প্রাণীর অজানা তথ্য
২।মাছিরা খুব কম সময় বাঁচে। এদের জীবন কাল মাত্র ১৪ দিন এবং পুরুষ মাছিরা তাদের স্বল্প জীবনের বেশীর ভাগ সময় ব্যয় করে নারী মাছিদের মনোরঞ্জন করতে গুন গুন গান গেয়ে।
৩।আপনি কি জানেন স্তন্য পায়ী প্রাণীদের মাঝে বাদুর একমাত্র যারা উড়তে জানে।
৪।অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় পশু ক্যাঙ্গারু, অনেকেই ক্যাঙ্গারুর লেজ দেখেছেন কিন্তু আপনি কি জানেন? ক্যাঙ্গারু তার লেজ কেবল দৌড়ানোর সময় ব্যাল্যান্স রক্ষায় ব্যবহার করে। এছাড়া ক্যাঙ্গারুরা একে অপরের সাথে যুদ্ধ করার সময় লেজের উপর ভর দিয়ে দুই পায়ে কিক দেয় যা এতোটাই শক্তিশালী যে একজন মানুষের মাথার খুলী গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম।
৫।মাকড়সা আমরা খুব কম দেখলেও আপনি কি জানেন ঘন সবুজ অঞ্চলে প্রতি একরে প্রায় ৫০,০০০ মাকড়সা বসবাস করে।
৬।বাঘ তো আমরা সবাই চিনি, বাংলাদেশের সুন্দরবন বাঘের রাজা রয়েল বেঙ্গল টাইগারের জন্য প্রসিদ্ধ তবে মাদের দৃষ্টিতে সব বাঘ একই রকম দেখতে হলেও বাঘেদের একই ডোরাকাটা দাগের মাঝেই এক এক বাঘের ভিন্নতা রয়েছে অনেকটা আমাদের ফিঙ্গার প্রিন্টার মতোই।
৭।কুমির একটি ভয়ংকর প্রাণী, তবে কুমিরের অজানা রহস্য হচ্ছে এর চোখে। আপনি যদি আপনার বৃদ্ধা আঙুল কোন কুমিরের চোখে প্রবেশ করান তবে কোন সমস্যা ছারাই এটি ভেতরে ঢুকে যাবে কারণ এটি কুমিরের চোখের বৈচিত্র্য।
৮।বিড়ালের প্রতি কানে রয়েছে ৩২টি মাংস পেশী। এর শ্রবণ ক্ষমতা খুবই প্রবল।
৯।প্রতিটি মানুষের বিপরীতে পৃথিবীতে রয়েছে এক মিলিয়ন পিপীলিকা। এরা কখনোই ঘুমায়না এবং এদের ফুসফুস নেই।
১০।আপনি কি জানেন ঝিনুক এমন একটি প্রাণী যা নিজের প্রয়োজনে সুবিধা মত লিঙ্গ পরিবর্তন করতে পারে।
১১।আপনি কি জানেন একটি প্রজাপতির দুই চোখে কতটি লেন্স রয়েছে? এক হাজারেরও বেশী। তবে এতো বিপুল সংখ্যক লেন্স থাকার পরও প্রজাপতি লাল, সবুজ এবং হলুদ রং দেখে বেশী।
১২।শামুক এমন একটি প্রাণী যার চোখ নষ্ট হয়ে গেলে আবার নতুন চোখ গজায়!
