ক্ষমতা অনেক বেশী।
খ) কম্পিউটার বন্ধ করা হলে মেমোরির ডাটা মুছিয়া যায় কিন্তু ষ্টোরেজ ডিভাইসের ডাটা সংরক্ষিত থাকে।
গ) মেমোরি অপেক্ষা ষ্টোরেজ ডিভাইস দামে সস্তা।
বর্তমানে ম্যাগনেটিক ও অপটিক্যাল এ দুই উপায়ে ষ্টোরেজ ডিভাইসে ডাটা সংরক্ষণ করা হয়। কোন কোন সিষ্টেম ম্যাগনেটিক কোনটি অপটিক্যাল কোনটি আবার উভয় পদ্ধতির সমন্বয়ে ডাটা সংরক্ষণ করে।
প্রধাণ প্রধাণ ম্যাগনেটিক ষ্টোরেজ ডিভাইস গুলি হলোঃ খ) ফ্লপি ডিস্ক বা ডিস্কেট গ) হার্ড ডিস্ক ঘ) ম্যাগনেটিক টেপ প্রধাণ প্রধাণ অপটিক্যাল ষ্টোরেজ ডিভাইস গুলি হলোঃ ক) সিডি রম খ) ডিভিডি গ) ওয়ার্ম ড্রাইভ ঘ) ফেজ-চেঞ্জ রিরাইট্যাবল ডিস্ক ঙ) ম্যাগনেটো অপটিক্যাল ডিস্ক চ) ফ্লপটিক্যাল ড্রাইভস্ ফ্লপি ডিস্ক
ফ্লপি ডিস্কঃ

কম্পিউটারের তথ্য সংরক্ষণের জন্য একটি বহুল ব্যবহৃত মাধ্যম হলো ফ্লপি ডিস্কেট। ফ্লপি-ডিস্ক হচ্ছে এক ধরনের বহনযোগ্য ষ্টোরেজ ডিভাইস। ফ্লপি-ডিস্ক মাইলার প্লাষ্টিকের তৈরী গোলাকার চাকতি বিশেষ এই চাকতির উপর চৌম্বক পদার্থের (আয়রন-অক্সাইড) প্রলেপ দেওয়া থাকে। চকতিটি একটি প্লাষ্টিক বা কার্ডবোর্ডের জ্যাকেটে রক্ষিত থাকে ডিস্কটি যাতে জ্যাকেটের মধ্যে সহজেই ঘুড়াতে পারে সেজন্য ইহার অভ্যন্তর ভাগে পিচ্ছিল তরল পদার্থের প্রলেপ দেওয়া হয়। জ্যাকেটটি ডিস্ককে বাহিরের আঘাত এবং ধুলো-বালি হতে রক্ষা করে। গোলাকার ডিস্কটি অত্যন্ত পাতলা এবং বাকানো যায়
হার্ড-ডিস্ক ড্রাইভঃ

বৃহৎ আকৃতির ডাটার ক্ষেত্রে বিশ্ব এখন অপটিক্যাল মাধ্যমের দিকে ধাবিত হলেও পারসোপনাল কম্পিউটারে তথ্য সংরক্ষণের জন্য সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত হয় হার্ড ডিস্ক। এটি একটি দির্ঘস্থায়ী ষ্টোরেজ মিডিয়া হিসেবে কাজ করে। মেগাবাইট থেকে গিগাবাইট পর্যন্ত তথ্যের বিশাল ভান্ডার একটিমাত্র হার্ডডিস্কে সংরক্ষণ করা সম্ভব। এই ডিস্ক ম্যাগনেটিক ধাতুর তৈরী এক কেন্দ্রীক কতগুলি গোলাকার চাকতি নিয়ে গঠিত। যার তুলনা দেয়া চলে গ্রামোফোনের রেকর্ডের সাথে। এ চাকতিগুলিকে প্লটার বলা হয়। প্রতিটি প্লটারের উপরে এবং নীচে একটি করে হেড থাকে। হেড গুলি একটি আর্ম এর সাহায়্যে নিয়ন্ত্রিত। এই ডিস্কের ম্যাগনেটাইজড পয়েন্ট দিয়ে ১ আর নন-ম্যাগনেটাইজড পয়েন্ট দিয়ে ০ বোঝানো হয়। এভাবে বাইনারী পদ্ধতিতে তথ্য সংরক্ষিত হয়। এই ডিস্কে সমকেন্দ্রিক অনেকগুলো ট্র্যাক থাকে। প্রতিটি ট্যাকে আবার ১০০ থেকে ১০০০ বা তদুর্ধ্ব ভাগে ভাগ করা হয় । প্রতিটি ভাগকে বলা হয় সেক্টর। ডিস্কটি প্রচন্ড গতিতে ঘুরতে থাকে এতে তথ্য যে ট্র্যাকের যে সেক্টরেই থাকুক না কেন, মুহুর্তেই তা সনাক্ত হতে পারে। একটি ডিস্কের ঘূর্ণন গতি সাধারনত ৩৬০০ থেকে ৭২০০ আরপিএম (জচগ – জড়ঃধঃরড়হ ঢ়বৎ সরহঁঃব)।
কোয়ান্টাম, ফুজিৎসু, হিটাচী, মাইক্রোপলিস, এনইসি, মিতসুবিসি, সীগেট, সনি, তোসিবা প্রভৃতি বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন মডেলের বিভিন্ন ধারণক্ষমতা স¤পন্ন হার্ডডিস্ক বাজারে পাওয়া যায়। যদিও শুধু হার্ডডিস্ক পাওয়া যায়না, ড্রাইভ সমেত পাওয়া যায়। ড্রাইভ সমেত হার্ডডিস্ককেই হার্ডডিস্ক নামে ডাকা হয় যদিও তা ঠিক নয়।
সিডি-রম ঃ

১৯৮৭ সালে সনি কোম্পানি সিডি রম ড্রাইভ বাজারে ছাড়ে যা কিনা কম্পিউটার এর তথ্য সংরক্ষনে এক স্বর্ণ দূয়ার খুলে দিয়েছে। ইহা বর্তমানে সফ্টওয়্যার শিল্পের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে আত্ম প্রকাশ করেছে। সিডি রম একটি প্লাষ্টিকের শক্ত চাকতি যাতে শক্তিশালী লেজার আলোর সাহায্যে তথ্য লেখা হয়। হার্ড ডিস্ক বা ফ্লপি ডিস্কের মত এতে সংরক্ষিত তথ্য মুছে আবার নতুন তথ্য লেখা যায় না। একবার একটি সিডি রমে তথ্য লেখা হলে একটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের সাহায্যে তা শুধু পড়া যায়, আর এতে সংরক্ষিত তথ্য পরিবর্তন করা যায়না ।
সচারাচর একটি সিডি রম ১.২ মি.মি. পূরুত্ব এবং ১২০ মি.মি. ব্যাসের হয়ে থাকে আর ৬৮০ মেগাবাইট আকৃতির তথ্য জমা বা সংরক্ষন করতে পারে। সিডি-রমের নিচে এলুমিনিয়ামের একটি পাতলা লেয়ার থাকে যাতে আলো প্রতিফলিত হয়। এতে অনেকগুলো পেচানো ট্রাক থাকে যা ডিস্কের কেন্দ্র থেকে শুরু হয়ে চক্রাকারে ঘূরে পরিধির আগ পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে। শক্তিশালী লেজার আলোর সাহায্যে সিডির প্রতিফলিত তলে অতিক্ষুদ্র অনুবিক্ষনিক সিডি পদ্ধতিতে তথ্য লেখা হয়। একেকটি ছিদ্র অর্থাৎ পিট (চরঃ) ‘১’ এবং ছিদ্রবিহীন স্থান অর্থাৎ ল্যন্ড (খধহফ) কে ‘০’ দ্বরা প্রকাশ করা হয়। প্রতিটি ছিদ্র প্রায় ০.০১২ মাইক্রোন গভীর এবং ০.৬২ মাইক্রোন প্রসস্ত হয়। যা প্রতিটি পেচানো ট্রাকে খোদাই করা থাকে। দুটি পেচানো ট্রাকের মাঝে প্রায় ১.৬ মাইক্রোন স্পেশ থাকে। প্রতি ইঞ্চিতে সধিারনত ১৬০০০ ট্রাক থাকে। ডিস্কের পরিধি থেকে ৫মি.মি. ভিতরের দিকে ট্রাকের সমাপ্তি ঘটে। এই প্যাচানো ট্রাক প্রায় ৩ মাইল লম্বা হয়।
স্ক্যানার
কোনো ছবি বা লেখা অবিকল ডিজিটাল ডাটায় বা কম্পিউটারে সংরক্ষণের জন্য স্ক্যানার ব্যবহার করা হয়। ডিজিটাল ক্যামেরা আসার পূর্বে ছাপা কোনো তথ্য কম্পিউটারে সংরক্ষণের এটি ছিল একমাত্র সমাধান।
