পরিবহন ও ড্রাইভিং বিষয়ক প্রশ্ন ও উত্তর

পরিবহন ও ড্রাইভিং বিষয়ক প্রশ্ন ও উত্তর


১. প্রশ্নঃ উপমহাদেশে প্রথম কবে রেলগাড়ি চালু হয়?
উত্তরঃ ১৮৫৩ সালে

২. প্রশ্নঃ প্রথম রেলগাড়িতে কী ইঞ্জিন ব্যবহৃত হতো?
উত্তরঃ বাষ্পীয় ইঞ্জিন

৩. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে প্রথম রেললাইন স্থাপিত হয় কত সালে?
উত্তরঃ ১৮৬২ সালে

৪. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে প্রথম রেললাইন বসানো হয় কোথায়?
উত্তরঃ দর্শনা হতে কুষ্টিয়ার জগতি পর্যন্ত।

৫. প্রশ্নঃ ঢাকা - নারায়ণগঞ্জ রেলপথটি কতসালে চালু হয়?
উত্তরঃ ৪ জানুয়ারি, ১৮৮৫ সালে।

৬. প্রশ্নঃ বাংলাদেশ রেল পরিবহন সংস্থার নাম কী?
উত্তরঃ বাংলাদেশ রেলওয়ে

৭. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে কয় ধরনের রেলপথ রয়েছে ও কি কি?
উত্তরঃ ২ ধরনের। যথা- মিটারগেজ ও ব্রডগেজ।

৮. প্রশ্নঃ বাংলাদেশ রেলওয়ে কয়টি অঞ্চলে বিভক্ত ও কী কী?
উত্তরঃ ২ টি। যথা- পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল

৯. প্রশ্নঃ বাংলাদেশ রেলওয়ের সার্বিক সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ ঢাকায়

১০. প্রশ্নঃ বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ চট্টগ্রামে

১১. প্রশ্নঃ বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলীয় সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ ঢাকায়

১২. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের বৃহত্তম রেলওয়ে স্টেশন কোনটি?
উত্তরঃ ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন।

১৩. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে মোট কতটি রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে?
উত্তরঃ ৫০৫ টি

১৪. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে রেলপথ রয়েছে কত জেলায়?
উত্তরঃ ৪৪ টি জেলায়

১৫. প্রশ্নঃ উপমহাদেশে প্রথম রেলগাড়ি চালু করেন কে?
উত্তরঃ লর্ড ডালহৌসি

১৬. প্রশ্নঃ কোন কোন স্থানে গাড়ি পার্ক করা নিষেধ ?
উত্তরঃ ক. যেখানে পার্কিং নিষেধ বোর্ড আছে এমন স্থানে খ. জংশনে গ. ব্রিজ/কালভার্টের ওপর ঘ. সরু রাস্তায় ঙ. হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকায় চ. পাহাড়ের ঢালে ও ঢালু রাস্তায়, ফুটপাত, পথচারী পারাপার এবং তার আশেপাশে ছ. বাস স্টপেজ ও তার আশেপাশে এবং জ. রেলক্রসিং ও তার আশেপাশে।

১৭. প্রশ্নঃ গাড়ি রাস্তার কোনপাশ দিয়ে চলাচল করবে ?
উত্তরঃ গাড়ি রাস্তার বামপাশ দিয়ে চলাচল করবে। যে-রাস্তায় একাধিক লেন থাকবে সেখানে বামপাশের লেনে ধীর গতির গাড়ি, আর ডানপাশের লেনে দ্রুত গতির গাড়ি চলাচল করবে।

১৮. প্রশ্নঃ কখন বামদিক দিয়ে ওভারটেক করা যায় ?
উত্তরঃ যখন সামনের গাড়ি চালক ডানদিকে মোড় নেওয়ার ইচ্ছায় যথাযথ সংকেত দিয়ে রাস্তার মাঝামাঝি স্থানে যেতে থাকবেন তখনই পেছনের গাড়ির চালক বামদিক দিয়ে ওভারটেক করবেন।

১৯. প্রশ্নঃ চলন্ত অবস্থায় সামনের গাড়িকে অনুসরণ করার সময় কী কী বিষয় লক্ষ্য রাখা উচিত ?
উত্তরঃ (ক) সামনের গাড়ির গতি (স্পিড) ও গতিবিধি, (খ) সামনের গাড়ি থামার সংকেত দিচ্ছে কি না, (গ) সামনের গাড়ি ডানে/বামে ঘুরার সংকেত দিচ্ছে কি না, (ঘ) সামনের গাড়ি হতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় থাকছে কি না।