১৩।আপনি চাইলেই বুঝতে পারবেন কচ্ছপের লিঙ্গ কি? হ্যাঁ কচ্ছপ তাদের আওয়াজের মধ্য দিয়েই জানান দেয় সে পুরুষ নাকি নারী।
১৪।জিরাফ এমন একটি প্রাণী যার গলায় ভোকাল কড নেই এবং জিরাফের জিব্বা স্থন্য পায়ী প্রানিদের মাঝে সবচেয়ে বড় এবং এটি নীলাভ কালো রঙের।
১৫।কুকুর এমন একটি প্রাণী যার নাকের প্রিন্ট কেবল মাত্র ইউনিক। এটি দিয়ে এক কুকুর থেকে অন্য কুকুর কে আলাদা করা যায়।
পরিচিত ১৫টি প্রাণীর অজানা তথ্য
-----------------------
১।বিশ্বাস করুন আর নাই করুণ, উট পাখি যখন দৌড়ায় তখন এরা ঘোড়ার থেকেও বেশী গতিতে দৌড়াতে পারে। আবার পুরুষ উট পাখিরা সিংহের মতোই গর্জন করতে পারে। উট পাখিদের একটা বোকা স্বভাব হচ্ছে এরা বিপদ দেখলে নিজের মাথা বালিতে লুকিয়ে রাখে এবং ভাবে সে যেহেতু দেখছেনা সুতরাং তাকেও কেউ দেখছেনা।
২।মাছিরা খুব কম সময় বাঁচে। এদের জীবন কাল মাত্র ১৪ দিন এবং পুরুষ মাছিরা তাদের স্বল্প জীবনের বেশীর ভাগ সময় ব্যয় করে নারী মাছিদের মনোরঞ্জন করতে গুন গুন গান গেয়ে।
৩।আপনি কি জানেন স্তন্য পায়ী প্রাণীদের মাঝে বাদুর একমাত্র যারা উড়তে জানে।
৪।অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় পশু ক্যাঙ্গারু, অনেকেই ক্যাঙ্গারুর লেজ দেখেছেন কিন্তু আপনি কি জানেন? ক্যাঙ্গারু তার লেজ কেবল দৌড়ানোর সময় ব্যাল্যান্স রক্ষায় ব্যবহার করে। এছাড়া ক্যাঙ্গারুরা একে অপরের সাথে যুদ্ধ করার সময় লেজের উপর ভর দিয়ে দুই পায়ে কিক দেয় যা এতোটাই শক্তিশালী যে একজন মানুষের মাথার খুলী গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম।
৫।মাকড়সা আমরা খুব কম দেখলেও আপনি কি জানেন ঘন সবুজ অঞ্চলে প্রতি একরে প্রায় ৫০,০০০ মাকড়সা বসবাস করে।
৬।বাঘ তো আমরা সবাই চিনি, বাংলাদেশের সুন্দরবন বাঘের রাজা রয়েল বেঙ্গল টাইগারের জন্য প্রসিদ্ধ তবে মাদের দৃষ্টিতে সব বাঘ একই রকম দেখতে হলেও বাঘেদের একই ডোরাকাটা দাগের মাঝেই এক এক বাঘের ভিন্নতা রয়েছে অনেকটা আমাদের ফিঙ্গার প্রিন্টার মতোই।
৭।কুমির একটি ভয়ংকর প্রাণী, তবে কুমিরের অজানা রহস্য হচ্ছে এর চোখে। আপনি যদি আপনার বৃদ্ধা আঙুল কোন কুমিরের চোখে প্রবেশ করান তবে কোন সমস্যা ছারাই এটি ভেতরে ঢুকে যাবে কারণ এটি কুমিরের চোখের বৈচিত্র্য।
৮।বিড়ালের প্রতি কানে রয়েছে ৩২টি মাংস পেশী। এর শ্রবণ ক্ষমতা খুবই প্রবল।
৯।প্রতিটি মানুষের বিপরীতে পৃথিবীতে রয়েছে এক মিলিয়ন পিপীলিকা। এরা কখনোই ঘুমায়না এবং এদের ফুসফুস নেই।
১০।আপনি কি জানেন ঝিনুক এমন একটি প্রাণী যা নিজের প্রয়োজনে সুবিধা মত লিঙ্গ পরিবর্তন করতে পারে।
১১।আপনি কি জানেন একটি প্রজাপতির দুই চোখে কতটি লেন্স রয়েছে? এক হাজারেরও বেশী। তবে এতো বিপুল সংখ্যক লেন্স থাকার পরও প্রজাপতি লাল, সবুজ এবং হলুদ রং দেখে বেশী।
১২।শামুক এমন একটি প্রাণী যার চোখ নষ্ট হয়ে গেলে আবার নতুন চোখ গজায়!