স্ক্যানারের কাজ হলোঃ
১.এর মাধ্যেমে ছবি রেখা লেখা ইত্যাদি হবুহু কম্পিউটারের মাধ্যেমে দেখা যায়।
২.সম্পাদন ও প্রিন্টারের কাজ করা যায়।
৩.এটি প্রফেশনাল প্রকাশনার কাজে ব্যাবহৃত হয়।
৪.এর সাহায্য একাধিক ছবির সমান্বয়ে ছবিতে নতুন মাত্রা যোগ এবং ইচ্ছা মত রঙ্গের বাবহার করা যায়।<৫.এটির সাহায্যে আলোকরশ্নি এবং আলোক সংবেদনশীল যন্ত্রের সাহ্যয্যে ছবি লেখা ইতাদি পাঠ করা যায়।
যেভাবে কাজ করে স্ক্যানার
স্ক্যানারে ফটেকপি মেশিনের মত একটি কাঁচের উপর নির্দিষ্ট ছবি বা কাগজটিকে কাঁচের দিকে মুখ করে রেখে এর ঢাকনাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। পরে নির্দিষ্ট বাটন বা কমান্ড দেওয়ার পর এর কাঁচের নিচে থাকা একটি আলো প্রক্ষেপনকারি বাল্ব পুরো কাগজটিকে আলোকিত করে যায়। অর্থাৎ এই আলো ফেলার মাধ্যমে এটি কাগজের তথ্য সমূহকে পড়ে ফেলে ও বৈদ্যুতিক তরঙ্গ হিসেবে মনিটরে প্রদর্শন করে। প্রথমবার একটি প্রাকদর্শন দেখায় এতে ব্যবহারকারী তার প্রয়োজন নির্দিষ্ট করন করার পর স্ক্যানারকে নির্দেশ দিলে এটি কাগজের তথ্যটি চুড়ান্ত ভাবে কম্পিউটারে সংরক্ষণের জন্য উপস্থাপন করে। এরপর ব্যবহারকারী তার প্রয়োজন অনুযায়ী নাম ও স্থান ঠিক করে এটিকে সংরক্ষণ করেন।
স্ক্যানার ব্যবহার করতে গেলে ব্যবহারকারীদের অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হয়। এই টিউটোরিয়ালে তুলে ধরা হলো স্ক্যানার সংযোগ না পেলে কিংবা সাধারণ কিছু সমস্যা হলে করনীয় কাজগুলো:
প্রথমে দেখতে হবে স্ক্যানারের পিছনের ক্যাবল ঠিকভাবে লাগানো আছে কিনা। কেনানা যদি ক্যাবল ঠিকভাবে না লাগানো থাকে তাহলে স্ক্যানারে পাওয়া যাবে না। যদি স্ক্যানারে পাওয়ার লাইন সঠিকভাবে পেয়ে থাকে তাহলে পাওয়ার লাইট জ্বলতে দেখা যাবে।
পোর্টের সমস্যা ধরতে প্রথমেই চেক করতে হবে কম্পিউটার এবং স্ক্যানার এর মাঝে অন্য কোনো ডিভাইস আছে কিনা? যদি থেকে থাকে তাহলে এটি সরিয়ে দিতে হবে।
অনেক সময় সব সংযোগ ঠিক থাকার পরও স্ক্যানার খুঁজে পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে স্ক্যানার নতুন করে ইন্সটল করে নিতে হবে।
এলপিট পোর্ট ঠিক আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। যদি ঠিক না থাকে তাহলে বায়োসে গিয়ে তা ঠিক করে দিতে হবে।
স্ক্যান করার সময় পরিষ্কার কাগজ স্ক্যান করা উচিত। ময়লা কিংবা আঠা যুক্ত কোনো কাগজ স্ক্যান করা স্ক্যানার জন্য ক্ষতিকর।
ডেস্কটপ পরিচিতিঃ
আমরা এখন কম্পিউটার ওপেন করার জন্য প্রস্তুত।এজন্য আমাদের যা করণীয়-
(১) প্রথমেই ভাল করে দেখে নিতে হবে কম্পিউটারের সব ডিভাইসগুলোর বৈদ্যুতিক কেবলসহ কানেকশান কেবল ঠিকঠাক ভাবে লাগানো আছে কিনা। অর্থাৎ সিপিইউ এর সাথে মনিটর, কীবোর্ড, মাউস ইত্যাদি যন্ত্রগুলোর তার ঠিকমত লাগাতে হবে।
(২) সিপিইউ ও মনিটরের বৈদ্যুতিক তার দু’টি ষ্ট্যাবিলাইজারের সকেটে স্থাপন করতে হবে এবং ষ্ট্যাবিলাইজারের বিদ্যুৎ কেবলে বিদ্যুৎ সংযোগ করতে হবে। তারপর সিপিইউ এর প্রধান সুইচ ও মনিটরের সুইচ ওপেন করতে হবে।
এবার কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। কম্পিউটার তার নিজস্ব কায়দায় ভেতরের সিষ্টেম সফটওয়্যার বা ডস তার যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে থাকবে এবং এসময় মনিটরে বিভিন্ন ধরণের লেখা দেখা যাবে। তারপর একসময় ডস কম্পিউটারের উইন্ডেজ চালু করে দেবে।এ সময় মনিটরের পর্দায় বা ডেস্কটপের পর্দায় বিভিন্ন ধরণের ছোট ছোট আইকন বা ছবি ভেসে উঠবে।এটাই উইন্ডোজের খোলা জানালা বা ডেস্কটপ।পূর্বেই বলা হয়েছে, উইন্ডোজ একটি ডস ভিত্তিক অপারেটিং সিষ্টেম। ডসকে মঞ্চ করে এটি কাজ করে। এটা আমাদের কস্পিউটারের ব্যবহারকে সহজ করে দিয়েছে।এটি আবিষ্কারক বিশ্বখ্যাত সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের অধিকর্তা বিজ্ঞানী বিল গেটস।একটি ঘরের খোলা জানালা দিয়ে যেমন ঘরের ভিতরে কি আছে তা দেখা যায়। আমাদের খোলা জানালায় তার চেয়েও অনেক কিছু করা সম্ভব।পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। হ্যাঁ যা বলছিলাম, খোলা জানালায় ফুটে ওঠা ছবিগুলোকে কম্পিউটারের ভাষায় আইকন বলে।এই আইকনগুলো দেখতে বিভিন্ন চেহারার কারণ এগুলো সব ভিন্ন ভিন্ন গুণাবলী সম্বৃদ্ধ এক একটা প্রোগ্রাম।প্রতিটি আইকনের নিচে তার পরিচিতি হিসেবে নাম লেখা আছে।