২০. প্রশ্নঃ রাস্তার পাশে সতর্কতামূলক ‘‘স্কুল/শিশু” সাইন বোর্ড থাকলে চালকের করণীয় কী ?
উত্তরঃ (ক) গাড়ির গতি কমিয়ে রাস্তার দু-পাশে ভালোভাবে দেখে-শুনে সতর্কতার সাথে অগ্রসর হতে হবে। (খ) রাস্তা পারাপারের অপেক্ষায় কোনো শিশু থাকলে তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

২১. প্রশ্নঃ গাড়ির গতি কমানোর জন্য চালক হাত দিয়ে কীভাবে সংকেত দিবেন ?
উত্তরঃ চালক তার ডানহাত গাড়ির জানালা দিয়ে সোজাসুজি বের করে ধীরে ধীরে উপরে-নীচে উঠানামা করাতে থাকবেন।

২২. প্রশ্নঃ সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ কী কী?
উত্তরঃ ক. অত্যধিক আত্মবিশ্বাস। খ. মাত্রাতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো। গ. অননুমোদিত ওভারটেকিং। ঘ. অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন।

২৩. প্রশ্নঃ গাড়ি দুর্ঘটনায় পতিত হলে চালকের করনীয় কী?
উত্তরঃ আহত ব্যক্তির চিকিৎসা নিশ্চিত করা, প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতালে স্থানান্তর করা এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিকটবর্তী থানায় দুর্ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট করা।

২৪. প্রশ্নঃ আইন অনুযায়ী গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা কত?
উত্তরঃ হালকা মোটরযান ও মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭০ মাইল, মাঝারি বা ভারী যাত্রীবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫ মাইল এবং মাঝারি বা ভারী মালবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ মাইল।

২৫. প্রশ্নঃ মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স কী?
উত্তরঃ সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে মোটরযান চালানোর জন্য লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ দলিলই মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স।

২৬. প্রশ্নঃ অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কাকে বলে?
উত্তরঃ যে লাইসেন্স দিয়ে একজন চালক কারো বেতনভোগী কর্মচারী না হয়ে মোটর সাইকেল, হালকা মোটরযান এবং অন্যান্য মোটরযান (পরিবহনযান ব্যতীত) চালাতে পারে, তাকে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে।

২৭. প্রশ্নঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স কত ?
উত্তরঃ পেশাদার চালকের ক্ষেত্রে ২০ বছর এবং অপেশাদার চালকের ক্ষেত্রে ১৮ বছর।

২৮. প্রশ্নঃ কোন কোন ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে ?
উত্তরঃ মৃগীরোগী, উন্মাদ বা পাগল, রাতকানারোগী, কুষ্ঠরোগী, হৃদরোগী, অতিরিক্ত মদ্যপব্যক্তি, বধিরব্যক্তি এবং বাহু বা পা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে অসুবিধা হয় এমন ব্যক্তি।

২৯. প্রশ্নঃ হালকা মোটরযান কাকে বলে?
উত্তরঃ যে মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাই ওজন ৬,০০০ পাউন্ড বা ২,৭২৭ কেজির অধিক নয়, তাকে হালকা মোটরযান বলে।

৩০. প্রশ্নঃ মধ্যম বা মাঝারি মোটরযান কাকে বলে?
উত্তরঃ যে মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাই ওজন ৬,০০০ পাউন্ড বা ২,৭২৭ কেজির অধিক কিন্তু ১৪,৫০০ পাউন্ড বা ৬,৫৯০ কেজির অধিক নয়, তাকে মধ্যম বা মাঝারি মোটরযান বলে।

৩১. প্রশ্নঃ ভারী মোটরযান কাকে বলে?
উত্তরঃ যে মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাই ওজন ১৪,৫০০ পাউন্ড বা ৬,৫৯০ কেজির অধিক, তাকে ভারী মোটরযান বলে।

৩২. প্রশ্নঃ প্রাইভেট সার্ভিস মোটরযান কাকে বলে?
উত্তরঃ ড্রাইভার ব্যতীত আটজনের বেশি যাত্রী বহনের উপযোগী যে মোটরযান মালিকের পক্ষে তার ব্যবসা সম্পর্কিত কাজে এবং বিনা ভাড়ায় যাত্রী বহনের জন্য ব্যবহৃত হয়, তাকে প্রাইভেট সার্ভিস মোটরযান বলে।