১৩।আপনি চাইলেই বুঝতে পারবেন কচ্ছপের লিঙ্গ কি? হ্যাঁ কচ্ছপ তাদের আওয়াজের মধ্য দিয়েই জানান দেয় সে পুরুষ নাকি নারী।
১৪।জিরাফ এমন একটি প্রাণী যার গলায় ভোকাল কড নেই এবং জিরাফের জিব্বা স্থন্য পায়ী প্রানিদের মাঝে সবচেয়ে বড় এবং এটি নীলাভ কালো রঙের।
১৫।কুকুর এমন একটি প্রাণী যার নাকের প্রিন্ট কেবল মাত্র ইউনিক। এটি দিয়ে এক কুকুর থেকে অন্য কুকুর কে আলাদা করা যায়।
পিঁপড়া সম্পর্কে অজানা তথ্য
-------------------
১।মানুষের মত পিঁপড়ার কিন্তু কান নেই! তাহলে এরা শোনে কিভাবে? ওদের হাঁটু আর পায়ে আছে বিশেষ সেন্সিং ভাইব্রেশনস। যার মাধ্যমে তারা আশেপাশের পরিস্থিতি বুঝতে পারে। পিঁপড়ার আবার হাঁটু! ভাবতেই হাসি পায় তাইনা?
২।পোকামাকড়দের মাঝে সবচেয়ে বড় মস্তিষ্কের অধিকারী হল পিঁপড়া। অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায় এদের মস্তিষ্কে প্রায় ২৫০,০০০ টি কোষ বেশি রয়েছে।
৩।আমাদের এত বড় শরীরে একটি পাকস্থলী থাকলেও পিঁপড়ার ছোট শরীরে কিন্তু পাকস্থলী রয়েছে দুইটি!
৪।পিঁপড়ার কিছু প্রজাতি রয়েছে যাদের বংশবিস্তার করতে যৌনপ্রজনন প্রয়োজন হয়না। বিশেষ এক ক্লোনিং প্রক্রিয়ায় এরা বংশবিস্তার করে। নিষিক্ত ডিম নারী পিঁপড়ের দেহে বেড়ে উঠে আর অনিষিক্ত ডিম পুরুষ পিঁপড়ের দেহে।
৫।ধারণা করা হয় যে পিঁপড়েদের করা সবচেয়ে বড় উপনিবেশ ছিলো প্রায় ৩,৬০০ মাইল এর! এই উপনিবেশ ইতালি, ফ্রান্স, স্পেনের মত বড় দেশগুলোর উপর দিয়েই গিয়েছে। আর এই উপনিবেশ তৈরি করে আর্জেন্টিনার একটি পিঁপড়ার প্রজাতি।
৬।পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই রয়েছে পিঁপড়া। কেবলমাত্র এন্টার্টিকা ও এ ধরনের কয়েকটি জায়গায় পিঁপড়া নেই। পিঁপড়া প্রায় যেকোনো বাস্তুসংস্থানে বিকাশ লাভ করতে পারে এবং এরা ভূমিগত বায়োমাসের প্রায় ১৫-২৫% গঠন করে। তাদের এই সাফল্যের কারণ হল তাদের সামাজিক সংগঠন, দ্রুত বাসস্থান পরিবর্তনের ক্ষমতা, রসদ জোগাড় করার দক্ষতা এবং নিজেদের রক্ষা করার পারদর্শিতা।
৭।সবচেয়ে বড় পিঁপড়াগুলো সাধারণত ৩ থেকে ৫ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। তবে পুর্বে যেসব পিঁপড়া ছিলো তাদের কিছু কিছু ৬ সেন্টিমিটার লম্বাও ছিলো।
৮।পিঁপড়াকে মারার জন্য আমরা সাধারণত পানির আশ্রয় নেই। অথচ জেনে অবাক হবেন পিঁপড়ারা দিব্যি বন্যায় বেঁচে থাকতে পারে। পিঁপড়েরা এক বিশেষ প্রক্রিয়ায় শ্বাসের কাজ চালায়। খুব বেশি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এরা শ্বাস বন্ধ করে রাখতে পারে। এমনকি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডুব দিয়েও থাকতে পারে!