উপরের বামদিকের কোণায় ‘মাই কম্পিউটার’ নামে একটি আইকন আছে। এটা আমাদের কম্পিউটারের আইকন। অতএব আমাদের কম্পিউটারের ছবিটিই এখানে ছোট আকারে ভেস উঠেছে। ঠিক তার নিচে ‘ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার’ নামের একটি আইকন আছে। এটি একটি ইন্টারনেট ব্রাউজার, উইন্ডোজের সাথে প্যাকেজ হিসেবে থাকে। কম্পিউটার ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত থাকলে এই আইকন এর উপর ডবল ক্লিক করে ব্রাউজার ওপেন করে ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যায়।তার নিচে রয়েছে ‘রিসাইকেল বিন’ নামের আরেকটা আইকন। এটাকে কম্পিউটারের ডাষ্টবিনও বলা হয়ে থাকে। কম্পিউটারের যে কোন স্থান থেকে কোন অপ্রয়োজনীয় ফাইল বা ফোল্ডার, ছবি বা কোন ডকুমেন্ট মুছে ফেললে তা এই অংশে এসে জমা হয় তাই একে কম্পিউটারের ডাষ্টবিন বলে। একে অপর কথায় ফাইল ট্রাশ করাও বলে। এছাড়া অনেক কম্পিউটারের বাম পাশে মাই কম্পিউটার আইকনের উপরে ‘মাই ডকুমেন্টস’ নামের একটা আইকন থাকে। যেটা কম্পিউটারের সি ড্রাইভের একটি ডকুমেন্ট ফোল্ডার। যেখানে আমাদের তৈরী ও সেভ করা ফাইল বা ফোল্ডার জমা হয়।প্রতিটি কম্পিউটারে এগুলো কমন আইকন হিসেবে পাওয়া যাবে। এছাড়া আমাদের উইন্ডোজের অধীনে যে কোন এ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ইনষ্টল করলে তার আইকনও ডেস্কটবে দেখা যাবে, যা ব্যবহার করে দ্রুত উক্ত প্রোগ্রাম ওপেন করা এবং কাজ করা যাবে।
ফাইল এবং ফোল্ডার
ফাইল হলো কোন এ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের আওতায় বা মাধ্যমে আমাদের তৈরী করা তথ্যসম্বৃদ্ধ ডকুমেন্ট। আর ফোল্ডার হলো ফাইল রাখার ক্যাবিনেট বা খাম। এই ফোল্ডারের ভিতর যত ইচ্ছা ফাইল ও ফোল্ডার জমা রাখা যায়।কম্পিউটারে কাজ করতে গেলে এধরণের অসংখ্য ফোল্ডার আইকন দেখতে পাওয়া যাবে।কম্পিউটারের সবগুলো প্রোগ্রামের আইকন ডেস্কটপে থাকে না।এগুলো ষ্ট্যাট মেনুর অধীনে প্রোগ্রাম নামক মেনুর ভিতর থেকে ওপেন করতে হয়। আবার কীবোর্ড শর্টকাট তৈরী করে নিয়েও ওপেন করা যায়।এই মেনুর অধীনে কম্পিউটারের যাবতীয় এ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামগুলো থাকে।
আমাদের কম্পিউটারের খোলা জানালার একেবারে ডানদিকে উপরের কোণায় ‘অফিস শর্টকাট’ মেনু থাকে। এখান থেকে মাইক্রোসফট অফিসের অধীনের বিভিন্ন প্রোগ্রাম ওপেন করে কাজ করা যায়।একেবারে প্রথমে যে আইকনটি রয়েছে এটি ‘উইন্ডোজ এক্সপ্লোরারে’র আইকন। এই আইকনে মাধ্যমে এক্সপ্লোরার ওপেন করে আমাদের কম্পিউটারের হার্ডডিস্কের মধ্যে কি কি ফাইল বা ফোল্ডার আছে সেগুলো দেখা যাবে। এর পাশের আইকনটি ‘মাইক্রোসফট ওয়ার্ড’ ডকুমেন্ট এর আইকন।এখান থেকে আমরা লেখা লেখি করার জন্য ডকুমেন্ট ফাইল ওপেন করে কাজ করতে পারি। এরপাশে আছে ‘মাইক্রোসফট একসেল’ নামের আইকন।এটাকে ব্যবহার করে আমরা হিসাব নিকাশ করার যোগ্য একাট চমৎকার হিসাবের ফাইল ওপেন করে কাজ করতে পারি। এরপাশে আছে ‘মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট’ নামের আইকন। এটা একটি প্রেজেন্টেশন প্রোগ্রাম। এর মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর প্রেজেন্টেশন ডিসপ্লে তৈরি করতে পারি। এরপাশেই রয়েছে ‘মাইক্রোসফট একসেস’ নামের আইকন। এর সাহায্যে ডাটাবেস প্রোগ্রামিং এর কাজ অতি সহজে করা যায়।
ডেক্সটপের একেবারে নীচে উইন্ডোজ মনোগ্রাম যুক্ত ‘ষ্ট্যাট লেখা’ একটি লাইন আছে,একে টাস্কবার বলে। এর যে অংশে ষ্ট্যাট লেখা আছে ঐ অংশকে ‘ষ্ট্যাট মেন’ বলে। এই মেনুর সাহায্যে কম্পিউটারে কি কি সফটওয়্যার দেওয়া আছে তা যেমন দেখা যায় আবার এগুলো ওপেন করে কাজও করা যায়। কোন প্রোগ্রাম ওপেন করলে টাস্কবারে তার নামটি দেখা যায়। এছাড়া টাস্কবারের ডান কোণে ডেট-টাইম, সাউন্ড ভলিউমসহ বেশ কিছু আইকোন রয়েছে। এগুলোতে ডবল ক্লিক করে ওপেন করে তা এডিট করাও যায়।এই হলো আমাদের ডেস্কটপ বা উইন্ডোজের খোলা জানালা।
কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক থেকে ফাইল বা ফোল্ডার মুছে ফেলার পদ্ধতি
কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক থেকে ফাইল বা ফোল্ডার মুছে ফেলার পূর্বে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যে কোন ফাইল বা ফোল্ডার মুছে ফেলার আগে দেখতে হবে ফাইলটি সত্যিই অপ্রয়োজনীয় কিনা। ফেলে দেওয়ার পর ফাইল উদ্ধার করা সম্ভব হলেও সেটা বেশ কষ্টসাধ্য। তাছাড়া সব ফাইল ফোল্ডার আবার উদ্ধার করা যায়ও না। সুতরাং কোন ফাইল বা ফোল্ডার ফেলে দেওয়ার আগে ভাল করে নিশ্চিত হতে হবে যে ফাইলটি অপ্রয়োজনীয় বা এর গুরুত্ব কতখানি।
কোন ফাইল বা ফোল্ডার মুছে ফেলতে হলে প্রথমে ফাইল বা নির্বাচন করতে হবে। তারপর মাউসের পয়েন্টার ফাইল বা ফোল্ডারের উপর নিয়ে মাউসের বামপাশের বোতাম একবার চাপ দিতে হবে অর্থাৎ সিঙ্গল ক্লিক করতে হবে।ফাইলটি সিলেক্ট হবে। এবার কীর্বোড থেকে ‘ডিলেট কী’ চাপতে হবে। সাথে সাথে ফাইল বা ফোল্ডারটি রিসাইকেল বিন নামক ফোল্ডার আইকনে জমা হবে।

এবার রিসাইকেল বিন পরিষ্কার করার জন্য মাউসের পয়েন্টার রিসাইকেল বিনের উপর নিয়ে বাম পাশের বোতাম একবার চেপে রিসাইকেল বিন সিলেক্ট করতে হবে। তারপর মাউসের পয়েন্টার রিসাইকেল বিনের উপর রেখে মাউসের ডান পাশের বোতাম একবার চাপলে একটি সংলাপ বক্স চলে আসবে। এখানে ওপেন, এক্সপ্লোর, এমটি রিসাইকেল বিন, পেষ্ট, ক্রিয়েট শর্টকাট ও প্রোপাটিজ লেখা দেখতে পাওয়া যাবে। অর্থাৎ কম্পিউটার জানতে চায় সে কি করবে। তাই এবার ফাইল বা ফোল্ডার চির কালের জন্য মুছে ফেলতে ‘এমটি রিসাইকেল বিন’ এর উপর মাউসের পয়েন্টার নিয়ে বাম পাশের বোতাম একবার চাপলেই আরও একটি সংলাপ বক্স ভেসে আসবে। এটা সাবধান বাণীও বলা যায়। কারণ কম্পিউটার আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো কাজ করে। তাই কোন কিছু করার আগে মাঝে মাঝে এধরণের সংলাপ বক্স এসে জানতে চাইবে বা জিজ্ঞাসা করবে সত্যিই যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা পালন করবে কিনা, অর্থাৎ ফাইলটি চিরতরে মুছে ফেলবে কিনা। এবার সংলাপ বক্সের ইয়েস লেখাতে মাউসের বাম বোতাম ক্লিক করলেই ফাইলটি চিরতরে মুছে যাবে।
মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড- Microsoft Word
ওয়ার্ড প্রসেসিং ( Microsoft Word) Part 1:
MS-Word: Microsoft Word হল একটি এ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যারের নাম। আমেরিকার বিখ্যাত মাই ক্রোসফ্ট কর্পোরেশন কর্তৃক বাজারজাতকৃত Microsoft Word -কে সংক্ষেপে MS-Word বলে। তা Windows -এর অধীনে একটি ওয়ার্ড প্রসেসিং প্যাকেজ প্রোগ্রাম। MS-Word দিয়ে লেখালেখির যাবতীয় কাজ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের Drawing -এর কাজ করা যায় । যে সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে কম্পিটারে লেখা লেখির কাজ করা হয় তাকেই Microsoft Word বলে।

Microsoft Word প্রোগ্রাম ওপেন করার নিয়ম
Start Menu তে কিক করে তারপরAll Programs-এ কিক করলে অনেকগুলো অপশনের নাম আসবে। অর্থাৎ কম্পিউটারের যে সব এ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যারগুলো দেওয়া আছে তা দেখাবে। এখান থেকে Microsoft Word এর উপর কিক করতে হবে তাহলে পর্দায় লেখার উপযোগি একটি সাদা পাতা প্রদর্শিত হবে। এছাড়া উইন্ডোজের উপরের অংশে ডান কোনায় শর্টকার্ট মেনু থেকে Word এর আইকনে ক্লিক করেও ওপেন করা যায়( যদি শর্টকার্ট বার বা মেনু ইনষ্টল করা থাকে)। এছাড়া কী বোর্ড শর্টকার্ট তৈরী করে নেয়া যায় এবং তা ব্যবহার করে দ্রুত ওপেন করা যায়।
এম. এস- ওয়ার্ড চালুকরন How To Open Microsoft Word?
প্রথমেই Start Menu তে ক্লিক অথবা Keyboard থেকে Win Key তে ক্লিক করি।
All Programs > Programs > Microsoft Word ক্লিক করি
অথবা - Win+R এর পর Run কমান্ডে winword লিখে Enter চাপুন.।
Microsoft Word প্রোগ্রাম বন্ধ করার নিয়ম
Microsoft Word প্রোগ্রাম বন্ধ করার বিভিন্ন নিয়ম বা পদ্ধতি আছে। প্রথমত: মেনু বারের ফাইল মেনুতে ক্লিক করে মেনুস্থ Exit লেখা অপশনে কিক করবো এ ক্ষেত্রে পর্দায় একটি ডায়ালগ বক্স ওপেন হবে এবং এই বক্সের লেখাটি জানতে চায় ফাইল বন্ধ করার পূর্বে আমরা ডকুমেন্ট সেভ পরিবর্তন করবো কিনা। এর ঠিক নীচে Yes/ No দু’টো অপশন থাকবে, এর যে কোনটি চাপলে অর্থাৎ সেভ পরিবর্তন করতে চাইলে Yes আর পরিবর্তন করতে না চাইলে No তে ক্লিক করলে প্রোগ্রাম ফাইল বন্ধ হয়ে যাবে।
Title Bar (টাইটেল বার)
Microsoft Word সহ উইন্ডোজের যে কোন প্রোগ্রাম ওপেন করলে পর্দার একেবারে উপরে আড়াআড়ি যে লম্বা লাইন দেখা যায় এবং যাতে চলতি প্রোগ্রামের নাম লেখা দেখা যায় তাকে টাইটেল বার বলা হয়। মিনিমাইজ বক্স এ মাউসের ক্লিক করলে চলতি প্রোগ্রামটি উইন্ডোজের নিচে ষ্ট্যাট মেনু বারে চালু অবস্থায় মিনিমাইজ হয়ে থাকবে আবার নিচের সঞ্চিত ঐ বক্সে ক্লিক করলে পুণরায় তা পর্দায় ভেসে উঠবে। ম্যাক্সিমাইজ বক্স এ মাউসের পয়েন্টার দিয়ে কিক করে পাতা ছোট বড় করা যায়। ক্লোজ বক্স এ কিক করে ডকুমেন্ট ক্লোজ করা যায়।
Menu Bar ( মেনু বার)
টাইটেল বারের নীচে একটি লম্বা লাইন বা বার থাকে, যেখানে File, Edit, View, Insert, Format, Tools, Table, Window, Help লেখা বার বা লাইনকে Menu Bar বলে। মেনুর নামের উপর মাউসের পয়েন্টার দিয়ে ক্লিক করলে প্রোগ্রামটি ওপেন হবে। ওপেন হওয়া মেনু বক্সকে পলডাউন মেনু বলে।
File :
File নামের মেনুতে ক্লিক করে New, Open, Close, Save, Save as, Save as web page, Page setup, Print Preview, Print, Exit ইত্যাদি মেনু ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তৈরী ও কাজ করা যায়।
New: New এর উপর মাউসের ক্লিক করে অথবা কী বোর্ড থেকে Ctrl+N চেপে কমান্ড দিলে নতুন ডকুমেন্ট পাতা খুলবে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তৈরী করা যাবে।
Open: Open মেনুতে ক্লিক করে অথবা কী বোর্ড থেকে Ctrl+O কমান্ড দিয়ে সেভ করা ফাইল দেখা ও প্রয়োজনীয় সংশোধন করা যাবে।
Close: Close মেনুতে ক্লিক করে ফাইল বন্ধ করা যায়।
Save: Save মেনুতে ক্লিক করে অথবা কী বোর্ড থেকে Ctrl+S কমান্ড দিয়ে ফাইল সেভ করা যায়। কোন ফাইল বা ডকুমেন্ট সেভ করতে কমান্ড দিলে একটি ডায়ালগ বক্স ওপেন হবে সেখানে জানতে চাইবে ফাইলটি কি নামে সেভ হবে। এক্ষেত্রে নাম সিলেক্ট করে দিয়ে সেভ করতে হবে।
Save as: Save as মেনুতে কিক করে ফাইল প্রটেক্ট করা যায়। এছাড়া Save as web page মেনুতে ফাইলটি ওয়েভ পেজের জন্য সেভ করা যায়।
Page Setup: Page setup মেনুতে ক্লিক করে পাতার সাইজ, স্কেল ইত্যাদি পরিমাপ করে নেয়া যায়।