৩৩. প্রশ্নঃ ট্রাফিক সাইন বা রোড সাইন (চিহ্ন) প্রধানত কত প্রকার ও কী কী ?
উত্তরঃ ট্রাফিক সাইন বা চিহ্ন প্রধানত তিন প্রকার। ক. বাধ্যতামূলক, যা প্রধানত বৃত্তাকৃতির হয়, খ. সতর্কতামূলক, যা প্রধানত ত্রিভুজাকৃতির হয় এবং গ. তথ্যমূলক, যা প্রধানত আয়তক্ষেত্রাকার হয়।

৩৪. প্রশ্নঃ প্রশ্ন: লাল বৃত্তাকার সাইন কী নির্দেশনা প্রদর্শন করে?
উত্তরঃ নিষেধ বা করা যাবে না বা অবশ্যবর্জনীয় নির্দেশনা প্রদর্শন করে।

৩৫. প্রশ্নঃ নীল বৃত্তাকার সাইন কী নির্দেশনা প্রদর্শন করে?
উত্তরঃ করতে হবে বা অবশ্যপালনীয় নির্দেশনা প্রদর্শন করে।

৩৬. প্রশ্নঃ লাল ত্রিভুজাকৃতির সাইন কী নিদের্শনা প্রদর্শন করে?
উত্তরঃ সতর্ক হওয়ার নির্দেশনা প্রদর্শন করে।

৩৭. প্রশ্নঃ নীল রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?
উত্তরঃ সাধারণ তথ্যমূলক সাইন।

৩৮. প্রশ্নঃ সবুজ রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?
উত্তরঃ পথনির্দেশক তথ্যমূলক সাইন, যা জাতীয় মহাসড়কে ব্যবহৃত হয়।

৩৯. প্রশ্নঃ কালো বর্ডারের সাদা রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?
উত্তরঃ এটিও পথনির্দেশক তথ্যমূলক সাইন, যা মহাসড়ক ব্যতীত অন্যান্য সড়কে ব্যবহৃত হয়।

৪০. প্রশ্নঃ ট্রাফিক সিগন্যাল বা সংকেত কত প্রকার ও কী কী?
উত্তরঃ ৩ (তিন) প্রকার। যেমন- ক. বাহুর সংকেত, খ. আলোর সংকেত ও গ. শব্দ সংকেত।

৪১. প্রশ্নঃ ট্রাফিক লাইট সিগন্যালের চক্র বা অনুক্রমগুলি কী কী?
উত্তরঃ লাল-সবুজ-হলুদ এবং পুনরায় লাল।

৪২. প্রশ্নঃ লাল, সবুজ ও হলুদ বাতি কী নির্দেশনা প্রদশন করে?
উত্তরঃ লালবাতি জ্বললে গাড়িকে ‘থামুন লাইন’ এর পেছনে থামিয়ে অপেক্ষা করতে হবে, সবুজবাতি জ্বললে গাড়ি নিয়ে অগ্রসর হওয়া যাবে এবং হলুদবাতি জ্বললে গাড়িকে থামানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।

৪৩. প্রশ্নঃ সার্ভিসিং বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ মোটরযানের ইঞ্জিন ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশের কার্যক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য নির্দিষ্ট সময় পরপর যে কাজগুলো করা হয়, তাকে সার্ভিসিং বলে।

৪৪. প্রশ্নঃ গাড়ি সার্ভিসিংয়ে কী কী কাজ করা হয়?
উত্তরঃ ক. ইঞ্জিনের পুরান লুবঅয়েল (মবিল) ফেলে দিয়ে নতুন লুবঅয়েল দেওয়া। নতুন লুবঅয়েল দেওয়ার আগে ফ্লাশিং অয়েল দ্বারা ফ্লাশ করা। খ. ইঞ্জিন ও রেডিয়েটরের পানি ড্রেন আউট করে ডিটারজেন্ট ও ফ্লাশিংগান দিয়ে পরিষ্কার করা, অতঃপর পরিষ্কার পানি দিয়ে পূর্ণ করা। গ. ভারি মোটরযানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গ্রিজিং পয়েন্টে গ্রিজগান দিয়ে নতুন গ্রিজ দেয়া। ঘ. গাড়ির স্পেয়ার হুইলসহ প্রতিটি চাকাতে পরিমাণমতো হাওয়া দেয়া। ঙ. লুবঅয়েল (মবিল) ফিল্টার, ফুয়েল ফিল্টার ও এয়ারক্লিনার পরিবর্তন করা।