৯।জানেন কি পবিত্র বাইবেলে পিঁপড়াদের জ্ঞানী বলা হয়েছে। বাইবেলে আছে, তুমি অলস তবে পিঁপড়ার কাছে যাও। তার উপায় বিবেচনা কর, জ্ঞানী হও। পিঁপড়াদের সাধারণত পরিশ্রমী ও অধ্যাবসায়ের উদাহরণ হিসেবে ব্যাবহার করা হয়।
১০।কিছু পিঁপড়া নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য এসিড ছুঁড়ে দেয়! আমাজনের কিছু পিঁপড়ার প্রজাতি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজেদের বাঁচাতে ফর্মিক এসিড ছুঁড়ে দেয়! ছোট্ট প্রাণী পিঁপড়া সম্পর্কে অজানা কিছু মজার তথ্য জানলেন তো। বাসায় এরপর পিঁপড়া দেখলেই নিশ্চয়ই মনে পড়বে এই তথ্যগুলোর কথা।
১২। পিঁপড়েও চিরুনি ব্যবহার করে! শুধু কি তাই ওরা নিজের কাছে চিরুনি রাখেও সবসময় সামনের দুপায়ের ভাঁজের কাছে। যা দিয়ে প্রয়োজন মতো নিজেকে একটু পরিপাটি করে নেয়।।
১৩।পিঁপড়ে হচ্ছে সামাজিক পোকা। দলবল ছাড়া চলতে পারেনা। তাই সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে লাইন ধরে চলে চলাচল করে।
১৪।পিঁপড়েরা যেখানে বাস করে তাদের পিঁপড়ে কলোনি বলে। একটা কলোনিতে একজন রানী পিঁপড়ে, কয়েকজন ছেলে পিঁপড়ে আর অসংখ্য কর্মী পিঁপড়ে থাকে। কর্মী পিঁপড়েরা রানী আর বাচ্চা পিঁপড়ের দেখাশোনা করে। মাঝ বয়সে ওরা বেরোয় খাবার খুঁজতে। আর শেষ বয়সে ওরা সৈনিকের দায়িত্ব পালন করে। তখন ওরা পিঁপড়ে কলোনির নিরাপত্তা বজায় রাখে।
১৫।এক কলোনির পিঁপড়েরা অনেক সময় অন্য কলোনি আক্রমণ করে বসে। আক্রমণ করে অন্যদের জমানো খাবার, আর বাচ্চাদের নিয়ে যায়।
১৬।পিঁপড়ের শরীর থেকে ফেরোমোনেস (Pheromones) নামক এক ধরনের গন্ধযুক্ত রাসায়নিক পদার্থ বের হয়। যখন ওরা কোথাও যায় তখন সারা রাস্তায় ওটা লেগে যায়। ফেরার সময় সেই গন্ধ শুকে শুকে কলোনিতে ফিরে আসে।
১৭।পিঁপড়েরা কখনো ঘুমায় না।
সাগরে প্রাণীদের কিছু অজানা ক্ষমতা
---------------------------
ডলফিনঃ
---------
ডলফিন তিমির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত এক ধরনের সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী। পৃথিবীতে ১৭টি গ্রুপে প্রায় ৪০টি প্রজাতির ডলফিন রয়েছে। ১.২ মিটার (৪ ফুট) দৈর্ঘ্য এবং ৪০ কেজি (৯০ পাউন্ড) ওজন থেকে শুরু করে ৯.৫ মিটার (৩০ ফুট) দৈর্ঘ্য এবং ১০ টন (৯.৮ লিট; ১১ স্টোন) ওজন পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের ডলফিন দেখা যায়। পৃথিবী জুড়েই ডলফিন দেখা যায়, বিশেষ করে মহীসোপানের কাছের অগভীর সমুদ্রে। ডলফিন মাংসাশী প্রাণী, মাছ এবং স্কুইড এদের প্রধান খাদ্য। ধারণা করা হয়, দশ মিলিয়ন বছর আগে মায়োসিন যুগে ডলফিনের উদ্ভব। ডলফিনকে সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণীদের কাতারে ধরা হয়। বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ এবং খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা মানব সমাজের কাছে ডলফিনকে খুবই জনপ্রিয় করে তুলেছে।