Print Preview: Print Preview মেনুতে কিক করে ডকুমেন্টটি প্রিন্টিং করা হলে কি আকারে প্রিন্ট হবে তা দেখা যায়।
Print: Print মেনুতে কিক করে অথবা কীবোর্ড থেকে Ctrl+P কমান্ড দিয়ে ডকুমেন্টটি প্রিন্ট করা যায়।
Exit: Exit মেনুতে ক্লিক করে ফাইল বা ডকুমেন্ট কোজ করা যায়।
Edit Menu :
Edit নামের মেনুতে ক্লিক করে Undo Typing, Repeat typing, Cut, Copy, Paste, Clear, Select All, Find, Replace, Go to ইত্যাদি মেনু ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তৈরী ও কাজ করা যায়।
--> Undo: Undo Typing : কোন ডকুমেন্ট মুছে ফেলার পর পুণরায় ফেরত পেতে সাধারণত: এই মেনু ব্যবহার করা হয়। মাউসের পয়েন্টার দিয়ে কিক করে অথবা কী বোর্ড থেকে Ctrl+Z কমান্ড দিয়ে কাজটি করা যায়।
--> Redo: Repeat Typing/Redo : মুছে ফেলা কোন ডকুমেন্ট পুণরায় ফেরত পেতে সাধারণত: এই মেনু ব্যবহার করা হয়। মাউসের পয়েন্টার দিয়ে কিক করে অথবা কী বোর্ড থেকে Ctrl+Y কমান্ড দিয়ে কাজটি করা যায়।
--> Cut: Cut : কোন ডকুমেন্ট সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ Cut করে অন্য কোথাও স্থানান্তরের জন্য সাধারণত: এই মেনু ব্যবহার করা হয়। মাউসের পয়েন্টার দিয়ে ক্লিক করে অথবা কী বোর্ড থেকে Ctrl+X কমান্ড দিয়ে কাজটি করা যায়।
--> Copy: Copy : কোন ডকুমেন্ট সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ Copy :করে অন্য কোথাও স্থানান্তরের জন্য সাধারণত: এই মেনু ব্যবহার করা হয়। মাউসের পয়েন্টার দিয়ে ক্লিক করে অথবা কী বোর্ড থেকে Ctrl+C কমান্ড দিয়ে কাজটি করা যায়।
--> Paste: Paste : কোন ডকুমেন্ট সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ কপি করে অন্য কোথাও স্থানান্তরের জন্য সাধারণত: এই Paste মেনু ব্যবহার করা হয়। মাউসের পয়েন্টার দিয়ে কিক করে অথবা কী বোর্ড থেকে Ctrl+V কমান্ড দিয়ে কাজটি করা যায়।
--> Clear: Clear : কোন ডকুমেন্ট সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ মুছে ফেলার জন্য সাধারণত: এই Clear মেনু ব্যবহার করা হয়। মাউসের পয়েন্টার দিয়ে ক্লিক করে কাজটি করা যায়।
--> Select All: Select All : কোন ডকুমেন্ট সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ মুছে ফেলার জন্য বা অন্য কোথাও স্থানান্তর বা বিশেষ কোন কাজ করতে চাই তাহলে এই Select All মেনু ব্যবহার করে তা করা হয়। মাউসের পয়েন্টার দিয়ে কিক করে অথবা কী বোর্ড থেকে Ctrl+A কমান্ড দিয়ে কাজটি করা যায়।
--> Find: কোন ডকুমেন্ট এর ভিতরের কোন শব্দ বা অর খুঁজতে এই Find মেনু ব্যবহার করা হয়। মাউসের পয়েন্টার দিয়ে কিক করে Find মেনুতে কিক করে ডায়ালগ বক্সে কি খুজতে চাই তা লিখে কমান্ড দিয়ে কাজটি করা যায়।
--> Replace : কোন ডকুমেন্ট এর ভিতরের কোন শব্দ বা অর পরিবর্তন করতে বা নতুন কোন শব্দ বা অর সংযোজন করতে এই Replace মেনু ব্যবহার করা হয়। মাউসের পয়েন্টার দিয়ে Replace মেনুতে কিক করে ডায়ালগ বক্সে যে শব্দটি পরিবর্তন করতে চাই তা লিখে কমান্ড দিয়ে কাজটি করা যায়।
--> Go to : অনেক গুলো পাতার ডকুমেন্ট এ এক পাতা থেকে অন্য পাতায় দ্রুত যেতে এই Go to মেনু ব্যবহার করে তা করা হয়। মাউসের পয়েন্টার দিয়ে কিক করে ডায়ালগ বক্সে পাতা নং লিখে কমান্ড দিয়ে কাজটি করা যায়।
View Menu :
View নামের মেনুতে কিক করে Normal, Web Layout, Print Layout, Outline, Ruler, Document Map, Header and Footer, Ful Acreen, Zoom ইত্যাদি মেনু ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তৈরী ও কাজ করা যায়।
--> Normal : Outline Page Layout পর্দায় উপস্থিত থাকলে তা পরিবর্তন করতে বা স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে মাউসের পয়েন্টার দিয়ে Normal মেনুতে কিক করে কাজটি করা যায়।
--> Web Layout : পর্দার চারপাশে মার্জিন তৈরী করতে মাউসের পয়েন্টার দিয়ে Web Layout মেনুতে কিক করে কাজটি করা যায়।
--> Print Layout : পর্দায় Print Layout অবস্থানে আনতে বা দেখতে মাউসের পয়েন্টার দিয়ে Print Layout :মেনুতে কিক করে কাজটি করা যায়।
--> Outline : আমরা যদি ডকুমেন্ট পেজের প্রতিটি লাইনে বিশেষ কোন প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করতে চাই তাহলে এই মেনুতে মাউসের পয়েন্টার নিয়ে কিক করলে ডকুমেন্টের প্রতিটি লাইনে বিশেষ চিহ্ন চলে আসবে।
--> Ruler : ডকুমেন্ট পেজের পাশে Ruler আনতে চাইলে এই মেনুতে কিক করে তা করা যাবে। আবার Ruler অদৃশ্য করতে হলে পুণরায় জঁষবৎ মেনুতে কিক করলে তা অদৃশ্য হয়ে যাবে।
--> Document Map : ডকুমেন্ট পেজটিকে আমরা যদি Document Map আকারে দেখতে চাই তাহলে এই Document Map : মেনুতে কিক করে তা করা যাবে।
--> Header and Footer : ডকুমেন্ট পেজের উপরে অংশকে Header এবং নীচের অংশকে Footer : বলে। আমরা যদি Document Page এর প্রতি পাতার উপরে অথবা নীচে কিংবা উপর নীচ উভয় অংশে বিশেষ কোন নির্দেশনা লিখতে চাই তাহলে এই Header and Footer মেনুতে কিক করে বিশেষ নির্দেশনা লিখে ওকে করলে প্রতিটি পাতায় তা প্রদর্শিত হবে।