৪৫. প্রশ্নঃ গাড়ি চালনাকালে কী কী কাগজপত্র গাড়ির সঙ্গে রাখতে হয়?
উত্তরঃ ক. ড্রাইভিং লাইসেন্স খ. রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ব্লু-বুক) গ. ট্যাক্সটোকেন ঘ. ইনসিওরেন্স সার্টিফিকেট ঙ.ফিটনেস সার্টিফিকেট (মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়) চ. রুট পারমিট (মোটরসাইকেল ও চালকব্যতীত সর্বোচ্চ ৭ আসন বিশিষ্ট ব্যক্তিগত যাত্রীবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।

৪৬. প্রশ্নঃ রাস্তায় গাড়ির কাগজপত্র কে কে চেক করতে পারেন/কোন কোন ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে গাড়ির কাগজ দেখাতে আপনি বাধ্য?
উত্তরঃ সার্জেন্ট বা সাব-ইন্সপেক্টরের নিচে নয় এমন পুলিশ কর্মকর্তা, মোটরযান পরিদর্শকসহ বিআরটিএর কর্মকর্তা এবং মোবাইলকোর্টের কর্মকর্তা।

৪৭. প্রশ্নঃ মোটরসাইকেলে হেলমেট পরিধান ও আরোহী বহন সম্পর্কে আইন কী?
উত্তরঃ মোটরসাইকেলে চালক ব্যতীত ১ জন আরোহী বহন করা যাবে এবং উভয়কেই হেলমেট পরিধান করতে হবে (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ধারা-১০০)।

৪৮. প্রশ্নঃ মোটরযান কাকে বলে ?
উত্তরঃ মোটরযান আইনে মোটরযান অর্থ কোনো যন্ত্রচালিত যান, যার চালিকাশক্তি বাইরের বা ভেতরের কোনো উৎস হতে সরবরাহ হয়ে থাকে।

৪৯. প্রশ্নঃ মোটরযানের মেইনটেনেন্স বা রক্ষণাবেক্ষণ বলতে কী বুঝায় ?
উত্তরঃ ত্রুটিমুক্ত অবস্থায় একটি গাড়ি হতে দীর্ঘদিন সার্ভিস পাওয়ার জন্য প্রতিদিন গাড়িতে যে সমস্ত মেরামত কাজ করা হয়, তাকে মোটরযানের মেইনটেনেন্স বলে।

৫০. প্রশ্নঃ গাড়ী চালানোর পূর্বে প্রতিদিন কী কী মেইনটেনেন্স করতে হয়?
উত্তরঃ গাড়ী চালানোর পূর্বে নানা ধরনের ব্যাপার পরীক্ষা করতে হয়। যেমন- ক. গাড়ির হালনাগাদ বৈধ কাগজপত্র (রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ট্যাক্সটোকেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ইনসিওরেন্স (বিমা) সার্টিফিকেট, রুট পারমিট ইত্যাদি) গাড়ির সঙ্গে রাখা। খ. গাড়িতে জ্বালানি আছে কি না পরীক্ষা করা, না থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া। গ. রেডিয়েটর ও ব্যাটারিতে পানি আছে কি না পরীক্ষা করা, না থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া। ঘ. ব্যাটারি কানেকশন পরীক্ষা করা। ঙ. লুব/ইঞ্জিন অয়েলের লেবেল ও ঘনত্ব পরীক্ষা করা, কম থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া। চ. মাস্টার সিলিন্ডারের ব্রেকফ্লুইড, ব্রেকঅয়েল পরীক্ষা করা, কম থাকলে নেওয়া। ছ. গাড়ির ইঞ্জিন, লাইটিং সিস্টেম, ব্যাটারি, স্টিয়ারিং ইত্যাদি সঠিকভাবে কাজ করছে কি না, নাট-বোল্ট টাইট আছে কি না অর্থাৎ সার্বিকভাবে মোটরযানটি ত্রুটিমুক্ত আছে কি না পরীক্ষা করা। জ. ব্রেক ও ক্লাচের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা। ঝ. অগ্নিনির্বাপকযন্ত্র এবং ফাস্টএইড বক্স গাড়িতে রাখা। ঞ. গাড়ির বাইরের এবং ভেতরের বাতির অবস্থা, চাকা (টায়ার কন্ডিশন/ হাওয়া/ নাট/ এলাইমেন্ট/ রোটেশন/ স্পেয়ার চাকা) পরীক্ষা করা।