হাঙ্গরঃ
---------
প্রাকৃতিক ভাবেই এক দক্ষ শিকারি এই হাঙ্গর। এর মস্তিষ্কে বিশেষ কিছু কোষ রয়েছে, যা অন্য প্রাণীদের শরীর থেকে তৈরি হওয়া ইলেকট্রিক ফিল্ড শনাক্ত করতে পারে। তাই সমুদ্রের তলদেশে বালির নিচে লুকিয়ে থাকা ছোট একটি মাছও হাঙ্গরের কাছ থেকে লুকিয়ে থাকতে পারে না। তাই পানির নিচে কখনো হাঙ্গর দেখলে পাথর বা লতাপাতার আড়ালে লুকানোর চেষ্টা করাটা সম্পূর্ণ বৃথা প্রমাণিত হয়েছে। সাধারণত এদের এড়িয়ে চলাই উত্তম।
অক্টোপাসঃ
---------
অক্টোপাস বরাবরই মানুষের কাছে একটি রহস্যময় প্রাণী। আমরা যদিও জানি, এদের ৮টি পা রয়েছে, তবে এগুলো আসলে বাহু। আত্মরক্ষার খাতিরে এরা শরীরের রং বদল করে ফেলতে পারে। পালিয়ে যাওয়ার সময় দেহ থেকে এক ধরনের কালি ছুঁড়ে মারে, যা পানিকে অন্ধকার করে দেয়। এক কথায় বলতে গেলে, শক্রকে লক্ষ্যচ্যুত করে দেওয়ার এক ক্ষমতা। মজার তথ্য হলো, এদের দেহে রয়েছে ৩টি হৃদপিণ্ড। অক্টোপাসের একটি প্রজাতি হলো, ব্লু রিংড। এই অক্টোপাসের দেহে রয়েছে মারাত্মক বিষ যার সংস্পর্শে খুবই দ্রুত মানুষের মৃত্যু ঘটা সম্ভব।
বোয়াঃ
---------
সাপ নিঃসন্দেহে পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণীগুলোর মধ্যে একটি। আবার সাপ পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর প্রাণীগুলোর মধ্যেও একটি, এদের খোলসের রঙের কারণে এমনটা মনে করা হয়। তবে এদের বিষ, নিঃশব্দ ও সূক্ষ্ম চলাফেরার কারণে এদের ভয়ংকর বলা হয়। বোয়া নামের সাপের অন্যান্য সাপ থেকে ভিন্ন হওয়ার কারণ হলো, একদম অন্ধকারে না দেখেও এর শিকার করার ক্ষমতার কারণে। এদের চোখের কাছাকাছি রয়েছে এক ধরনের অর্গান, যেটি অন্য কোনো প্রাণীর দেহের তাপমাত্রার উপর ভিত্তি করে তাদের সঠিক অবস্থান নির্ণয় করতে পারে। আর তাই পুরোপুরি অন্ধকারেও এরা শিকারকে খুঁজে বের করতে পারে সহজেই।
কুমিরঃ
---------
কুমির তাদের চোয়ালের শক্তির কারণে বিখ্যাত। এদের দুই চোয়ালের মাঝের চাপ ক্ষেত্রবিশেষে এক টন পর্যন্ত হতে পারে। তা ছাড়া এরা ইচ্ছা করে কিছু পাথর গিলে থাকে, যেগুলো এদের পেটে সবসময় অবস্থান করে। এসব পাথর কুমিরদের শারীরিক ভারসাম্য রক্ষা এবং খাবার হজমে সহায়তা করে। আর বলাই বাহুল্য, এদের খাদ্য তালিকা থেকে মাছ, হরিণ, জেব্রা, জিরাফ, বন্য গরু এমনকি ছোট কুমিরও বাদ যায় না!