--> Ful Acreen : আমরা যদি ডকুমেন্ট পেজকে পর্দায় সম্পূর্ণ রূপে প্রদর্শন করতে চাই সে ক্ষেত্রে এই Ful Acreen : মেনুতে কিক করে তা করা যাবে। এবং পূর্ব অবস্থায় বা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে কোজ এ কিক করে তা করা যাবে।
--> Zoom : আমরা যদি ডকুমেন্ট পেজকে পর্দায় ছোট অথবা বড় রূপে প্রদর্শন করতে চাই সে ক্ষেত্রে এই Zoom : মেনুতে কিক করে তা করা যাবে।
Insert Menu :
Insert নামের মেনুতে কিক করে Break, Page Number, Date and Time, Field, Symbol, Comment, Footnot, Picture, Word Art, Auto Shapes, Tex Box ইত্যাদি মেনু ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট,আর্ট তৈরী ও কাজ করা যায়।
--> Break : কোন ডকুমেন্ট পেজ সম্পূর্ণ বা কোন প্যারাগ্রাফ ব্রেক করে নতুন পাতা বা কলাম সৃষ্টি করতে এই Break : মেনু ব্যবহার করে তা করা যায়।
--> Page Number : কোন ডকুমেন্ট এর প্রতি পাতায় স্বয়ংক্রীয় ভাবে পাতা নং দিতে চাইলে এই Page Number মেনু ব্যবহার করে প্রতিটি পাতায় Page Number করা যায়।
--> Date and Time: কোন ডকুমেন্ট এ স্বয়ংক্রীয় ভাবে Date and Time সংযোজন করতে হলে এই Date and Time মেনু ব্যবহার করে তা করা যায়।
--> Field: কোন ডকুমেন্ট এ পূর্ণ সংখ্যা লিখতে হলে এই Field: মেনু ব্যবহার করে তা করা যায়। Field: এ কিক করে ডায়ালগ বক্স থেকে Eqation and Formula ব্যবহার করে পূর্ণ সংখ্যা লিখতে হয়।
--> Symbol : কোন ডকুমেন্ট এ কোন বিশেষ প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করতে চাই তাহলে এই Symbol মেনুতে কিক করে Symbol নির্বাচন করে ওকে করলে Symbol টি ডকুমেন্টের সাথে সংযুক্ত হবে এবং ক্লোজ বাটন ক্লিক করে শেষ করতে হবে।
--> Comment : আমরা যদি কোন ওয়ার্ড সম্পর্কে কোন মন্তব্য বা Comment লিখতে চাই তা হলে তাহলে এই Comment মেনুতে কিক করে নির্ধারিত মন্তব্য লিখে ওকে করে ডায়ালগ বক্স কোজ করলে কাজটি হয়ে যাবে।
--> Footnot : আমরা যদি কোন পাতার শেষে বা ডকুমেন্টের শেষে কোন মন্তব্য বা Footnot লিখতে চাই তা হলে তাহলে এই Footnot মেনুতে কিক করে নির্ধারিত মন্তব্য লিখে ঙশ করে ডায়ালগ বক্স কোজ করলে কাজটি হয়ে যাবে।
--> Picture : আমরা যদি কোন ডকুমেন্ট এ কোন ছবি সংযোজন করতে চাই তা হলে তাহলে এই Picture মেনুতে কিক করে নির্ধারিত Picture সিলেক্ট করে ওকে করে ডায়ালগ বক্স কোজ করলে কাজটি হয়ে যাবে।
--> Word Art : আমরা যদি কোন ডকুমেন্ট এ কোন বিশেষ অংশকে ভিন্ন ভিন্ন ষ্টাইলে লিখতে বা সাজাতে চাই তা হলে তাহলে এই Word Art মেনুতে কিক করে Word Art Galary থেকে নির্ধারিত Word Art সিলেক্ট করে ওকে করে কাজটি হয়ে যাবে।
--> Auto Shapes : Insert >Picture > Auto Shapes এখন ডকুমেন্ট এ যে সেফ সংযোজন করতে চাই তার উপর মাউসের কিক করে অর্থা
ড্রাগ করে তা অংকন করা যাবে বা কাজটি সম্পন্ন করা যাবে।
--> Text Box: Text Box লেখার বক্স। আমরা যদি কোন Document এ কোন বিশেষ অংশকে ভিন্ন ভিন্ন ষ্টাইলে লিখতে বা সাজাতে চাই তা হলে তাহলে এই Text Box মেনুতে কিক করলে একটি Text Box পর্দায় আসবে যার ভিতরে হামেশা লেখা যাবে।
--> Format Menu :
Format নামের মেনুতে কিক করে Font, Paragraph, Tabs, Border and Shading, Change Case, Drop Cap, Bullets and Numbering, Style Gallery, Style, Background, Columns ইত্যাদি মেনু ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, আর্ট তৈরী ও কাজ করা যায়।
--> Font : Font বা অক্ষর। এই মেনু ব্যবহার করে আমরা কোন ডকুমেন্ট এ ইরেজী অথবা বাংলার বিভিন্ন ষ্টাইলের লেখার অর নির্বাচন করে নিতে পারি।
--> Under Line : ডকুমেন্টের কোন বিশেষ অংশের নীচে দাগ দেওয়ার জন্য এই মেনু ব্যবহার করা হয়। ব্যবহার পদ্ধতি Format > Font > Under Line > Ok অথবা কীবোর্ডের Ctrl + U কমান্ড দিয়ে কাজটি সহজেই করা যায়।
--> Bold : ডকুমেন্টের কোন বিশেষ অংশের রং গাড় করে দেওয়ার জন্য এই মেনু ব্যবহার করা হয়। ব্যবহার পদ্ধতি Format > Font > Bold > Ok অথবা কীবোর্ডের Ctrl + B কমান্ড দিয়ে কাজটি সহজেই করা যায়।
--> Italic : ডকুমেন্টের কোন বিশেষ অংশ অথবা সম্পূর্ণ অংশ ইটালিক করে দেওয়ার জন্য এই মেনু ব্যবহার করা হয়। ব্যবহার পদ্ধতি Format > Font > Italic > Ok অথবা কীবোর্ডের Ctrl + I কমান্ড দিয়ে কাজটি সহজেই করা যায়।
--> Font Size : আমরা যদি আমাদের লেখার অরগুলোকে ছোট অথবা বড় আকারে লিখতে চাই তাহলে এই মেনু ব্যবহার করে তা করা যাবে। ব্যবহার পদ্ধতি অক্ষর ব্লক করে নিয়ে Format > Font > Font Size > Ok অথবা অক্ষর ব্লক করে নিয়ে কীবোর্ডের Ctrl + ] কমান্ড দিয়ে অক্ষর বড় এবং Ctrl + [ কমান্ড দিয়ে অক্ষর ছোট করার কাজটি সহজেই করা যায়।
--> Paragraph : এই Paragraph মেনু ব্যবহার করে আমরা কোন ডকুমেন্টে লাইন স্পেজ ছোট বড় সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারি।