৫১. প্রশ্নঃ নিরাপদ দূরত্ব বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ সামনের গাড়ির সাথে সংঘর্ষ এড়াতে পেছনের গাড়িকে নিরাপদে থামানোর জন্য যে পরিমাণ দূরত্ব বজায় রেখে গাড়ি চালাতে হয় সেই পরিমাণ নিরাপদ দূরত্ব বলে।

৫২. প্রশ্নঃ পাকা ও ভালো রাস্তায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চললে নিরাপদ দূরত্ব কত হবে?
উত্তরঃ ২৫ মিটার।

৫৩. প্রশ্নঃ পাকা ও ভালো রাস্তায় ৫০ মাইল গতিতে গাড়ি চললে নিরাপদ দূরত্ব কত হবে?
উত্তরঃ ৫০ গজ বা ১৫০ ফুট।

৫৪. প্রশ্নঃ লাল বৃত্তে ৫০ কিলোমিটার লেখা থাকলে কী বোঝায়?
উত্তরঃ গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার অর্থাৎ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না।

৫৫. প্রশ্নঃ নীল বৃত্তে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার লেখা থাকলে কী বোঝায়?
উত্তরঃ সর্বনিম্ন গতিসীমা ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার অর্থাৎ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের কম গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না।

৫৬. প্রশ্নঃ লাল বৃত্তের মধ্যে হর্ন আঁকা থাকলে কী বোঝায়?
উত্তরঃ হর্ন বাজানো নিষেধ।

৫৭. প্রশ্নঃ লাল বৃত্তের ভিতরে একটি বড় বাসের ছবি থাকলে কী বোঝায়?
উত্তরঃ বড় বাস প্রবেশ নিষেধ।

৫৮. প্রশ্নঃ লাল বৃত্তে একজন চলমান মানুষের ছবি আঁকা থাকলে কী বোঝায়?
উত্তরঃ পথচারী পারাপার নিষেধ।

৫৯. প্রশ্নঃ লাল ত্রিভুজে একজন চলমান মানুষের ছবি আঁকা থাকলে কী বোঝায়?
উত্তরঃ সামনে পথচারী পারাপার, তাই সাবধান হতে হবে।

৬০. প্রশ্নঃ লাল বৃত্তের ভিতর একটি লাল ও একটি কালো গাড়ি থাকলে কী বোঝায়?
উত্তরঃ ওভারটেকিং নিষেধ।

৬১. প্রশ্নঃ আয়তক্ষেত্রে ‘চ’ লেখা থাকলে কী বোঝায়?
উত্তরঃ পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থান।

৬২. প্রশ্নঃ কোন কোন স্থানে গাড়ির হর্ন বাজানো নিষেধ?
উত্তরঃ নিরব এলাকায় গাড়ির হর্ন বাজানো নিষেধ। হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত বা অনুরূপ প্রতিষ্ঠানসমূহের চতুর্দিকে ১০০ মিটার পর্যন্ত এলাকা নিরব এলাকা হিসেবে চিহ্নিত।

৬৩. প্রশ্নঃ কোন কোন স্থানে ওভারটেক করা নিষেধ?
উত্তরঃ ক. ওভারটেকিং নিষেধ সম্বলিত সাইন থাকে এমন স্থানে। খ. জংশনে। গ. ব্রিজ/কালভার্ট ও তার আগে-পরে নির্দিষ্ট দূরত্ব। ঘ. সরু রাস্তায়। ঙ. হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকায়।

উত্তর ভুল মনে হলে সঠিক উত্তরটি মেইল করুন,আপডেট করে দেওয়া হবে।

☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "পরিবহন ও ড্রাইভিং বিষয়ক প্রশ্ন ও উত্তর"

Post a Comment

যোগাযোগ ফর্ম

Name

Email *

Message *

 BIPLOB BLOGGER

প্রতিদিন সকল ধরনের চাকরির খবর আপডেট পেতে আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করবে এবং আপনি যদি এন্ড্রয়েড মোবাইলে আপনার চাকরির বিজ্ঞপ্তি গুলো পেতে চান তাহলে আমাদের একটি অ্যাপস রয়েছে সেটি নিচের দেওয়া লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন

বাংলাদেশ রেলওয়েতে একটি নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে পদের 
নামঃ খালাসী 
পদ সংখ্যা:-১০৮৬ জন
আবেদনের শেষ তারিখ:-২৬ই জানুয়ারি ২০২২।  ও বিস্তারিত জানুন নিচের দেওয়া ভিডিওটিতে