অন্যান্য
---------
হামিংবার্ডঃ
---------
পাখিদের মধ্যে সব চেয়ে ছোট হলেও বিশেষ ক্ষমতার দিক দিয়ে কিন্তু হামিংবার্ড কোনো ক্রমেই পিছিয়ে নেই। বিশেষ বৈশিষ্ট্য বলতে এরা প্রতি সেকেন্ডে ১৫ থেকে ৮০ বারের মতো পাখা নাড়তে পারে। আর এর ফলে এরা বাতাসে ভেসে থাকতে পারে ঠিক হেলিকপ্টারের মতো করে। একটি ভিন্ন ও বিশেষ ক্ষমতা হলো এরা পিছন দিকে উড়তে পারে, যেটি আর কোনো পাখি পারে না।
বাদুড়ঃ
---------
প্রাণী জগতের এক বিস্ময়কর সৃষ্টি বাদুড়। এরা কিন্তু পাখির প্রজাতিতে পরে না। কারণ, এদের দেহ লোম দিয়ে দিয়ে ঢাকা, পালকে নয়। তা ছাড়া এরা নিশাচর প্রাণী। বাদুড়ের চোখ থাকলেও দেখার ক্ষমতা খুবই সীমিত। রাতের বেলা চলাচলের সময় এরা শব্দের প্রতিধ্বনি ব্যবহার করে। উড়ার সময় এরা আল্ট্রাসনিক শব্দ তৈরি করে। এরপর এই শব্দের প্রতিধ্বনি শুনে সামনে থাকা বস্তু সম্পর্কে ধারণা লাভ করে এবং পথের নির্দেশনা পায়। তবে অনেক সময় বাদুড় বিদ্যুতের তারে ধাক্কা খায়। কারণ সূক্ষ্ম তারে শব্দ ঠিক মতো প্রতিধ্বনিত হয় না। আর বলাই বাহুল্য, আল্ট্রাসনিক শব্দ শোনার ক্ষমতা মানুষের নেই।
বিড়ালঃ
---------
বিড়াল একটি ঘরোয়া প্রাণী বলে এর সম্পর্কে সবারই কম বেশি জানা আছে। অসাধারণ চোখের ক্ষমতা সম্পন্ন প্রাণীদের মধ্যে বিড়াল একটি। পুরোপুরি অন্ধকারেও এরা একদম পরিষ্কার দেখতে পায়। আর তাই ঘরের ভিতর ছুটে বেড়ানো ছোট ছোট ইঁদুরগুলো রাতের বেলা ধরতে এদের কোনো সমস্যা হয় না। তাদের আদুরে স্বভাবের কারণে আরও বেশি পরিচিত আমাদের কাছে।
সাগরে ভয়ংকর প্রাণীদের অজানা তথ্য
---------------------------
পিরানহাঃ
---------
যারা মোটামুটি হলিউডি মুভি দেখেন, আশাকরি তারা এই মাছটি সম্পর্কে অবগত আছেন। আমার মনে হয়, মুভিতে একটু বেশিই রঞ্জিত করে দেখানো হয়, মুভি এবং বাস্তবতা অনেকটাই ভিন্ন। সূক্ষ্ম ধারালো দাত বিশিষ্ট এই কদাকার মাছিটি দক্ষিণ আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। পিরানহার মোট ৩০ টিরও বেশি প্রজাতি আছে। এর মধ্যে প্রায় ২৫ টি প্রজাতির দেখা মেলে ব্রাজিলের অ্যামাজন সহ অন্যান্য নদীতে, যার বেশির ভাগই মাংসাশী নয়। মাত্র ৬ টি প্রজাতির দেখা মেলে, যারা প্রাপ্ত বয়স্ক হবার পর মাংসাশী হয়ে ওঠে। এরা সাধারনত দল বেধে নিজের চাইতেও বড় আকারের শিকার ধরে থাকে। থিওডোর রুসভেল্ট (Theodore Roosevelt) তার ব্রাজিল ভ্রমনের সময় দেখেন, পিরানহার একটি ঝাঁক একটি মহিষকে মাত্র কয়েক সেকেন্ডে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে। বোঝাই যাচ্ছে, এরকম একটি খাদকের সামনে মানুষ অবশ্যই নিরাপদ নয়।
লিওপারড সীলঃ