--> Tabs : আমরা যদি ডকুমেন্ট এ Tabs সেট করতে চাই তাহলে এই Tabs মেনু ব্যবহার করে কাজ করতে পারি।
--> Border and Shading : আমরা যদি আমাদের তৈরী কৃত কোন আর্ট বা Document এ অথবা পাতার চার পাশে Border অথবা Shado বা ছায়া সেট করতে চাই তাহলে এই Border and Shading মেনু ব্যবহার করে কাজ করতে পারি।
--> Change Case : আমরা যদি আমাদের তৈরী কৃত কোন Document এ লেখার ষ্টাইল ছোট হাতের বা বড় হাতের লেখা করতে চাই তাহলে Change Case মেনুস্থ Upper Case অথবা Lower Case মেনু ব্যবহার করে কাজটি করা যাবে। আবার যদি শব্দের প্রথম অর ছোট বা বড় করতে Title Case ব্যবহার করে কাজটি সম্পন্ন করা যাবে।
--> Drop Cap : কোন Document এর প্রথম অর বড় করতে হলে Drop Cap মেনু ব্যবহার করে কাজটি করা যাবে। অথচ ডকুমেন্টের লাইন স্পেস ঠিক থাকবে।
--> Bullets and Numbering : কোন Document এর Page Numbering করতে হলে Bullets and Numbering মেনু ব্যবহার করে কাজটি করা যাবে।
--> Background : কোন Document এর Page Background রঙিন করতে হলে Background মেনু ব্যবহার করে কাজটি করা যাবে।
--> Columns : কোন Document কে Columns হিসেবে প্রকাশ করতে চাইলে Columns মেনু ব্যবহার করে কাজটি করা যাবে।
--> Tools : Tools নামের মেনুতে কিক করে Spelling and Grammar, Word Count, Auto Correct, Mail Merge, Macro ইত্যাদি মেনু ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, আর্ট তৈরী ও কাজ করা যায়।
--> Spelling and Grammar : কোন Document এর ভিতরে কোন বানান শুদ্ধ করতে Spelling and Grammar মেনু ব্যবহার করে কাজটি করা যাবে।
--> Word Count : শব্দ গননা আমরা যদি Document এর শব্দ গননা করতে চাই তা হলে এই Word Count মেনু ব্যবহার করে কাজটি করা যাবে।
--> Auto Correct : Document তৈরী করা বা লেখার সময় স্বয়ংক্রিয় ভাবে ভূল সংশোধন করতে
Auto Correct মেনু ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
Window Menu :
Window নামের মেনুকে ব্যবহার করে New Window, Arrange All, Split এর কাজ করা যায়।
--> New Window: এমএস ওয়ার্ডে একসাথে একাধিক ডকুমেন্ট-এ কাজ করলে উক্ত ডকুমেন্ট তালিকা New Window তে জমা রাখা এবং এখান থেকে কোন ডকুমেন্ট বা ফাইল ওপেন করা যায়।
--> ব্যবহার পদ্ধতি : Window > New Window > নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট/ ফাইল এ কিক করে কাজটি করা যায়।
--> Arrange All: এমএস ওয়ার্ডে একসাথে একাধিক বা যতগুলো ডকুমেন্ট ওপেন থাকবে তা একসাথে দেখা যাবে।
---> ব্যবহার পদ্ধতি : Window > Arrange All এ কিক করে কাজটি করা যায়।
--> Split : এমএস ওয়ার্ডে ডকুমেন্ট পেজ কে দুই ভাগে ভাগ করা।
ব্যবহার পদ্ধতি : Window > Split এ কিক করে মাউসের পয়েন্টার যেখানে কিক করা হবে পেজটি সেখান থেকে বিভক্ত হয়ে যাবে।
--> Remove Split : এমএস ওয়ার্ডে ডকুমেন্ট পেজ কে দুই ভাগে ভাগ করা পদ্ধতি অর্থাৎ Split উঠিয়ে দেয়া।
ব্যবহার পদ্ধতি : Window > Remove Split এ কিক করে কাজটি সহজে করা যাবে।
স্টান্ডার্ড টুলবার:
মেনুবারের নীচে বিভিন্ন প্রতীক সম্বলিত বারকে স্টান্ডার্ড টুলবার বলে। প্রতিটি প্রতীক বা আইকনকে এক একটি টুল বলা হয়। মেনু সিলেক্ট করে প্রয়োজনীয় কমান্ড না দিয়ে সরাসরি টুলবারের আইকন ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় কার্য সম্পাদন করা যায়। এতে সময়ও কম লাগে।
টেক্স ফর্মেটিং টুলবার:
টুলবারের নীচের সারিতে বিদ্যমান বারটিই টেক্স ফর্মেটিং টুলবার। এতে বিদ্যমান অপশনগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো ব্যবহার করে ফন্ট পরিবর্তন, ফন্ট ছোট বড় করা, বোল্ড করা, আন্ডার লাইন করা, ইটালিক, এলাইনমেন্ট নির্ধরণ করা সহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা যায়।
রুলার:
ফর্মেটিং টুলবারের নীচে স্কেল এর ন্যায় বারকে রুলার বলে। রুলার বিভিন্ন পরিমাপের জন্য অনেক গুরুত্ব বহন করে।
স্ট্যাটাস বার :
পর্দার একেবারে নীচে Page-1, see, At ইত্যাদি লেখা বারকে স্ট্যাটাস বার বলে। Page-১ দ্বারা কার্সর ১ নং পাতায় আছে বোঝাচ্ছে।
ড্রইং বার
স্ট্যাটাস বার এর উপরে Draw, Autoshapes ইত্যাদি লেখা সহ বেশ কিছু সংখ্যক আইকন সম্বলিত বারকে ড্রইং বার বলে। বিভিন্ন ড্রইং এর কাজ সহজ করতে এই বারের প্রয়োজনীয় আইকন ব্যবহার করা হয়।
স্ক্রল বার
পর্দার নীচে ডানে ও বামে এবং পর্দার ডান পাশে উপরে ও নীচে ছোট তীর চিহ্নিত মধ্যবর্তী বারকে স্ক্রল বার বলে। এর সাহায্যে লেখার সীট বা চলতি প্রোগ্রামকে ঊপরে- নীচে ও ডানে- বামে সরানো যায়।
মাউস পয়েন্টার
কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত অনেকটা ইঁদুরের মত দেখতে ডিভাইসটির নাম মাউস। কম্পিউটার ওপেন করলেই পর্দার উপর একটি এ্যরো বা তীর চিহ্নিত দেখা যায়। মাউস নাড়ালে তীর চিহ্ন নড়া চড়া করে। কম্পিউটারের ভাষায় এই এ্যারো বা তীর চিহ্ন কে মাউসের পয়েন্টার বলা হয়। একে ব্যবহার করে কম্পিউটারকে বিভিন্ন কমান্ড করা হয়। মাউসের পয়েন্টার সব সময় এ্যারো চিহ্নের মত দেখায় না কার্যেক্ষেত্রে ইহা বিভিন্ন আকৃতি ধারন করে।
ক্লিক করা
মাউসের বাম অথবা ডান পাশের বোতাম চেপে কমান্ড করাকে কিক করা বলে। একবার চাপলে সিঙ্গেল কিক, দুইবার চাপলে ডবল কিক বলে।
ড্রাগ করা
ড্রাগ করা অর্থ হলো কিক করে মাউসের বোতাম চেপে রেখে উপরে – নীচে, ডানে-বামে বা প্রয়োজন মত স্থানে ছেড়ে দেওযাকে ড্রাগ করা বা মুভ করা বলে।
কন্ট্রোল বক্স
টাইটেল বারের বাম পাশে W চিহ্নিত আইকন বা চিত্রকে কন্ট্রোল বক্স বলে। সরাসরি এটার উপর কিক করে বা Alt+Spacebar চাপলে একটি মেনু ওপেন হয়। এ মেনুকে কন্ট্রোল মেনু বলে। এ মেনুস্থ বিভিন্ন অপশনসমূহ নির্বাচন করে পর্দায় উইন্ডো প্রদর্শন নিয়ন্ত্রন করা যায়। যেমন ঃ
Restore : নির্বাচন করলে ইতিপূর্বে কোন পরিবর্তন করে থাকলে তা পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে।
Move : নির্বাচন করে F1 কী চেপে মাউস পয়েন্টার মুভ করায়ে উইন্ডো স্থানাস্তর করা যায়।
Size : নির্বাচন করে উইন্ডোর বর্ডার লাইনের মাঝে মাউস পয়েন্টার নিয়ে চেপে ধরে বাড়িয়ে বা কমিয়ে বক্সে একবার কিক করলে কন্ট্রোল মেনু ওপেন হবে কিন্তু ডবল কিক করলে তা বন্ধ হয়ে যাবে।
Control Toolbox (কন্ট্রোল টুল বক্স)
মেনু বারের View মেনুস্থ Toolbars এর মধ্যে প্রবেশ করে Control Toolbox এ টিক দিয়ে ওকে করলে পর্দার বামপাশে একটি বক্স চলে আসবে কম্পিউটারের ভাষায় এটাকে Control Toolbox বলে।
ব্যবহার পদ্ধতি : Menu Bar > View > Toolbars > Control Toolbox > Ok
Dialog Box :
উইন্ডোজে বিভিন্ন মেনুস্থ অপশন সিলেক্ট করলে পর্দায় বিভিন্ন তথ্য সম্বলিত একটি বক্স প্রদর্শিত হয়, কম্পিউটারের ভাষায় উহাই ডায়ালগ বক্স নামে পরিচিত। কোন কাজের জন্য উইন্ডোজে বাড়তি কোন তথ্যের প্রয়োজন হলে ডায়ালগ বক্স ওপেন হয়। ডায়ালগ বক্সে বিভিন্ন অপশনে মাউস পয়েন্টার নিয়ে কিক করে অথবা ট্যাব কী চেপে কোন অপশনে গিয়ে এন্টার কী চাপলে অপশনটি কার্যকর হয়। কোন অপশনের নামের কোন অর আন্ডার লাইন করা থাকলে Alt কী চেপে ধরে এ অরটি চাপলে অপশনটি কার্যকর হবে।
কম্পিউটার ব্যবহার নিয়ে কিছু জানা-অজানা টিপস
১. কম্পিউটারের ধারে কাছে ধোয়া বা ঐ ধরণের কিছুর প্রবেশ বন্দ করতে হবে। কারণ এগুলো হার্ডডিস্কে মারাত্মক কূফল বয়ে আনতে পারে।
২. কম্পিউটারকে সরাসরি সূর্যের আলো কিংবা আদ্র আবহাওয়া থেকে দুরে রাখতে হবে।সাধারণত: এসি রুম হলে ভাল হয়।অভাবে ঘরের মধ্যে যেন কখনো ভেজা আবহাওয়া না থাকে এবং ঘরটি মোটামুটি ঠান্ডা থাকে।
৩. দেওয়াল ঘেসে কখনই কম্পিউটারকে রাখা যাবে না। প্রতিটি কম্পিউটারের মধ্যে নিজেকে ঠান্ডা রাখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। দেওয়াল ঘেসে রাখলে সে ব্যবস্থা বাধাগ্রস্থ হয়। এছাড়াও দেওয়াল থেকে চুন, রং ইত্যাদি খসে কম্পিউটারের মধ্যে প্রবেশ করলে কম্পিউটার নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৪. কম্পিউটার চালু করার আগে অবশ্যই দেখে নিতে হবে এর সাথে লাগানো তারগুলো ঠিকঠাক লাগানো আছে কিনা। কোন তার ঢিলা থাকলে স্পার্ক হয়ে কম্পিউটার ডিভাইস নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৫. কম্পিউটারে বিদ্যুৎ সংযোগ অবশ্যই ভোল্ট ষ্টাবিলাইজার মাধ্যম হতে হবে।কারণ আমাদেশে বিদ্যুতের উঠা-নামা যে দ্রুত গতিতে হয় তাতে কম্পিউটার হঠাৎকরে খুব বেশী ভোল্টেজ চলে আসতে পারে। এতে কম্পিউটারের নাজুক জিনিষগুলো পুড়ে যেতে পারে।
৬. ডিস্ক ড্রাইভ এর লাইটজ্বলা অবস্থায় কখনোই ডিস্ক বের করা যাবে না।করলে ডিস্ক ড্রাইভ এর রিডার হেড নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৭. কম্পিউটারের সিগন্যাল বাতি(লাল এন্টিগেটর বাল্ব) মিট মিট করে জ্বলতে থাকলে বুঝতে হবে কম্পিউটার কোন না কোন কাজ করছে। এই অবস্থায় কম্পিউটারের সুইচ সরাসরি বন্ধ করা যাবে না। এতে হার্ডডিস্ক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
৮. কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক কখনই ফরমেট করা উচিৎ নয়।
৯. কম্পিউটারের কাজ করার সময় অস্থির হয়ে কিছু করা যাবে না। এমন অনেক কাজ আছে যা সম্পাদন করতে কম্পিউটার কিছুটা সময় নিতে পরে। অস্থির হয়ে কিছু করলে কম্পিউটারের স্বাভাবিক কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। ফলে কম্পিউটারের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
১০. কম্পিউটার কীবোর্ড একাট প্রয়োজনীয় অংশ। এই কীবোর্ডের বোতামগুলো খুবই স্পর্শকাতর। খুব বেশী জোরে চাপদিয়ে অপারেট করা উচিৎ নয়। কীবোর্ডের কাছাকাছি কোন পাণীয় দ্রব্য বা তরল পদার্থরাখা যাবে না।
১১. কোন একটি প্রোগ্রামে কাজ করার সময় সেই প্রোগ্রাম বন্ধ না করে সরাসরি সুইচ টিপে কম্পিউটার বন্ধ করা যাবে না। কম্পিউটার বন্ধ করতে হলে পর্যায়ক্রমিক ভাবে সব প্রোগ্রামগুলো বন্ধ করে কম্পিউটারের নির্ধারিত শাটডাউন পদ্ধতিতে বন্ধ করতে হবে।
☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "Computer ( কম্পিউটার কি?) "
Post a Comment