---------
একটি সুন্দর সীল শাবক পায়চারি করছে, হঠাৎ একটা বড় লিওপারড সীল এসে একে ধরে খেয়ে ফেলল......... এবার কি বলবেন? এদের মুখ বন্ধ অবস্থায় যতটাই সুন্দর, খোলা অবস্থায় তার চেয়েও ভয়ানক। পেঙ্গুইন এদের সবচেয়ে পছন্দের খাবার কিন্তু, সুযোগ পেলে মানুষকেও ছেড়ে দেয় না।
বুলেট অ্যান্টঃ
---------
বুলেট অ্যান্টের কামড়ে হয়ত আপনি মারা পড়বেন না ঠিক আছে কিন্তু, এই কামড়ের কথা আপনি কোনদিনও ভুলতে পারবেন না। জীব জগতের সকল প্রানীর মধ্যে এই পিঁপড়ার কামড়েই সবচেয়ে বেশি ব্যাথা অনুভূত হয় বলে কথিত আছে, যা আপনি কখনো কল্পনাও করতে পারবেন না। আপনি যদি এর ভুক্তভোগী হন, তাহলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিজের নাম মনে না করতে পারাটাও অস্বাভাবিক নয়।
ইলেকট্রিক এলঃ
---------
ইলেকট্রিক এল সবচেয়ে বেশি দেখা যায় আমাজন এবং অরিনকো নদীতে। দক্ষিণ আমেরিকার নদীগুলোর সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রানী গুলোর মধ্যে ইলেকট্রিক এল অন্যতম। এর একটি নয় বরং তিন তিনটি specialized organs থাকে শক্তিশালী বিদ্যুৎ (৬০০ ভোল্ট বা তার চেয়েও বেশি) উৎপাদনের জন্য, যা একজন পুর্নবয়স্ক মানুষের মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট। এরা মানুষ খায় না, কিন্তু নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে কাছে গিয়ে একটা আদর দিয়ে দেয়।
স্লও লরিসঃ
---------
আহারে! বিড়াল সদৃশ এই লরিস গুলোকে দেখলে মনে হয়, বাড়িতে নিয়ে পুষে রাখি। এরা শান্তশিষ্ট এবং মানুষের প্রতি আগ্রাসী নয়। এরা মানুষের জন্য বিপজ্জনক অন্য কারণে। প্রাপ্ত বয়স্ক লরিসের বাহুতে Brachical Glands নামক গ্রন্থি থাকে যা, এক ধরনের বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে। লরিস এই বিষ লালার সাথের মিশিয়ে বাচ্চাদের সুরক্ষায়, তাদের উপর প্রলেপ দিয়ে দেয়। এই বিষ কামড়ের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।
টারেন্টুলা হাকঃ
---------
টারেন্টুলা হাক্ নামকরণ করা হয়েছে এদের খাদ্য হিসাবে টারেন্টুলা শিকারের জন্য। নিউ মেক্সিকোতে এদের বেশি দেখা মেলে। এদের কামড়ে প্রচন্ড ব্যাথা হয়ে থাকে ( বুলেট অ্যান্টের মত অতটা নয় )। একজন রিসার্চার এটিকে বর্ণনা করেছেন এভাবে......... immediate excruciating pain that simply shuts down one’s ability to do anything, except, perhaps, scream, Mental discipline simply does not work in these situations.
☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "প্রাণীর অজানা তথ্য "
Post a Comment